কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলের (আইপিএস) আওতায় বাংলাদেশে অবাধ ও মুক্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থা চায় যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে নাগরিক সমাজ সরব ও বেসরকারি খাত সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারবে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় দেশটির দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়। আইপিএস বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির বিভিন্ন দিক নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন।
মার্কিন এই কূটনীতিক বলেন, মুক্ত ও অবাধ ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়তে হলে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের দেশগুলোয় সমৃদ্ধির জন্য সুশাসন, ভালো সরকার, মজবুত রাজনৈতিক কাঠামো, নাগরিকদের সংগঠন করার স্বাধীনতা, সরব নাগরিক সমাজ, সক্রিয় বেসরকারি খাত ও শ্রমিকের অধিকার রক্ষার দিকগুলো নিশ্চিত করা দরকার।
গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, তাতে কোনো পরিবর্তন এসেছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তাঁর দেশ নির্বাচনের পর সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করছে।
আইপিএসকে একগুচ্ছ দিকনির্দেশনা হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, আইপিএস বাস্তবায়ন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ ও বিদেশে দেশটির দূতাবাসগুলো কাজ করছে। অনেক কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রশ্নোত্তরে বারবার এসেছে আইপিএস অঞ্চলে সামরিক ও অর্থনৈতিক বিবেচনায় দুই উদীয়মান শক্তি চীন ও ভারতের কথা। যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক বলেন, কোনো একক রাষ্ট্র এই অঞ্চলকে নিজ প্রভাবাধীন করবে, তাঁর দেশ এমনটা চায় না।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি দেশের সঙ্গে চীনের নানামুখী সম্পর্ক রয়েছে। চীন কখনো কখনো চাপ দেওয়ার কৌশল নেয়। দেশটি ভবিষ্যতে তাইওয়ানসহ কোনো কোনো ক্ষেত্রে জোর খাটাতে পারে। কিন্তু এমন আচরণ যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে দেখতে চায় না। এখানে কোনো দেশ অন্য দেশের প্রভাবাধীন হবে না।
আইপিএস অঞ্চলে ভারতের প্রভাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত একটি বড় রাজনৈতিক শক্তি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র চায় না কোনো একক দেশ ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একক আধিপত্য বিস্তার করুক।
যুক্তরাষ্ট্র ভারতের চোখে বাংলাদেশকে দেখে এমন ধারণা প্রসঙ্গে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, এমন কথা এখানে প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু কথাটি সত্য নয়। দক্ষিণ এশিয়াসহ পুরো আইপিএস অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নির্ধারিত হয় দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে। অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো দেশকে দেখে না।
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে ও অংশীদারত্বের পারস্পরিক অগ্রাধিকারকে কাজে লাগিয়ে, এমনটা মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আইপিএস কি নতুন মাত্রা যোগ করবে, এমন প্রশ্নে মার্কিন কূটনীতিক বলেন, এখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, শ্রমিকের অধিকার রক্ষা, দুই দেশের নাগরিকদের সংযোগ, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী পড়তে যাওয়া, পড়াশোনা শেষে বাংলাদেশের উন্নয়নে তাঁদের ভূমিকা রাখা, এগুলো আইপিএসে গুরুত্বপূর্ণ দিক।
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশগুলোর সঙ্গে ভারসাম্য রেখে চলে, সে ক্ষেত্রে আইপিএসের আওতায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতামূলক ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে, এমনটা মনে করেন এই কূটনীতিক।
একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীগুলোর উন্নয়নে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’-কে সমর্থন করে, এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কর্মসূচি, নিরাপত্তা ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর ভূমিকায় বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলের (আইপিএস) আওতায় বাংলাদেশে অবাধ ও মুক্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থা চায় যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে নাগরিক সমাজ সরব ও বেসরকারি খাত সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারবে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় দেশটির দূতাবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়। আইপিএস বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গির বিভিন্ন দিক নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন।
মার্কিন এই কূটনীতিক বলেন, মুক্ত ও অবাধ ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গড়তে হলে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলের দেশগুলোয় সমৃদ্ধির জন্য সুশাসন, ভালো সরকার, মজবুত রাজনৈতিক কাঠামো, নাগরিকদের সংগঠন করার স্বাধীনতা, সরব নাগরিক সমাজ, সক্রিয় বেসরকারি খাত ও শ্রমিকের অধিকার রক্ষার দিকগুলো নিশ্চিত করা দরকার।
গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে দৃষ্টিভঙ্গি ছিল, তাতে কোনো পরিবর্তন এসেছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তাঁর দেশ নির্বাচনের পর সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করছে।
আইপিএসকে একগুচ্ছ দিকনির্দেশনা হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, আইপিএস বাস্তবায়ন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ ও বিদেশে দেশটির দূতাবাসগুলো কাজ করছে। অনেক কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রশ্নোত্তরে বারবার এসেছে আইপিএস অঞ্চলে সামরিক ও অর্থনৈতিক বিবেচনায় দুই উদীয়মান শক্তি চীন ও ভারতের কথা। যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক বলেন, কোনো একক রাষ্ট্র এই অঞ্চলকে নিজ প্রভাবাধীন করবে, তাঁর দেশ এমনটা চায় না।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি দেশের সঙ্গে চীনের নানামুখী সম্পর্ক রয়েছে। চীন কখনো কখনো চাপ দেওয়ার কৌশল নেয়। দেশটি ভবিষ্যতে তাইওয়ানসহ কোনো কোনো ক্ষেত্রে জোর খাটাতে পারে। কিন্তু এমন আচরণ যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে দেখতে চায় না। এখানে কোনো দেশ অন্য দেশের প্রভাবাধীন হবে না।
আইপিএস অঞ্চলে ভারতের প্রভাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত একটি বড় রাজনৈতিক শক্তি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র চায় না কোনো একক দেশ ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে একক আধিপত্য বিস্তার করুক।
যুক্তরাষ্ট্র ভারতের চোখে বাংলাদেশকে দেখে এমন ধারণা প্রসঙ্গে ম্যাক্সওয়েল মার্টিন বলেন, এমন কথা এখানে প্রায়ই শোনা যায়। কিন্তু কথাটি সত্য নয়। দক্ষিণ এশিয়াসহ পুরো আইপিএস অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নির্ধারিত হয় দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে। অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কোনো দেশকে দেখে না।
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে ও অংশীদারত্বের পারস্পরিক অগ্রাধিকারকে কাজে লাগিয়ে, এমনটা মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে আইপিএস কি নতুন মাত্রা যোগ করবে, এমন প্রশ্নে মার্কিন কূটনীতিক বলেন, এখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, শ্রমিকের অধিকার রক্ষা, দুই দেশের নাগরিকদের সংযোগ, বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী পড়তে যাওয়া, পড়াশোনা শেষে বাংলাদেশের উন্নয়নে তাঁদের ভূমিকা রাখা, এগুলো আইপিএসে গুরুত্বপূর্ণ দিক।
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশগুলোর সঙ্গে ভারসাম্য রেখে চলে, সে ক্ষেত্রে আইপিএসের আওতায় বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতামূলক ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে, এমনটা মনে করেন এই কূটনীতিক।
একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীগুলোর উন্নয়নে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’-কে সমর্থন করে, এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কর্মসূচি, নিরাপত্তা ও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর ভূমিকায় বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৫ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৬ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৭ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৮ ঘণ্টা আগে