নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চার মোবাইল ফোন অপারেটরের কাছে সুদ বাবদ পাওনা ১৫২ কোটি টাকা মওকুফ ও আত্মসাতের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতি সাধনের অভিযোগে সাবেক মূসক (মূল্য সংযোজন কর) কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই নিষেধাজ্ঞা দেন।
দুদকের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই কমিশনারের বিরুদ্ধে চারটি মোবাইল কোম্পানিকে ১৫২ কোটি টাকা সুদ ছাড়ের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিদেশ ভ্রমণের উপর ৬০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. শাহআলম শেখের সই করা নিষেধাজ্ঞার একটি নোটিশ আজ বৃহস্পতিবার পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) কাছে পাঠানো হয়।
দুদকের পাঠানো নোটিশে বলা হয়, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের সাবেক মূসক কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী রাষ্ট্রের ১৫২ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন করে আত্মসাৎপূর্বক দণ্ডবিধির ২১৮/৪০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন। ১১ জুন তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আসামি ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।
দুদক সূত্রে জানা যায়, চারটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির মধ্যে গ্রামীণফোন লিমিটেডের ৬টি নথিতে ৫৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৭ টাকা, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেডের ৭টি নথিতে ৫৭ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫১, রবি আজিয়াটা ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৮৮ ও এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডকে ২০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ টাকাসহ মোট ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা অপরিশোধিত সুদ মওকুফ করেন।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর প্রযোজ্য ভ্যাট আদায়–সংক্রান্ত স্থান ও স্থাপনার ওপরে আইনানুগভাবেই ভ্যাট প্রযোজ্য হওয়ায়, তা মেনে নিয়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ দাবিকৃত ভ্যাট পরিশোধের বিষয়ে Alternative Dispute Resolution (ADR) সভায় সম্মত হয় এবং যথাসময়ে ১৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৫ হাজার ৪৩০ টাকা পরিশোধ করা হয়। ওই রাজস্ব নির্ধারিত কর মেয়াদে পরিশোধ না করায় মূসক আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য হারে প্রদেয় সুদের পরিমাণ হয় ১৫২ কোটি ৮৯ লাখ ৩৯০ টাকা। মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১–এর ধারা ৩৭(৩) অনুসারে সুদ আদায়ের জন্য নথি উপস্থাপন করা হলে তৎকালীন কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী অতিদ্রুত সুদের হিসাব করার নির্দেশ প্রদান করেন। কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী কিছু যুক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে একক নির্বাহী আদেশে অসৎ উদ্দেশ্যে সুদ আদায় করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। ১৫২ কোটি টাকা সুদ আইনানুগভাবে আদায়যোগ্য ছিল। কিন্তু তিনি উক্ত সুদ আদায় না করার একক নির্বাহী সিদ্ধান্তটি প্রদান করেন ফলে সরকারের ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা আদায় বাধাগ্রস্ত হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান দুদকের কাছে।
মূসকের সাবেক এই কমিশনার আইন বহির্ভূতভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে একক নির্বাহী সিদ্ধান্তে ১৬টি নথিতে ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা অপরিশোধিত সুদ মওকুফ করে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন করে আত্মসাৎ দণ্ডবিধির ২১৮/৪০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কমিশনার হিসেবে ২০২৩ সালের অক্টোবের অবসরে যান ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী।
আরও খবর পড়ুন:
চার মোবাইল ফোন অপারেটরের কাছে সুদ বাবদ পাওনা ১৫২ কোটি টাকা মওকুফ ও আত্মসাতের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষতি সাধনের অভিযোগে সাবেক মূসক (মূল্য সংযোজন কর) কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই নিষেধাজ্ঞা দেন।
দুদকের বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওই কমিশনারের বিরুদ্ধে চারটি মোবাইল কোম্পানিকে ১৫২ কোটি টাকা সুদ ছাড়ের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর বিদেশ ভ্রমণের উপর ৬০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মো. শাহআলম শেখের সই করা নিষেধাজ্ঞার একটি নোটিশ আজ বৃহস্পতিবার পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) কাছে পাঠানো হয়।
দুদকের পাঠানো নোটিশে বলা হয়, বৃহৎ করদাতা ইউনিটের সাবেক মূসক কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী রাষ্ট্রের ১৫২ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন করে আত্মসাৎপূর্বক দণ্ডবিধির ২১৮/৪০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারার শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেন। ১১ জুন তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, আসামি ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।
দুদক সূত্রে জানা যায়, চারটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির মধ্যে গ্রামীণফোন লিমিটেডের ৬টি নথিতে ৫৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৭ টাকা, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেডের ৭টি নথিতে ৫৭ কোটি ৮৮ লাখ ৫৩ হাজার ৫১, রবি আজিয়াটা ১৪ কোটি ৯৪ লাখ ১৬ হাজার ৬৮৮ ও এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডকে ২০ কোটি ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ৯৫২ টাকাসহ মোট ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা অপরিশোধিত সুদ মওকুফ করেন।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, স্থান ও স্থাপনা ভাড়ার ওপর প্রযোজ্য ভ্যাট আদায়–সংক্রান্ত স্থান ও স্থাপনার ওপরে আইনানুগভাবেই ভ্যাট প্রযোজ্য হওয়ায়, তা মেনে নিয়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ দাবিকৃত ভ্যাট পরিশোধের বিষয়ে Alternative Dispute Resolution (ADR) সভায় সম্মত হয় এবং যথাসময়ে ১৮৯ কোটি ৭৪ লাখ ১৫ হাজার ৪৩০ টাকা পরিশোধ করা হয়। ওই রাজস্ব নির্ধারিত কর মেয়াদে পরিশোধ না করায় মূসক আইন অনুযায়ী প্রযোজ্য হারে প্রদেয় সুদের পরিমাণ হয় ১৫২ কোটি ৮৯ লাখ ৩৯০ টাকা। মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১–এর ধারা ৩৭(৩) অনুসারে সুদ আদায়ের জন্য নথি উপস্থাপন করা হলে তৎকালীন কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী অতিদ্রুত সুদের হিসাব করার নির্দেশ প্রদান করেন। কমিশনার ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী কিছু যুক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে একক নির্বাহী আদেশে অসৎ উদ্দেশ্যে সুদ আদায় করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। ১৫২ কোটি টাকা সুদ আইনানুগভাবে আদায়যোগ্য ছিল। কিন্তু তিনি উক্ত সুদ আদায় না করার একক নির্বাহী সিদ্ধান্তটি প্রদান করেন ফলে সরকারের ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা আদায় বাধাগ্রস্ত হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান দুদকের কাছে।
মূসকের সাবেক এই কমিশনার আইন বহির্ভূতভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে একক নির্বাহী সিদ্ধান্তে ১৬টি নথিতে ১৫২ কোটি ৮৯ হাজার ৩৯০ টাকা অপরিশোধিত সুদ মওকুফ করে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে সরকারের আর্থিক ক্ষতিসাধন করে আত্মসাৎ দণ্ডবিধির ২১৮/৪০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বৃহৎ করদাতা ইউনিটের কমিশনার হিসেবে ২০২৩ সালের অক্টোবের অবসরে যান ওয়াহিদা রহমান চৌধুরী।
আরও খবর পড়ুন:
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৭ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০৭ জন রোগী।
১২ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অফ পার্টিস-২৯(কপ২৯)’ শীর্ষক বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।
১২ ঘণ্টা আগেবিচারপতি এম এ মতিন বলেছেন, ‘জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে দেশ পরিচালিত হবে—এটাই স্বাভাবিক, এর কোনো ব্যত্যয় হওয়া উচিত নয়। কিন্তু দেশের ন্যূনতম কোনো সংস্কার না করে রাজনীতিবিদদের হাতে ছেড়ে দেওয়া অনেকে নিরাপদ বোধ করছে না। ভালো নির্বাচন হলেও স্বৈরতন্ত্র আসবে না, তার গ্যারান্টি নেই
১৪ ঘণ্টা আগে