নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গত বছর (২০২৩) সারা দেশে আত্মহত্যা করেছে ৫১৩ জন শিক্ষার্থী। ২০২২ সালের তুলনায় এই সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও গত বছর নারী শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েছে। এর পেছনে বড় প্রভাব হিসেবে কাজ করেছে অভিমান। দেশের ১০৫টি জাতীয়, স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালের আত্মহত্যার সংবাদ বিশ্লেষণ করে এ সমীক্ষা প্রকাশ করেছে সামাজিক সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন।
আজ শনিবার সমীক্ষার ফল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয়। আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া ৫১৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ৩০৯ জন এবং পুরুষ শিক্ষার্থী ২০৪ জন। এর মধ্যে অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ৩২ দশমিক ২ শতাংশ শিক্ষার্থী।
আঁচলের সমীক্ষার ফল বলছে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত, অর্থাৎ গত ১২ মাসে আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুলশিক্ষার্থী ২২৭ জন, কলেজ শিক্ষার্থী ১৪০ জন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ৯৮ জন ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ৪৮ জন। ২০২২ সালে আত্মহত্যা করেছিল ৫৩২ জন শিক্ষার্থী। আর ২০২৩ সালে এই সংখ্যা কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫১৩।
আত্মহত্যার কারণ বিশ্লেষণ করে আঁচল ফাউন্ডেশনের সভাপতি তানসেন রোজ বলেন, এবার আত্মহত্যার ঘটনায় মূল ভূমিকা রাখছে অভিমান। অভিমানের কারণে আত্মহত্যার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় পরিবারের সঙ্গে সন্তানদের সম্পর্ক কতটুকু মজবুত তা নিয়ে চিন্তার উদ্রেক করে।
সমীক্ষার ফলাফল থেকে জানা যায়, গত বছর সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ১৪৯ টি। এর পরের অবস্থান চট্টগ্রাম বিভাগে। এই বিভাগে আত্মহত্যা করেছে ৮৯ জন শিক্ষার্থী। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৭৭ জন, খুলনা বিভাগে ৬৪ জন, বরিশাল ও রংপুর উভয় বিভাগেই ৪৩ জন করে, ময়মনসিংহে ৩৬ জন। এ ছাড়া সিলেটে ১২ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ঢাকা শহরে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও বেড়ে ওঠার সহায়ক পরিবেশ না থাকায় এখানে আত্মহত্যার ঘটনা বেশি ঘটছে।
সমীক্ষায় আরও বলা হয়, নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। ৫১৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী শিক্ষার্থীর ৬০ দশমিক ২ শতাংশ।
আত্মহত্যার কারণ বিবেচনায় দেখা যায়, ২৮ দশমিক ৮ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী অভিমানে, প্রেমঘটিত কারণে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ, মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ, পারিবারিক বিবাদের কারণে ৭ দশমিক ১ শতাংশ, যৌন হয়রানির কারণে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং পড়াশোনার চাপজনিত কারণে ৪ দশমিক ২ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে এবং পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় ৪ দশমিক ২ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহননের পথ বেছে নেয়। এ ছাড়া পারিবারিক নির্যাতনে ১ দশমিক ৬ শতাংশ, অপমানে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ এবং পাবলিক পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পাওয়ার কারণে ২ দশমিক ৯ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, আত্মহত্যার ঘটনায় স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২২৭ জন অর্থাৎ ৪৪ দশমিক ২ শতাংশ। আর কলেজগামী শিক্ষার্থী ছিল ১৪০ জন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ৯৮ জন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ৪৮ জন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন—কিশোর বয়সে হরমোনজনিত কারণে শিক্ষার্থীরা বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। ফলে তারা আত্মহত্যার মতো অতি আবেগীয় সিদ্ধান্তগুলো নেয়।
সংবাদ সম্মেলনে আত্মহত্যা প্রতিরোধে আঁচল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। এগুলো হলো—মাসে অন্তত একবার মেন্টাল হেলথ স্ক্রিনিং করা, মেন্টর ও শিক্ষার্থীর মাঝে সুসম্পর্ক তৈরি, হেলথ কর্নার চালু, প্রচারণা কার্যক্রম চালু ইত্যাদি।
সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. সাইদুর রহমান, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দীন আহমদসহ আরও অনেকে।
গত বছর (২০২৩) সারা দেশে আত্মহত্যা করেছে ৫১৩ জন শিক্ষার্থী। ২০২২ সালের তুলনায় এই সংখ্যা তুলনামূলক কম হলেও গত বছর নারী শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার সংখ্যা বেড়েছে। এর পেছনে বড় প্রভাব হিসেবে কাজ করেছে অভিমান। দেশের ১০৫টি জাতীয়, স্থানীয় পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালের আত্মহত্যার সংবাদ বিশ্লেষণ করে এ সমীক্ষা প্রকাশ করেছে সামাজিক সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশন।
আজ শনিবার সমীক্ষার ফল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয়। আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া ৫১৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী শিক্ষার্থী ৩০৯ জন এবং পুরুষ শিক্ষার্থী ২০৪ জন। এর মধ্যে অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে ৩২ দশমিক ২ শতাংশ শিক্ষার্থী।
আঁচলের সমীক্ষার ফল বলছে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত, অর্থাৎ গত ১২ মাসে আত্মহত্যা করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুলশিক্ষার্থী ২২৭ জন, কলেজ শিক্ষার্থী ১৪০ জন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ৯৮ জন ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ৪৮ জন। ২০২২ সালে আত্মহত্যা করেছিল ৫৩২ জন শিক্ষার্থী। আর ২০২৩ সালে এই সংখ্যা কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫১৩।
আত্মহত্যার কারণ বিশ্লেষণ করে আঁচল ফাউন্ডেশনের সভাপতি তানসেন রোজ বলেন, এবার আত্মহত্যার ঘটনায় মূল ভূমিকা রাখছে অভিমান। অভিমানের কারণে আত্মহত্যার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় পরিবারের সঙ্গে সন্তানদের সম্পর্ক কতটুকু মজবুত তা নিয়ে চিন্তার উদ্রেক করে।
সমীক্ষার ফলাফল থেকে জানা যায়, গত বছর সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে ১৪৯ টি। এর পরের অবস্থান চট্টগ্রাম বিভাগে। এই বিভাগে আত্মহত্যা করেছে ৮৯ জন শিক্ষার্থী। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৭৭ জন, খুলনা বিভাগে ৬৪ জন, বরিশাল ও রংপুর উভয় বিভাগেই ৪৩ জন করে, ময়মনসিংহে ৩৬ জন। এ ছাড়া সিলেটে ১২ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ঢাকা শহরে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও বেড়ে ওঠার সহায়ক পরিবেশ না থাকায় এখানে আত্মহত্যার ঘটনা বেশি ঘটছে।
সমীক্ষায় আরও বলা হয়, নারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি। ৫১৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে নারী শিক্ষার্থীর ৬০ দশমিক ২ শতাংশ।
আত্মহত্যার কারণ বিবেচনায় দেখা যায়, ২৮ দশমিক ৮ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী অভিমানে, প্রেমঘটিত কারণে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ, মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ, পারিবারিক বিবাদের কারণে ৭ দশমিক ১ শতাংশ, যৌন হয়রানির কারণে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং পড়াশোনার চাপজনিত কারণে ৪ দশমিক ২ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে এবং পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় ৪ দশমিক ২ শতাংশ শিক্ষার্থী আত্মহননের পথ বেছে নেয়। এ ছাড়া পারিবারিক নির্যাতনে ১ দশমিক ৬ শতাংশ, অপমানে শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ এবং পাবলিক পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পাওয়ার কারণে ২ দশমিক ৯ শতাংশ নারী শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, আত্মহত্যার ঘটনায় স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২২৭ জন অর্থাৎ ৪৪ দশমিক ২ শতাংশ। আর কলেজগামী শিক্ষার্থী ছিল ১৪০ জন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ৯৮ জন, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ৪৮ জন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন—কিশোর বয়সে হরমোনজনিত কারণে শিক্ষার্থীরা বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে। ফলে তারা আত্মহত্যার মতো অতি আবেগীয় সিদ্ধান্তগুলো নেয়।
সংবাদ সম্মেলনে আত্মহত্যা প্রতিরোধে আঁচল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। এগুলো হলো—মাসে অন্তত একবার মেন্টাল হেলথ স্ক্রিনিং করা, মেন্টর ও শিক্ষার্থীর মাঝে সুসম্পর্ক তৈরি, হেলথ কর্নার চালু, প্রচারণা কার্যক্রম চালু ইত্যাদি।
সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মো. সাইদুর রহমান, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দীন আহমদসহ আরও অনেকে।
রাজধানীর শাহ আলী মাজারের কাছে একটি কাঠের দোকান ছিল ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের। ২০১৯ সালের ১৯ জুন দুপুরে সেই দোকান থেকে তিনি বাসার দিকে যাচ্ছিলেন দুপুরের খাবার খেতে। পথে নিখোঁজ হন। তাঁর স্ত্রী নাসরিন জাহান জানিয়েছেন, নিখোঁজ হওয়ার আগে মিরপুরে র্যাব-৪ অফিসের কাছে তাঁর সর্বশেষ অবস্থান ছিল। ৫ বছর পেরিয়ে গে
১ ঘণ্টা আগেফ্যাসিবাদের দোসরেরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাদের পরিহারের ঘোষণা দিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী (নাসির আব্দুল্লাহ) বলেছেন, ‘খুনি ও খুনের হুকুমদাতারা যদি তাদের স্কিলের কারণে থেকে যায়, তাহলে আমরা আরেকটি যুদ্ধ করতে বাধ্য হব।
৫ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
১১ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
১৩ ঘণ্টা আগে