নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে সংবিধান পর্যালোচনার দাবি করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে এই সংবিধানের পর্যালোচনা হওয়া প্রয়োজন। সংসদ নেতাকে অনুরোধ জানাই, তিনি যেন এই সংসদের আগামী অধিবেশনে সংবিধান পর্যালোচনার জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করে দেন, যেখানে ধর্মীয় রাজনীতি থেকে শুরু করে সব বিষয়ে আমরা নতুন করে ভাবতে পারব।’
জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে আজ বুধবার মেনন এ কথা বলেন।
বিভিন্ন সময়ে দেশের সংবিধানের মৌলিক চরিত্র বদল হয়েছে উল্লেখ করে রাশেদ খান মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধু সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে যে সংবিধান দিয়েছিলেন, তা সংসদীয় ব্যবস্থার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাঁর আমলেই এই সংবিধানের মৌল বিষয়গুলোর পরিবর্তন ঘটেছিল। আর সামরিক শাসকেরা নিজেদের ক্ষমতার স্বার্থে এবং পাকিস্তানি রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে ওই সংবিধানকে ভোঁতা ছুরি দিয়ে জবাই করেছিল। দ্বাদশ ও পঞ্চদশ সংশোধনীতে সংবিধানের মৌল চরিত্র কিছুটা ফিরিয়ে আনা হলেও এমন সব বিধি (এখনো) বর্তমান, যা সরকার পরিচালনায় প্রধান নির্বাহীর একক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছে। এবং সংবিধানকে ধর্মীয় রূপ দিয়েছে। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ প্রশ্নে সংবিধান সংশোধন অতি জরুরি।’
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘বিএনপির আমলে দ্বাদশ সংশোধনের সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে মরহুম আবদুস সামাদ আজাদের নেতৃত্বে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তারা তা মানেনি। এ কারণে সম্প্রতি অলি আহমেদ ক্ষমা চেয়েছেন।’
রাষ্ট্রপতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে থাকেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ফলে ভিসি নিয়োগকর্তা হিসেবে তাদের কুকর্মের দায় রাষ্ট্রপতির ওপর এসে পড়ে। এই উপচার্যরা কী ধরনের স্বৈরশাসক ও দুর্নীতিবাজ হয়ে ওঠেন এবং চাকরি বাণিজ্যে লিপ্ত হন, সেটা আমরা দেখেছি। বর্তমানে সব ভিসি শাহজালালের পক্ষে দল পাকিয়েছেন। সরকারকে বলব, শিক্ষামন্ত্রীকে বলব, ছাত্রদের দাবি মেনে নিন। একজন ভিসির জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হতে পারে না। শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট হতে পারে না।’
১৪ দলীয় জোটের এ নেতা বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কেবল সরবই নয়, সরকার উৎখাতের স্লোগান দিচ্ছে। কিন্তু এসব নিয়ে কথা বলার সময় তারা নিজেদের দিকে তাকিয়ে দেখে না। ২০০৬ সালে দেড় কোটি ভুয়া ভোটার ও নিজের লোককে প্রধান উপদেষ্টা করার জন্য যে ষড়যন্ত্র করেছিল, তারই পরিণতিতে এ দেশকে আরেকটি সেনাশাসন দেখতে হয়েছে। জানি না এবার বিএনপির লক্ষ্য কী? তারা খোলসা করে বলছে না। কিন্তু কাজে স্পষ্ট যে, তারা একটি অস্বাভাবিক সরকার এখানে চায়। তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, মনোনয়ন বাণিজ্য, অর্থ, ধর্ম ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপমুক্ত নির্বাচনী ব্যবস্থার কথা বলেন না। কারণ, তারা এই ব্যবস্থাই বহাল রাখতে চায়।’
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, ‘আমাদের বাম দাবিদার বন্ধুরা নির্বাচনী সংস্কারের কথা বললেও তাদের মূল দাবি এখন নির্বাচনকালীন সরকার। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সরাসরি, কেউ-বা যুগপৎ সমন্বিত আন্দোলনের নামে তাদের সাথে শরিক হবে, সেই আলামতও স্পষ্ট।’ চলমান ইউপি নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে মেনন বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য, অর্থ ও পেশি শক্তি এবং প্রশাসন ও ইসির নিশ্চেষ্ট ভূমিকা সমগ্র নির্বাচনে জনগণের আস্থা নষ্ট করেছে। নারায়ণগঞ্জের মতো ব্যতিক্রমী নির্বাচন মানুষকে আশা দেখিয়েছে। এই সরকারকে বহাল রেখেই সেটা সম্ভব। এ জন্য প্রয়োজন সুদৃষ্টি। নির্বাচনী আইন ও আচরণবিধি মানা, অর্থ, পেশি শক্তি ও প্রশাসনের ভূমিকা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। সরকার দেরিতে হলেও নির্বাচন কমিশন নিয়োগের আইন এনেছে। কিন্তু আইনটি অসম্পূর্ণ এবং এটা সংশোধন করতে হবে।’
রাষ্ট্রপতির ভাষণের প্রসঙ্গ টেনে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি সরকারের উন্নয়নের বিশদ বর্ণনা করেছেন। সরকারের প্রণীত এই ভাষণে প্রশাসন, রাষ্ট্র ও জনজীবনের সমস্যা নিয়ে রাষ্ট্রপতির সরস মন্তব্যে কঠিন সত্যগুলো থেকে মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন। ভাষণে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের কোনো কথা উল্লেখ নেই। করোনার সময়েও আমাদের দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ ধনী হয়েছেন। আবার বিপুলসংখ্যক দরিদ্র হয়েছেন।’
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, ‘দুর্নীতিতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার নিচের দিকে থেকে কেবল আফগানিস্তানের ওপরে আছে। এ জন্য নিশ্চয়ই আমরা লজ্জিত। প্রধানমন্ত্রী এই সংসদে বলেছিলেন ফুয়েল না দিলে ফাইল নড়ে না। এখন সেই দুর্নীতির ফুয়েলের দাম এতই বেড়েছে যে, ফাইল নড়ানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। অর্থমন্ত্রীর কাছে অর্থ পাচারকারীর তালিকা চাওয়ার পর উল্টো তিনি এই তালিকা এমপিদের কাছে চেয়েছেন। যেন এমপিরা অসত্য কথা বলেছেন।’
করোনা মোকাবিলার প্রসঙ্গ টেনে মেনন বলেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সফল দেশ হলেও টিকাদানে আফগানিস্তানের ওপরে। টিকা সংগ্রহ নিয়ে বেক্সিমকোকে আর্থিক সুবিধা দিতে গিয়ে যে কেলেঙ্কারি হয়েছিল, তার কোনো হিসাব নেই। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে টিকা সংগ্রহ করতে হয়েছিল। এখনো দেশে টিকা উৎপাদনের জন্য যে চুক্তি হয়েছিল, তার বাস্তবায়ন দৃশ্যমান নয়।
জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্য এই বাম নেতা করোনাকালে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তাঁর মতে, এ নিয়ে প্রচুর বাগাড়ম্বর শোনা গেলেও সমস্যার সমাধানে কোনো চেষ্টা নেই। একইভাবে সৌদি আরবে যাওয়া নারী শ্রমিকদের নির্যাতনের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেই। তিনি তাঁর বক্তব্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে র্যাবের সাতজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাইডেনের গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়টিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো উল্লসিত। এই বিষয়ে সরকারের মূল্যায়ন রাষ্ট্রপতির ভাষণে থাকলে ভালো হতো। কারণ এই বিষয়ে পররাষ্ট্র ও অন্যান্য মন্ত্রীদের বক্তব্যে মনে হয় আমরা যেন অপরাধী।’ তিনি বলেন, ‘মার্কিন মুলুকে প্রতিদিন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। যারা একাত্তরে ইতিহাসের ঘৃণ্যতম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় পাকিস্তানিদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল, যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসি আটকাতে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিল, তারা বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলার অধিকার রাখে না। বাংলাদেশের মানুষই এই সমস্যা মিটিয়ে নিতে সক্ষম।’
স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে সংবিধান পর্যালোচনার দাবি করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসে এই সংবিধানের পর্যালোচনা হওয়া প্রয়োজন। সংসদ নেতাকে অনুরোধ জানাই, তিনি যেন এই সংসদের আগামী অধিবেশনে সংবিধান পর্যালোচনার জন্য বিশেষ কমিটি গঠন করে দেন, যেখানে ধর্মীয় রাজনীতি থেকে শুরু করে সব বিষয়ে আমরা নতুন করে ভাবতে পারব।’
জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে আজ বুধবার মেনন এ কথা বলেন।
বিভিন্ন সময়ে দেশের সংবিধানের মৌলিক চরিত্র বদল হয়েছে উল্লেখ করে রাশেদ খান মেনন বলেন, বঙ্গবন্ধু সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে যে সংবিধান দিয়েছিলেন, তা সংসদীয় ব্যবস্থার অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাঁর আমলেই এই সংবিধানের মৌল বিষয়গুলোর পরিবর্তন ঘটেছিল। আর সামরিক শাসকেরা নিজেদের ক্ষমতার স্বার্থে এবং পাকিস্তানি রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে ওই সংবিধানকে ভোঁতা ছুরি দিয়ে জবাই করেছিল। দ্বাদশ ও পঞ্চদশ সংশোধনীতে সংবিধানের মৌল চরিত্র কিছুটা ফিরিয়ে আনা হলেও এমন সব বিধি (এখনো) বর্তমান, যা সরকার পরিচালনায় প্রধান নির্বাহীর একক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করেছে। এবং সংবিধানকে ধর্মীয় রূপ দিয়েছে। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ প্রশ্নে সংবিধান সংশোধন অতি জরুরি।’
রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘বিএনপির আমলে দ্বাদশ সংশোধনের সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে মরহুম আবদুস সামাদ আজাদের নেতৃত্বে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তারা তা মানেনি। এ কারণে সম্প্রতি অলি আহমেদ ক্ষমা চেয়েছেন।’
রাষ্ট্রপতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে থাকেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ফলে ভিসি নিয়োগকর্তা হিসেবে তাদের কুকর্মের দায় রাষ্ট্রপতির ওপর এসে পড়ে। এই উপচার্যরা কী ধরনের স্বৈরশাসক ও দুর্নীতিবাজ হয়ে ওঠেন এবং চাকরি বাণিজ্যে লিপ্ত হন, সেটা আমরা দেখেছি। বর্তমানে সব ভিসি শাহজালালের পক্ষে দল পাকিয়েছেন। সরকারকে বলব, শিক্ষামন্ত্রীকে বলব, ছাত্রদের দাবি মেনে নিন। একজন ভিসির জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হতে পারে না। শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট হতে পারে না।’
১৪ দলীয় জোটের এ নেতা বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে কেবল সরবই নয়, সরকার উৎখাতের স্লোগান দিচ্ছে। কিন্তু এসব নিয়ে কথা বলার সময় তারা নিজেদের দিকে তাকিয়ে দেখে না। ২০০৬ সালে দেড় কোটি ভুয়া ভোটার ও নিজের লোককে প্রধান উপদেষ্টা করার জন্য যে ষড়যন্ত্র করেছিল, তারই পরিণতিতে এ দেশকে আরেকটি সেনাশাসন দেখতে হয়েছে। জানি না এবার বিএনপির লক্ষ্য কী? তারা খোলসা করে বলছে না। কিন্তু কাজে স্পষ্ট যে, তারা একটি অস্বাভাবিক সরকার এখানে চায়। তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, মনোনয়ন বাণিজ্য, অর্থ, ধর্ম ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপমুক্ত নির্বাচনী ব্যবস্থার কথা বলেন না। কারণ, তারা এই ব্যবস্থাই বহাল রাখতে চায়।’
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, ‘আমাদের বাম দাবিদার বন্ধুরা নির্বাচনী সংস্কারের কথা বললেও তাদের মূল দাবি এখন নির্বাচনকালীন সরকার। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সরাসরি, কেউ-বা যুগপৎ সমন্বিত আন্দোলনের নামে তাদের সাথে শরিক হবে, সেই আলামতও স্পষ্ট।’ চলমান ইউপি নির্বাচন প্রসঙ্গ টেনে মেনন বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য, অর্থ ও পেশি শক্তি এবং প্রশাসন ও ইসির নিশ্চেষ্ট ভূমিকা সমগ্র নির্বাচনে জনগণের আস্থা নষ্ট করেছে। নারায়ণগঞ্জের মতো ব্যতিক্রমী নির্বাচন মানুষকে আশা দেখিয়েছে। এই সরকারকে বহাল রেখেই সেটা সম্ভব। এ জন্য প্রয়োজন সুদৃষ্টি। নির্বাচনী আইন ও আচরণবিধি মানা, অর্থ, পেশি শক্তি ও প্রশাসনের ভূমিকা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। সরকার দেরিতে হলেও নির্বাচন কমিশন নিয়োগের আইন এনেছে। কিন্তু আইনটি অসম্পূর্ণ এবং এটা সংশোধন করতে হবে।’
রাষ্ট্রপতির ভাষণের প্রসঙ্গ টেনে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি সরকারের উন্নয়নের বিশদ বর্ণনা করেছেন। সরকারের প্রণীত এই ভাষণে প্রশাসন, রাষ্ট্র ও জনজীবনের সমস্যা নিয়ে রাষ্ট্রপতির সরস মন্তব্যে কঠিন সত্যগুলো থেকে মানুষ বঞ্চিত হয়েছেন। ভাষণে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের কোনো কথা উল্লেখ নেই। করোনার সময়েও আমাদের দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ ধনী হয়েছেন। আবার বিপুলসংখ্যক দরিদ্র হয়েছেন।’
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, ‘দুর্নীতিতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার নিচের দিকে থেকে কেবল আফগানিস্তানের ওপরে আছে। এ জন্য নিশ্চয়ই আমরা লজ্জিত। প্রধানমন্ত্রী এই সংসদে বলেছিলেন ফুয়েল না দিলে ফাইল নড়ে না। এখন সেই দুর্নীতির ফুয়েলের দাম এতই বেড়েছে যে, ফাইল নড়ানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। অর্থমন্ত্রীর কাছে অর্থ পাচারকারীর তালিকা চাওয়ার পর উল্টো তিনি এই তালিকা এমপিদের কাছে চেয়েছেন। যেন এমপিরা অসত্য কথা বলেছেন।’
করোনা মোকাবিলার প্রসঙ্গ টেনে মেনন বলেন, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সফল দেশ হলেও টিকাদানে আফগানিস্তানের ওপরে। টিকা সংগ্রহ নিয়ে বেক্সিমকোকে আর্থিক সুবিধা দিতে গিয়ে যে কেলেঙ্কারি হয়েছিল, তার কোনো হিসাব নেই। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে টিকা সংগ্রহ করতে হয়েছিল। এখনো দেশে টিকা উৎপাদনের জন্য যে চুক্তি হয়েছিল, তার বাস্তবায়ন দৃশ্যমান নয়।
জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্য এই বাম নেতা করোনাকালে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতার দাবিতে আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তাঁর মতে, এ নিয়ে প্রচুর বাগাড়ম্বর শোনা গেলেও সমস্যার সমাধানে কোনো চেষ্টা নেই। একইভাবে সৌদি আরবে যাওয়া নারী শ্রমিকদের নির্যাতনের বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেই। তিনি তাঁর বক্তব্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে র্যাবের সাতজন সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাইডেনের গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়টিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো উল্লসিত। এই বিষয়ে সরকারের মূল্যায়ন রাষ্ট্রপতির ভাষণে থাকলে ভালো হতো। কারণ এই বিষয়ে পররাষ্ট্র ও অন্যান্য মন্ত্রীদের বক্তব্যে মনে হয় আমরা যেন অপরাধী।’ তিনি বলেন, ‘মার্কিন মুলুকে প্রতিদিন মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। যারা একাত্তরে ইতিহাসের ঘৃণ্যতম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় পাকিস্তানিদের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল, যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসি আটকাতে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিল, তারা বাংলাদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলার অধিকার রাখে না। বাংলাদেশের মানুষই এই সমস্যা মিটিয়ে নিতে সক্ষম।’
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৩ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৪ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৪ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৫ ঘণ্টা আগে