আজাদুল আদনান, ঢাকা
নিবন্ধনের মাধ্যমে সিনোফার্ম ও মডার্নার টিকা অনেকটা গুছিয়ে দেওয়া হলেও বিপত্তি ঘটেছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকা নিয়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী চার সপ্তাহ পর এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা থাকলেও তা মানছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। অনেকের ফ্লাইটের সময় কাছে এলেও মিলছে না টিকা। ফলে সময়মতো কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে শঙ্কায় আছেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি।
গত ১৯ আগস্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকার প্রথম ডোজ নেন সৌদিপ্রবাসী মনঞ্জুরুল ইসলাম (৪০)। চলতি সপ্তাহেই তাঁর ফ্লাইট। তার আগে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য গতকাল শনিবার তিনি হাজির হন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) টিকাকেন্দ্রে। কিন্তু টিকা না পেয়েই ফেরত যেতে হয় তাঁকে।
ফলে কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন কি না সেই আশঙ্কায় আছেন তিনি।
গতকাল একই পরিস্থিতির মুখে পড়েন জসিম উদ্দিনও (৪৭)। ফেনী থেকে আসা এই আরব আমিরাত-প্রবাসী প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৪৪ দিন আগে। তারপরও দ্বিতীয় ডোজ নিতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘আগামী ২২ সেপ্টেম্বর আমার ফ্লাইট। তাই দ্রুত টিকা নেওয়ার জন্য মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু কেন্দ্র থেকে বলা হচ্ছে ৫৬ দিনের আগে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে না। তাহলে আমাদের এই টিকা দেওয়া হলো কেন?
টিকা নিতে এসে প্রবাসীদের এমন ফেরত যাওয়ার চিত্র দেখা গেছে ঢাকা মেডিকেল ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ রাজধানীর আরও কয়েকটি কেন্দ্রে। টিকাকেন্দ্রগুলো বলছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ৫৬ দিন পর অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ দিতে বলা হয়েছে। যাঁরা এসএমএস পেয়ে আসছেন, তাঁদেরই আপাতত টিকা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও মডার্নার টিকা ফুরিয়ে যাওয়ার পর্যায়ে। তাই, আপাতত সিনোফার্মই ভরসা।
বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাতে থাকা টিকার বেশির ভাগই সিনোফার্ম। অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা হয়েছে, শিগগিরই ফাইজারের টিকা আসবে, যা প্রবাসীদের দেওয়া হবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা আট সপ্তাহের আগে দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই, প্রবাসীরা যদি এটি নিয়ে থাকেন, তারপরও নিয়ম অনুযায়ী দিতে হবে। তাঁদের জন্য তো আর নিয়ম ভাঙা যাবে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনে চলমান টিকাদান কার্যক্রম চলছে। কোনো টিকার দুই ডোজের ব্যবধান কত দিন হবে সেটিও নিয়ম মেনে দেওয়া হচ্ছে। তাই, প্রবাসীরা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে থাকলে তাঁদের সেই প্রটোকল মানতে হবে।
টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক বলেন, ‘আমরা তো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মের বাইরে যেতে পারি না। তারাই বলেছে, সিনোফার্ম, ফাইজার ও মডার্না প্রথম ডোজের চার সপ্তাহ পর ও অ্যাস্ট্রেজেনেকা আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। তাহলে আমরা কী করতে পারি?’
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে ভিন্ন কথা। তাদের ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা যায়, অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় উল্লেখ করা হয়েছে ৪ থেকে ১২ সপ্তাহ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদও বলছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকাসহ সব ধরনের টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার চার সপ্তাহ হলেই দ্বিতীয় ডোজ নিতে কোনো ধরনের বাধা নেই। তিনি বলেন, অধিদপ্তরের কেউ যদি এর উল্টো বলে থাকেন, তাহলে তিনি ভুল বলেছেন। প্রবাসীদের সঙ্গে যা হচ্ছে তা ভালো খবর নয়। দ্রুত তাঁদের টিকা দেওয়া উচিত।
নিবন্ধনের মাধ্যমে সিনোফার্ম ও মডার্নার টিকা অনেকটা গুছিয়ে দেওয়া হলেও বিপত্তি ঘটেছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকা নিয়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী চার সপ্তাহ পর এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা থাকলেও তা মানছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এতে বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। অনেকের ফ্লাইটের সময় কাছে এলেও মিলছে না টিকা। ফলে সময়মতো কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে শঙ্কায় আছেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি।
গত ১৯ আগস্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকার প্রথম ডোজ নেন সৌদিপ্রবাসী মনঞ্জুরুল ইসলাম (৪০)। চলতি সপ্তাহেই তাঁর ফ্লাইট। তার আগে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য গতকাল শনিবার তিনি হাজির হন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) টিকাকেন্দ্রে। কিন্তু টিকা না পেয়েই ফেরত যেতে হয় তাঁকে।
ফলে কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন কি না সেই আশঙ্কায় আছেন তিনি।
গতকাল একই পরিস্থিতির মুখে পড়েন জসিম উদ্দিনও (৪৭)। ফেনী থেকে আসা এই আরব আমিরাত-প্রবাসী প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৪৪ দিন আগে। তারপরও দ্বিতীয় ডোজ নিতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘আগামী ২২ সেপ্টেম্বর আমার ফ্লাইট। তাই দ্রুত টিকা নেওয়ার জন্য মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু কেন্দ্র থেকে বলা হচ্ছে ৫৬ দিনের আগে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে না। তাহলে আমাদের এই টিকা দেওয়া হলো কেন?
টিকা নিতে এসে প্রবাসীদের এমন ফেরত যাওয়ার চিত্র দেখা গেছে ঢাকা মেডিকেল ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ রাজধানীর আরও কয়েকটি কেন্দ্রে। টিকাকেন্দ্রগুলো বলছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ৫৬ দিন পর অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ দিতে বলা হয়েছে। যাঁরা এসএমএস পেয়ে আসছেন, তাঁদেরই আপাতত টিকা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও মডার্নার টিকা ফুরিয়ে যাওয়ার পর্যায়ে। তাই, আপাতত সিনোফার্মই ভরসা।
বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নজরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাতে থাকা টিকার বেশির ভাগই সিনোফার্ম। অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা হয়েছে, শিগগিরই ফাইজারের টিকা আসবে, যা প্রবাসীদের দেওয়া হবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা আট সপ্তাহের আগে দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই, প্রবাসীরা যদি এটি নিয়ে থাকেন, তারপরও নিয়ম অনুযায়ী দিতে হবে। তাঁদের জন্য তো আর নিয়ম ভাঙা যাবে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মেনে চলমান টিকাদান কার্যক্রম চলছে। কোনো টিকার দুই ডোজের ব্যবধান কত দিন হবে সেটিও নিয়ম মেনে দেওয়া হচ্ছে। তাই, প্রবাসীরা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে থাকলে তাঁদের সেই প্রটোকল মানতে হবে।
টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক বলেন, ‘আমরা তো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মের বাইরে যেতে পারি না। তারাই বলেছে, সিনোফার্ম, ফাইজার ও মডার্না প্রথম ডোজের চার সপ্তাহ পর ও অ্যাস্ট্রেজেনেকা আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। তাহলে আমরা কী করতে পারি?’
তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে ভিন্ন কথা। তাদের ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা যায়, অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় উল্লেখ করা হয়েছে ৪ থেকে ১২ সপ্তাহ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদও বলছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকাসহ সব ধরনের টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার চার সপ্তাহ হলেই দ্বিতীয় ডোজ নিতে কোনো ধরনের বাধা নেই। তিনি বলেন, অধিদপ্তরের কেউ যদি এর উল্টো বলে থাকেন, তাহলে তিনি ভুল বলেছেন। প্রবাসীদের সঙ্গে যা হচ্ছে তা ভালো খবর নয়। দ্রুত তাঁদের টিকা দেওয়া উচিত।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৪ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৫ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৬ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৭ ঘণ্টা আগে