অনলাইন ডেস্ক
ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের গবেষণা বিভাগ ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) প্রকাশিত গণতন্ত্র সূচকে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। তবে গতবারের মতো এবার ‘হাইব্রিড রেজিম’ বা ‘মিশ্র শাসনব্যবস্থার’ দেশের কাতারে রাখা হয়েছে বাংলাদেশকে। সূচকে ৭৫ থেকে ১০৮ তম অবস্থানে থাকা দেশগুলোকে এ কাতারে ফেলা হয়েছে।
গত বছরে বিশ্বের ১৬৭টি দেশের গণতান্ত্রিক অবস্থার পর্যালোচনা করে আজ বৃহস্পতিবার এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে দ্য ইকোনমিস্ট। এতে তিউনিসিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে ৭৫ তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তালিকায় প্রতিবেশী দেশ ভারতকে রাখা হয়েছে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের দেশের কাতারে। এবারের সূচকে পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র রয়েছে—এমন দেশের সংখ্যা ২২ টি।
সূচকে পাঁচটি মানদণ্ডের মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে কম নম্বর পেয়েছে নাগরিক স্বাধীনতা সূচকে। গতবারের চেয়ে এ ক্ষেত্রে কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো তা মাত্র ৫ দশমিক ২৯। সবচেয়ে ভালো নম্বর পেয়েছে নির্বাচন পদ্ধতি ও বহুত্ববাদের ক্ষেত্রে। এ ক্ষেত্রে ১০-এ বাংলাদেশ ৭ দশমিক ৪২ নম্বর পেয়েছে। সরকার পরিচালনায় বাংলাদেশ ৬ দশমিক শূন্য ৭, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ৫ দশমিক ৬৩ ও রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ বিবেচনায় ৫ দশমিক ৫৬ নম্বর পেয়েছে। সব মিলিয়ে ১০-এর মধ্যে ৫ দশমিক ৯৯ স্কোর পাওয়া বাংলাদেশকে মিশ্র শাসনের শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে।
ইআইইউ-এর মতে, নানা ধরনের অনিয়মের কারণে এখানে নির্বাচন স্বাধীন ও স্বচ্ছ হতে পারছে না, দুর্নীতির বিস্তার বাড়ছে এবং আইনের শাসন এখানে দুর্বল।
এবারের প্রকাশিত সূচকে শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। দেশটির স্কোর ৯ দশমিক ৭৫। এর পরেই রয়েছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, সুইডেন ও আইসল্যান্ড। দেশগুলোর স্কোর যথাক্রমে ৯ দশমিক ৩৭,৯ দশমিক ২৮,৯ দশমিক ২৬ ও ৯ দশমিক ১৮। সূচকের সবার শেষে রয়েছে আফগানিস্তান। দেশটির স্কোর দশমিক ৩২। এর ওপরেই রয়েছে মিয়ানমার। সেনাশাসিত দেশটির স্কোর ১ দশমিক শূন্য ২। দুটি দেশই গেলবারের সূচকে সবার তলানিতে থাকা উত্তর কোরিয়াকে সরিয়ে সর্বশেষ দুই অবস্থান দখল করেছে। এবার উত্তর কোরিয়ার অবস্থান শেষ থেকে তৃতীয়। তাদের স্কোর ১ দশমিক শূন্য ৮।
ইআইইউ ২০০৬ সাল থেকে এই গণতন্ত্র সূচক প্রকাশ করে আসছে। প্রথমবার প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশ ৬ দশমিক ১১ স্কোর নিয়ে চিহ্নিত হয়েছিল ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র হিসেবে। কিন্তু পরের বছরই বাংলাদেশের অবস্থান মিশ্র শাসনে নেমে যায়। এখন পর্যন্ত সে কাতার পেরোতে পারেনি বাংলাদেশ।
২০২১ সালের সূচকে বৈশ্বিক গড় স্কোর ৫ দশমিক ২৮, যা ২০২০ সালের ৫ দশমিক ৩৭ থেকে কম। এক বছরে সবচেয়ে বেশি স্কোর হ্রাসের রেকর্ড এটিই। তা ছাড়া ২০০৬ সালে প্রথম এই সূচক প্রকাশের পর থেকে এবারই বৈশ্বিক স্কোর সবচেয়ে কম।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালে অধিকাংশ দেশেরই গড় স্কোর কমেছে বা আগের জায়গাতেই আটকে রয়েছে। অপরিবর্তিত থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। গোটা বিশ্বে গণতন্ত্রের অবনমনের কারণ হিসেবে অর্থনৈতিক মন্দার কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। একই সঙ্গে করোনা মহামারি মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশে নেওয়া কঠোর বিধিনিষেধ কর্তৃত্ববাদের জ্বালানি হিসেবে কাজ করছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ৮৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে চীন নিয়ে রয়েছে দীর্ঘ আলোচনা। গোটা বিশ্বে চীনের সরকার ও শাসন ব্যবস্থা প্রভাব ফেলছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়। সূচকে দেশটি কর্তৃত্ববাদী দেশের কাতারেই অবস্থান করছে। স্কোর পেয়েছে ২ দশমিক ২১।
ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের গবেষণা বিভাগ ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) প্রকাশিত গণতন্ত্র সূচকে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। তবে গতবারের মতো এবার ‘হাইব্রিড রেজিম’ বা ‘মিশ্র শাসনব্যবস্থার’ দেশের কাতারে রাখা হয়েছে বাংলাদেশকে। সূচকে ৭৫ থেকে ১০৮ তম অবস্থানে থাকা দেশগুলোকে এ কাতারে ফেলা হয়েছে।
গত বছরে বিশ্বের ১৬৭টি দেশের গণতান্ত্রিক অবস্থার পর্যালোচনা করে আজ বৃহস্পতিবার এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে দ্য ইকোনমিস্ট। এতে তিউনিসিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে ৭৫ তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। তালিকায় প্রতিবেশী দেশ ভারতকে রাখা হয়েছে ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রের দেশের কাতারে। এবারের সূচকে পূর্ণাঙ্গ গণতন্ত্র রয়েছে—এমন দেশের সংখ্যা ২২ টি।
সূচকে পাঁচটি মানদণ্ডের মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে কম নম্বর পেয়েছে নাগরিক স্বাধীনতা সূচকে। গতবারের চেয়ে এ ক্ষেত্রে কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো তা মাত্র ৫ দশমিক ২৯। সবচেয়ে ভালো নম্বর পেয়েছে নির্বাচন পদ্ধতি ও বহুত্ববাদের ক্ষেত্রে। এ ক্ষেত্রে ১০-এ বাংলাদেশ ৭ দশমিক ৪২ নম্বর পেয়েছে। সরকার পরিচালনায় বাংলাদেশ ৬ দশমিক শূন্য ৭, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ৫ দশমিক ৬৩ ও রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ বিবেচনায় ৫ দশমিক ৫৬ নম্বর পেয়েছে। সব মিলিয়ে ১০-এর মধ্যে ৫ দশমিক ৯৯ স্কোর পাওয়া বাংলাদেশকে মিশ্র শাসনের শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছে।
ইআইইউ-এর মতে, নানা ধরনের অনিয়মের কারণে এখানে নির্বাচন স্বাধীন ও স্বচ্ছ হতে পারছে না, দুর্নীতির বিস্তার বাড়ছে এবং আইনের শাসন এখানে দুর্বল।
এবারের প্রকাশিত সূচকে শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। দেশটির স্কোর ৯ দশমিক ৭৫। এর পরেই রয়েছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, সুইডেন ও আইসল্যান্ড। দেশগুলোর স্কোর যথাক্রমে ৯ দশমিক ৩৭,৯ দশমিক ২৮,৯ দশমিক ২৬ ও ৯ দশমিক ১৮। সূচকের সবার শেষে রয়েছে আফগানিস্তান। দেশটির স্কোর দশমিক ৩২। এর ওপরেই রয়েছে মিয়ানমার। সেনাশাসিত দেশটির স্কোর ১ দশমিক শূন্য ২। দুটি দেশই গেলবারের সূচকে সবার তলানিতে থাকা উত্তর কোরিয়াকে সরিয়ে সর্বশেষ দুই অবস্থান দখল করেছে। এবার উত্তর কোরিয়ার অবস্থান শেষ থেকে তৃতীয়। তাদের স্কোর ১ দশমিক শূন্য ৮।
ইআইইউ ২০০৬ সাল থেকে এই গণতন্ত্র সূচক প্রকাশ করে আসছে। প্রথমবার প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশ ৬ দশমিক ১১ স্কোর নিয়ে চিহ্নিত হয়েছিল ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র হিসেবে। কিন্তু পরের বছরই বাংলাদেশের অবস্থান মিশ্র শাসনে নেমে যায়। এখন পর্যন্ত সে কাতার পেরোতে পারেনি বাংলাদেশ।
২০২১ সালের সূচকে বৈশ্বিক গড় স্কোর ৫ দশমিক ২৮, যা ২০২০ সালের ৫ দশমিক ৩৭ থেকে কম। এক বছরে সবচেয়ে বেশি স্কোর হ্রাসের রেকর্ড এটিই। তা ছাড়া ২০০৬ সালে প্রথম এই সূচক প্রকাশের পর থেকে এবারই বৈশ্বিক স্কোর সবচেয়ে কম।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালে অধিকাংশ দেশেরই গড় স্কোর কমেছে বা আগের জায়গাতেই আটকে রয়েছে। অপরিবর্তিত থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। গোটা বিশ্বে গণতন্ত্রের অবনমনের কারণ হিসেবে অর্থনৈতিক মন্দার কথা উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। একই সঙ্গে করোনা মহামারি মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশে নেওয়া কঠোর বিধিনিষেধ কর্তৃত্ববাদের জ্বালানি হিসেবে কাজ করছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ৮৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে চীন নিয়ে রয়েছে দীর্ঘ আলোচনা। গোটা বিশ্বে চীনের সরকার ও শাসন ব্যবস্থা প্রভাব ফেলছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়। সূচকে দেশটি কর্তৃত্ববাদী দেশের কাতারেই অবস্থান করছে। স্কোর পেয়েছে ২ দশমিক ২১।
সাংবাদিক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ২০১৩ সালের গণজাগরণ মঞ্চের ওপর ভিত্তি করে শেখ হাসিনা পরবর্তী ১৩ বছর দেশের মানুষের ওপর সবকিছু চাপিয়ে দিয়েছিল। এতে সাহায্য করেছিল ভারত। বাংলাদেশকে ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল। ভারত চেয়েছিল বাংলাদেশকে হাতের মুঠোয় রাখার জন্য।’
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কোনো একটি ইস্যুতে আটকে থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা। আজ রোববার ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেলে এক সংলাপে তিনি বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক কোনো একটি অ্যাজেন্ডা বা এক ইস্যুতে আটকে থাকতে পারে না। আমাদের পারস্পরিক নির্ভরতার যে বাস্তবতা, তা রা
১ ঘণ্টা আগেশীতে ঘনকুয়াশার কারণে ঢাকায় উড়োজাহাজ অবতরণে সমস্যা হলে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে
২ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারের টেকনাফে ট্রাক্টরচাপায় আবদুর রহমান (৩৭) নামে এক সরকারি কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া নয় জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে