নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সম্প্রতি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ সংশোধনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিপরিষদ। তারপরই বিতর্ক ওঠে নির্বাচন কমিশন গাইবান্ধার মতন পুরো আসনে ভোট বাতিলের ক্ষমতা হারাতে যাচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদের ঘোষণায় এমনটা বোঝা গেলেও ভোট বাতিলের ক্ষমতা নিয়ে ছিল ধোঁয়াশা। তবে এই বিতর্কে পানি ঢেলে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘এখনো ইসির গাইবান্ধার মতো ভোট বাতিলের ক্ষমতা বহাল আছে।’
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এসব কথা বলেন রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯১ (ক) নিয়ে কোনো প্রস্তাবই দিইনি। যে প্রস্তাব যায়নি, সেটা তো বাতিল হওয়ার কোনো কারণ আছে বলে মনে হয় না।’
গত ২৮ মার্চ সংশোধনী প্রস্তাবটি নীতিগতভাবে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হয়েছিল। তাতে উল্লেখ ছিল, ভোটের পর কোনো ভোটকেন্দ্রে, এমনকি পুরো নির্বাচনী এলাকার (আসন) ভোটে বড় ধরনের অনিয়ম, কারসাজি ও ভোটের প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার প্রমাণ পেলে গেজেট প্রকাশ স্থগিত এবং ভোট বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিতে পারবে ইসি।
গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব মাহবুব হোসেন জানান, নির্বাচনে কোনো ভোটকেন্দ্রে বড় ধরনের অনিয়ম, কারসাজি ও ভোট প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার প্রমাণ পেলে নির্বাচন কমিশন সেই কেন্দ্রের ভোট বা ফল বাতিল করে পুনরায় ভোট গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারবে। পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে না।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন আইনের এমন বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ সংশোধনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সংশোধনী প্রস্তাবে ইসি ভোটে অনিয়ম হলে পুরো আসনের নির্বাচন বা ফল বাতিলের ক্ষমতা চেয়েছিল।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) নির্বাচন বন্ধ করার প্রধান অনুচ্ছেদের প্রসঙ্গ টেনে কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘সেটা কিন্তু ৯১-এর ক। একটি নির্বাচনে তিনটি পর্যায়। প্রথম হলো নির্বাচনপূর্ব, আরেকটি হলো নির্বাচন চলাকালীন, একটি নির্বাচন-পরবর্তী—এই তিনটি ধাপের মধ্যে ৯১-এর ক-তে যেটা আছে সেটা কিন্তু নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত, নির্বাচন চলা পর্যন্ত। ওইখানে কমিশনের একটা ক্ষমতা দেওয়া আছে। সেই ক্ষমতায় কমিশন কোনো রকম অনিয়ম, কারচুপি যেটাই হোক—নির্বাচন কমিশনের নজরে এলে যদি দেখে এ রকম, তাহলে নির্বাচন বন্ধ করে দিতে পারে। এটা তো আছেই আইনে, এক্সিসটিং।’
আরপিওর অধ্যায়-৭-এর ৯১ ক-তে উল্লেখ আছে, ‘যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, নির্বাচনে বলপ্রয়োগ, ভীতি-প্রদর্শন এবং চাপ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন বিরাজমান অপকর্মের কারণে যুক্তিযুক্ত, ন্যায়সংগত এবং আইনানুগভাবে নির্বাচন পরিচালনা নিশ্চিত করতে সক্ষম হইবেন না, তাহা হইলে ইহা যেকোনো ভোট কেন্দ্র বা, ক্ষেত্রমত, সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনের যেকোনো পর্যায়ে ভোট গ্রহণসহ নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করতে পারিবে।’
বিভ্রান্তির প্রসঙ্গ টেনে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘অনেকে মনে করছেন যে ৯১ (ক)-তে যে ক্ষমতাটা ছিল, নির্বাচন চলাকালীন নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার যে সুযোগ সেটা বোধ হয় খর্ব হয়েছে। বিষয়টা তা না। আমি যতটুকু বুঝি, ওইটা তো হবেই না। কেননা, আমরা তো ওইটা চাই-ই নাই। সেখানে প্রস্তাবনা হলো ৯ (ক)-এর সঙ্গে ক (ক) বলে আরেকটা উপ-অনুচ্ছেদ যোগ দেওয়া। রিটার্নিং অফিসার ফলাফল প্রকাশের পর থেকে গেজেট হওয়ার আগ পর্যন্ত সময়টা অনিয়ম হলে যেন ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই ক্ষমতাটা চাওয়া হয়েছে।’
কমিশনে ফলাফল পাঠানোর সময় অভিযোগ আসে জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘কিন্তু এই সময়ের মধ্যে কোনো অভিযোগ এলে কমিশনের হাতে কোনো ক্ষমতা নাই। সেই অভিযোগের বিষয়ে কমিশন কিছু করতে পারে না। তাকে গেজেটটা করে দিতে হয়। যদি বড় ধরনের কোনো অভিযোগ থাকে, যে সত্যিকার অর্থেই বড় কোনো অনিয়ম ঘটে গেছে সেটা রেখেই যদি একটা গেজেট করে দেওয়া হয়, তখন কিন্তু যারা অভিযোগ তোলে তাদের কিন্তু একটা কষ্ট থেকেই যায়।’
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘যে কারণে কমিশনের প্রতি একটা অনাস্থা থেকেই যায়। আমরা একটা অভিযোগ দিলাম, কমিশন যাচাই-বাছাই কিছু না করে রিটার্নিং কর্মকর্তা যে রেজাল্ট দিল সেটাই তারা বাস্তবায়ন করে ফেলল। একটা ক্ষোভ কিন্তু তৈরি হয়। একটা নির্বাচন করছেন, কাজেই তার কথাটা তো আমলে নেওয়া উচিত। এই জায়গাটাতেই আমরা চিন্তা করলাম যে শূন্য আছে। কমিশনের হাতে কোনো সুযোগ নাই। আমরা সেখানেই একটা নতুন প্রস্তাবনা পাঠাইলাম সংশোধনীতে, যেটা মন্ত্রিপরিষদে গেছে। আমরা পাঠাইলাম ৯-এর ক, তার সঙ্গে ক-এর ক বলে একটি উপ-অনুচ্ছেদ যোগ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে কোনো অনিয়মের তথ্য বা অভিযোগ এলে কমিশন সেই গেজেট নোটিফিকেশনটা স্থগিত রাখবে। এরপর তদন্ত করে যদি অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হয় যে আসলেই বড় ধরনের অনিয়ম হয়ে গেছে। সেখানে তখন কমিশন সুনির্দিষ্টভাবে যে জায়গাটায় অনিয়ম হয়েছে সেই জায়গাটার, যে কেন্দ্র বলেন বা যে আসনটার ভোট বাতিল করার জন্য চাচ্ছিলাম। মন্ত্রিপরিষদ ওইখানে পুরো আসনের (এন্টায়ার শব্দটা) কথাটা বাদ দিয়ে সেটা খণ্ড করে আংশিকভাবে একটা অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা পুরোটা কপি এখনো দেখি নাই।’
পাঁচ সিটি নির্বাচনে সবার প্রতি সমান দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে না বলে প্রশ্ন উঠেছে—এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা ঘটলে, পেপার-পত্রিকায় যদি এসে থাকে, আমরা ব্যবস্থা নেব। কোনো ধরনের নমনীয়তার কোনো সুযোগই নাই।’
গাইবান্ধার ভোট প্রসঙ্গে এই কমিশনার বলেন, ‘গাইবান্ধায় আমরা যখন সিসি ক্যামেরায় নানা ধরনের অনিয়ম দেখছিলাম, গোপন কক্ষের মধ্যে ভোটার ভোট দেওয়ার আগেই অন্য কেউ দিয়ে দিচ্ছেন। তখন আমরা ৯১ (ক) অনুচ্ছেদের ক্ষমতা বলে নির্বাচন বন্ধ করেছি। এখন আমরা চাচ্ছি, এক বা একাধিক কেন্দ্রে রিটার্নিং কর্মকর্তার ফলাফল ঘোষণার পর এবং গেজেট হওয়ার আগ পর্যন্ত, এই মধ্যবর্তী সময়ে অভিযোগ এলে যেন তদন্ত করে বন্ধ করতে পারি। তখন সেখানে নতুন করে ভোট হবে। যেখানে ছিলই না, সেখানে তো কিছুটা হলেও বাড়ল। পুরোটা না হলেও কিছুটা তো অর্জন হয়েছে। পুরোটা বাতিলের ক্ষমতা পেলে ভালো। কেননা যারা অনিয়ম করে তাদের একটা ভয় থাকত যে ভোট বাতিল হয়ে আবার হ্যাপাটা নিতে হবে।’
সম্প্রতি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ সংশোধনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিপরিষদ। তারপরই বিতর্ক ওঠে নির্বাচন কমিশন গাইবান্ধার মতন পুরো আসনে ভোট বাতিলের ক্ষমতা হারাতে যাচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদের ঘোষণায় এমনটা বোঝা গেলেও ভোট বাতিলের ক্ষমতা নিয়ে ছিল ধোঁয়াশা। তবে এই বিতর্কে পানি ঢেলে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘এখনো ইসির গাইবান্ধার মতো ভোট বাতিলের ক্ষমতা বহাল আছে।’
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এসব কথা বলেন রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯১ (ক) নিয়ে কোনো প্রস্তাবই দিইনি। যে প্রস্তাব যায়নি, সেটা তো বাতিল হওয়ার কোনো কারণ আছে বলে মনে হয় না।’
গত ২৮ মার্চ সংশোধনী প্রস্তাবটি নীতিগতভাবে অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হয়েছিল। তাতে উল্লেখ ছিল, ভোটের পর কোনো ভোটকেন্দ্রে, এমনকি পুরো নির্বাচনী এলাকার (আসন) ভোটে বড় ধরনের অনিয়ম, কারসাজি ও ভোটের প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার প্রমাণ পেলে গেজেট প্রকাশ স্থগিত এবং ভোট বাতিল করে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিতে পারবে ইসি।
গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব মাহবুব হোসেন জানান, নির্বাচনে কোনো ভোটকেন্দ্রে বড় ধরনের অনিয়ম, কারসাজি ও ভোট প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার প্রমাণ পেলে নির্বাচন কমিশন সেই কেন্দ্রের ভোট বা ফল বাতিল করে পুনরায় ভোট গ্রহণের নির্দেশ দিতে পারবে। পুরো আসনের ভোট বাতিল করতে পারবে না।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন আইনের এমন বিধান রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ সংশোধনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সংশোধনী প্রস্তাবে ইসি ভোটে অনিয়ম হলে পুরো আসনের নির্বাচন বা ফল বাতিলের ক্ষমতা চেয়েছিল।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) নির্বাচন বন্ধ করার প্রধান অনুচ্ছেদের প্রসঙ্গ টেনে কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘সেটা কিন্তু ৯১-এর ক। একটি নির্বাচনে তিনটি পর্যায়। প্রথম হলো নির্বাচনপূর্ব, আরেকটি হলো নির্বাচন চলাকালীন, একটি নির্বাচন-পরবর্তী—এই তিনটি ধাপের মধ্যে ৯১-এর ক-তে যেটা আছে সেটা কিন্তু নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত, নির্বাচন চলা পর্যন্ত। ওইখানে কমিশনের একটা ক্ষমতা দেওয়া আছে। সেই ক্ষমতায় কমিশন কোনো রকম অনিয়ম, কারচুপি যেটাই হোক—নির্বাচন কমিশনের নজরে এলে যদি দেখে এ রকম, তাহলে নির্বাচন বন্ধ করে দিতে পারে। এটা তো আছেই আইনে, এক্সিসটিং।’
আরপিওর অধ্যায়-৭-এর ৯১ ক-তে উল্লেখ আছে, ‘যদি এই মর্মে সন্তুষ্ট হয় যে, নির্বাচনে বলপ্রয়োগ, ভীতি-প্রদর্শন এবং চাপ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন বিরাজমান অপকর্মের কারণে যুক্তিযুক্ত, ন্যায়সংগত এবং আইনানুগভাবে নির্বাচন পরিচালনা নিশ্চিত করতে সক্ষম হইবেন না, তাহা হইলে ইহা যেকোনো ভোট কেন্দ্র বা, ক্ষেত্রমত, সম্পূর্ণ নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচনের যেকোনো পর্যায়ে ভোট গ্রহণসহ নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ করতে পারিবে।’
বিভ্রান্তির প্রসঙ্গ টেনে রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘অনেকে মনে করছেন যে ৯১ (ক)-তে যে ক্ষমতাটা ছিল, নির্বাচন চলাকালীন নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়ার যে সুযোগ সেটা বোধ হয় খর্ব হয়েছে। বিষয়টা তা না। আমি যতটুকু বুঝি, ওইটা তো হবেই না। কেননা, আমরা তো ওইটা চাই-ই নাই। সেখানে প্রস্তাবনা হলো ৯ (ক)-এর সঙ্গে ক (ক) বলে আরেকটা উপ-অনুচ্ছেদ যোগ দেওয়া। রিটার্নিং অফিসার ফলাফল প্রকাশের পর থেকে গেজেট হওয়ার আগ পর্যন্ত সময়টা অনিয়ম হলে যেন ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই ক্ষমতাটা চাওয়া হয়েছে।’
কমিশনে ফলাফল পাঠানোর সময় অভিযোগ আসে জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘কিন্তু এই সময়ের মধ্যে কোনো অভিযোগ এলে কমিশনের হাতে কোনো ক্ষমতা নাই। সেই অভিযোগের বিষয়ে কমিশন কিছু করতে পারে না। তাকে গেজেটটা করে দিতে হয়। যদি বড় ধরনের কোনো অভিযোগ থাকে, যে সত্যিকার অর্থেই বড় কোনো অনিয়ম ঘটে গেছে সেটা রেখেই যদি একটা গেজেট করে দেওয়া হয়, তখন কিন্তু যারা অভিযোগ তোলে তাদের কিন্তু একটা কষ্ট থেকেই যায়।’
এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘যে কারণে কমিশনের প্রতি একটা অনাস্থা থেকেই যায়। আমরা একটা অভিযোগ দিলাম, কমিশন যাচাই-বাছাই কিছু না করে রিটার্নিং কর্মকর্তা যে রেজাল্ট দিল সেটাই তারা বাস্তবায়ন করে ফেলল। একটা ক্ষোভ কিন্তু তৈরি হয়। একটা নির্বাচন করছেন, কাজেই তার কথাটা তো আমলে নেওয়া উচিত। এই জায়গাটাতেই আমরা চিন্তা করলাম যে শূন্য আছে। কমিশনের হাতে কোনো সুযোগ নাই। আমরা সেখানেই একটা নতুন প্রস্তাবনা পাঠাইলাম সংশোধনীতে, যেটা মন্ত্রিপরিষদে গেছে। আমরা পাঠাইলাম ৯-এর ক, তার সঙ্গে ক-এর ক বলে একটি উপ-অনুচ্ছেদ যোগ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে কোনো অনিয়মের তথ্য বা অভিযোগ এলে কমিশন সেই গেজেট নোটিফিকেশনটা স্থগিত রাখবে। এরপর তদন্ত করে যদি অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হয় যে আসলেই বড় ধরনের অনিয়ম হয়ে গেছে। সেখানে তখন কমিশন সুনির্দিষ্টভাবে যে জায়গাটায় অনিয়ম হয়েছে সেই জায়গাটার, যে কেন্দ্র বলেন বা যে আসনটার ভোট বাতিল করার জন্য চাচ্ছিলাম। মন্ত্রিপরিষদ ওইখানে পুরো আসনের (এন্টায়ার শব্দটা) কথাটা বাদ দিয়ে সেটা খণ্ড করে আংশিকভাবে একটা অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা পুরোটা কপি এখনো দেখি নাই।’
পাঁচ সিটি নির্বাচনে সবার প্রতি সমান দৃষ্টি দেওয়া হচ্ছে না বলে প্রশ্ন উঠেছে—এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা ঘটলে, পেপার-পত্রিকায় যদি এসে থাকে, আমরা ব্যবস্থা নেব। কোনো ধরনের নমনীয়তার কোনো সুযোগই নাই।’
গাইবান্ধার ভোট প্রসঙ্গে এই কমিশনার বলেন, ‘গাইবান্ধায় আমরা যখন সিসি ক্যামেরায় নানা ধরনের অনিয়ম দেখছিলাম, গোপন কক্ষের মধ্যে ভোটার ভোট দেওয়ার আগেই অন্য কেউ দিয়ে দিচ্ছেন। তখন আমরা ৯১ (ক) অনুচ্ছেদের ক্ষমতা বলে নির্বাচন বন্ধ করেছি। এখন আমরা চাচ্ছি, এক বা একাধিক কেন্দ্রে রিটার্নিং কর্মকর্তার ফলাফল ঘোষণার পর এবং গেজেট হওয়ার আগ পর্যন্ত, এই মধ্যবর্তী সময়ে অভিযোগ এলে যেন তদন্ত করে বন্ধ করতে পারি। তখন সেখানে নতুন করে ভোট হবে। যেখানে ছিলই না, সেখানে তো কিছুটা হলেও বাড়ল। পুরোটা না হলেও কিছুটা তো অর্জন হয়েছে। পুরোটা বাতিলের ক্ষমতা পেলে ভালো। কেননা যারা অনিয়ম করে তাদের একটা ভয় থাকত যে ভোট বাতিল হয়ে আবার হ্যাপাটা নিতে হবে।’
অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচারের কাজ ‘বেশ ভালোভাবে এগিয়ে’ যাচ্ছে। পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও সরকার ভারতের কাছে ফেরত চাইবে। আজ রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
৮ মিনিট আগেদক্ষিণ এশিয়ার, বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বৈরিতার জন্য দেশগুলোর জনগণ নয়, বরং নীতিনির্ধারকেরা দায়ী। আর ভারত-পাকিস্তানের বৈরিতার কারণে সার্ক (দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা) কার্যকর...
১৩ মিনিট আগেনির্বাচনের ট্রেন যাত্রা শুরু করেছে, এটা আর থামবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, এ ট্রেন যেতে যেতে সরকারকে অনেকগুলো কাজ সারতে হবে।
১৯ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম তিন মাসে সহকারী সচিব থেকে সিনিয়র সচিব পর্যায় পর্যন্ত ৮০ জন কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল হয়েছে ১০১ জনের। বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে চার কর্মকর্তাকে
১ ঘণ্টা আগে