ঢাবি প্রতিনিধি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারসহ চার দফা দাবিতে সপ্তাহব্যাপী পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’–এর অংশ হিসেবে তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের মোর্চা—বৈষম্যরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। নেতা-কর্মীরা আজ বৃহস্পতিবার এই কর্মসূচি পালন করেন।
বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে জড়ো হন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা–কর্মীদেরও দেখা মেলে। এদিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে জড়ো হন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। পরে বিকেল ৫ টার পর শাহবাগ ছেড়ে যান শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ঘোষিত চার দফাগুলো হলো ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে; সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলসহ যারা পরিকল্পিত ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করেছে, তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে; প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা ও হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদ বারংবার কায়েমের চেষ্টা করেছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এত দিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
শাহবাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটানোর বিন্দুমাত্র চেষ্টা করলে তাদের আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। আমরা রাজপথ ছেড়ে দিই নাই। আমরা এখানে চার দফা দাবি আদায় ও রেজিস্টেন্স উইক পালনের জন্য সমবেত হয়েছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।’
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যখন আপনারা ভারতের কাছে আবেদন করেন, সেখানে আমাদের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়। আমেরিকায় বসে দেশ চালানোর কোনো ধরনের অধিকার আপনাদের নেই। আপনাদের নৌকা অনেক আগেই ফুটা হয়ে গিয়েছে। আপনাদের বইঠা কী? আপনাদের নৌকার পাটাতনই নাই। তাই বইঠা খুঁজে লাভ নাই। মোদির বইঠা দিয়ে বাংলাদেশের নৌক আপনারা চালাবেন, এই আশা আপনারা করিয়েন না।’
শহীদ মিনারে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচিতে সংগঠনটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সর্বাত্মকভাবে অংশ নিয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসরদের বিচার দাবি করছি। গত ১৫–১৬ বছরের সব হত্যাকাণ্ডের, গুম, খুন নির্যাতনের বিচারের দাবি করছি। সত্যিকারের অপরাধীরা বিচারের আওতায় আসুক, নিরপরাধ আওয়ামী লীগের নেতা শাস্তি পাক, এটা আমরা কখনোই চাই না।’
অবস্থান কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন মো. আমানুল্লাহ আমান, ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারসহ চার দফা দাবিতে সপ্তাহব্যাপী পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’–এর অংশ হিসেবে তৃতীয় দিনের মতো রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের মোর্চা—বৈষম্যরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। নেতা-কর্মীরা আজ বৃহস্পতিবার এই কর্মসূচি পালন করেন।
বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে জড়ো হন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা–কর্মীদেরও দেখা মেলে। এদিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেখ হাসিনার বিচারের দাবিতে জড়ো হন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। পরে বিকেল ৫ টার পর শাহবাগ ছেড়ে যান শিক্ষার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ঘোষিত চার দফাগুলো হলো ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে; সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলসহ যারা পরিকল্পিত ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করেছে, তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে; প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা ও হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদ বারংবার কায়েমের চেষ্টা করেছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এত দিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।
শাহবাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটানোর বিন্দুমাত্র চেষ্টা করলে তাদের আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। আমরা রাজপথ ছেড়ে দিই নাই। আমরা এখানে চার দফা দাবি আদায় ও রেজিস্টেন্স উইক পালনের জন্য সমবেত হয়েছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।’
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যখন আপনারা ভারতের কাছে আবেদন করেন, সেখানে আমাদের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়। আমেরিকায় বসে দেশ চালানোর কোনো ধরনের অধিকার আপনাদের নেই। আপনাদের নৌকা অনেক আগেই ফুটা হয়ে গিয়েছে। আপনাদের বইঠা কী? আপনাদের নৌকার পাটাতনই নাই। তাই বইঠা খুঁজে লাভ নাই। মোদির বইঠা দিয়ে বাংলাদেশের নৌক আপনারা চালাবেন, এই আশা আপনারা করিয়েন না।’
শহীদ মিনারে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচিতে সংগঠনটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সর্বাত্মকভাবে অংশ নিয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসরদের বিচার দাবি করছি। গত ১৫–১৬ বছরের সব হত্যাকাণ্ডের, গুম, খুন নির্যাতনের বিচারের দাবি করছি। সত্যিকারের অপরাধীরা বিচারের আওতায় আসুক, নিরপরাধ আওয়ামী লীগের নেতা শাস্তি পাক, এটা আমরা কখনোই চাই না।’
অবস্থান কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়া, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন মো. আমানুল্লাহ আমান, ঢাবি ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৮ মিনিট আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
২ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৩ ঘণ্টা আগে