কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পরাশক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পর্কে ভারসাম্য বজায় রাখা থেকে বাংলাদেশের সরে আসা উচিত। জোর দেওয়া উচিত স্থিতিশীলতার ওপর, বিশেষ করে উপ-আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায়। এমন পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা। তবে বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষে আপাতত ভারসাম্য বজায় রাখা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি মেনে চলা থেকে সরে আসা সম্ভব নয় বলে মনে করেন স্থানীয় বিশেষজ্ঞ এবং সরকারের মন্ত্রী ও সচিবেরা।
আজ শনিবার ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চল সম্পর্কে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গির (ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক-আইপিও) ওপর ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে তাঁরা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এবং বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ (বিএফআরএস) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
ভারতের প্রাক্তন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর বলেন, ‘সমুদ্রসম্পদের কথা বিবেচনায় রেখে “সুনীল অর্থনীতির’’ কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সাগর-মহাসাগরে স্থিতিশীলতা না থাকলে আপনাদের সুনীল অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে না।’
অস্থিতিশীলতার চেয়ে কোনো কিছু বেশি সংক্রামক নয়—এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে এম জে আকবর বলেন, পরাশক্তিগুলোর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে চলার দিন ফুরিয়ে এসেছে। ভারসাম্যের মধ্যে শক্তি খোঁজার চেয়ে স্থিতিশীলতার শক্তি কাজে লাগানো দরকার।
সেমিনারের মূল প্রতিবেদনে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। এতে বাংলাদেশের সংযুক্ততার ধরন কেমন হতে পারে, সে বিষয়ে অযৌক্তিক বিভ্রান্তি ও জল্পনা-কল্পনার সুযোগ কমানোর জন্য আইপিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে জাতীয় অগ্রাধিকারগুলোকে বিবেচনায় রেখে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ প্রক্রিয়া অনুসরণের কথা বলা হয়েছে।
অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়া অনুসরণের ক্ষেত্রে কোনো আপস করার সুযোগ নেই উল্লেখ করে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, কাউকে বাদ দিয়ে চলা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়। বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলাপ করে থাকে। এর অর্থ এই নয় যে, বাংলাদেশ কোনো সামরিক জোটে যোগ দিতে যাচ্ছে।
পররাষ্ট্রসচিবের পর কথা বলেন ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ। তিনি বলেন, নিরাপত্তাসহ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক দ্রুত বদলে যাচ্ছে। পরিবর্তনের এই প্রক্রিয়ায় ভারত বাংলাদেশকে অংশীদার হিসেবে চায়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে নিজের পরিচয় ও ভূমিকা স্পষ্ট করতে হবে।
পঙ্কজ শরণের পর কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, আইপিও-তে বহুপাক্ষিকতা এবং মানুষের চলাচল ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সবার জন্য নিরাপদ সমুদ্রপথ নীতি মেনে চলার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সামরিক উদ্দেশ্য নিয়ে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় কোনো দেশেরই কিছু করা উচিত নয় বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
‘প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য অন্তর্ভুক্তি’ শীর্ষক অধিবেশনে কথা বলেন ওয়াশিংটনভিত্তিক উইলন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশকে ভারত-চীন, যুক্তরাষ্ট্র-চীন ও যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া, এই তিন ধরনের ভারসাম্য সামাল দিতে হচ্ছে। ভারসাম্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আগামীতে বড় ধরনের পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে।
এই অধিবেশনের সঞ্চালক ছিলেন ভারতে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার আহমদ তারিক করিম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ গত ৫০ বছর ধরে ভারসাম্যের নীতি মেনে চলেছে। ভারসাম্য বজায় রাখা থেকে রাতারাতি সরে আসা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়।
দিল্লির এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের সি রাজা মোহন বলেন, চলমান ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে দেশে দেশে অর্থনৈতিক কাঠামো বদলে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলোয় ভাঙাগড়া চলছে। কোনটি প্রয়োজন, তা বেছে নিতে হবে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপখাওয়াতে হবে।
‘সমৃদ্ধি ও সহনশীলতা’ শীর্ষক অধিবেশনে বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট সভাপতি নিহাদ কবির বলেন, বেসরকারি খাত চায় না ভূরাজনৈতিক মেরুকরণের ক্ষেত্রে দেশ কোনো পক্ষভুক্ত হোক। আর পরাশক্তিগুলোরও উচিত নয় ‘একই নীতি’ সবার ওপর চাপিয়ে দেওয়া।
বাংলাদেশের নিজস্বতা ও বৈচিত্র্য ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে কবির বলেন, দেশের মানুষের একটি বড় অংশ নারী ও তরুণ। যা তা বুঝিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে বললেই তারা মানবে না।
জাতীয় নিরাপত্তা মানেই সামরিক বিষয়, এই ধারণা থেকেও বেরিয়ে আসার ওপর জোর দেন কবির। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা বর্তমানে নিরাপত্তার অনিবার্য অনুষঙ্গ।
কলম্বোর লক্সমন কাদিরগামা ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক রাভিনাথা আরিয়াসিনহা মনে করেন, বড় শক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কখনো কখনো নিরপেক্ষতার নীতির বাইরে এসে হিসেবি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার হতে পারে।
সমাপনী অধিবেশনে ভারতের ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাপক ড. শ্রীরাধা দত্ত বলেন, ভারত বাংলাদেশকে নির্ভরযোগ্য অংশীদার মনে করে। আর বাংলাদেশের মূল শক্তি অর্থনৈতিক বিকাশ। এই দুইয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে উপ-আঞ্চলিক সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজার সুযোগ আইপিও-তে থাকা দরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, গঠনমূলক নীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশ ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর তীরবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াতে প্রস্তুত রয়েছে।
বিভিন্ন অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব শমসের মবিন চৌধুরী, টোকিও ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজের অধ্যাপক ড. হিদেকি শিনোদা, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ড. ডেভিড ব্রুস্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. লাইলুফার ইয়াসমিন, ভারতের ন্যাশনাল মেরিটাইম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডমিরাল করমবীর সিং, বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক সুজিত দত্ত, মনোহর পারিকর ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস-এর স্মৃতি এস পট্টনায়েক, ব্যাংককের চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুরাত হোরাচাইকুল, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের অধ্যাপক ড. ইকবাল সিং সেভিয়া, নেপালের কাউন্সিল ফর ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্সের চেয়ারম্যান হেমন্ত খারেল, ইন্ডিয়ান ওশন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সালমান আল ফারিসি, বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান এ এফ এম গাওসোল আযম সরকার ও মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন এবং বিএফআরএস চেয়ারম্যান এ এস এম শামসুল আরেফিন।
বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পরাশক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পর্কে ভারসাম্য বজায় রাখা থেকে বাংলাদেশের সরে আসা উচিত। জোর দেওয়া উচিত স্থিতিশীলতার ওপর, বিশেষ করে উপ-আঞ্চলিক স্থিতিশীলতায়। এমন পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞরা। তবে বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষে আপাতত ভারসাম্য বজায় রাখা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি মেনে চলা থেকে সরে আসা সম্ভব নয় বলে মনে করেন স্থানীয় বিশেষজ্ঞ এবং সরকারের মন্ত্রী ও সচিবেরা।
আজ শনিবার ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চল সম্পর্কে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গির (ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক-আইপিও) ওপর ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে তাঁরা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) এবং বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর রিজিওনাল স্টাডিজ (বিএফআরএস) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
ভারতের প্রাক্তন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর বলেন, ‘সমুদ্রসম্পদের কথা বিবেচনায় রেখে “সুনীল অর্থনীতির’’ কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সাগর-মহাসাগরে স্থিতিশীলতা না থাকলে আপনাদের সুনীল অর্থনীতি প্রতিষ্ঠিত হবে না।’
অস্থিতিশীলতার চেয়ে কোনো কিছু বেশি সংক্রামক নয়—এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে এম জে আকবর বলেন, পরাশক্তিগুলোর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে চলার দিন ফুরিয়ে এসেছে। ভারসাম্যের মধ্যে শক্তি খোঁজার চেয়ে স্থিতিশীলতার শক্তি কাজে লাগানো দরকার।
সেমিনারের মূল প্রতিবেদনে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। এতে বাংলাদেশের সংযুক্ততার ধরন কেমন হতে পারে, সে বিষয়ে অযৌক্তিক বিভ্রান্তি ও জল্পনা-কল্পনার সুযোগ কমানোর জন্য আইপিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে জাতীয় অগ্রাধিকারগুলোকে বিবেচনায় রেখে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ প্রক্রিয়া অনুসরণের কথা বলা হয়েছে।
অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়া অনুসরণের ক্ষেত্রে কোনো আপস করার সুযোগ নেই উল্লেখ করে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, কাউকে বাদ দিয়ে চলা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়। বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলাপ করে থাকে। এর অর্থ এই নয় যে, বাংলাদেশ কোনো সামরিক জোটে যোগ দিতে যাচ্ছে।
পররাষ্ট্রসচিবের পর কথা বলেন ঢাকায় ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ। তিনি বলেন, নিরাপত্তাসহ বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক দ্রুত বদলে যাচ্ছে। পরিবর্তনের এই প্রক্রিয়ায় ভারত বাংলাদেশকে অংশীদার হিসেবে চায়। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে নিজের পরিচয় ও ভূমিকা স্পষ্ট করতে হবে।
পঙ্কজ শরণের পর কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, আইপিও-তে বহুপাক্ষিকতা এবং মানুষের চলাচল ও পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে সবার জন্য নিরাপদ সমুদ্রপথ নীতি মেনে চলার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
সামরিক উদ্দেশ্য নিয়ে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর এলাকায় কোনো দেশেরই কিছু করা উচিত নয় বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
‘প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য অন্তর্ভুক্তি’ শীর্ষক অধিবেশনে কথা বলেন ওয়াশিংটনভিত্তিক উইলন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান। তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশকে ভারত-চীন, যুক্তরাষ্ট্র-চীন ও যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া, এই তিন ধরনের ভারসাম্য সামাল দিতে হচ্ছে। ভারসাম্যের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে আগামীতে বড় ধরনের পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে।
এই অধিবেশনের সঞ্চালক ছিলেন ভারতে বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার আহমদ তারিক করিম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ গত ৫০ বছর ধরে ভারসাম্যের নীতি মেনে চলেছে। ভারসাম্য বজায় রাখা থেকে রাতারাতি সরে আসা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়।
দিল্লির এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের সি রাজা মোহন বলেন, চলমান ভূ-রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে দেশে দেশে অর্থনৈতিক কাঠামো বদলে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলোয় ভাঙাগড়া চলছে। কোনটি প্রয়োজন, তা বেছে নিতে হবে। এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপখাওয়াতে হবে।
‘সমৃদ্ধি ও সহনশীলতা’ শীর্ষক অধিবেশনে বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট সভাপতি নিহাদ কবির বলেন, বেসরকারি খাত চায় না ভূরাজনৈতিক মেরুকরণের ক্ষেত্রে দেশ কোনো পক্ষভুক্ত হোক। আর পরাশক্তিগুলোরও উচিত নয় ‘একই নীতি’ সবার ওপর চাপিয়ে দেওয়া।
বাংলাদেশের নিজস্বতা ও বৈচিত্র্য ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে কবির বলেন, দেশের মানুষের একটি বড় অংশ নারী ও তরুণ। যা তা বুঝিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে বললেই তারা মানবে না।
জাতীয় নিরাপত্তা মানেই সামরিক বিষয়, এই ধারণা থেকেও বেরিয়ে আসার ওপর জোর দেন কবির। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতা বর্তমানে নিরাপত্তার অনিবার্য অনুষঙ্গ।
কলম্বোর লক্সমন কাদিরগামা ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক রাভিনাথা আরিয়াসিনহা মনে করেন, বড় শক্তিগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে কখনো কখনো নিরপেক্ষতার নীতির বাইরে এসে হিসেবি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার হতে পারে।
সমাপনী অধিবেশনে ভারতের ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাপক ড. শ্রীরাধা দত্ত বলেন, ভারত বাংলাদেশকে নির্ভরযোগ্য অংশীদার মনে করে। আর বাংলাদেশের মূল শক্তি অর্থনৈতিক বিকাশ। এই দুইয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমে উপ-আঞ্চলিক সমস্যা সমাধানের পথ খোঁজার সুযোগ আইপিও-তে থাকা দরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, গঠনমূলক নীতির ভিত্তিতে বাংলাদেশ ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগর তীরবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াতে প্রস্তুত রয়েছে।
বিভিন্ন অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব শমসের মবিন চৌধুরী, টোকিও ইউনিভার্সিটি অব ফরেন স্টাডিজের অধ্যাপক ড. হিদেকি শিনোদা, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ড. ডেভিড ব্রুস্টার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. লাইলুফার ইয়াসমিন, ভারতের ন্যাশনাল মেরিটাইম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডমিরাল করমবীর সিং, বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক সুজিত দত্ত, মনোহর পারিকর ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস-এর স্মৃতি এস পট্টনায়েক, ব্যাংককের চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুরাত হোরাচাইকুল, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের অধ্যাপক ড. ইকবাল সিং সেভিয়া, নেপালের কাউন্সিল ফর ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্সের চেয়ারম্যান হেমন্ত খারেল, ইন্ডিয়ান ওশন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সালমান আল ফারিসি, বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান এ এফ এম গাওসোল আযম সরকার ও মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন এবং বিএফআরএস চেয়ারম্যান এ এস এম শামসুল আরেফিন।
ফ্যাসিবাদের দোসরেরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাদের পরিহারের ঘোষণা দিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী (নাসির আব্দুল্লাহ) বলেছেন, ‘খুনি ও খুনের হুকুমদাতারা যদি তাদের স্কিলের কারণে থেকে যায়, তাহলে আমরা আরেকটি যুদ্ধ করতে বাধ্য হব।
৪০ মিনিট আগেসেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৭ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৮ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৯ ঘণ্টা আগে