আয়নাল হোসেন, ঢাকা
দেশে মোবাইল কোর্ট আইন জারি হওয়ার পর দেশব্যাপী ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা শুরু করে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। ২০১০ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই বিএসটিআইয়ের অধীনে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালিত হতো। কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতায় সংস্থাটি এখন মূল দায়িত্ব থেকে সরে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। একই অবস্থা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষেত্রেও।
২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন তৈরি করা হয়। আইন অনুযায়ী গঠিত হয় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গঠনের পর থেকে লোকবল ও লজিস্টিক দুর্বলতার কারণে ভেজাল শনাক্তে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটি এখন শুধু বিভিন্ন বিধি ও প্রবিধিমালা প্রণয়ন করছে। সংস্থা দুটির দুর্বলতার সুযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশব্যাপী ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। গত মঙ্গলবারও র্যাব সারা দেশে ভেজালবিরোধী অভিযান চালায়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য বিএসটিআই কিংবা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কোনো নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় তাদের জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাব-পুলিশের শরণাপন্ন হতে হতো। প্রতি মাসেই তাদের রিকুইজিশনের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তাও চাইতে হতো। অন্যদিকে র্যাবে আইন কর্মকর্তা নিয়োগ হওয়ার পর তাদের সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ফলে এখন র্যাব নিয়মিত ভেজাল বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে। শুধু র্যাব নয়, ভেজাল নিয়ন্ত্রণে এপিবিএনও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ ও ২০২১ সালে সংস্থাটি মোট ৩ হাজার ৬৯১টি অভিযান চালিয়েছে। এতে ৭২ কোটি ২৭ লাখ ১৪ হাজার ৬৫৪ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ২ হাজার ৩৭২ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিএসটিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, সংস্থাটি গত অর্থ বছরে (২০২০-২০২১) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হয়েছে ৬৫৩টি। এতে মামলা হয় ৯৪৪টি এবং নিষ্পত্তি ৯৩৯টি। ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেছেন ৭ লাখ ৪১ হাজার ৪১৪ টাকা। সার্ভিল্যান্স টিমের অভিযান হয়েছে এক হাজার ২৯৬টি। এতে মামলা হয় ২২৬টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ও ৮৪৯টিকে জরিমানা করা হয়। ৫১টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা এবং ৪৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জরিমানা করা হয়েছে।
তবে বিএসটিআইয়ের পরিচালক (সিএম) মো. নূরুল আমিন বলেন, বিএসটিআই নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেটরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকেও নিয়মিত সহায়তা করে আসছে। তবে তারা বিএসটিআই এবং ওজন ও পরিমাপ আইনের বাইরে জেল-জরিমানা করতে পারে না।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বছরে কতটি অভিযান চালাচ্ছে এবং কী পরিমাণ জেল-জরিমানা করেছে সে সংক্রান্ত তথ্য প্রদানে অনীহা আছে সংস্থাটির । তবে তাদের ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, সংস্থাটি খাদ্যে ভেজাল ও দূষণবিরোধী অভিযান চালিয়েছে ১১০টি।
ভেজালবিরোধী অভিযানে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা কম কেন জানতে চাইলে সংস্থার সদস্য (খাদ্য শস্য ও উৎপাদন) অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম বলেন, র্যাব অভিযান পরিচালনা করলেও তারা নিরাপদ খাদ্য আইনে মামলা করছে। তাদের ম্যাজিস্ট্রেটেরাও নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। অভিযান চালাতে তাদের পক্ষ থেকে র্যাব চাওয়া হলেও তারা সহায়তা করতে অনীহা করছে। ভেজাল প্রতিরোধে র্যাবের নিজস্ব কোনো আইন নেই বলে জানান তিনি।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী ডিন বেল্লাল হোসেন বলেন, ভেজাল নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের সেবা একই ছাতার নিচে থাকতে হবে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠনের পর থেকে না সংকটে রয়েছে। তাদের নিজস্ব কোনো ল্যাব নেই। জনবলও পর্যাপ্ত নেই। সব মিলে তাদের আরও সময় প্রয়োজন।
তিনি বলেন ভেজাল খাবার গ্রহণের কারণে মানুষ স্থায়ী ও অস্থায়ী নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষ করে লিভার, কিডনি, জন্ডিস, ডায়রিয়া ও ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগ হতে পারে।
দেশে মোবাইল কোর্ট আইন জারি হওয়ার পর দেশব্যাপী ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা শুরু করে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। ২০১০ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই বিএসটিআইয়ের অধীনে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালিত হতো। কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতায় সংস্থাটি এখন মূল দায়িত্ব থেকে সরে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। একই অবস্থা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষেত্রেও।
২০১৩ সালে নিরাপদ খাদ্য আইন তৈরি করা হয়। আইন অনুযায়ী গঠিত হয় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গঠনের পর থেকে লোকবল ও লজিস্টিক দুর্বলতার কারণে ভেজাল শনাক্তে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটি এখন শুধু বিভিন্ন বিধি ও প্রবিধিমালা প্রণয়ন করছে। সংস্থা দুটির দুর্বলতার সুযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশব্যাপী ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। গত মঙ্গলবারও র্যাব সারা দেশে ভেজালবিরোধী অভিযান চালায়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য বিএসটিআই কিংবা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কোনো নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেট না থাকায় তাদের জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাব-পুলিশের শরণাপন্ন হতে হতো। প্রতি মাসেই তাদের রিকুইজিশনের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তাও চাইতে হতো। অন্যদিকে র্যাবে আইন কর্মকর্তা নিয়োগ হওয়ার পর তাদের সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ফলে এখন র্যাব নিয়মিত ভেজাল বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে। শুধু র্যাব নয়, ভেজাল নিয়ন্ত্রণে এপিবিএনও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ ও ২০২১ সালে সংস্থাটি মোট ৩ হাজার ৬৯১টি অভিযান চালিয়েছে। এতে ৭২ কোটি ২৭ লাখ ১৪ হাজার ৬৫৪ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ২ হাজার ৩৭২ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিএসটিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, সংস্থাটি গত অর্থ বছরে (২০২০-২০২১) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হয়েছে ৬৫৩টি। এতে মামলা হয় ৯৪৪টি এবং নিষ্পত্তি ৯৩৯টি। ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করেছেন ৭ লাখ ৪১ হাজার ৪১৪ টাকা। সার্ভিল্যান্স টিমের অভিযান হয়েছে এক হাজার ২৯৬টি। এতে মামলা হয় ২২৬টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ও ৮৪৯টিকে জরিমানা করা হয়। ৫১টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা এবং ৪৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জরিমানা করা হয়েছে।
তবে বিএসটিআইয়ের পরিচালক (সিএম) মো. নূরুল আমিন বলেন, বিএসটিআই নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেটরা নিয়মিত অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকেও নিয়মিত সহায়তা করে আসছে। তবে তারা বিএসটিআই এবং ওজন ও পরিমাপ আইনের বাইরে জেল-জরিমানা করতে পারে না।
বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ বছরে কতটি অভিযান চালাচ্ছে এবং কী পরিমাণ জেল-জরিমানা করেছে সে সংক্রান্ত তথ্য প্রদানে অনীহা আছে সংস্থাটির । তবে তাদের ২০২১-২০২২ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদন বলছে, সংস্থাটি খাদ্যে ভেজাল ও দূষণবিরোধী অভিযান চালিয়েছে ১১০টি।
ভেজালবিরোধী অভিযানে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা কম কেন জানতে চাইলে সংস্থার সদস্য (খাদ্য শস্য ও উৎপাদন) অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম বলেন, র্যাব অভিযান পরিচালনা করলেও তারা নিরাপদ খাদ্য আইনে মামলা করছে। তাদের ম্যাজিস্ট্রেটেরাও নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। অভিযান চালাতে তাদের পক্ষ থেকে র্যাব চাওয়া হলেও তারা সহায়তা করতে অনীহা করছে। ভেজাল প্রতিরোধে র্যাবের নিজস্ব কোনো আইন নেই বলে জানান তিনি।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান অনুষদের সহযোগী ডিন বেল্লাল হোসেন বলেন, ভেজাল নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের সেবা একই ছাতার নিচে থাকতে হবে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠনের পর থেকে না সংকটে রয়েছে। তাদের নিজস্ব কোনো ল্যাব নেই। জনবলও পর্যাপ্ত নেই। সব মিলে তাদের আরও সময় প্রয়োজন।
তিনি বলেন ভেজাল খাবার গ্রহণের কারণে মানুষ স্থায়ী ও অস্থায়ী নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষ করে লিভার, কিডনি, জন্ডিস, ডায়রিয়া ও ক্যানসারসহ নানা জটিল রোগ হতে পারে।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৪ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৬ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৬ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৭ ঘণ্টা আগে