নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘আমরা সব সময় চিন্তা করছি, আমাদের সংলাপেও প্রায় প্রত্যেকটা দল সেনাবাহিনীর কথা বলেছে। এখনো আমরা লক্ষ করছি, সেনাবাহিনীর উপস্থিতিটা একান্তভাবে কাম্য। জনগণ আর্মির ওপর আস্থা রাখতে চায়।’
আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন সিইসি। বৈঠকে সিইসির দেওয়া বক্তব্যটির ভিডিও সন্ধ্যার দিকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছে।
বৈঠকে সিইসি বলেন, ‘আমি কতটা স্বাধীন, কতটা কী করতে পারব, আমার যে কাজ—সাংবিধানিকভাবে সরকার বাধ্য নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করতে। সরকারের সহায়তার ওপর আমাদের ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হবে। আপনারা জানেন যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে। মানে সরকারি দল একটা ভিন্ন জিনিস বা সরকার একটা...। কিন্তু এই সরকারের পেছনে একটি দলও আছে। তো শুরুতে অনেকেই একটা দুশ্চিন্তায় থাকেন যে সরকার আসলেই নিরপেক্ষ হবে কি না। সাংবিধানিকভাবে সরকার সেই নিরপেক্ষ সরকার দিতে বাধ্য।’
সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘মূলত সরকার বলতে আমরা যেটা বুঝে থাকি সেটা হলো জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন। সেটিই হচ্ছে বাংলাদেশের মূল সরকার। আমাদের লার্জলি ডিপেন্ড করতে হবে কিন্তু জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর। এর পাশাপাশি আপনাদের একটা কথা বলব—এটি (নির্বাচন) একটি খেলা। আপনি যদি ভালো না খেলেন, তাহলে জেতার প্রত্যাশা করা কঠিন।’
সিইসি আরও বলেন, ‘যাঁরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, অবশ্যই সেখানে পোলিং এজেন্ট থাকতে হবে। এজেন্ট যদি অনুগত হয়, সাহসী হয় এবং অনুগত হয়, সে যদি শক্ত হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে অন্যের পক্ষে আপনার বিপক্ষে অনাচার করা কঠিন হবে। আমি কিন্তু ওখানে বসে আপনার ঘর পাহারা দিতে পারব না। ৪২ হাজার কেন্দ্র, ৩ লাখ বুথে একজন মানুষের পক্ষে বিভাজিত হয়ে কোটি কোটি হয়ে, যেটা ফেরেশতারা পারে। কিন্তু আমরা পারব না। যতটা সম্ভব আমরা মনিটরিং করব, পর্যবেক্ষণ। কীভাবে রাজনীতির মাঠে নিরপেক্ষতা সৃষ্টি করতে হয়, কীভাবে প্রতিপক্ষকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, নিশ্চয়ই সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের (দলগুলোর) আছে। না থাকলে থাকতে হবে।’
এ সময় নির্বাচন কমিশনেরও সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের সীমাবদ্ধতা অবশ্যই থাকবে। আমাদের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা থাকতে পারে। সামর্থ্যের বিষয়টি সব সময় আপেক্ষিক। আমরা চাই অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আমাদের ক্ষমতা সর্বোচ্চভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করব। এতে আপনাদের সহযোগিতা লাগবে।’
সিইসি বলেন, ‘ভোটবিমুখতা আপনারা (রাজনীতিক) সবাই মিলে তৈরি করেছেন। আমরা করিনি। সামান্য একটি চাকরি করতাম। মাসে মাসে কিছু বেতন পেতাম। পলিটিকস কী, রাজনীতি কী, এত বড় চিন্তার সামর্থ্য আমার ছিল না। কাজেই, আমার জ্ঞান অত্যন্ত সীমিত। রাজনীতি বিষয়ে আপনাদের অগাধ জ্ঞান রয়েছে। সেটি আপনারা প্রয়োগ করবেন। মানুষকে ভোটকেন্দ্রে আনতে আমাদের প্রচার থাকবে। কিন্তু যারা প্রার্থী ও রাজনৈতিক দল, তাদের ভোটারের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে। জনগণকে জাগ্রত করতে আপনারা যেটা পারবেন আমরা কিন্তু সেটা পারব না। পেশিশক্তিকে যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে জনগণের ভোটাধিকার অবশ্যই ব্যাহত হতে পারে।’
এ সময় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) বলেন, ‘আমরা ৩৫ থেকে ৪০ বছরের কর্মজীবনের সুনাম এই পাঁচ বছরে খোয়াতে চাই না। শতভাগ ইমান, বিবেক, আমাদের শিক্ষা এবং আইনের মধ্যে থেকে কাজ করব। নির্বাচনটা টিমওয়ার্ক। এতে সকলের সহযোগিতা দরকার।’
বৈঠকে তৃণমূল বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ ১২ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘আমরা সব সময় চিন্তা করছি, আমাদের সংলাপেও প্রায় প্রত্যেকটা দল সেনাবাহিনীর কথা বলেছে। এখনো আমরা লক্ষ করছি, সেনাবাহিনীর উপস্থিতিটা একান্তভাবে কাম্য। জনগণ আর্মির ওপর আস্থা রাখতে চায়।’
আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেন সিইসি। বৈঠকে সিইসির দেওয়া বক্তব্যটির ভিডিও সন্ধ্যার দিকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছে।
বৈঠকে সিইসি বলেন, ‘আমি কতটা স্বাধীন, কতটা কী করতে পারব, আমার যে কাজ—সাংবিধানিকভাবে সরকার বাধ্য নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করতে। সরকারের সহায়তার ওপর আমাদের ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হবে। আপনারা জানেন যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে। মানে সরকারি দল একটা ভিন্ন জিনিস বা সরকার একটা...। কিন্তু এই সরকারের পেছনে একটি দলও আছে। তো শুরুতে অনেকেই একটা দুশ্চিন্তায় থাকেন যে সরকার আসলেই নিরপেক্ষ হবে কি না। সাংবিধানিকভাবে সরকার সেই নিরপেক্ষ সরকার দিতে বাধ্য।’
সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘মূলত সরকার বলতে আমরা যেটা বুঝে থাকি সেটা হলো জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন। সেটিই হচ্ছে বাংলাদেশের মূল সরকার। আমাদের লার্জলি ডিপেন্ড করতে হবে কিন্তু জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর। এর পাশাপাশি আপনাদের একটা কথা বলব—এটি (নির্বাচন) একটি খেলা। আপনি যদি ভালো না খেলেন, তাহলে জেতার প্রত্যাশা করা কঠিন।’
সিইসি আরও বলেন, ‘যাঁরাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, অবশ্যই সেখানে পোলিং এজেন্ট থাকতে হবে। এজেন্ট যদি অনুগত হয়, সাহসী হয় এবং অনুগত হয়, সে যদি শক্ত হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে অন্যের পক্ষে আপনার বিপক্ষে অনাচার করা কঠিন হবে। আমি কিন্তু ওখানে বসে আপনার ঘর পাহারা দিতে পারব না। ৪২ হাজার কেন্দ্র, ৩ লাখ বুথে একজন মানুষের পক্ষে বিভাজিত হয়ে কোটি কোটি হয়ে, যেটা ফেরেশতারা পারে। কিন্তু আমরা পারব না। যতটা সম্ভব আমরা মনিটরিং করব, পর্যবেক্ষণ। কীভাবে রাজনীতির মাঠে নিরপেক্ষতা সৃষ্টি করতে হয়, কীভাবে প্রতিপক্ষকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়, নিশ্চয়ই সেই অভিজ্ঞতা আপনাদের (দলগুলোর) আছে। না থাকলে থাকতে হবে।’
এ সময় নির্বাচন কমিশনেরও সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের সীমাবদ্ধতা অবশ্যই থাকবে। আমাদের আন্তরিকতা ও নিষ্ঠা থাকতে পারে। সামর্থ্যের বিষয়টি সব সময় আপেক্ষিক। আমরা চাই অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আমাদের ক্ষমতা সর্বোচ্চভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা করব। এতে আপনাদের সহযোগিতা লাগবে।’
সিইসি বলেন, ‘ভোটবিমুখতা আপনারা (রাজনীতিক) সবাই মিলে তৈরি করেছেন। আমরা করিনি। সামান্য একটি চাকরি করতাম। মাসে মাসে কিছু বেতন পেতাম। পলিটিকস কী, রাজনীতি কী, এত বড় চিন্তার সামর্থ্য আমার ছিল না। কাজেই, আমার জ্ঞান অত্যন্ত সীমিত। রাজনীতি বিষয়ে আপনাদের অগাধ জ্ঞান রয়েছে। সেটি আপনারা প্রয়োগ করবেন। মানুষকে ভোটকেন্দ্রে আনতে আমাদের প্রচার থাকবে। কিন্তু যারা প্রার্থী ও রাজনৈতিক দল, তাদের ভোটারের দ্বারে দ্বারে যেতে হবে। জনগণকে জাগ্রত করতে আপনারা যেটা পারবেন আমরা কিন্তু সেটা পারব না। পেশিশক্তিকে যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তাহলে জনগণের ভোটাধিকার অবশ্যই ব্যাহত হতে পারে।’
এ সময় নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.) বলেন, ‘আমরা ৩৫ থেকে ৪০ বছরের কর্মজীবনের সুনাম এই পাঁচ বছরে খোয়াতে চাই না। শতভাগ ইমান, বিবেক, আমাদের শিক্ষা এবং আইনের মধ্যে থেকে কাজ করব। নির্বাচনটা টিমওয়ার্ক। এতে সকলের সহযোগিতা দরকার।’
বৈঠকে তৃণমূল বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনসহ ১২ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
রাষ্ট্র পরিচালনায় স্থায়ী সমাধানের জন্য নতুন সংবিধান দরকার বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। তিনি বলেন, ‘বর্তমান যে সংবিধান চলছে, তা কোনোমতে চালানোর জন্য সংস্কার চাইছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এটা দিয়ে কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে চলতে পারবে, কিন্তু একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর শাহ আলী মাজারের কাছে একটি কাঠের দোকান ছিল ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের। ২০১৯ সালের ১৯ জুন দুপুরে সেই দোকান থেকে তিনি বাসার দিকে যাচ্ছিলেন দুপুরের খাবার খেতে। পথে নিখোঁজ হন। তাঁর স্ত্রী নাসরিন জাহান জানিয়েছেন, নিখোঁজ হওয়ার আগে মিরপুরে র্যাব-৪ অফিসের কাছে তাঁর সর্বশেষ অবস্থান ছিল। ৫ বছর পেরিয়ে গে
৩ ঘণ্টা আগেফ্যাসিবাদের দোসরেরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাদের পরিহারের ঘোষণা দিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী (নাসির আব্দুল্লাহ) বলেছেন, ‘খুনি ও খুনের হুকুমদাতারা যদি তাদের স্কিলের কারণে থেকে যায়, তাহলে আমরা আরেকটি যুদ্ধ করতে বাধ্য হব।
৬ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
১৩ ঘণ্টা আগে