আজকের পত্রিকা ডেস্ক
পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে ময়মনসিংহ, শেরপুর ও নেত্রকোনায়। ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে এ তিন জেলার নিম্নাঞ্চলের পানি। তবে বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য ও গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে বন্যাদুর্গত এলাকায়।
বানভাসি অনেক মানুষের অভিযোগ, না খেয়ে দিনরাত কাটাচ্ছেন তাঁরা। এ পর্যন্ত কোনো ত্রাণসামগ্রী পৌঁছায়নি তাঁদের কাছে। তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।
ময়মনসিংহের দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছায়নি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া এবং ফুলপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বুধবার ভোর থেকে মানুষের ঘরবাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে বন্যাদুর্গত এলাকার অনেকেই কোনো ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করেন।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ পুনর্বাসন কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বাড়িঘরের পানি ইতিমধ্যে নামতে শুরু করেছে। বৃষ্টি না হলে দু-এক দিনের মধ্যে পানি পুরোপুরি নেমে যাবে।
এই কর্মকর্তা বলেন, তিন উপজেলায় ৭ লাখ টাকা ও ৬৩ টন চাল বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
ফুলপুর উপজেলার ভাটপাড় গ্রামের আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘বাড়ির উঠানে এখনো কোমরপানি। তাই ছাগলটিকে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছি। আজকে সকাল থেকে পানি কমছে, তবে বৃষ্টি না হলে আরও দু-এক দিন লাগবে পানি নামতে। কয়েক দিন দুর্ভোগে থাকলেও কেউ কোনো সহযোগিতা করেননি।’
হালুয়াঘাট উপজেলার আমতৈল গ্রামের হাসিনা বানু বলেন, ‘মানুষের বাসায় কাজ করে আমার দিন চলত। বন্যার কারণে এখন কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুই বেলা ঠিকমতো খেতেও পারছি না। কোনো ধরনের সহযোগিতাও পাচ্ছি না।’
নালিতাবাড়ীতে পানিবন্দী ৩১ হাজার শেরপুরের নালিতাবাড়ীতেও কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। তবে বাড়ির চারপাশে বন্যার পানি সরে না যাওয়ায় উপজেলার ৩১ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দী রয়েছে। বাড়িঘর থেকে বের হতে মানুষ কলাগাছের ভেলা ও নৌকা ব্যবহার করছে। তবে গতকাল সকাল থেকে সারা দিন থেমে থেমে বৃষ্টি হয় উপজেলায়।
ফকিরপাড়া গ্রামের গৃহিণী আনজুয়ারা বেগম বলেন, ‘হালকা বৃষ্টি থাকলেও বন্যার পানি আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে। কিন্তু বাড়ির চারপাশে পানি এখনো সরে নাই। গ্রামের লোকজনদের বাড়ির বাইরে যাতায়াতে কলার ভেলা অথবা কাপড় ভিজিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। নৌকায় করে অনেকেই ত্রাণ দিয়ে গেছেন। এতে আমগর মতো পানিবন্দী মানুষের খুবই উপকার হয়েছে।’
নেত্রকোনায় বৃষ্টি না হওয়ায় স্বস্তি
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরী নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। নিম্নাঞ্চলের পানি কমছে, তবে ধীরে ধীরে। গত মঙ্গলবার এবং গতকাল বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দেখা দিয়েছে। তবে বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য ও গোখাদ্যের সংকট বাড়ছে। বন্যায় উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়েছিল। তাদের বেশির ভাগ এখনো পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাদের ঘরে ও বাড়ির আঙিনা থেকে পানি নেমেছে।
আদমপুর গ্রামের বাসিন্দা নুরুল হক বলেন, ‘এখন বৃষ্টি নেই, পানিও একটু একটু কমছে। কিন্তু আমাদের চলাচলের রাস্তাগুলো এখনো পানির নিচে। নতুন করে আবার বৃষ্টি না হলে পানি বাড়বে না মনে হচ্ছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। নদীর পানিও দ্রুতগতিতে কমছে।
যমুনার পানি বেড়ে সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে গতকালও বেড়েছে যমুনা নদীর পানি। যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ৬ সেন্টিমিটার ও কাজীপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বেড়েছে। পানি বাড়ার কারণে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তবে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে পানি কমতে শুরু করবে বলে পাউবো সূত্রে জানা গেছে।
পাউবোর পানি পরিমাপক হাসানুজ্জামান জানান, টানা পাঁচ দিন ধরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পাঁচ দিনে কাজীপুর পয়েন্টে ৯৩ ও শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় ৯০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এতে নদীতীরবর্তী অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। যমুনা নদীর পানি বাড়লেও এখনো বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে ময়মনসিংহ, শেরপুর ও নেত্রকোনায়। ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে এ তিন জেলার নিম্নাঞ্চলের পানি। তবে বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য ও গোখাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে বন্যাদুর্গত এলাকায়।
বানভাসি অনেক মানুষের অভিযোগ, না খেয়ে দিনরাত কাটাচ্ছেন তাঁরা। এ পর্যন্ত কোনো ত্রাণসামগ্রী পৌঁছায়নি তাঁদের কাছে। তবে প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত আছে।
ময়মনসিংহের দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছায়নি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া এবং ফুলপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বুধবার ভোর থেকে মানুষের ঘরবাড়ি থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে বন্যাদুর্গত এলাকার অনেকেই কোনো ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করেন।
জেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ পুনর্বাসন কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন বলেন, মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বাড়িঘরের পানি ইতিমধ্যে নামতে শুরু করেছে। বৃষ্টি না হলে দু-এক দিনের মধ্যে পানি পুরোপুরি নেমে যাবে।
এই কর্মকর্তা বলেন, তিন উপজেলায় ৭ লাখ টাকা ও ৬৩ টন চাল বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
ফুলপুর উপজেলার ভাটপাড় গ্রামের আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘বাড়ির উঠানে এখনো কোমরপানি। তাই ছাগলটিকে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছি। আজকে সকাল থেকে পানি কমছে, তবে বৃষ্টি না হলে আরও দু-এক দিন লাগবে পানি নামতে। কয়েক দিন দুর্ভোগে থাকলেও কেউ কোনো সহযোগিতা করেননি।’
হালুয়াঘাট উপজেলার আমতৈল গ্রামের হাসিনা বানু বলেন, ‘মানুষের বাসায় কাজ করে আমার দিন চলত। বন্যার কারণে এখন কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুই বেলা ঠিকমতো খেতেও পারছি না। কোনো ধরনের সহযোগিতাও পাচ্ছি না।’
নালিতাবাড়ীতে পানিবন্দী ৩১ হাজার শেরপুরের নালিতাবাড়ীতেও কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। তবে বাড়ির চারপাশে বন্যার পানি সরে না যাওয়ায় উপজেলার ৩১ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দী রয়েছে। বাড়িঘর থেকে বের হতে মানুষ কলাগাছের ভেলা ও নৌকা ব্যবহার করছে। তবে গতকাল সকাল থেকে সারা দিন থেমে থেমে বৃষ্টি হয় উপজেলায়।
ফকিরপাড়া গ্রামের গৃহিণী আনজুয়ারা বেগম বলেন, ‘হালকা বৃষ্টি থাকলেও বন্যার পানি আস্তে আস্তে কমতে শুরু করেছে। কিন্তু বাড়ির চারপাশে পানি এখনো সরে নাই। গ্রামের লোকজনদের বাড়ির বাইরে যাতায়াতে কলার ভেলা অথবা কাপড় ভিজিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। নৌকায় করে অনেকেই ত্রাণ দিয়ে গেছেন। এতে আমগর মতো পানিবন্দী মানুষের খুবই উপকার হয়েছে।’
নেত্রকোনায় বৃষ্টি না হওয়ায় স্বস্তি
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার সোমেশ্বরী নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। নিম্নাঞ্চলের পানি কমছে, তবে ধীরে ধীরে। গত মঙ্গলবার এবং গতকাল বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দেখা দিয়েছে। তবে বিশুদ্ধ পানি, খাদ্য ও গোখাদ্যের সংকট বাড়ছে। বন্যায় উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়েছিল। তাদের বেশির ভাগ এখনো পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাদের ঘরে ও বাড়ির আঙিনা থেকে পানি নেমেছে।
আদমপুর গ্রামের বাসিন্দা নুরুল হক বলেন, ‘এখন বৃষ্টি নেই, পানিও একটু একটু কমছে। কিন্তু আমাদের চলাচলের রাস্তাগুলো এখনো পানির নিচে। নতুন করে আবার বৃষ্টি না হলে পানি বাড়বে না মনে হচ্ছে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। নদীর পানিও দ্রুতগতিতে কমছে।
যমুনার পানি বেড়ে সিরাজগঞ্জের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে গতকালও বেড়েছে যমুনা নদীর পানি। যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ৬ সেন্টিমিটার ও কাজীপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বেড়েছে। পানি বাড়ার কারণে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তবে আগামী দু-এক দিনের মধ্যে পানি কমতে শুরু করবে বলে পাউবো সূত্রে জানা গেছে।
পাউবোর পানি পরিমাপক হাসানুজ্জামান জানান, টানা পাঁচ দিন ধরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পাঁচ দিনে কাজীপুর পয়েন্টে ৯৩ ও শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় ৯০ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এতে নদীতীরবর্তী অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। যমুনা নদীর পানি বাড়লেও এখনো বিপৎসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৭ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০৭ জন রোগী।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অফ পার্টিস-২৯(কপ২৯)’ শীর্ষক বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগেবিচারপতি এম এ মতিন বলেছেন, ‘জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে দেশ পরিচালিত হবে—এটাই স্বাভাবিক, এর কোনো ব্যত্যয় হওয়া উচিত নয়। কিন্তু দেশের ন্যূনতম কোনো সংস্কার না করে রাজনীতিবিদদের হাতে ছেড়ে দেওয়া অনেকে নিরাপদ বোধ করছে না। ভালো নির্বাচন হলেও স্বৈরতন্ত্র আসবে না, তার গ্যারান্টি নেই
১৫ ঘণ্টা আগে