মিয়ানমারের ২৮৮ বিজিপি সেনার ফেরার আনুষ্ঠানিকতা শুরু 

কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯: ৪৪

মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া দেশটির ২৮৮ জন নাগরিককে ফিরিয়ে নেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের ২৮৮ বিজিপি ও সেনাসদস্যসহ অন্য নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে একটি জাহাজ এসেছে। চিন ডুইন নামের এই জাহাজে মিয়ানমার সরকারের কয়েকজন কর্মকর্তা এসেছেন। এই কর্মকর্তারা বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ক্যাম্পে অবস্থানরত মিয়ানমারের নাগরিকদের দ্রুত শনাক্ত করা ও অন্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমার দূতাবাস ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে ২৮৮ ব্যক্তিকে হস্তান্তর করা হবে।

মন্ত্রণালয় জানায়, পুরো প্রক্রিয়াটি আগামীকাল বৃহস্পতিবার অথবা প্রয়োজনে পরদিন শুক্রবারের মধ্যে সম্পন্ন হবে। এরপর জাহাজটি বাংলাদেশ ত্যাগ করবে। এই ২৮৮ ব্যক্তিসহ বাংলাদেশ চলতি বছর এ পর্যন্ত মিয়ানমারের ছয় শতের অধিক বিজিপি ও সামরিক বাহিনীর সদস্যকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দিয়েছে। তাঁদের দেশটিতে ফেরার ব্যবস্থা করেছে।

একই জাহাজে বাংলাদেশের ১৭৩ নাগরিক মিয়ানমার থেকে আজ দেশে ফিরেছেন। মিয়ানমার থেকে রওনা হওয়ার আগেই তাঁদের পরিচয় ও নাগরিকত্ব বাংলাদেশ সরকার যাচাই করে। এই ১৭৩ বাংলাদেশির বেশির ভাগ সাগরে ও নাফ নদীতে মাছ ধরার সময় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীদের দ্বারা আটক হন। কেউ কেউ জেলে ছিলেন।

কক্সবাজার সদরের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল জেটিঘাটে উপস্থিত থেকে আগত বাংলাদেশি নাগরিকদের অভ্যর্থনা জানান। এরপর ইমিগ্রেশন ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানায়, অন্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পর ১৭৩ ব্যক্তিকে তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরাসরি সমুদ্রপথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ঐতিহাসিক যুগে বাংলাদেশ-পাকিস্তান, শঙ্কায় ভারত

হাসিনা ক্ষমতা ছাড়ার পর দেশ ‘মবের মুল্লুক’: সামিনা লুৎফা

বাংলাদেশের বন্দরে পাকিস্তানের কার্গো জাহাজ, ‘ঐতিহাসিক’ বলা হচ্ছে যে কারণে

পরশুরামে ছুরিকাঘাতে তরুণ নিহত

নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সংলাপ শুরু কাল, চলবে পুরো নভেম্বর

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত