নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা গত দুই বছর হজে যেতে পারেনি। সংক্রমণ কমার পরে এবারের হজে অংশ নিতে পারবেন বাংলাদেশিরা। আজ শুক্রবার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি হজযাত্রীদের কাছে বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং হজ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ দোয়া চান প্রধানমন্ত্রী। আশকোনার হজক্যাম্পে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
হজযাত্রীদের প্রতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যাঁরা আল্লাহর মেহমান হয়ে হজ পালন করতে যাচ্ছেন, তাঁদের কাছে এইটুকুই আবেদন করব, আপনারা বাংলাদেশের জনগণের জন্য দোয়া করবেন। সেই সঙ্গে আমি আমার যে আপনজন হারিয়েছি, তাদের জন্যও দোয়া করবেন।’
করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর হজে যাওয়া বন্ধ ছিল। এখন করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে, তাই হজে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সৌদি বাদশাহকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
হাজিরা যাতে সুষ্ঠুভাবে ইবাদত করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের কর্তব্য বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। হাজিদের প্রতি দেশের মানুষের জন্য দোয়া করতে অনুরোধ করেন তিনি। বলেন, ‘এই করোনাভাইরাসের মতো প্রাদুর্ভাব থেকে যাতে বিশ্ব রক্ষা পায়, মানব জাতি রক্ষা পায়, সেই সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণও যাতে রক্ষা পায়, সেই দোয়াও করবেন।’
হজযাত্রা সহজ করার জন্য বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি বিমানে করে হাজিদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ডেডিকেটেড সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।’
হজযাত্রীদের সৌদি আরবের নিয়মকানুন ও আইন মেনে চলতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘হজে সবাই আইন মেনে চলবেন। কারণ নিজের ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি দেশের মান-সম্মান রক্ষা করাও সবার কর্তব্য। সেই কথাটা মাথায় রাখবেন।’
হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখার অনুরোধ করেন সরকারপ্রধান। বলেন, ‘আজকে যে উন্নয়ন হচ্ছে, সেই পথে যাতে এগিয়ে যেতে পারি, দেশের প্রতিটি নাগরিক তাদের সব অধিকার ও সুন্দর জীবন পায় সেই জন্য দোয়া করবেন।’
ইসলাম শান্তি, পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ধর্মের সম্মান বজায় রাখা আমাদের কর্তব্য।’
সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য হজ ও ওমরা আইন, ২০২১ সরকার প্রণয়ন করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘হজযাত্রীরা যাতে কোনো রকম হয়রানি ছাড়া হজে যেতে পারেন, হজ পালন করতে পারেন, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি।’
অনেকগুলো ব্যবস্থা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকেই নিয়েছেন বলে জানান সরকার প্রধান।
ইসলাম ধর্ম প্রচার ও প্রসারের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বলেন, ‘বেতার ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠান শুরু ও সমাপ্তিতে কোরআন তিলাওয়াতের প্রচলনটাও করেন।’
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী আশকোনা হজ ক্যাম্পে থাকা এক হজযাত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি আপনাদের মনের আশা পূর্ণ হবে। অনেক ভালো লাগল আপনাদের সঙ্গে কথা বলে। কিন্তু আমি দুঃখিত আসতে পারলাম না। করোনার কারণে আমাকে অনেক জায়গায় যেতে দেওয়া হয় না। সেই জন্য সীমিত আকারে যেতে হয়। যত দূরেই থাকি না কেন, এটা মনে রাখবেন, আপনারা আমার অন্তরে আছেন।’
পরে দেশবাসীর কল্যাণে মোনাজাত করা হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্মসচিব কাজী এনামুল হাসান।
করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা গত দুই বছর হজে যেতে পারেনি। সংক্রমণ কমার পরে এবারের হজে অংশ নিতে পারবেন বাংলাদেশিরা। আজ শুক্রবার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি হজযাত্রীদের কাছে বাংলাদেশের মানুষের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় এবং হজ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ দোয়া চান প্রধানমন্ত্রী। আশকোনার হজক্যাম্পে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
হজযাত্রীদের প্রতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যাঁরা আল্লাহর মেহমান হয়ে হজ পালন করতে যাচ্ছেন, তাঁদের কাছে এইটুকুই আবেদন করব, আপনারা বাংলাদেশের জনগণের জন্য দোয়া করবেন। সেই সঙ্গে আমি আমার যে আপনজন হারিয়েছি, তাদের জন্যও দোয়া করবেন।’
করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর হজে যাওয়া বন্ধ ছিল। এখন করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে, তাই হজে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে। এই সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সৌদি বাদশাহকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
হাজিরা যাতে সুষ্ঠুভাবে ইবাদত করতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের কর্তব্য বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। হাজিদের প্রতি দেশের মানুষের জন্য দোয়া করতে অনুরোধ করেন তিনি। বলেন, ‘এই করোনাভাইরাসের মতো প্রাদুর্ভাব থেকে যাতে বিশ্ব রক্ষা পায়, মানব জাতি রক্ষা পায়, সেই সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণও যাতে রক্ষা পায়, সেই দোয়াও করবেন।’
হজযাত্রা সহজ করার জন্য বর্তমান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি বিমানে করে হাজিদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ডেডিকেটেড সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।’
হজযাত্রীদের সৌদি আরবের নিয়মকানুন ও আইন মেনে চলতে হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘হজে সবাই আইন মেনে চলবেন। কারণ নিজের ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি দেশের মান-সম্মান রক্ষা করাও সবার কর্তব্য। সেই কথাটা মাথায় রাখবেন।’
হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখার অনুরোধ করেন সরকারপ্রধান। বলেন, ‘আজকে যে উন্নয়ন হচ্ছে, সেই পথে যাতে এগিয়ে যেতে পারি, দেশের প্রতিটি নাগরিক তাদের সব অধিকার ও সুন্দর জীবন পায় সেই জন্য দোয়া করবেন।’
ইসলাম শান্তি, পবিত্র ও সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ধর্মের সম্মান বজায় রাখা আমাদের কর্তব্য।’
সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য হজ ও ওমরা আইন, ২০২১ সরকার প্রণয়ন করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘হজযাত্রীরা যাতে কোনো রকম হয়রানি ছাড়া হজে যেতে পারেন, হজ পালন করতে পারেন, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি।’
অনেকগুলো ব্যবস্থা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকেই নিয়েছেন বলে জানান সরকার প্রধান।
ইসলাম ধর্ম প্রচার ও প্রসারের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বলেন, ‘বেতার ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠান শুরু ও সমাপ্তিতে কোরআন তিলাওয়াতের প্রচলনটাও করেন।’
উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী আশকোনা হজ ক্যাম্পে থাকা এক হজযাত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি আপনাদের মনের আশা পূর্ণ হবে। অনেক ভালো লাগল আপনাদের সঙ্গে কথা বলে। কিন্তু আমি দুঃখিত আসতে পারলাম না। করোনার কারণে আমাকে অনেক জায়গায় যেতে দেওয়া হয় না। সেই জন্য সীমিত আকারে যেতে হয়। যত দূরেই থাকি না কেন, এটা মনে রাখবেন, আপনারা আমার অন্তরে আছেন।’
পরে দেশবাসীর কল্যাণে মোনাজাত করা হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্মসচিব কাজী এনামুল হাসান।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
১ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৩ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৩ ঘণ্টা আগে