নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে যে আকাঙ্ক্ষা জেগে উঠেছে, তার প্রতিফলন সংস্কারকৃত সংবিধানে ফুটে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অংশীজনেরা। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশনের সঙ্গে গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অংশীজনেরা এ প্রত্যাশা জানিয়েছেন। সংস্কার কমিশন গতকাল বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সংস্কৃতিকর্মী, গবেষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সংবিধান সম্পূর্ণ নতুন করে লেখা ও সংশোধন করা উভয় ধরনের মতামত এসেছে।
জাতীয় সংসদ ভবনের ক্যাবিনেট কক্ষে সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভাটি হয়। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা দেড়টা ও দুপুর আড়াইটা থেকে ৪টা পর্যন্ত দুই দফায় মতবিনিময় চলে। ১১ নভেম্বর থেকে সংবিধান সংস্কার নিয়ে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। গতকাল ছিল সংশ্লিষ্ট কমিশনের পঞ্চম দিনের বৈঠক।
সূত্রে জানা গেছে, সভায় কেউ কেউ বিদ্যমান সংবিধান বাদ দিয়ে নতুন করে রচনার কথা বলেছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে সংস্কারের কথা। সংবিধান নতুন করে লেখা বা সংশোধনের কাজটি কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সে প্রশ্নও আলোচনায় এসেছে।
বৈঠকে সংবিধান সংস্কার বা যেসব প্রস্তাব আসবে, সেগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে করা হবে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ বলে মত দিয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমান সরকারই বিদ্যমান সংবিধানের আলোকে আছে। নতুন সংবিধান রচনার জন্য গণপরিষদ করা তথা সংবিধান পুনর্লিখন করতে গেলে জটিলতা তৈরি হতে পারে। তাঁর মতে, সংস্কার প্রস্তাবগুলো তৈরি করার পর নির্বাচিত সরকার তা বাস্তবায়ন করবে।
বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে গণভোটের বিধান বাতিল করে মৌলিক বিষয়ে জনগণের মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। গণভোটের বিধান পুনর্বহাল করা উচিত।
সংস্কৃতিকর্মী অরূপ রাহী আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি সংবিধানে মানুষের অধিকার ও মর্যাদার প্রসঙ্গ ভালোভাবে থাকার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে বহু ভাষা, বহু ধর্ম ও সংস্কৃতির সমাজ এবং রাষ্ট্র, তাকে যেন সংবিধানের বনিয়াদ হিসেবে গ্রহণ করা হয় সে প্রস্তাব ছিল তার।
লেখক-গবেষক মাহা মির্জা বলেন, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষার বিস্ফোরণ ঘটেছে, তাকে বুঝতে হবে। সংবিধানে তার প্রতিফলন থাকতে হবে। সভায় এ পরামর্শই দিয়েছেন তিনি। মাহা মির্জা আরও বলেন, তিনি সংবিধানে কর্মসংস্থানের অধিকার, সম্পত্তির অধিকার—এই বিষয়গুলোকে আরও বিস্তৃত ও সুনির্দিষ্ট করার প্রস্তাব দিয়েছেন। যেমন, সরকার চাইলেই যেন জনস্বার্থের নাম করে কৃষকের জমি অধিগ্রহণ করে ফেলতে না পারে।
চাকমা সম্প্রদায়ের সদস্য মানবাধিকারকর্মী ইলিরা দেওয়ান বলেন, ‘বাংলাদেশ বহু জাতি, বহু ভাষা ও বহু সংস্কৃতির দেশ। তাই আমি বলেছি, বাংলা ছাড়া অন্য যেসব মাতৃভাষা রয়েছে, সেগুলোর যেন স্বীকৃতি দেওয়া হয় সংবিধানে।’
তরুণ লেখক সারোয়ার তুষার সংবিধান পুনর্লিখনের প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র ঘোষণা, নতুন সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা খর্ব করা ও তার অভিশংসনের ব্যবস্থা রাখাসহ কিছু সুপারিশ করেছেন।
আইনজীবী আরিফ খান বলেন, অতীতে দুটো জিনিসের অভাবে সংবিধান কাজ করেনি। একটা হলো সাংবিধানিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট শক্ত বিধান না থাকা। দ্বিতীয়টি হলো জবাবদিহি নিশ্চিতের কোনো ব্যবস্থা নেই। এই দুটো জিনিস ঠিক হলেই বর্তমান সংবিধানকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংশোধন করেই কার্যকর সংবিধানে রূপান্তর করা সম্ভব।
মতবিনিময় সভায় তরুণ বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকারকর্মী ও সংস্কৃতিকর্মীদের মধ্যে আরও মত দেন সাইয়েদ আবদুল্লাহ, দীপক কুমার গোস্বামী, সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর, ইমরান মাহফুজ, সৈয়দ নিজার প্রমুখ।
সভায় অংশ নেওয়া পেশাভিত্তিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নাসরিন বেগম, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের অন্তর্বর্তী কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো. কবীর হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতিরসহ সভাপ্রধান অঞ্জন দাস, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের প্রেসিডেন্ট চৌধুরী আশিকুল আলম, ইন্ডিজেনাস পিপলস নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড বায়োডাইভারসিটির (বিপনেট) সদস্য জিডিশন প্রধান সুচিয়াং, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সদস্য নিরুপা দেওয়ান হরি পূর্ণ ত্রিপুরা প্রমুখ।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে যে আকাঙ্ক্ষা জেগে উঠেছে, তার প্রতিফলন সংস্কারকৃত সংবিধানে ফুটে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অংশীজনেরা। অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত সংবিধান সংস্কার কমিশনের সঙ্গে গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অংশীজনেরা এ প্রত্যাশা জানিয়েছেন। সংস্কার কমিশন গতকাল বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন, সংস্কৃতিকর্মী, গবেষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সংবিধান সম্পূর্ণ নতুন করে লেখা ও সংশোধন করা উভয় ধরনের মতামত এসেছে।
জাতীয় সংসদ ভবনের ক্যাবিনেট কক্ষে সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভাটি হয়। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা দেড়টা ও দুপুর আড়াইটা থেকে ৪টা পর্যন্ত দুই দফায় মতবিনিময় চলে। ১১ নভেম্বর থেকে সংবিধান সংস্কার নিয়ে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। গতকাল ছিল সংশ্লিষ্ট কমিশনের পঞ্চম দিনের বৈঠক।
সূত্রে জানা গেছে, সভায় কেউ কেউ বিদ্যমান সংবিধান বাদ দিয়ে নতুন করে রচনার কথা বলেছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে সংস্কারের কথা। সংবিধান নতুন করে লেখা বা সংশোধনের কাজটি কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে সে প্রশ্নও আলোচনায় এসেছে।
বৈঠকে সংবিধান সংস্কার বা যেসব প্রস্তাব আসবে, সেগুলোর বাস্তবায়ন কীভাবে করা হবে, সেটি গুরুত্বপূর্ণ বলে মত দিয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমান সরকারই বিদ্যমান সংবিধানের আলোকে আছে। নতুন সংবিধান রচনার জন্য গণপরিষদ করা তথা সংবিধান পুনর্লিখন করতে গেলে জটিলতা তৈরি হতে পারে। তাঁর মতে, সংস্কার প্রস্তাবগুলো তৈরি করার পর নির্বাচিত সরকার তা বাস্তবায়ন করবে।
বিএফইউজে মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে গণভোটের বিধান বাতিল করে মৌলিক বিষয়ে জনগণের মতপ্রকাশের অধিকার খর্ব করা হয়েছে। গণভোটের বিধান পুনর্বহাল করা উচিত।
সংস্কৃতিকর্মী অরূপ রাহী আজকের পত্রিকাকে বলেন, তিনি সংবিধানে মানুষের অধিকার ও মর্যাদার প্রসঙ্গ ভালোভাবে থাকার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে বহু ভাষা, বহু ধর্ম ও সংস্কৃতির সমাজ এবং রাষ্ট্র, তাকে যেন সংবিধানের বনিয়াদ হিসেবে গ্রহণ করা হয় সে প্রস্তাব ছিল তার।
লেখক-গবেষক মাহা মির্জা বলেন, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষার বিস্ফোরণ ঘটেছে, তাকে বুঝতে হবে। সংবিধানে তার প্রতিফলন থাকতে হবে। সভায় এ পরামর্শই দিয়েছেন তিনি। মাহা মির্জা আরও বলেন, তিনি সংবিধানে কর্মসংস্থানের অধিকার, সম্পত্তির অধিকার—এই বিষয়গুলোকে আরও বিস্তৃত ও সুনির্দিষ্ট করার প্রস্তাব দিয়েছেন। যেমন, সরকার চাইলেই যেন জনস্বার্থের নাম করে কৃষকের জমি অধিগ্রহণ করে ফেলতে না পারে।
চাকমা সম্প্রদায়ের সদস্য মানবাধিকারকর্মী ইলিরা দেওয়ান বলেন, ‘বাংলাদেশ বহু জাতি, বহু ভাষা ও বহু সংস্কৃতির দেশ। তাই আমি বলেছি, বাংলা ছাড়া অন্য যেসব মাতৃভাষা রয়েছে, সেগুলোর যেন স্বীকৃতি দেওয়া হয় সংবিধানে।’
তরুণ লেখক সারোয়ার তুষার সংবিধান পুনর্লিখনের প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র ঘোষণা, নতুন সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা খর্ব করা ও তার অভিশংসনের ব্যবস্থা রাখাসহ কিছু সুপারিশ করেছেন।
আইনজীবী আরিফ খান বলেন, অতীতে দুটো জিনিসের অভাবে সংবিধান কাজ করেনি। একটা হলো সাংবিধানিক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট শক্ত বিধান না থাকা। দ্বিতীয়টি হলো জবাবদিহি নিশ্চিতের কোনো ব্যবস্থা নেই। এই দুটো জিনিস ঠিক হলেই বর্তমান সংবিধানকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সংশোধন করেই কার্যকর সংবিধানে রূপান্তর করা সম্ভব।
মতবিনিময় সভায় তরুণ বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকারকর্মী ও সংস্কৃতিকর্মীদের মধ্যে আরও মত দেন সাইয়েদ আবদুল্লাহ, দীপক কুমার গোস্বামী, সংগীতশিল্পী আসিফ আকবর, ইমরান মাহফুজ, সৈয়দ নিজার প্রমুখ।
সভায় অংশ নেওয়া পেশাভিত্তিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান নাসরিন বেগম, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের অন্তর্বর্তী কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মো. কবীর হোসেন, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতিরসহ সভাপ্রধান অঞ্জন দাস, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের প্রেসিডেন্ট চৌধুরী আশিকুল আলম, ইন্ডিজেনাস পিপলস নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড বায়োডাইভারসিটির (বিপনেট) সদস্য জিডিশন প্রধান সুচিয়াং, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সদস্য নিরুপা দেওয়ান হরি পূর্ণ ত্রিপুরা প্রমুখ।
রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন অংশীজনের পক্ষ থেকে সংস্কারের ক্ষেত্রে সরকারকে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়ার প্রশ্নে ধৈর্যের ঘাটতি লক্ষণীয়। গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ ও হুমকি-হামলাসহ কোনো কোনো গণমাধ্যম
১১ মিনিট আগেছাত্র–জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার থাকা ৯ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে আজ সোমবার হাজির করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। সকাল পৌনে ১০ টার দিকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তাদের হাজির করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন নতুন সংবিধানে সরকারের মেয়াদ চার বছর হতে পারে। তাই তাঁদের সরকারের মেয়াদ অবশ্যই চার বছরের কম হবে। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলো যদি চায় সংস্কার বাদ দিয়ে নির্বাচন দেওয়া হোক তাহলে সেটাও করা হবে।
২ ঘণ্টা আগেসাংবাদিক ড. মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ২০১৩ সালের গণজাগরণ মঞ্চের ওপর ভিত্তি করে শেখ হাসিনা পরবর্তী ১৩ বছর দেশের মানুষের ওপর সবকিছু চাপিয়ে দিয়েছিল। এতে সাহায্য করেছিল ভারত। বাংলাদেশকে ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল। ভারত চেয়েছিল বাংলাদেশকে হাতের মুঠোয় রাখার জন্য।’
১২ ঘণ্টা আগে