বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশের স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে চলে গেছেন। ফলে স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় সরকারের ৮৮৮ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করা হয়েছে।
গত দুই দিনে অপসারিত এই জনপ্রতিনিধিরা ছিলেন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তবে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কাউন্সিলর, জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানরা বহাল রয়েছেন। কিন্তু মেয়র-চেয়ারম্যানদের অপসারণের ফলে স্থানীয় সরকারের এসব প্রতিষ্ঠান নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ল।
অবশ্য স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়নি। তবে গতকাল সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগ এক পরিপত্রে বলেছে, অনেক ইউপি চেয়ারম্যান কর্মস্থলে যোগ দিচ্ছেন না। তাঁদের অনুপস্থিতিতে প্যানেল চেয়ারম্যানকে আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব দিতে পারবেন বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসকেরা। প্যানেল মেয়রের অবর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিংবা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ক্ষমতা অর্পণ করে জনসেবা অব্যাহত রাখতে হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্থানীয় সরকারের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম সচল রাখতে মেয়র-চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, এটি সমগ্র স্থানীয় সরকারকে পরিচ্ছন্ন করার একটি প্রচেষ্টা।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পৃথক আদেশে ৮৮৮ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করে। গতকাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অপসারণ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর ১৩(ঘ) ধারা প্রয়োগ করে দেশের ৪৯৩ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে নিজ নিজ থেকে অপসারণ করা হলো। প্রজ্ঞাপনে মৃত্যুর কারণে খুলনার কয়রা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়। অপসারণ করা চেয়ারম্যানদের স্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অন্য প্রজ্ঞাপনে ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়। গত রোববার এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। মৃত্যু হওয়ার কারণে নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়। ৬১টি জেলা পরিষদেই প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচিত ৩২৩ পৌরসভা মেয়রকে অপসারণ করে রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর ধারা ৩২(ক) প্রয়োগ করে পৌরসভার মেয়রদের নিজ নিজ পদ থেকে অপসারণ করা হলো।
দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকেও অপসারণ করে গতকাল প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সিটি করপোরেশনগুলো হলো ঢাকা দক্ষিণ, ঢাকা উত্তর, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রংপুর, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ। এই সিটির মেয়রদের স্থলে প্রশাসক বসানো হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হলেও কাউন্সিলরদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রশাসক থাকলে কাউন্সিলররা দায়িত্ব পালন করবেন কি করবেন না, সেটা এখন তাঁদের ব্যাপার। মূলকথা হচ্ছে, মেয়র এবং চেয়ারম্যানের জায়গায় প্রশাসক দায়িত্ব পালন করবেন।
এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ‘আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করব। এখানে মারমার, কাটকাটের কোনো বিষয় নেই। এটি সমগ্র স্থানীয় সরকারকে পরিচ্ছন্ন করার একটি প্রচেষ্টা।’
এর আগে গত শুক্রবার ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। পরে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়।
ওই সংশোধনীর ফলে বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।
ইউপি চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব বণ্টন: গতকাল স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদারের সই করা পরিপত্রে বলা হয়, কতিপয় ইউপি চেয়ারম্যান বর্তমানে ধারাবাহিকভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের জনসেবাসহ সাধারণ কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। উদ্ভূত অসুবিধাগুলো দূর করতে জারি করা আদেশে বলা হয়, অনুপস্থিত চেয়ারম্যানদের কাজ পরিচালনা এবং জনসেবা অব্যাহত রাখার জন্য স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩৩, ১০১ এবং ১০২ অনুযায়ী বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসক নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যানকে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করতে পারবেন। প্যানেল চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে অথবা যেকোনো জটিলতা দেখা দিলে আইনের ধারা ১০১ ও ১০২ প্রয়োগ করে বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসক নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে তাঁর অধীনস্থ কর্মকর্তা, যেমন ইউএনও বা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইউপিগুলোকে সচল রেখে জনসেবা অব্যাহত রাখবেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারা দেশের স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে চলে গেছেন। ফলে স্থানীয় সরকারের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় সরকারের ৮৮৮ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করা হয়েছে।
গত দুই দিনে অপসারিত এই জনপ্রতিনিধিরা ছিলেন সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তবে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কাউন্সিলর, জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানরা বহাল রয়েছেন। কিন্তু মেয়র-চেয়ারম্যানদের অপসারণের ফলে স্থানীয় সরকারের এসব প্রতিষ্ঠান নেতৃত্বশূন্য হয়ে পড়ল।
অবশ্য স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন স্তর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়নি। তবে গতকাল সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগ এক পরিপত্রে বলেছে, অনেক ইউপি চেয়ারম্যান কর্মস্থলে যোগ দিচ্ছেন না। তাঁদের অনুপস্থিতিতে প্যানেল চেয়ারম্যানকে আর্থিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব দিতে পারবেন বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসকেরা। প্যানেল মেয়রের অবর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কিংবা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ক্ষমতা অর্পণ করে জনসেবা অব্যাহত রাখতে হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্থানীয় সরকারের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম সচল রাখতে মেয়র-চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, এটি সমগ্র স্থানীয় সরকারকে পরিচ্ছন্ন করার একটি প্রচেষ্টা।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ পৃথক আদেশে ৮৮৮ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণ করে। গতকাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অপসারণ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর ১৩(ঘ) ধারা প্রয়োগ করে দেশের ৪৯৩ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে নিজ নিজ থেকে অপসারণ করা হলো। প্রজ্ঞাপনে মৃত্যুর কারণে খুলনার কয়রা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়। অপসারণ করা চেয়ারম্যানদের স্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করবেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অন্য প্রজ্ঞাপনে ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়। গত রোববার এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। মৃত্যু হওয়ার কারণে নাটোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়। ৬১টি জেলা পরিষদেই প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচিত ৩২৩ পৌরসভা মেয়রকে অপসারণ করে রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর ধারা ৩২(ক) প্রয়োগ করে পৌরসভার মেয়রদের নিজ নিজ পদ থেকে অপসারণ করা হলো।
দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকেও অপসারণ করে গতকাল প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সিটি করপোরেশনগুলো হলো ঢাকা দক্ষিণ, ঢাকা উত্তর, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, রংপুর, গাজীপুর ও ময়মনসিংহ। এই সিটির মেয়রদের স্থলে প্রশাসক বসানো হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সিটি করপোরেশনগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হলেও কাউন্সিলরদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রশাসক থাকলে কাউন্সিলররা দায়িত্ব পালন করবেন কি করবেন না, সেটা এখন তাঁদের ব্যাপার। মূলকথা হচ্ছে, মেয়র এবং চেয়ারম্যানের জায়গায় প্রশাসক দায়িত্ব পালন করবেন।
এ এফ হাসান আরিফ বলেন, ‘আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করব। এখানে মারমার, কাটকাটের কোনো বিষয় নেই। এটি সমগ্র স্থানীয় সরকারকে পরিচ্ছন্ন করার একটি প্রচেষ্টা।’
এর আগে গত শুক্রবার ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া অনুমোদন করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। পরে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়।
ওই সংশোধনীর ফলে বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্যাবশ্যক বিবেচনা করলে সরকার জনস্বার্থে কোনো সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং কাউন্সিলরকে অপসারণ করতে পারবে। একইভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সদস্য এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণ করতে পারবে। একই সঙ্গে এগুলোতে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে সরকার।
ইউপি চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব বণ্টন: গতকাল স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদারের সই করা পরিপত্রে বলা হয়, কতিপয় ইউপি চেয়ারম্যান বর্তমানে ধারাবাহিকভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন। ফলে ইউনিয়ন পরিষদের জনসেবাসহ সাধারণ কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। উদ্ভূত অসুবিধাগুলো দূর করতে জারি করা আদেশে বলা হয়, অনুপস্থিত চেয়ারম্যানদের কাজ পরিচালনা এবং জনসেবা অব্যাহত রাখার জন্য স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩৩, ১০১ এবং ১০২ অনুযায়ী বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসক নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যানকে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করতে পারবেন। প্যানেল চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে অথবা যেকোনো জটিলতা দেখা দিলে আইনের ধারা ১০১ ও ১০২ প্রয়োগ করে বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসক নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে তাঁর অধীনস্থ কর্মকর্তা, যেমন ইউএনও বা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইউপিগুলোকে সচল রেখে জনসেবা অব্যাহত রাখবেন।
দেশে গত ১৫ বছরে ৮২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু ক্যাপাসিটি চার্জই (কেন্দ্রভাড়া) নিয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া বিনা দরপত্রে কেন্দ্র দেওয়ায় বিদ্যুতের দামও পড়েছে বেশি। সেই বাড়তি দাম গিয়ে পড়েছে সাধারণ ভোক্তার কাঁধে।
১৯ মিনিট আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৮ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০৭ জন রোগী।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অফ পার্টিস-২৯(কপ২৯)’ শীর্ষক বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে