নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কোটাবিরোধী আন্দোলন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ অ্যাকশন নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, এ আন্দোলনে নেতৃত্ব তারেক রহমান নিয়ে নিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে কোটা আন্দোলনকারীরা সারা দেশে কর্মসূচি পালনের সুযোগ পেয়েছে কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা প্রশাসনিক দুর্বলতা না, আমরা ধৈর্য ধরছি। ধৈর্য ধরা মানে, দুর্বলতা না। আমরা জোর করে আন্দোলনের ওপর চড়াও হলে—তখন আপনি কি প্রশ্ন করতেন? আমরা ধৈর্য ধরছি। সময়মতো সবকিছুই দেখবেন, সময়মতো যথাযথ অ্যাকশন নেওয়া হবে।’
আন্দোলনকারীদের আদালতের চূড়ান্ত রায় আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে যারা ক্ষমতার মঞ্চের পরিবর্তনের দিবা স্বপ্ন দেখছেন তা অচিরেই কর্পূরের মতো উবে যাবে। যে আন্দোলনের জনগণের সম্পৃক্ত নেই। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে যে আন্দোলন টার্গেট করে, মুক্তিযুদ্ধকে টার্গেট করে, মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস উপস্থাপন করে। সেই আন্দোলন আমরা মোকাবিলা করব, প্রতিহত করব এবং পরাস্ত করব। আন্দোলনের নামে জনজীবনে কোনো প্রকার দুর্ভোগ সরকার মেনে নেবে না। আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অবমাননা আমরা বেঁচে থাকতে সহ্য করব না।’
নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার জন্য দেশ-বিদেশে নানা রকম ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটাকেও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে। আদালতের রায় বলপ্রয়োগের মাধ্যমে পরিবর্তন করার চেষ্টা হচ্ছে। এসবের পেছনে একটি মতলবি মহল আছে।’ এ সময় ২০১৮ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলনেও বিএনপি রাজনৈতিকভাবে জড়িয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন করেছিল বলে উল্লেখ করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘তারা সে আন্দোলনেও ব্যর্থ হয়। জনগণের অবস্থানের কাছে তারা পরাস্ত হতে বাধ্য হয়।’
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব তারেক রহমান নিয়েছেন বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘তাঁর দল বিএনপি প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন। একটি অরাজনৈতিক ইস্যুকে সমর্থন দিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপ দেওয়ার চক্রান্ত তাঁরা করছে। তারেক রহমান প্রতিনিয়তই বাংলাদেশে ২০১৩,১৪, ১৫ এবং ১৮ সালের এর মতো এ আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলন করার জন্য বিভিন্ন অপশক্তিকে লেলিয়ে দিয়েছে। বিএনপি জামায়াতের পাশাপাশি কিছু সমমনা দলও এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে একটা কথা বলেছিলেন, কোটা সুবিধা মুক্তিযুদ্ধের নাতিপুতিরা পাবে না তো রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে? এই কথাটাকে কীভাবে বিকৃত করা হচ্ছে? টকশোর উপস্থাপক পর্যন্ত এই কথাটিকে বিকৃত করে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে দেশের জনগণের মাঝে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপপ্রয়াস তারা করেছে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বা দেশবাসীর পক্ষের না ভেবে রাজাকার ভাবল কি করে? তাদের তো রাজাকার বলেনি। প্রধানমন্ত্রী তো কোটা আন্দোলনের কাউকে উদ্দেশ্য করে রাজাকার শব্দটি ব্যবহার করেননি। তাহলে এটা কেন হলো? এই আন্দোলনের একটা অংশ রাজাকারের পক্ষ অবলম্বন করছে এটা দিবালোকের মতো পরিষ্কার। এর পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। এর পেছনে আছে তারেক রহমান। এটা হচ্ছে কোটা বিরোধিতার নামে সরকারবিরোধী আন্দোলন।’
আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচিত করেছে বলেও দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান আন্দোলনকারীদের দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন।’ বিএনপি-জামায়াতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পাতায় তাদের কে কে স্পটে থাকবেন, নাশকতা চালাবে, গুপ্তহত্যার পরিকল্পনা করছে বলেও দাবি করেন তিনি। এ সময় মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলকে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধের অপশক্তির আস্ফালনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
কোটাবিরোধী আন্দোলন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ অ্যাকশন নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, এ আন্দোলনে নেতৃত্ব তারেক রহমান নিয়ে নিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
প্রশাসনের দুর্বলতার কারণে কোটা আন্দোলনকারীরা সারা দেশে কর্মসূচি পালনের সুযোগ পেয়েছে কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা প্রশাসনিক দুর্বলতা না, আমরা ধৈর্য ধরছি। ধৈর্য ধরা মানে, দুর্বলতা না। আমরা জোর করে আন্দোলনের ওপর চড়াও হলে—তখন আপনি কি প্রশ্ন করতেন? আমরা ধৈর্য ধরছি। সময়মতো সবকিছুই দেখবেন, সময়মতো যথাযথ অ্যাকশন নেওয়া হবে।’
আন্দোলনকারীদের আদালতের চূড়ান্ত রায় আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধরার অনুরোধ করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে যারা ক্ষমতার মঞ্চের পরিবর্তনের দিবা স্বপ্ন দেখছেন তা অচিরেই কর্পূরের মতো উবে যাবে। যে আন্দোলনের জনগণের সম্পৃক্ত নেই। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে যে আন্দোলন টার্গেট করে, মুক্তিযুদ্ধকে টার্গেট করে, মুক্তিযুদ্ধের বিকৃত ইতিহাস উপস্থাপন করে। সেই আন্দোলন আমরা মোকাবিলা করব, প্রতিহত করব এবং পরাস্ত করব। আন্দোলনের নামে জনজীবনে কোনো প্রকার দুর্ভোগ সরকার মেনে নেবে না। আন্দোলনের নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অবমাননা আমরা বেঁচে থাকতে সহ্য করব না।’
নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার জন্য দেশ-বিদেশে নানা রকম ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটাকেও বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে। আদালতের রায় বলপ্রয়োগের মাধ্যমে পরিবর্তন করার চেষ্টা হচ্ছে। এসবের পেছনে একটি মতলবি মহল আছে।’ এ সময় ২০১৮ সালের কোটাবিরোধী আন্দোলনেও বিএনপি রাজনৈতিকভাবে জড়িয়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন করেছিল বলে উল্লেখ করেন কাদের। তিনি বলেন, ‘তারা সে আন্দোলনেও ব্যর্থ হয়। জনগণের অবস্থানের কাছে তারা পরাস্ত হতে বাধ্য হয়।’
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্ব তারেক রহমান নিয়েছেন বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘তাঁর দল বিএনপি প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন। একটি অরাজনৈতিক ইস্যুকে সমর্থন দিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপ দেওয়ার চক্রান্ত তাঁরা করছে। তারেক রহমান প্রতিনিয়তই বাংলাদেশে ২০১৩,১৪, ১৫ এবং ১৮ সালের এর মতো এ আন্দোলনকে রাজনৈতিক আন্দোলন করার জন্য বিভিন্ন অপশক্তিকে লেলিয়ে দিয়েছে। বিএনপি জামায়াতের পাশাপাশি কিছু সমমনা দলও এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে একটা কথা বলেছিলেন, কোটা সুবিধা মুক্তিযুদ্ধের নাতিপুতিরা পাবে না তো রাজাকারের নাতিপুতিরা পাবে? এই কথাটাকে কীভাবে বিকৃত করা হচ্ছে? টকশোর উপস্থাপক পর্যন্ত এই কথাটিকে বিকৃত করে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে দেশের জনগণের মাঝে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপপ্রয়াস তারা করেছে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বা দেশবাসীর পক্ষের না ভেবে রাজাকার ভাবল কি করে? তাদের তো রাজাকার বলেনি। প্রধানমন্ত্রী তো কোটা আন্দোলনের কাউকে উদ্দেশ্য করে রাজাকার শব্দটি ব্যবহার করেননি। তাহলে এটা কেন হলো? এই আন্দোলনের একটা অংশ রাজাকারের পক্ষ অবলম্বন করছে এটা দিবালোকের মতো পরিষ্কার। এর পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত। এর পেছনে আছে তারেক রহমান। এটা হচ্ছে কোটা বিরোধিতার নামে সরকারবিরোধী আন্দোলন।’
আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচিত করেছে বলেও দাবি করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান আন্দোলনকারীদের দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন।’ বিএনপি-জামায়াতের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পাতায় তাদের কে কে স্পটে থাকবেন, নাশকতা চালাবে, গুপ্তহত্যার পরিকল্পনা করছে বলেও দাবি করেন তিনি। এ সময় মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলকে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধের অপশক্তির আস্ফালনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৫ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৬ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৭ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৭ ঘণ্টা আগে