কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকার ও রাজনীতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বেশ জোরালো। উভয় দেশের সরকারই পরস্পরকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। তবে বাহ্যিক কিছু উপাদান এই সম্পর্কে কিছু ঝুঁকি তৈরি করছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনায় এ ঝুঁকির প্রসঙ্গ উঠে আসে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ‘বাংলাদেশ-রাশিয়া রিলেশনস: ইমপেরাটিভ, পটেনশিয়াল অ্যান্ড রিস্ক’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। একই শিরোনামে এটি সংস্থাটি আয়োজিত তৃতীয় লেকচার। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) সাব্বির আহমেদ চৌধুরী।
সাব্বির আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ-রাশিয়ার বন্ধুত্ব গভীর। দুই দেশ বন্ধু হিসেবে দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়েছে। ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশ যে অবস্থান নিয়েছে, সেটা সবার জানা। এই ইস্যুতে জাতিসংঘে তিন প্রস্তাব আনা হয়। এর দুটিতে বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত ছিল। আরেকটি প্রস্তাবের পক্ষে বাংলাদেশ ভোট দিয়েছে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি “সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়”। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ তার সিদ্ধান্ত স্বাধীনভাবে নিয়ে থাকে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণ হওয়ার সুযোগ নেই। আগামী দিনে রাশিয়া-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব আরও বাড়বে বলে আমি আশা করি।’
সেমিনারে সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঢাকার রাশিয়া দূতাবাসের উপমিশন প্রধান একাতেরিনা সেমেনোভা। তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশ-রাশিয়ার মধ্যে ৩ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। তবে ইউক্রেন পরিস্থিতিতে সরবরাহ চেইন ও অর্থ স্থানান্তর যেন আমরা ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারি, সে লক্ষ্যে নতুনভাবে উদ্যোগ নিয়েছি। বাংলাদেশ যেমন ভাষার জন্য আন্দোলন করেছে। ঠিক সেভাবে ইউক্রেনের দনবাসের রুশভাষীরা দীর্ঘ দিন ধরে রুশ ভাষায় শিক্ষা থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজ করতে চায়। তবে সেখানে রাশিয়ান ভাষা ব্যবহারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি সবার জানা প্রয়োজন। ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকা ইতিবাচক।’
বিলিয়ার পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দা রোজানা রশিদ। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন দুই পরাশক্তি শীতল যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। তবে শীতল যুদ্ধে বাংলাদেশ লাভবান হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব উষ্ণ। তবে ১৯৭৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকে পড়ে। বর্তমানে দুই দেশ আবার উষ্ণ সম্পর্ক উপভোগ করছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জাতীয় স্বার্থে রাশিয়া কাজ করে উল্লেখ করে রোজানা রশিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য জ্বালানি, নিরাপত্তা, সামরিক সরঞ্জামসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। বাংলাদেশে রাশিয়া তাদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। চীন বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুতের প্রকল্পটি পেতে চেয়েছিল। তবে কোনো দেরি না করে রাশিয়া এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি সই করে।’
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সম্পর্কে বাহ্যিক উপাদান দ্বারা কিছু ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে এই শিক্ষক বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্কে কিছু ঝুঁকি রয়েছে। গত পাঁচ বছরে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে একাধিকবার সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের কারণে গণতন্ত্র ক্রমান্বয়ে সংকটগ্রস্ত হয়েছে। সম্প্রতি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হওয়ায় গণতন্ত্র আরও সংকটে পড়েছে। তবে রাশিয়া সেই নতুন সরকারকে সব দিক থেকে সমর্থন করেছে। আর বাংলাদেশের সরকারও রাশিয়াকে ক্রিমিয়া বা ইউক্রেন ইস্যুতে সমর্থন করে গেছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এ অধ্যাপক বলেন, ‘দুই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেশ ভালো। তবে এত কিছুর পরও রোহিঙ্গা সংকটে রাশিয়ার কাছ থেকে সমর্থন আদায়ে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছে। এর থেকে বোঝা যায় যে, বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ উপেক্ষা করে বড় শক্তিগুলো তাদের নিজস্ব স্বার্থে বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করে। বঙ্গোপসাগরে চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কারণে রাশিয়ার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বাংলাদেশকে আকর্ষণের কেন্দ্রে নিয়ে আসবে। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার এ সম্পর্ক অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উপাদান নিয়ন্ত্রণ করে। অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক সম্ভাবনার কথা বললেও বাহ্যিক কিছু উপাদান ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গবেষণা বিভাগের মহাপরিচালক নওরীন আহসান বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকেই গত ৫০ বছর বাংলাদেশ-রাশিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উপভোগ করছে। ১৯৭১-৭৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে অবদান রেখেছে রাশিয়া। ছয় হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রাশিয়া থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছে। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে অবদান রেখেছে। রাশিয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
বিলিয়ার চেয়ারম্যান এম আমির-উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) মহাপরিচালক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক রাজনীতিতে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যা দেশগুলোকে পক্ষ বেছে নিতে বাধ্য করছে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো অনেক দেশ রয়েছে, যারা কোনো পক্ষ নিতে চাইছে না। ফলে অনেক দিন ঘুমিয়ে থাকা জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন বা নন অ্যালায়েন্স মুভমেন্টকে (ন্যাম) আবারও জাগিয়ে তোলার সময় হয়েছে। এতে অংশ নিয়ে জোট-নিরপেক্ষ থাকতে পারবে দেশগুলো। আর এ প্রক্রিয়া বাংলাদেশই শুরু করতে পারে।’
সরকার ও রাজনীতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বেশ জোরালো। উভয় দেশের সরকারই পরস্পরকে নানাভাবে সহযোগিতা করছে। তবে বাহ্যিক কিছু উপাদান এই সম্পর্কে কিছু ঝুঁকি তৈরি করছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে আয়োজিত এক আলোচনায় এ ঝুঁকির প্রসঙ্গ উঠে আসে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ‘বাংলাদেশ-রাশিয়া রিলেশনস: ইমপেরাটিভ, পটেনশিয়াল অ্যান্ড রিস্ক’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। একই শিরোনামে এটি সংস্থাটি আয়োজিত তৃতীয় লেকচার। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পশ্চিম) সাব্বির আহমেদ চৌধুরী।
সাব্বির আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ-রাশিয়ার বন্ধুত্ব গভীর। দুই দেশ বন্ধু হিসেবে দীর্ঘ সময় পাড়ি দিয়েছে। ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশ যে অবস্থান নিয়েছে, সেটা সবার জানা। এই ইস্যুতে জাতিসংঘে তিন প্রস্তাব আনা হয়। এর দুটিতে বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত ছিল। আরেকটি প্রস্তাবের পক্ষে বাংলাদেশ ভোট দিয়েছে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি “সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়”। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ তার সিদ্ধান্ত স্বাধীনভাবে নিয়ে থাকে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণ হওয়ার সুযোগ নেই। আগামী দিনে রাশিয়া-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব আরও বাড়বে বলে আমি আশা করি।’
সেমিনারে সম্মানিত অতিথি ছিলেন ঢাকার রাশিয়া দূতাবাসের উপমিশন প্রধান একাতেরিনা সেমেনোভা। তিনি বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশ-রাশিয়ার মধ্যে ৩ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। তবে ইউক্রেন পরিস্থিতিতে সরবরাহ চেইন ও অর্থ স্থানান্তর যেন আমরা ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারি, সে লক্ষ্যে নতুনভাবে উদ্যোগ নিয়েছি। বাংলাদেশ যেমন ভাষার জন্য আন্দোলন করেছে। ঠিক সেভাবে ইউক্রেনের দনবাসের রুশভাষীরা দীর্ঘ দিন ধরে রুশ ভাষায় শিক্ষা থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজ করতে চায়। তবে সেখানে রাশিয়ান ভাষা ব্যবহারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি সবার জানা প্রয়োজন। ইউক্রেন ইস্যুতে বাংলাদেশের ভূমিকা ইতিবাচক।’
বিলিয়ার পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দা রোজানা রশিদ। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন দুই পরাশক্তি শীতল যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। তবে শীতল যুদ্ধে বাংলাদেশ লাভবান হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকেই রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব উষ্ণ। তবে ১৯৭৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ঝুঁকে পড়ে। বর্তমানে দুই দেশ আবার উষ্ণ সম্পর্ক উপভোগ করছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জাতীয় স্বার্থে রাশিয়া কাজ করে উল্লেখ করে রোজানা রশিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য জ্বালানি, নিরাপত্তা, সামরিক সরঞ্জামসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়িয়েছে রাশিয়া। বাংলাদেশে রাশিয়া তাদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। চীন বাংলাদেশে পরমাণু বিদ্যুতের প্রকল্পটি পেতে চেয়েছিল। তবে কোনো দেরি না করে রাশিয়া এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি সই করে।’
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সম্পর্কে বাহ্যিক উপাদান দ্বারা কিছু ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে এই শিক্ষক বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্কে কিছু ঝুঁকি রয়েছে। গত পাঁচ বছরে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের জন্মের পর থেকে একাধিকবার সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের কারণে গণতন্ত্র ক্রমান্বয়ে সংকটগ্রস্ত হয়েছে। সম্প্রতি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হওয়ায় গণতন্ত্র আরও সংকটে পড়েছে। তবে রাশিয়া সেই নতুন সরকারকে সব দিক থেকে সমর্থন করেছে। আর বাংলাদেশের সরকারও রাশিয়াকে ক্রিমিয়া বা ইউক্রেন ইস্যুতে সমর্থন করে গেছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এ অধ্যাপক বলেন, ‘দুই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বেশ ভালো। তবে এত কিছুর পরও রোহিঙ্গা সংকটে রাশিয়ার কাছ থেকে সমর্থন আদায়ে বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছে। এর থেকে বোঝা যায় যে, বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর স্বার্থ উপেক্ষা করে বড় শক্তিগুলো তাদের নিজস্ব স্বার্থে বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করে। বঙ্গোপসাগরে চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের কারণে রাশিয়ার সঙ্গে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বাংলাদেশকে আকর্ষণের কেন্দ্রে নিয়ে আসবে। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার এ সম্পর্ক অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উপাদান নিয়ন্ত্রণ করে। অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক সম্ভাবনার কথা বললেও বাহ্যিক কিছু উপাদান ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গবেষণা বিভাগের মহাপরিচালক নওরীন আহসান বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকেই গত ৫০ বছর বাংলাদেশ-রাশিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উপভোগ করছে। ১৯৭১-৭৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে অবদান রেখেছে রাশিয়া। ছয় হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রাশিয়া থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছে। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদে অবদান রেখেছে। রাশিয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছে।’
বিলিয়ার চেয়ারম্যান এম আমির-উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের (বিইআই) মহাপরিচালক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক রাজনীতিতে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে, যা দেশগুলোকে পক্ষ বেছে নিতে বাধ্য করছে। কিন্তু বাংলাদেশের মতো অনেক দেশ রয়েছে, যারা কোনো পক্ষ নিতে চাইছে না। ফলে অনেক দিন ঘুমিয়ে থাকা জোট-নিরপেক্ষ আন্দোলন বা নন অ্যালায়েন্স মুভমেন্টকে (ন্যাম) আবারও জাগিয়ে তোলার সময় হয়েছে। এতে অংশ নিয়ে জোট-নিরপেক্ষ থাকতে পারবে দেশগুলো। আর এ প্রক্রিয়া বাংলাদেশই শুরু করতে পারে।’
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
১ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৩ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৩ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৪ ঘণ্টা আগে