কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
অস্ট্রেলিয়া, জার্মানিসহ কয়েকটি দেশে জলবায়ুর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে, তা দেখে এটা বলা যায় যে জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির সম্মুখসারিতে শুধু বাংলাদেশই নয় বিশ্ব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকার যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট সি ডিকসন। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের করা প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে পাশে থেকে সহযোগিতা করবে যুক্তরাজ্য।
জাতিসংঘের আসন্ন জলবায়ু সম্মেলন কোপ-২৬ কে সামনে রেখে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার ওপর জলবায়ুর প্রভাব নিয়ে বুধবার এক ওয়েবিনারের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলের ঢাকার যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট সি ডিকসন। এতে বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক আতিক রহমান, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও উন্নয়ন অন্বেষণের চেয়ারপারসন রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, বাংলাদেশ পরিবেশবাদি আন্দোলনের সদস্যসচিব স্থপতি ইকবাল হাবিব এবং সিজিএস’র চেয়ারম্যান মঞ্জুর এ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন সিজিএস’র নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
বাংলাদেশের মুজিব জলবায়ু পরিকল্পনার প্রশংসা করে রবার্ট সি ডিকসন বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণের যে পরিকল্পনা করেছে, তা বাংলাদেশ অর্জন করতে পারবে। বাংলাদেশের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দীর্ঘ মেয়াদি কৌশল তৈরিতে যুক্তরাজ্য কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে কয়লা বিদ্যুৎ থেকে সরে এসে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যাওয়ার পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প প্রস্তুতের দিকে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এর থেকে সুবিধা নিতে পারে।
উন্নত দেশগুলো জলবায়ু অর্থায়নে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করেনি জানিয়ে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, এবারের সম্মেলনে আরও দৃঢ় প্রতিশ্রুতি আসবে এবং ২০২১ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত জলবায়ু অর্থায়ন দ্বিগুণের প্রস্তাব করা হবে। এ সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বেসরকারিভাবে জলবায়ু অর্থায়ন বাড়ানোর উপায়গুলো খুঁজছে বলেও জানান তিনি।
ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য উন্নত দেশগুলো জলবায়ু অর্থায়নে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা থাকলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি বলে জানিয়েছেন আতিক রহমান। তিনি বলেন, এর মধ্যে বাংলাদেশ নিজেই জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় ১০ থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার খরচ করছে। আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জন্য দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে চান তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দুটি দিক তুলে ধরে ইকবাল হাবিব বলেন, একটি হচ্ছে তহবিল সংগ্রহ ও প্রশমন। আরেকটি হচ্ছে অভিযোজন প্রক্রিয়া, সেখানে একক দেশ ও সেখানকার মানুষ তাতে মানিয়ে নেবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইতিমধ্যে গ্রামীণ অঞ্চলের মানুষ শহরে আসতে শুরু করেছে। ফলে বাংলাদেশের শহরায়নের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা দরকার বলেও জানান তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাতক্ষীরা জেলার গাবুরা ইউনিয়নের মানুষগুলোর দুর্দশার চিত্র তুলে ধরেন রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। তিনি বলেন, জলবায়ু ক্ষতি মোকাবিলায় বৈশ্বিক সহযোগিতা এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার কোন বিকল্প নেই। আসন্ন গ্লাসগো কি গাবুরার সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
যে মানুষগুলোর জলবায়ু তহবিলের সহযোগিতা দরকার, তাদের কাছে সে সহযোগিতা পৌঁছাতে সরকারের একটি স্বচ্ছ নীতি জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি শুধু বৈদেশিক অনুদানের ওপর নির্ভর না করে শুরুতে অভিযোজন ও প্রশমন সক্ষমতা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন।
অভিযোজন ও প্রশমন নিয়ে কথা বলার আগে বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণ কমানের পরামর্শ দেন মোবাশ্বের হোসেন।
অস্ট্রেলিয়া, জার্মানিসহ কয়েকটি দেশে জলবায়ুর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে, তা দেখে এটা বলা যায় যে জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির সম্মুখসারিতে শুধু বাংলাদেশই নয় বিশ্ব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকার যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট সি ডিকসন। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের করা প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে পাশে থেকে সহযোগিতা করবে যুক্তরাজ্য।
জাতিসংঘের আসন্ন জলবায়ু সম্মেলন কোপ-২৬ কে সামনে রেখে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার ওপর জলবায়ুর প্রভাব নিয়ে বুধবার এক ওয়েবিনারের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলের ঢাকার যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট সি ডিকসন। এতে বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক আতিক রহমান, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যায়ন বিভাগের অধ্যাপক ও উন্নয়ন অন্বেষণের চেয়ারপারসন রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, বাংলাদেশ পরিবেশবাদি আন্দোলনের সদস্যসচিব স্থপতি ইকবাল হাবিব এবং সিজিএস’র চেয়ারম্যান মঞ্জুর এ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। ওয়েবিনারটি সঞ্চালনা করেন সিজিএস’র নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
বাংলাদেশের মুজিব জলবায়ু পরিকল্পনার প্রশংসা করে রবার্ট সি ডিকসন বলেন, ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণের যে পরিকল্পনা করেছে, তা বাংলাদেশ অর্জন করতে পারবে। বাংলাদেশের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দীর্ঘ মেয়াদি কৌশল তৈরিতে যুক্তরাজ্য কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে কয়লা বিদ্যুৎ থেকে সরে এসে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যাওয়ার পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প প্রস্তুতের দিকে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এর থেকে সুবিধা নিতে পারে।
উন্নত দেশগুলো জলবায়ু অর্থায়নে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করেনি জানিয়ে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, এবারের সম্মেলনে আরও দৃঢ় প্রতিশ্রুতি আসবে এবং ২০২১ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত জলবায়ু অর্থায়ন দ্বিগুণের প্রস্তাব করা হবে। এ সময়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বেসরকারিভাবে জলবায়ু অর্থায়ন বাড়ানোর উপায়গুলো খুঁজছে বলেও জানান তিনি।
ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য উন্নত দেশগুলো জলবায়ু অর্থায়নে প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা থাকলেও তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি বলে জানিয়েছেন আতিক রহমান। তিনি বলেন, এর মধ্যে বাংলাদেশ নিজেই জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় ১০ থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার খরচ করছে। আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জন্য দেওয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন দেখতে চান তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দুটি দিক তুলে ধরে ইকবাল হাবিব বলেন, একটি হচ্ছে তহবিল সংগ্রহ ও প্রশমন। আরেকটি হচ্ছে অভিযোজন প্রক্রিয়া, সেখানে একক দেশ ও সেখানকার মানুষ তাতে মানিয়ে নেবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইতিমধ্যে গ্রামীণ অঞ্চলের মানুষ শহরে আসতে শুরু করেছে। ফলে বাংলাদেশের শহরায়নের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা দরকার বলেও জানান তিনি।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাতক্ষীরা জেলার গাবুরা ইউনিয়নের মানুষগুলোর দুর্দশার চিত্র তুলে ধরেন রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর। তিনি বলেন, জলবায়ু ক্ষতি মোকাবিলায় বৈশ্বিক সহযোগিতা এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার কোন বিকল্প নেই। আসন্ন গ্লাসগো কি গাবুরার সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
যে মানুষগুলোর জলবায়ু তহবিলের সহযোগিতা দরকার, তাদের কাছে সে সহযোগিতা পৌঁছাতে সরকারের একটি স্বচ্ছ নীতি জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি শুধু বৈদেশিক অনুদানের ওপর নির্ভর না করে শুরুতে অভিযোজন ও প্রশমন সক্ষমতা নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন।
অভিযোজন ও প্রশমন নিয়ে কথা বলার আগে বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণ কমানের পরামর্শ দেন মোবাশ্বের হোসেন।
রাষ্ট্র পরিচালনায় স্থায়ী সমাধানের জন্য নতুন সংবিধান দরকার বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। তিনি বলেন, ‘বর্তমান যে সংবিধান চলছে, তা কোনোমতে চালানোর জন্য সংস্কার চাইছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এটা দিয়ে কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে চলতে পারবে, কিন্তু একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর শাহ আলী মাজারের কাছে একটি কাঠের দোকান ছিল ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের। ২০১৯ সালের ১৯ জুন দুপুরে সেই দোকান থেকে তিনি বাসার দিকে যাচ্ছিলেন দুপুরের খাবার খেতে। পথে নিখোঁজ হন। তাঁর স্ত্রী নাসরিন জাহান জানিয়েছেন, নিখোঁজ হওয়ার আগে মিরপুরে র্যাব-৪ অফিসের কাছে তাঁর সর্বশেষ অবস্থান ছিল। ৫ বছর পেরিয়ে গে
৬ ঘণ্টা আগেফ্যাসিবাদের দোসরেরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাদের পরিহারের ঘোষণা দিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী (নাসির আব্দুল্লাহ) বলেছেন, ‘খুনি ও খুনের হুকুমদাতারা যদি তাদের স্কিলের কারণে থেকে যায়, তাহলে আমরা আরেকটি যুদ্ধ করতে বাধ্য হব।
১০ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
১৬ ঘণ্টা আগে