নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সরাসরি জমা নেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনেও জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অনলাইনে জমা দেওয়ার সুবিধার্থে একটি অ্যাপ তৈরি করেছিল তারা। এই অ্যাপ বানাতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ২১ কোটি টাকার মতো।
বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে এসে দেখা গেছে, ২১ কোটি টাকার অ্যাপ ব্যবহার করে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মাত্র ২১ প্রার্থী। তবে তাৎক্ষণিক এর কারণ জানা যায়নি।
তবে, অ্যাপটি তৈরির পরই নানা আলোচনা হয়েছে। তখন ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এই অ্যাপ ব্যবহার করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। কারণ, রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা ঘরে বসে এই অ্যাপের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বাধা হবে ১ শতাংশ ভোটারের সম্মতির প্রমাণস্বরূপ তাঁদের সইযুক্ত তালিকা। সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ওই তালিকা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়ের আগেই সরাসরি রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌঁছে দিতে হবে।
সূত্রমতে, অ্যাপ চালু করার মূল উদ্দেশ্য হলো মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে কোনো প্রার্থী যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হন তা নিশ্চিত করা। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এই সুবিধা কাজে লাগাতে পারবেন না। কারণ, ভোটারদের সমর্থনসূচক তালিকার ভার বহন করার সক্ষমতা ওই অ্যাপের না থাকায় তা সরাসরি জমা দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যদি ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকার স্ক্যান কপি আপলোড করেন, তাহলে ভলিউম বেড়ে যাবে।
অশোক কুমার বলেছিলেন, ‘একটি নির্বাচনী এলাকায় যদি ১০ লাখ ভোটার থাকেন, কোথাও কোথাও ১১ লাখও আছেন, সেই হিসাবে ১১ হাজার ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত শিট হবে। সব আসন থেকে যদি আরও এমন ৬০০ তালিকা আপলোড করে, তাহলে ওয়েবসাইট তখন কাজ করবে না।’
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেছিলেন, ‘এটি বিমাতাসুলভ কিছু না। এরকম ৫০০ পৃষ্ঠা যদি আপলোড করতেই হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থীই আরও বেশি সমস্যায় পড়বেন।’
ইসির সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হক জানিয়েছিলেন, সব জায়গায় ইন্টারনেট ব্যবস্থা ভালো নয়। তাই ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা আপলোড করতে সমস্যা হতে পারে। সে কারণে এই তালিকা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিষয়টি নজরে আনা হলে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা বলছিলেন, ‘একটি সিস্টেম চালু করার আগে দুটি জিনিস করা জরুরি। একটি হচ্ছে এটির নিরাপত্তা, আরেকটি যথার্থতা নির্ণয়। এখন আপনি যদি হাফ অ্যানালগ, হাফ ডিজিটাল সিস্টেম করেন, তাহলে তো হলো না। স্বতন্ত্র প্রার্থীকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে যেতেই হচ্ছে। এটি করার আগে পুরো সিস্টেমটাকে অটোমেটেড করা প্রয়োজন ছিল।’
জোহা বলছিলেন, ‘নেটওয়ার্কের সমস্যা হবে কেন? এটি তো ইমেজ আকারে আপলোড করবে। এখানে তো ভিডিও আপ করবে না। ইমেজ যত বড়ই হোক, অবশ্যই আপলোড করা সম্ভব। খাগড়াছড়ির সাজেক একটি দুর্গম এলাকা। সেখান থেকেও আমরা ইন্টারনেটে কথা বলছি।’
বিভিন্ন সময় পেশিশক্তি ব্যবহার করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতেই ইসি অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ইসির প্রকৃত উদ্দেশ্য সফল হবে না।
অবশেষে বিশেষজ্ঞদের কথায় ফলে গেল। ইসির প্রকৃত উদ্দেশ্য সফল হয়নি। ২১ কোটি টাকা দিয়ে বানান অ্যাপে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মাত্র ২১ জন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সরাসরি জমা নেওয়ার পাশাপাশি অনলাইনেও জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অনলাইনে জমা দেওয়ার সুবিধার্থে একটি অ্যাপ তৈরি করেছিল তারা। এই অ্যাপ বানাতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ২১ কোটি টাকার মতো।
বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে এসে দেখা গেছে, ২১ কোটি টাকার অ্যাপ ব্যবহার করে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মাত্র ২১ প্রার্থী। তবে তাৎক্ষণিক এর কারণ জানা যায়নি।
তবে, অ্যাপটি তৈরির পরই নানা আলোচনা হয়েছে। তখন ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এই অ্যাপ ব্যবহার করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। কারণ, রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা ঘরে বসে এই অ্যাপের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বাধা হবে ১ শতাংশ ভোটারের সম্মতির প্রমাণস্বরূপ তাঁদের সইযুক্ত তালিকা। সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ওই তালিকা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়ের আগেই সরাসরি রিটার্নিং বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌঁছে দিতে হবে।
সূত্রমতে, অ্যাপ চালু করার মূল উদ্দেশ্য হলো মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে কোনো প্রার্থী যাতে বাধাপ্রাপ্ত না হন তা নিশ্চিত করা। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এই সুবিধা কাজে লাগাতে পারবেন না। কারণ, ভোটারদের সমর্থনসূচক তালিকার ভার বহন করার সক্ষমতা ওই অ্যাপের না থাকায় তা সরাসরি জমা দিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ আজকের পত্রিকাকে বলেছিলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যদি ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকার স্ক্যান কপি আপলোড করেন, তাহলে ভলিউম বেড়ে যাবে।
অশোক কুমার বলেছিলেন, ‘একটি নির্বাচনী এলাকায় যদি ১০ লাখ ভোটার থাকেন, কোথাও কোথাও ১১ লাখও আছেন, সেই হিসাবে ১১ হাজার ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত শিট হবে। সব আসন থেকে যদি আরও এমন ৬০০ তালিকা আপলোড করে, তাহলে ওয়েবসাইট তখন কাজ করবে না।’
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে অশোক কুমার দেবনাথ বলেছিলেন, ‘এটি বিমাতাসুলভ কিছু না। এরকম ৫০০ পৃষ্ঠা যদি আপলোড করতেই হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থীই আরও বেশি সমস্যায় পড়বেন।’
ইসির সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হক জানিয়েছিলেন, সব জায়গায় ইন্টারনেট ব্যবস্থা ভালো নয়। তাই ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা আপলোড করতে সমস্যা হতে পারে। সে কারণে এই তালিকা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিষয়টি নজরে আনা হলে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা বলছিলেন, ‘একটি সিস্টেম চালু করার আগে দুটি জিনিস করা জরুরি। একটি হচ্ছে এটির নিরাপত্তা, আরেকটি যথার্থতা নির্ণয়। এখন আপনি যদি হাফ অ্যানালগ, হাফ ডিজিটাল সিস্টেম করেন, তাহলে তো হলো না। স্বতন্ত্র প্রার্থীকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে যেতেই হচ্ছে। এটি করার আগে পুরো সিস্টেমটাকে অটোমেটেড করা প্রয়োজন ছিল।’
জোহা বলছিলেন, ‘নেটওয়ার্কের সমস্যা হবে কেন? এটি তো ইমেজ আকারে আপলোড করবে। এখানে তো ভিডিও আপ করবে না। ইমেজ যত বড়ই হোক, অবশ্যই আপলোড করা সম্ভব। খাগড়াছড়ির সাজেক একটি দুর্গম এলাকা। সেখান থেকেও আমরা ইন্টারনেটে কথা বলছি।’
বিভিন্ন সময় পেশিশক্তি ব্যবহার করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতেই ইসি অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ইসির প্রকৃত উদ্দেশ্য সফল হবে না।
অবশেষে বিশেষজ্ঞদের কথায় ফলে গেল। ইসির প্রকৃত উদ্দেশ্য সফল হয়নি। ২১ কোটি টাকা দিয়ে বানান অ্যাপে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মাত্র ২১ জন।
দেশে গত ১৫ বছরে ৮২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু ক্যাপাসিটি চার্জই (কেন্দ্রভাড়া) নিয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া বিনা দরপত্রে কেন্দ্র দেওয়ায় বিদ্যুতের দামও পড়েছে বেশি। সেই বাড়তি দাম গিয়ে পড়েছে সাধারণ ভোক্তার কাঁধে।
২১ মিনিট আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৮ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০৭ জন রোগী।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অফ পার্টিস-২৯(কপ২৯)’ শীর্ষক বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে