নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঋণ খেলাপিদের নামের তালিকা জাতীয় সংসদে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন ফরিদুপর-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল কাদের (একে) আজাদ। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। মূলত তার পরিমাণ ৫ লাখ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা কারা নিল। তাদের নাম ১২ বছরের বালক থেকে শুরু করে আমরা সবাই জানি। অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি, আপনি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জন্য সংসদে তাদের নাম প্রকাশ করুন। তারাই ব্যাংকের টাকা লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করেছে। এখন যদি ১৫ শতাংশ কর দিয়ে তাদের টাকা আনতে দেওয়া হয়, এটা হবে অন্যায়-অবিচার।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কে আজাদ এসব কথা বলেন।
এ কে আজাদ বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। তাহলে কীভাবে এরকম একটা সার্বভৌম পার্লামেন্টে ১৫ শতাংশ কালো টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না। কীভাবে বৈধতা দিতে পারে আমার বোধগম্য নয়। যারা করদাতা তাদের ৩০ শতাংশ দিতে হলে ওদের কেন দিতে হবে না। কেন বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না।
একে আজাদ বলেন, এবারের বাজেটে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জনপ্রশাসন খাতে বাজেটের ২২ দশমিক ১ শতাংশ ব্যয় হবে। ২ লাখ ৯৭ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা। অথচ উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। যেখানে স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা করেছেন, সেখানে একটা মন্ত্রণালয়কে বাজেটের ২২ শতাংশ দিয়ে দেই, তাহলে এটা শরীরের চেয়ে মাথা ভারি হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আয় বুঝে ব্যয় করতে হবে। সারা বিশ্বে মন্দা চলছে। মূল বাজার ইউরোপ আমেরিকা, তারা কিনতে পারছে না। যার ফলে আমাদের রপ্তানি নেতিবাচক।
একে আজাদ বলেন, একজন দায়িত্বশীল সাবেক মন্ত্রী গতকাল (শনিবার) বলেছেন প্রশাসনের একটা বিরাট অংশ যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিচার হওয়া উচিত। আমি প্রস্তাব করছি প্রধানমন্ত্রী যেখানে স্মার্ট বাংলাদেশ ঘোষণা করেছেন, সেখানে এনালগ রাষ্ট্র চলতে পারে না। এতগুলো মন্ত্রণালয়, দপ্তর দরকার আছে কি না সেটা দেখার জন্য একটি প্রশাসনিক কমিটি করা হোক। তারা অডিট করে সরকারকে প্রস্তাব দিক এত মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর এত সরকারি কর্মকর্তা দরকার আছে কি না।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে পত্রিকায় দেখতে পেলাম এসি ল্যান্ড-ইউএনওর জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে গাড়ি কেনা হচ্ছে। অথচ প্রতিবেশী ভারতে মন্ত্রীরা নিজস্ব তৈরি গাড়িতে চলা ফেরা করেন। তাতে কি তাদের মানসম্মান কমে যায়? এখন ভাবার সময় এসেছে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ চললে সামনের বছর বাজেটের আকার আরও কমাতে হবে।
একে আজাদ বলেন, এবার বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে জিডিপির ২৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ। তিনি বলেন, ২০ জুন প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি বছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে ক্যাপিটাল মেশিনারি বা মূলধন যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ।
অন্যদিকে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমেছে প্রায় ২২ শতাংশ। অনেক ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে গেছে বা স্বল্প পরিসরে চলছে। তাহলে এই অবস্থায় কীভাবে বিনিয়োগ বাড়বে?
তিনি বলেন, কিছুদিন আগে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস বিদ্যুতের জন্য দাম বাড়তে হবে। গ্যাসের ক্যাপটিভ ১৬ টাকা থেকে ৩০ টাকা করা হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিতে ১২ টাকা থেকে ৩০ টাকা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ ৭ টাকা ৭২ পয়সা থেকে ১১টাকা করা হয়েছে। অথচ এখন লোডশেডিং ৫–৬ ঘণ্টা, ইন্ডাস্ট্রি অচল অবস্থার মধ্যে।
একে আজাদ বলেন, দেশে বিনিয়োগ পরিবেশ দিন দিন কঠিন হচ্ছে। ঋণের সুদহার, বিদ্যুৎ জ্বালানির অপর্যাপ্ততা পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত উদ্যোক্তারা। অথচ বিনিয়োগ টানতে পাশের দেশ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য নানামুখী প্রণোদনা দিচ্ছে।
ঋণ খেলাপিদের নামের তালিকা জাতীয় সংসদে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন ফরিদুপর-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুল কাদের (একে) আজাদ। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। মূলত তার পরিমাণ ৫ লাখ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা কারা নিল। তাদের নাম ১২ বছরের বালক থেকে শুরু করে আমরা সবাই জানি। অর্থমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি, আপনি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জন্য সংসদে তাদের নাম প্রকাশ করুন। তারাই ব্যাংকের টাকা লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করেছে। এখন যদি ১৫ শতাংশ কর দিয়ে তাদের টাকা আনতে দেওয়া হয়, এটা হবে অন্যায়-অবিচার।
আজ রোববার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কে আজাদ এসব কথা বলেন।
এ কে আজাদ বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা করেছে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। তাহলে কীভাবে এরকম একটা সার্বভৌম পার্লামেন্টে ১৫ শতাংশ কালো টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না। কীভাবে বৈধতা দিতে পারে আমার বোধগম্য নয়। যারা করদাতা তাদের ৩০ শতাংশ দিতে হলে ওদের কেন দিতে হবে না। কেন বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না।
একে আজাদ বলেন, এবারের বাজেটে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জনপ্রশাসন খাতে বাজেটের ২২ দশমিক ১ শতাংশ ব্যয় হবে। ২ লাখ ৯৭ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা। অথচ উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। যেখানে স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা করেছেন, সেখানে একটা মন্ত্রণালয়কে বাজেটের ২২ শতাংশ দিয়ে দেই, তাহলে এটা শরীরের চেয়ে মাথা ভারি হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আয় বুঝে ব্যয় করতে হবে। সারা বিশ্বে মন্দা চলছে। মূল বাজার ইউরোপ আমেরিকা, তারা কিনতে পারছে না। যার ফলে আমাদের রপ্তানি নেতিবাচক।
একে আজাদ বলেন, একজন দায়িত্বশীল সাবেক মন্ত্রী গতকাল (শনিবার) বলেছেন প্রশাসনের একটা বিরাট অংশ যারা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিচার হওয়া উচিত। আমি প্রস্তাব করছি প্রধানমন্ত্রী যেখানে স্মার্ট বাংলাদেশ ঘোষণা করেছেন, সেখানে এনালগ রাষ্ট্র চলতে পারে না। এতগুলো মন্ত্রণালয়, দপ্তর দরকার আছে কি না সেটা দেখার জন্য একটি প্রশাসনিক কমিটি করা হোক। তারা অডিট করে সরকারকে প্রস্তাব দিক এত মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর এত সরকারি কর্মকর্তা দরকার আছে কি না।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে পত্রিকায় দেখতে পেলাম এসি ল্যান্ড-ইউএনওর জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে গাড়ি কেনা হচ্ছে। অথচ প্রতিবেশী ভারতে মন্ত্রীরা নিজস্ব তৈরি গাড়িতে চলা ফেরা করেন। তাতে কি তাদের মানসম্মান কমে যায়? এখন ভাবার সময় এসেছে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ চললে সামনের বছর বাজেটের আকার আরও কমাতে হবে।
একে আজাদ বলেন, এবার বেসরকারি বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে জিডিপির ২৭ দশমিক ৩৪ শতাংশ। তিনি বলেন, ২০ জুন প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি বছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে ক্যাপিটাল মেশিনারি বা মূলধন যন্ত্রপাতি আমদানি কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ।
অন্যদিকে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমেছে প্রায় ২২ শতাংশ। অনেক ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে গেছে বা স্বল্প পরিসরে চলছে। তাহলে এই অবস্থায় কীভাবে বিনিয়োগ বাড়বে?
তিনি বলেন, কিছুদিন আগে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস বিদ্যুতের জন্য দাম বাড়তে হবে। গ্যাসের ক্যাপটিভ ১৬ টাকা থেকে ৩০ টাকা করা হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিতে ১২ টাকা থেকে ৩০ টাকা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ ৭ টাকা ৭২ পয়সা থেকে ১১টাকা করা হয়েছে। অথচ এখন লোডশেডিং ৫–৬ ঘণ্টা, ইন্ডাস্ট্রি অচল অবস্থার মধ্যে।
একে আজাদ বলেন, দেশে বিনিয়োগ পরিবেশ দিন দিন কঠিন হচ্ছে। ঋণের সুদহার, বিদ্যুৎ জ্বালানির অপর্যাপ্ততা পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত উদ্যোক্তারা। অথচ বিনিয়োগ টানতে পাশের দেশ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য নানামুখী প্রণোদনা দিচ্ছে।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
২ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৪ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৪ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৫ ঘণ্টা আগে