নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশকে নিয়ে গুজব ও অপপ্রচার চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে অভ্যুত্থান এবং সরকারকে নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে দেশের বিভিন্ন টেলিভিশনের মালিক ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের মিডিয়াতেও সরকারের বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। দেশের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার হচ্ছে তা প্রতিরোধ এবং প্রকৃত সত্য তুলে ধরতে সরকারসহ গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সবার ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে অনেক সাংবাদিক ছাত্র-জনতার পক্ষে কাজ করেছেন। তাঁদের নিরাপত্তা এবং তাঁদের যেন হেনস্তা করা না হয়, আমরা সে বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছি। টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকপক্ষ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রাইজ রেগুলেশনের বিষয়ে তাঁরা বলেছেন। পে-চ্যানেলের কথা বলেছেন, বিদেশি চ্যানেলগুলোর বিষয়ে নীতিমালার কথা বলেছেন। এছাড়াও তারা টিআরপির বিষয়টিও বলেছেন। এ বিষয়গুলো নিয়ে আবার তাদের সঙ্গে বসতে হবে। যৌক্তিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বিগত সময়ে সাংবাদিকদের নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তাঁদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। সামনের দিনে এমনটি যাতে না হয় এই প্রত্যাশা সবাই করছেন। সবাই মিলে একটি মুক্ত গণমাধ্যম নিশ্চিত করতে হবে।’
সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হচ্ছে এ বিষয়ে উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘যেসব সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনে কার্ড নবায়ন করা হবে। বিগত সময়ে অনেক দলীয় লোককেও কার্ড দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এই স্বাধীনতা কাজে লাগিয়ে গণমাধ্যমকে সাহসের সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।’ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দৈনিক সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। পরে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সঠিক তথ্য ব্যাপকভাবে প্রচার না হওয়ায় গুজব ও অপ তথ্যের দ্বারা মানুষ প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত হচ্ছে। গুজব ও অপ তথ্য প্রতিরোধে গণমাধ্যমকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন, তাঁদের আত্মত্যাগের গল্প গণমাধ্যমে প্রচার করতে হবে। আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের জনস্মৃতিতে রাখতে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সমালোচনা করে এই উপদেষ্টা বলেন, ওই সময় অনেক গণমাধ্যমকর্মী ভয়ে সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে পারেননি। এখন সেই সময় কেটে গেছে। তিনি ফ্যাসিবাদী সরকারের গুম, দুর্নীতিসহ সব অপকর্মের তথ্য গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সরকার গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করে।
গণমাধ্যমের সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার গণমাধ্যমের সংস্কারের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কমিশন গঠন করেছে। কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গণমাধ্যমের সংস্কার করা হবে।
মতবিনিময় সভায় সম্পাদকেরা বলেন, বর্তমান সময়ে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য আশীর্বাদ। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। গত ১৬ বছর গণমাধ্যম সঠিক ভূমিকা পালন করলে দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান হতো না। মতবিনিময় সভায় ইংরেজি পত্রিকার জন্য আলাদা নীতিমালা প্রণয়নেরও দাবি জানানো হয়।
মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশকে নিয়ে গুজব ও অপপ্রচার চলছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে অভ্যুত্থান এবং সরকারকে নিয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে দেশের বিভিন্ন টেলিভিশনের মালিক ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের মিডিয়াতেও সরকারের বিরুদ্ধে এবং বাংলাদেশের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। দেশের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার হচ্ছে তা প্রতিরোধ এবং প্রকৃত সত্য তুলে ধরতে সরকারসহ গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সবার ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে অনেক সাংবাদিক ছাত্র-জনতার পক্ষে কাজ করেছেন। তাঁদের নিরাপত্তা এবং তাঁদের যেন হেনস্তা করা না হয়, আমরা সে বিষয়ে আহ্বান জানিয়েছি। টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকপক্ষ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রাইজ রেগুলেশনের বিষয়ে তাঁরা বলেছেন। পে-চ্যানেলের কথা বলেছেন, বিদেশি চ্যানেলগুলোর বিষয়ে নীতিমালার কথা বলেছেন। এছাড়াও তারা টিআরপির বিষয়টিও বলেছেন। এ বিষয়গুলো নিয়ে আবার তাদের সঙ্গে বসতে হবে। যৌক্তিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘বিগত সময়ে সাংবাদিকদের নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তাঁদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। সামনের দিনে এমনটি যাতে না হয় এই প্রত্যাশা সবাই করছেন। সবাই মিলে একটি মুক্ত গণমাধ্যম নিশ্চিত করতে হবে।’
সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হচ্ছে এ বিষয়ে উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘যেসব সাংবাদিকের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনে কার্ড নবায়ন করা হবে। বিগত সময়ে অনেক দলীয় লোককেও কার্ড দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো চাপ নেই উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এই স্বাধীনতা কাজে লাগিয়ে গণমাধ্যমকে সাহসের সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।’ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দৈনিক সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। পরে তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সঠিক তথ্য ব্যাপকভাবে প্রচার না হওয়ায় গুজব ও অপ তথ্যের দ্বারা মানুষ প্রতিনিয়ত বিভ্রান্ত হচ্ছে। গুজব ও অপ তথ্য প্রতিরোধে গণমাধ্যমকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন, তাঁদের আত্মত্যাগের গল্প গণমাধ্যমে প্রচার করতে হবে। আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের জনস্মৃতিতে রাখতে গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের সমালোচনা করে এই উপদেষ্টা বলেন, ওই সময় অনেক গণমাধ্যমকর্মী ভয়ে সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে পারেননি। এখন সেই সময় কেটে গেছে। তিনি ফ্যাসিবাদী সরকারের গুম, দুর্নীতিসহ সব অপকর্মের তথ্য গণমাধ্যমে প্রচারের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সরকার গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা প্রত্যাশা করে।
গণমাধ্যমের সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার গণমাধ্যমের সংস্কারের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কমিশন গঠন করেছে। কমিশনের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গণমাধ্যমের সংস্কার করা হবে।
মতবিনিময় সভায় সম্পাদকেরা বলেন, বর্তমান সময়ে গণমাধ্যমের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য আশীর্বাদ। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে। গত ১৬ বছর গণমাধ্যম সঠিক ভূমিকা পালন করলে দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান হতো না। মতবিনিময় সভায় ইংরেজি পত্রিকার জন্য আলাদা নীতিমালা প্রণয়নেরও দাবি জানানো হয়।
মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৭ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০৭ জন রোগী।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অফ পার্টিস-২৯(কপ২৯)’ শীর্ষক বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগেবিচারপতি এম এ মতিন বলেছেন, ‘জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে দেশ পরিচালিত হবে—এটাই স্বাভাবিক, এর কোনো ব্যত্যয় হওয়া উচিত নয়। কিন্তু দেশের ন্যূনতম কোনো সংস্কার না করে রাজনীতিবিদদের হাতে ছেড়ে দেওয়া অনেকে নিরাপদ বোধ করছে না। ভালো নির্বাচন হলেও স্বৈরতন্ত্র আসবে না, তার গ্যারান্টি নেই
১৪ ঘণ্টা আগে