বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
তিন শতাধিক ছাত্র-জনতাকে লাশ বানিয়ে, অনেকের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করেও শেষরক্ষা হলো না। আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে গতকাল সোমবার দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে হলো শেখ হাসিনাকে। সঙ্গে ছিলেন বোন শেখ রেহানা।
সূত্র বলেছে, সকাল ১০টার দিকে শেখ হাসিনা বোনকে নিয়ে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন ছাড়েন।
পরে তিনি ভারতের উদ্দেশে রওনা হন। বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাঁদের বহনকারী উড়োজাহাজ ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে। ভারত থেকে তিনি কোথায় যাবেন, তা জানা যায়নি।
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা ছাত্রদের আন্দোলনকে গুরুত্ব না দিয়ে প্রথমে কালক্ষেপণ করেন শেখ হাসিনা। এই আন্দোলন দমাতে গত ১৫ জুলাই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর দ্রুত পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। সমর্থন বাড়তে থাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে। কিন্তু সরকার আন্দোলনকারীদের দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনকে মাঠে নামায়। দীর্ঘ হতে থাকে লাশের মিছিল। একপর্যায়ে জারি করা হয় কারফিউ। কিন্তু থামেনি সংঘাত, প্রাণহানি। ৯ দফা দাবি না মানায় গত শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অসহযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করে। শেখ হাসিনা অবস্থান বদল করেননি। রোববার ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামে আওয়ামী লীগ। সেদিন হামলা-সংঘাতে ঝরে গেছে শতাধিক প্রাণ। গতকালও বিভিন্ন স্থানে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
একটি সূত্র জানায়, গতকাল সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে বোনকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন ছাড়েন শেখ হাসিনা। হেলিকপ্টারে তাঁদের ঢাকা সেনানিবাসে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সামরিক হেলিকপ্টারে করে তাঁদের সেনানিবাসের অভ্যন্তরের ঘাঁটি বাশারে নেওয়া হয়। ওই ঘাঁটি থেকে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে নিয়ে বিমানবাহিনীর একটি লক হেড মার্টিন সি ১৩০ সুপার হারকিউলিস (সি ১৩০ জে) উড়োজাহাজ ভারতের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। উড়োজাহাজটির উড্ডয়নকালীন সাংকেতিক কোড এজেএএক্স১৪৩১। এটি শনিবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আনা হয়। চার ইঞ্জিনবিশিষ্ট ও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে সক্ষম উড়োজাহাজটি সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে বিমান বাহিনীর জন্য কেনা হয়।
ফ্লাইট রেডার ২৪ ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা থেকে বেলা ১টা ৪৫ মিনিটে উড়োজাহাজটি ভারতের কলকাতা অভিমুখে যায়। বিকেল ৫টার দিকে ভারতের লক্ষ্ণৌর আকাশে থাকার সময় ফ্লাইট রেডার ২৪ ডটকমের ডেটাবেস থেকে ফ্লাইটটিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিকেল ৫টা ৩৬ মিনিটে উড়োজাহাজটি উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সামরিক বিমানবন্দর হিন্দনে অবতরণ করে।
ভারতের গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের বরাতে জানা গেছে, শেখ হাসিনাকে সেখানে স্বাগত জানান ভারতীয় বিমান বাহিনীর কমান্ডিং অফিসার (এওসি) সঞ্জয় চোপড়া। পরে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।
একটি সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা কয়েক দিন দিল্লিতে থাকবেন। এরপর লন্ডনে যাবেন। আরেকটি সূত্র বলেছে, শেখ হাসিনা বেলারুশে যেতে পারেন। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। লুকাশেঙ্কো ৩০ বছর ধরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট।
শেখ হাসিনা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না: শেখ হাসিনা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। গতকাল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমার মা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না। এত কঠোর পরিশ্রমের পরও সংখ্যালঘুরা তাঁর (শেখ হাসিনার) বিরুদ্ধে যেতে পারে—এটা ভেবে তিনি খুবই হতাশ হয়েছেন।’
বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের নিউজ আওয়ারের সঙ্গে আলাপকালে সজীব ওয়াজেদ জয় আরও জানান, তাঁর মা রোববার থেকেই পদত্যাগ করার কথা বিবেচনা করছিলেন এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা জোর দেওয়ার পর তিনি নিজের সুরক্ষার জন্য দেশ ছেড়েছেন।
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে জয় তাঁর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।
জয় বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন। যখন তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তখন বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি একটি দরিদ্র দেশ ছিল। কিন্তু আজ বাংলাদেশ এশিয়ার উদীয়মান বাঘ হিসেবে বিবেচিত। তিনি খুবই হতাশ।’
তিন শতাধিক ছাত্র-জনতাকে লাশ বানিয়ে, অনেকের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করেও শেষরক্ষা হলো না। আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে গতকাল সোমবার দেশ ছেড়ে ভারতে পালাতে হলো শেখ হাসিনাকে। সঙ্গে ছিলেন বোন শেখ রেহানা।
সূত্র বলেছে, সকাল ১০টার দিকে শেখ হাসিনা বোনকে নিয়ে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে করে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন ছাড়েন।
পরে তিনি ভারতের উদ্দেশে রওনা হন। বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাঁদের বহনকারী উড়োজাহাজ ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে। ভারত থেকে তিনি কোথায় যাবেন, তা জানা যায়নি।
কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা ছাত্রদের আন্দোলনকে গুরুত্ব না দিয়ে প্রথমে কালক্ষেপণ করেন শেখ হাসিনা। এই আন্দোলন দমাতে গত ১৫ জুলাই রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এরপর দ্রুত পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। সমর্থন বাড়তে থাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে। কিন্তু সরকার আন্দোলনকারীদের দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনকে মাঠে নামায়। দীর্ঘ হতে থাকে লাশের মিছিল। একপর্যায়ে জারি করা হয় কারফিউ। কিন্তু থামেনি সংঘাত, প্রাণহানি। ৯ দফা দাবি না মানায় গত শনিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে অসহযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করে। শেখ হাসিনা অবস্থান বদল করেননি। রোববার ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামে আওয়ামী লীগ। সেদিন হামলা-সংঘাতে ঝরে গেছে শতাধিক প্রাণ। গতকালও বিভিন্ন স্থানে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
একটি সূত্র জানায়, গতকাল সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে বোনকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন ছাড়েন শেখ হাসিনা। হেলিকপ্টারে তাঁদের ঢাকা সেনানিবাসে নেওয়া হয়। সেখান থেকে সামরিক হেলিকপ্টারে করে তাঁদের সেনানিবাসের অভ্যন্তরের ঘাঁটি বাশারে নেওয়া হয়। ওই ঘাঁটি থেকে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে নিয়ে বিমানবাহিনীর একটি লক হেড মার্টিন সি ১৩০ সুপার হারকিউলিস (সি ১৩০ জে) উড়োজাহাজ ভারতের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। উড়োজাহাজটির উড্ডয়নকালীন সাংকেতিক কোড এজেএএক্স১৪৩১। এটি শনিবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আনা হয়। চার ইঞ্জিনবিশিষ্ট ও দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে সক্ষম উড়োজাহাজটি সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে বিমান বাহিনীর জন্য কেনা হয়।
ফ্লাইট রেডার ২৪ ডটকমের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা থেকে বেলা ১টা ৪৫ মিনিটে উড়োজাহাজটি ভারতের কলকাতা অভিমুখে যায়। বিকেল ৫টার দিকে ভারতের লক্ষ্ণৌর আকাশে থাকার সময় ফ্লাইট রেডার ২৪ ডটকমের ডেটাবেস থেকে ফ্লাইটটিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিকেল ৫টা ৩৬ মিনিটে উড়োজাহাজটি উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সামরিক বিমানবন্দর হিন্দনে অবতরণ করে।
ভারতের গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের বরাতে জানা গেছে, শেখ হাসিনাকে সেখানে স্বাগত জানান ভারতীয় বিমান বাহিনীর কমান্ডিং অফিসার (এওসি) সঞ্জয় চোপড়া। পরে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।
একটি সূত্র জানায়, শেখ হাসিনা কয়েক দিন দিল্লিতে থাকবেন। এরপর লন্ডনে যাবেন। আরেকটি সূত্র বলেছে, শেখ হাসিনা বেলারুশে যেতে পারেন। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। লুকাশেঙ্কো ৩০ বছর ধরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট।
শেখ হাসিনা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না: শেখ হাসিনা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। গতকাল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমার মা আর রাজনীতিতে ফিরবেন না। এত কঠোর পরিশ্রমের পরও সংখ্যালঘুরা তাঁর (শেখ হাসিনার) বিরুদ্ধে যেতে পারে—এটা ভেবে তিনি খুবই হতাশ হয়েছেন।’
বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের নিউজ আওয়ারের সঙ্গে আলাপকালে সজীব ওয়াজেদ জয় আরও জানান, তাঁর মা রোববার থেকেই পদত্যাগ করার কথা বিবেচনা করছিলেন এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা জোর দেওয়ার পর তিনি নিজের সুরক্ষার জন্য দেশ ছেড়েছেন।
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে জয় তাঁর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি-বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।
জয় বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন। যখন তিনি ক্ষমতা গ্রহণ করেন, তখন বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি একটি দরিদ্র দেশ ছিল। কিন্তু আজ বাংলাদেশ এশিয়ার উদীয়মান বাঘ হিসেবে বিবেচিত। তিনি খুবই হতাশ।’
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
১২ মিনিট আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
২ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৩ ঘণ্টা আগে