নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে চার বছরের সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করে কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখেন বাবা মো. জসিম। ২০০৭ সালের মার্চে ঘটা এই ঘটনায় জসিমের মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালতে। পরে হাইকোর্টও এ রায় বহাল রাখেন। কিন্তু এত দিন পর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে ১০ বছরের সাজা দিলেন।
আপিল শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এই রায় দেন। আসামির ১০ বছরের সাজা খাটা এরই মধ্যে সম্পন্ন হওয়ায় অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে কারাগারে আছেন জসিম।
আদালতে আসামি জসিমের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, আপিল বিভাগ জসিমকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় (হত্যা) শাস্তি বহাল না রেখে দণ্ডবিধির ধারা ৩০৪-এর পার্ট-২-তে (অপরাধজনক নরহত্যা) ১০ বছরের সাজা দিয়েছেন। ২০০৭ সাল থেকে জসিম কারাগারে। সে হিসাবে তাঁর সাজাভোগ শেষ হয়ে গেছে। অন্য কোনো মামলায় গ্রেপ্তার না থাকলে তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৩১ মার্চ রাতের খাবার খাওয়ার সময় জসিম তাঁর শাশুড়ির কাছে দুই হাজার টাকা চান। এর জন্য শাশুড়ি তাঁকে ঝাড়ুপেটা করেন। শিশুকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। পরে জসিম তাঁর শিশুসন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। পরে শিশুটিকে গলাটিপে হত্যা করে কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখেন।
ওই ঘটনায় ২০০৭ সালের ২ এপ্রিল শিশুটির মা ফাতেমা বেগম তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মেহেন্দীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এই মামলায় ২০০৮ সালের ২৮ জুলাই বিচারক আদালত রায় দেন। রায়ে জসিমের মৃত্যুদণ্ড হয়। জসিমের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে জসিমের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। এর বিরুদ্ধে একই বছর জসিম জেল আপিল করেন। এই আপিলের শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা শুনানির সময় আদালতকে বলেন, ঘটনার দিন আসামির শাশুড়ি যে আচরণ করেছিলেন সেই আচরণে জামাতার মানসিক অবস্থা ঠিক ছিল না। তাঁর নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ ছিল না। নিজের সন্তানকে হত্যার কোনো উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না। কোনো পূর্ব পরিকল্পনা না থাকায় এই ঘটনাটি কোনো খুনের অপরাধ হতে পারে না।
আইনজীবী হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, সর্বোচ্চ আদালত বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছেন। এই কারণে অপরাধজনক নরহত্যা দোষে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে দশ বছরের শাস্তি দিয়েছেন। এরই মধ্যে ১০ বছর সাজা ভোগ করা শেষ হওয়ায় তিনি এখন মুক্তি পাবেন।
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে চার বছরের সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করে কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখেন বাবা মো. জসিম। ২০০৭ সালের মার্চে ঘটা এই ঘটনায় জসিমের মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালতে। পরে হাইকোর্টও এ রায় বহাল রাখেন। কিন্তু এত দিন পর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে ১০ বছরের সাজা দিলেন।
আপিল শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ভার্চুয়াল বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এই রায় দেন। আসামির ১০ বছরের সাজা খাটা এরই মধ্যে সম্পন্ন হওয়ায় অবিলম্বে তাঁকে মুক্তি দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে কারাগারে আছেন জসিম।
আদালতে আসামি জসিমের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. হেলাল উদ্দিন মোল্লা শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ বলেন, আপিল বিভাগ জসিমকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় (হত্যা) শাস্তি বহাল না রেখে দণ্ডবিধির ধারা ৩০৪-এর পার্ট-২-তে (অপরাধজনক নরহত্যা) ১০ বছরের সাজা দিয়েছেন। ২০০৭ সাল থেকে জসিম কারাগারে। সে হিসাবে তাঁর সাজাভোগ শেষ হয়ে গেছে। অন্য কোনো মামলায় গ্রেপ্তার না থাকলে তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৩১ মার্চ রাতের খাবার খাওয়ার সময় জসিম তাঁর শাশুড়ির কাছে দুই হাজার টাকা চান। এর জন্য শাশুড়ি তাঁকে ঝাড়ুপেটা করেন। শিশুকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। পরে জসিম তাঁর শিশুসন্তানকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান। পরে শিশুটিকে গলাটিপে হত্যা করে কচুরিপানার নিচে লুকিয়ে রাখেন।
ওই ঘটনায় ২০০৭ সালের ২ এপ্রিল শিশুটির মা ফাতেমা বেগম তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মেহেন্দীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এই মামলায় ২০০৮ সালের ২৮ জুলাই বিচারক আদালত রায় দেন। রায়ে জসিমের মৃত্যুদণ্ড হয়। জসিমের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে জসিমের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে। এর বিরুদ্ধে একই বছর জসিম জেল আপিল করেন। এই আপিলের শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী হেলাল উদ্দিন মোল্লা শুনানির সময় আদালতকে বলেন, ঘটনার দিন আসামির শাশুড়ি যে আচরণ করেছিলেন সেই আচরণে জামাতার মানসিক অবস্থা ঠিক ছিল না। তাঁর নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ ছিল না। নিজের সন্তানকে হত্যার কোনো উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না। কোনো পূর্ব পরিকল্পনা না থাকায় এই ঘটনাটি কোনো খুনের অপরাধ হতে পারে না।
আইনজীবী হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, সর্বোচ্চ আদালত বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছেন। এই কারণে অপরাধজনক নরহত্যা দোষে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে দশ বছরের শাস্তি দিয়েছেন। এরই মধ্যে ১০ বছর সাজা ভোগ করা শেষ হওয়ায় তিনি এখন মুক্তি পাবেন।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
২ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৩ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৩ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৪ ঘণ্টা আগে