নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গুম থেকে সব নাগরিকের সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক সনদে অন্তর্ভুক্তির চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে গুম প্রতিরোধে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের ওপর আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা তৈরি হলো।
আজ বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য প্রটেকশন অব অল পারসনস ফ্রম ফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’ শীর্ষক সনদটিতে সই করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক উপলক্ষ। আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের এক দিন আগে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের দীর্ঘ স্বৈরাচারী শাসনামলে নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা জোরপূর্বক প্রতিটি গুমের ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করবে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশ্বজুড়ে গুম প্রতিরোধে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য প্রটেকশন অব অল পারসনস ফ্রম ফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’ পাস করে। পরের বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে সনদটি
স্বাক্ষরের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ২০১০ সালের ২৩ ডিসেম্বর থেকে সনদটি কার্যকর হয়েছে। এ সনদে ৯৮টি রাষ্ট্র স্বাক্ষর করেছে। অনুসমর্থন জানিয়েছে ৭৫টি রাষ্ট্র। জাতিসংঘের তরফ থেকে বাংলাদেশকে এই সনদে স্বাক্ষরের অনুরোধ জানানো হলেও এত দিন তা করেনি সরকার। সে হিসেবে এই সনদে স্বাক্ষরকারী এখন পর্যন্ত সর্বশেষ রাষ্ট্র হলো বাংলাদেশ।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার গেটে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকেই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। আর যেন কেউ কখনো নিজের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে কোনো বাহিনীকে দিয়ে, কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে, সরকার বিরোধিতা করা হচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে, জাতীয় স্বার্থের বাইরে কাজ করা হচ্ছে, এসব বলে গুম করতে না পারে। তার জন্য এ কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছি। সরকার এ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইন সংস্কার করবে।’ তিনি জানান, এ কনভেনশনে অনুস্বাক্ষরের কাগজ জমা পড়ার পর থেকে এটি কার্যকর হবে।
মানবাধিকার নিয়ে শক্ত ভিত্তি তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, গুম বাংলাদেশে অহরহ ঘটেছে। যেটা এযাবৎকাল অস্বীকার করা হচ্ছিল। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাঁরা গুমের শিকার হয়েছেন তাঁরা একটা সুরক্ষা পাবেন। সরকারি পর্যায় থেকে ফ্যাসিবাদ কায়েম রাখার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে বিরুদ্ধমত দমন করার জন্য গুম করে ফেলা হতো। সেটাতেও একটা শক্ত বার্তা গেল যে এসব আর হবে না। গুম তো করার কথা না। সরকারি বাহিনীর গুম করার লাইসেন্স নেই। তার আইনগত এখতিয়ার নেই। এটা বন্ধ থাকা উচিত ছিল।
যেসব বাহিনীর বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে কি না–এমন প্রশ্নে রিজওয়ানা হাসান বলেন, আগের গুমের ঘটনা নিয়ে একটা কমিশন হয়েছে। সেখানে কার্যপরিধি বলে দেওয়া হয়েছে। কাউকে কোথাও বাদ দেওয়া হয়নি। কত মানুষ গুম হয়েছে সে তালিকা সরকার প্রকাশ করবে কি না–এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কমিশনের কার্যপরিধি অনুযায়ী একটা তালিকা চূড়ান্তভাবে করতে হবে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছরের শাসনামলে বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নেওয়ার পর লাশ উদ্ধার বা গুমের ঘটনা আলোচনায় ছিল। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণের পরই গুমের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠনের কথা বলে আসছে অন্তর্বর্তী সরকার। জাতিসংঘের গুমবিষয়ক কনভেনশনে পক্ষভুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও জানানো হয়।
গত সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ সরকারি বাহিনীর যে সদস্যরা ‘গুম, খুন, নির্যাতনের’ মতো অপরাধে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে।’ এর পরদিনই শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ‘গুমের’ ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ওই কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস এবং মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন।
গুম থেকে সব নাগরিকের সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক সনদে অন্তর্ভুক্তির চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে গুম প্রতিরোধে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের ওপর আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা তৈরি হলো।
আজ বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য প্রটেকশন অব অল পারসনস ফ্রম ফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’ শীর্ষক সনদটিতে সই করেন প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক উপলক্ষ। আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসের এক দিন আগে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের দীর্ঘ স্বৈরাচারী শাসনামলে নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা জোরপূর্বক প্রতিটি গুমের ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিশন গঠন করবে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশ্বজুড়ে গুম প্রতিরোধে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর দ্য প্রটেকশন অব অল পারসনস ফ্রম ফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’ পাস করে। পরের বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে সনদটি
স্বাক্ষরের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ২০১০ সালের ২৩ ডিসেম্বর থেকে সনদটি কার্যকর হয়েছে। এ সনদে ৯৮টি রাষ্ট্র স্বাক্ষর করেছে। অনুসমর্থন জানিয়েছে ৭৫টি রাষ্ট্র। জাতিসংঘের তরফ থেকে বাংলাদেশকে এই সনদে স্বাক্ষরের অনুরোধ জানানো হলেও এত দিন তা করেনি সরকার। সে হিসেবে এই সনদে স্বাক্ষরকারী এখন পর্যন্ত সর্বশেষ রাষ্ট্র হলো বাংলাদেশ।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার গেটে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকেই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। আর যেন কেউ কখনো নিজের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে কোনো বাহিনীকে দিয়ে, কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে, সরকার বিরোধিতা করা হচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে, জাতীয় স্বার্থের বাইরে কাজ করা হচ্ছে, এসব বলে গুম করতে না পারে। তার জন্য এ কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছি। সরকার এ নিয়ে প্রয়োজনীয় আইন সংস্কার করবে।’ তিনি জানান, এ কনভেনশনে অনুস্বাক্ষরের কাগজ জমা পড়ার পর থেকে এটি কার্যকর হবে।
মানবাধিকার নিয়ে শক্ত ভিত্তি তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, গুম বাংলাদেশে অহরহ ঘটেছে। যেটা এযাবৎকাল অস্বীকার করা হচ্ছিল। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যাঁরা গুমের শিকার হয়েছেন তাঁরা একটা সুরক্ষা পাবেন। সরকারি পর্যায় থেকে ফ্যাসিবাদ কায়েম রাখার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে বিরুদ্ধমত দমন করার জন্য গুম করে ফেলা হতো। সেটাতেও একটা শক্ত বার্তা গেল যে এসব আর হবে না। গুম তো করার কথা না। সরকারি বাহিনীর গুম করার লাইসেন্স নেই। তার আইনগত এখতিয়ার নেই। এটা বন্ধ থাকা উচিত ছিল।
যেসব বাহিনীর বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে কি না–এমন প্রশ্নে রিজওয়ানা হাসান বলেন, আগের গুমের ঘটনা নিয়ে একটা কমিশন হয়েছে। সেখানে কার্যপরিধি বলে দেওয়া হয়েছে। কাউকে কোথাও বাদ দেওয়া হয়নি। কত মানুষ গুম হয়েছে সে তালিকা সরকার প্রকাশ করবে কি না–এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কমিশনের কার্যপরিধি অনুযায়ী একটা তালিকা চূড়ান্তভাবে করতে হবে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের টানা ১৫ বছরের শাসনামলে বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে ধরে নেওয়ার পর লাশ উদ্ধার বা গুমের ঘটনা আলোচনায় ছিল। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণের পরই গুমের ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠনের কথা বলে আসছে অন্তর্বর্তী সরকার। জাতিসংঘের গুমবিষয়ক কনভেনশনে পক্ষভুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও জানানো হয়।
গত সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ সরকারি বাহিনীর যে সদস্যরা ‘গুম, খুন, নির্যাতনের’ মতো অপরাধে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে।’ এর পরদিনই শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ‘গুমের’ ঘটনা তদন্তে কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে ওই কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত বিচারপতি মো. ফরিদ আহমেদ শিবলী, মানবাধিকার কর্মী নূর খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাবিলা ইদ্রিস এবং মানবাধিকার কর্মী সাজ্জাদ হোসেন।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৩ মিনিট আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
২ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৩ ঘণ্টা আগে