নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই সন্তান শেখ কামাল ও শেখ জামাল সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। তাই এই বাহিনীর সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক সম্পর্ক বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আত্মীয় সম্পর্ক। আমার দুই ভাই সেনাবাহিনীর সদস্য। যদিও শেখ কামাল অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের জন্য চাকরি ছেড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। জামাল তার প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখে, স্যান্ডহার্স্ট পাস করে নিয়মিত সেনাবাহিনীতে যোগদান করে।’
আজ রোববার সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে বৈকালিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছোট্ট রাসেলের সব সময় একটা শখ ছিল সে বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে ঘাতকের বুলেটে আমি সবাইকে হারাই।’
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছি। যুগোপযোগী প্রতিরক্ষা নীতিমালা-২০১৮ প্রণয়ন করেছি। গত ১৩ বছরে সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রসর হয়েছি। সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। এই পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করেই কাজ করে যাচ্ছি। ফলে আজকে সমগ্র বিশ্বে সকলের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।’
সশস্ত্র বাহিনীর কল্যাণে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। বলেন, ‘মাতৃভূমির সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে সদা প্রস্তুত। এই বাহিনীর সদস্যরা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নানান কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা, মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার পাশাপাশি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’ এ ছাড়াও অবকাঠামোগত উন্নয়নে সেনাবাহিনীর কাজের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং শান্তি নিশ্চিতকরণের দায়িত্ব দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি জাতিসংঘের প্রশংসা অর্জন করেছে। বর্তমানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমরা আবারও সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রদানকারী দেশ হিসেবে গৌরবের স্থানটি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আজকের দিনটি গৌরবময় স্থান করে আছে। যুদ্ধের বিজয়কে ত্বরান্বিত করতে ১৯৭১ সালের এই সশস্ত্র বাহিনীর অকুতোভয়ে সদস্যরা মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে দখলদারদের বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করে। ডিসেম্বরের শুরুতে সম্মিলিত বাহিনীর সঙ্গে মিত্র বাহিনীর ঐক্যবদ্ধ আক্রমণে পর্যুদস্ত পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সশস্ত্র বাহিনী আমাদের জাতির অহংকার। আপনারা যেন শৃঙ্খলা, পেশাগত, দক্ষতায় সর্বত্র প্রশংসিত হতে পারেন। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজে অবদান রেখে দেশের গৌরব সমুন্নত রাখতে পারেন। সশস্ত্র বাহিনী আমাদের জাতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলব।’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই সন্তান শেখ কামাল ও শেখ জামাল সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। তাই এই বাহিনীর সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক সম্পর্ক বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আত্মীয় সম্পর্ক। আমার দুই ভাই সেনাবাহিনীর সদস্য। যদিও শেখ কামাল অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের জন্য চাকরি ছেড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। জামাল তার প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখে, স্যান্ডহার্স্ট পাস করে নিয়মিত সেনাবাহিনীতে যোগদান করে।’
আজ রোববার সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে বৈকালিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ছোট্ট রাসেলের সব সময় একটা শখ ছিল সে বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে ঘাতকের বুলেটে আমি সবাইকে হারাই।’
স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছি। যুগোপযোগী প্রতিরক্ষা নীতিমালা-২০১৮ প্রণয়ন করেছি। গত ১৩ বছরে সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রসর হয়েছি। সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়। এই পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করেই কাজ করে যাচ্ছি। ফলে আজকে সমগ্র বিশ্বে সকলের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।’
সশস্ত্র বাহিনীর কল্যাণে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। বলেন, ‘মাতৃভূমির সার্বভৌমত্বকে সমুন্নত রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা দেশের যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে সদা প্রস্তুত। এই বাহিনীর সদস্যরা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় নানান কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা, মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার পাশাপাশি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’ এ ছাড়াও অবকাঠামোগত উন্নয়নে সেনাবাহিনীর কাজের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং শান্তি নিশ্চিতকরণের দায়িত্ব দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি জাতিসংঘের প্রশংসা অর্জন করেছে। বর্তমানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমরা আবারও সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রদানকারী দেশ হিসেবে গৌরবের স্থানটি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আজকের দিনটি গৌরবময় স্থান করে আছে। যুদ্ধের বিজয়কে ত্বরান্বিত করতে ১৯৭১ সালের এই সশস্ত্র বাহিনীর অকুতোভয়ে সদস্যরা মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে দখলদারদের বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করে। ডিসেম্বরের শুরুতে সম্মিলিত বাহিনীর সঙ্গে মিত্র বাহিনীর ঐক্যবদ্ধ আক্রমণে পর্যুদস্ত পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত সশস্ত্র বাহিনী আমাদের জাতির অহংকার। আপনারা যেন শৃঙ্খলা, পেশাগত, দক্ষতায় সর্বত্র প্রশংসিত হতে পারেন। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজে অবদান রেখে দেশের গৌরব সমুন্নত রাখতে পারেন। সশস্ত্র বাহিনী আমাদের জাতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলব।’
কিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
১ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
২ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
২ ঘণ্টা আগেঅল এশিয়া ফুল কন্টাক্ট কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব-৬০ কেজি ওজন ক্যাটাগরিতে তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের ‘সেনপাই’ আরাফাত রহমান। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের রাংসিত ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় অল এশিয়া ফুল কন্টাক্ট খিউকুশিন কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপের ১৯-তম আসর।
২ ঘণ্টা আগে