নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ রোববার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় প্রধান উপদেষ্টা সহায়তা চান বলে তাঁর কার্যালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের পুনর্গঠন, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার এবং চুরি হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছেন।
নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জের বর্ণনা দিয়ে বলেন, তাঁর প্রশাসন অর্থনীতি পুনর্গঠন, সংস্কার ও সচল করতে দ্রুত এগিয়ে এসেছে। এরই মধ্যে আর্থিক খাতে সংস্কার শুরু করেছে এবং বিচার বিভাগ ও পুলিশের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করেছে।
শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং আমাদের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।’ তাঁর মতে, বাংলাদেশে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে এই আন্দোলন।
প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত সংস্কার উদ্যোগের একটি রূপরেখা বর্ণনা করেন বলেন, ভোট কারচুপি প্রতিরোধ, বিচার বিভাগ, পুলিশ, বেসামরিক প্রশাসন, দেশের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা এবং সংবিধান সংশোধনের প্রয়াসে তাঁর সরকার দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার আগের স্বৈরাচারী শাসনের সঙ্গে জড়িত দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের চুরি করা সম্পদ ফেরত আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুর্নীতি মোকাবিলায় সরকারের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এত দিন দুর্নীতির সাগরে ছিলাম।’
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের সহকারী সচিব ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধিদল অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তাঁরা জানান, ওয়াশিংটন তাঁর সংস্কার অ্যাজেন্ডাকে সমর্থন করতে পারলে আনন্দিত হবে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালিত সংস্কারের জন্য প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা দিতে আগ্রহী। ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার, বিনিয়োগ, শ্রম সমস্যা, রোহিঙ্গা সংকট এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রধান উপদেষ্টার নিউইয়র্ক সফর নিয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠকে ব্রেন্ট নেইম্যান ছাড়াও মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু, সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ, উপসহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কৌর এবং মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের পরিচালক জেরোড ম্যাসন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেন।
এ ছাড়া, বৈঠকে আন্তর্জাতিক বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক প্রধান লামিয়া মোর্শেদ, পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ রোববার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় প্রধান উপদেষ্টা সহায়তা চান বলে তাঁর কার্যালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের পুনর্গঠন, গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার এবং চুরি হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছেন।
নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জের বর্ণনা দিয়ে বলেন, তাঁর প্রশাসন অর্থনীতি পুনর্গঠন, সংস্কার ও সচল করতে দ্রুত এগিয়ে এসেছে। এরই মধ্যে আর্থিক খাতে সংস্কার শুরু করেছে এবং বিচার বিভাগ ও পুলিশের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক করেছে।
শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে আন্দোলনের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং আমাদের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।’ তাঁর মতে, বাংলাদেশে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছে এই আন্দোলন।
প্রধান উপদেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকার গৃহীত সংস্কার উদ্যোগের একটি রূপরেখা বর্ণনা করেন বলেন, ভোট কারচুপি প্রতিরোধ, বিচার বিভাগ, পুলিশ, বেসামরিক প্রশাসন, দেশের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা এবং সংবিধান সংশোধনের প্রয়াসে তাঁর সরকার দায়িত্ব নেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরেই ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার আগের স্বৈরাচারী শাসনের সঙ্গে জড়িত দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের চুরি করা সম্পদ ফেরত আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুর্নীতি মোকাবিলায় সরকারের সামনে থাকা চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এত দিন দুর্নীতির সাগরে ছিলাম।’
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের সহকারী সচিব ব্রেন্ট নেইম্যানের নেতৃত্বে মার্কিন প্রতিনিধিদল অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তাঁরা জানান, ওয়াশিংটন তাঁর সংস্কার অ্যাজেন্ডাকে সমর্থন করতে পারলে আনন্দিত হবে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেন, তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকার পরিচালিত সংস্কারের জন্য প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা দিতে আগ্রহী। ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার, বিনিয়োগ, শ্রম সমস্যা, রোহিঙ্গা সংকট এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রধান উপদেষ্টার নিউইয়র্ক সফর নিয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠকে ব্রেন্ট নেইম্যান ছাড়াও মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু, সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ, উপসহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কৌর এবং মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের পরিচালক জেরোড ম্যাসন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেন।
এ ছাড়া, বৈঠকে আন্তর্জাতিক বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক প্রধান লামিয়া মোর্শেদ, পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।
ফ্যাসিবাদের দোসরেরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাদের পরিহারের ঘোষণা দিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী (নাসির আব্দুল্লাহ) বলেছেন, ‘খুনি ও খুনের হুকুমদাতারা যদি তাদের স্কিলের কারণে থেকে যায়, তাহলে আমরা আরেকটি যুদ্ধ করতে বাধ্য হব।
১ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৭ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৯ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৯ ঘণ্টা আগে