দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নিবন্ধন পেতে ফের দেড় শতাধিক দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন করেছে। আবেদন করাদের মধ্যে বেশির ভাগই প্রথমবার বাদ পড়া সংস্থা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

আজ সোমবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের জন্য সচিব স্যার বরাবর আবেদন করতে হয়। আমরা এখনো তালিকা চূড়ান্ত করতে পারিনি। তবে আমাদের যে হিসাব রয়েছে তাতে এবার দেড় শতাধিক আবেদন জমা পড়েছে।’

জানা গেছে, চলতি বছর ১৮ জানুয়ারি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের জন্য প্রথম আবেদন আহ্বান করে ইসি। তখন নির্ধারিত সময়ে ১৯৯টি এবং পরে ১১টিসহ মোট ২১০টি সংস্থা নিবন্ধন চেয়ে ইসিতে আবেদন করে। তাদের কাগজপত্র বাছাই করে গত ৮ আগস্ট ৬৮টির খসড়া প্রকাশ করে কমিশন। ওই ৬৮টি সংস্থার ওপর দাবি-আপত্তি জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩১ আগস্ট। এতে দুটি সংস্থার বিষয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে। সেগুলো শুনানি করে ৬৬টি সংস্থাকে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন দেয় ইসি। আর আপত্তির শুনানি শেষে দুই সংস্থার মধ্যে মানিকগঞ্জের হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কমিশনের নাম পরিবর্তন করতে বলেছে কমিশন। আর ঢাকার রূপনগর শিক্ষা স্বাস্থ্য সহায়তা ফাউন্ডেশন—রিহাফের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। 

এই দুই সংস্থার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বিষয়টি এখনো চলমান বলে জানান আশাদুল হক। 

ইসি কর্মকর্তা জানান, যেহেতু আগের নির্বাচনগুলোতে এত কমসংখ্যক পর্যবেক্ষক সংস্থা ছিল না। তাই এবার এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কমিশন। তা ছাড়া নিবন্ধন দৌড়ে এগিয়ে থাকা এসব সংস্থার বেশির ভাগ উপজেলাভিত্তিক। বড় পরিসরে বা সারা দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে এমন পর্যবেক্ষক সংস্থা নিতান্তই কম। তাই কমিশন পর্যবেক্ষক সংস্থার সংখ্যা বাড়াতে নতুন করে নিবন্ধনের জন্য আবেদন চেয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ ছিল। 

২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথমবারের মতো ১৩৮টি দেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাকে নিবন্ধন দেয় নির্বাচন কমিশন। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ১১৮টি সংস্থাকে নিবন্ধন দেওয়া হয়।