বাসস, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর রামপুরায় সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন পরিদর্শন করেছেন। তিনি আজ সকাল ৯টা ১৩ মিনিটের দিকে বিটিভি ভবনে প্রবেশ করেন এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াত চক্রের গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবারের তাণ্ডবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সব বিভাগ পরিদর্শন করেন।
বিটিভি ভবনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করে প্রধানমন্ত্রীকে হতাশ ও অসন্তুষ্ট দেখা গেছে। ধ্বংসযজ্ঞ দেখে বিটিভি কর্মকর্তারা তাঁদের চোখের পানি ধরে রাখার চেষ্টা করার সময় বাতাস ভারী হয়ে উঠলে তাঁকেও অশ্রুসিক্ত দেখা গেছে।
এ সময় বিটিভির মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিটিভি ভবনে উন্মত্ত তাণ্ডবের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন। অনুষ্ঠানে বিটিভি সদর দপ্তর ও বিটিভি ভবনে ভাঙচুরের একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে বিটিভির মহাব্যবস্থাপক মাহফুজা আক্তারকে অশ্রুসিক্ত নয়নে সান্ত্বনা দিতে দেখা গেছে।
পরিদর্শনকালে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খন্দকার এবং প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম. নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে বিটিভি ভবনের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। তারা প্রথমে সেখানে পার্ক করা কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেয় এবং পরে বিটিভি ভবনের ভেতরে গিয়ে বিভিন্ন ফ্লোরের বিভিন্ন অংশে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। একই দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিটিভির নিয়ন্ত্রণ নেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিটিভির হিসাব অনুসারে, তাণ্ডবলীলায় বিটিভির বিভিন্ন অবকাঠামো, সম্প্রচার সরঞ্জাম, নকশা বিভাগ, অফিস ভবন ও কক্ষ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ভাঙচুরের ঘটনায় ১৯৬৪ সাল থেকে সংরক্ষিত অমূল্য প্রাচীন জিনিস দিয়ে সজ্জিত একটি টেলিভিশন জাদুঘর ও মুজিব কর্নার, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক, অভ্যর্থনা ও ওয়েটিং রুমের আসবাবপত্র, কম্পিউটার, শীতাতপ নিয়ন্ত্রক (এসি) এবং অন্যান্য জিনিসপত্র মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ছাড়া, প্রায় ৪০টি কম্পিউটার, ১০০ টেলিভিশন এবং কম্পিউটার ল্যাবের আসবাবপত্র, প্রশিক্ষণ কক্ষ ও প্রিভিউ রুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
লিফট, নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম, সিসি ক্যামেরা, মনিটরিং সেটও ভাঙচুর করা হয়। যানবাহন ভবন ও শেড, ক্যানটিন ও নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ কক্ষ; একটি সম্প্রচার ওবি ভ্যানসহ ১৭টি গাড়ি, ২১টি মোটরসাইকেলে আগুন এবং ৯টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
এর বাইরে অডিটোরিয়াম, লাউঞ্জ, ডিজাইন, মেকআপ, ওয়ার্কশপ, গ্রাফিকস রুম, স্টোর/ওয়ার্ডরোব রুম এবং ২০টি গ্রাফিকস কম্পিউটারও ভাঙচুর করা হয়। নকশার শেড, স্টুডিওর ছাদ, দেয়াল, ভবন এবং নাগরিক অবকাঠামো; কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা এবং প্রায় ৭০টি এয়ারকন্ডিশনার (এসি) ; অফিশিয়াল আসবাবপত্র, পাঁচটি ফটোকপি মেশিন এবং প্রায় ৫০টি অফিশিয়াল কম্পিউটারও ভাঙচুর করা হয়।
১০টি কম্পিউটার ওয়ার্ক স্টেশন, বৈদ্যুতিক তার, সুইচ, স্পর্শকাতর যন্ত্রপাতি, রেকর্ডিং ক্যামেরা, আলোর উৎস এই সম্পর্কিত সরঞ্জামসহ ১০০ মনিটরিং সেট, গুরুত্বপূর্ণ দাপ্তরিক ফাইল নথি, শিল্পীর সম্মানী-সম্পর্কিত খাতা, ব্যাংক বই, ভাউচার, অডিট বিল ইত্যাদিও ভাঙচুর করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর রামপুরায় সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন পরিদর্শন করেছেন। তিনি আজ সকাল ৯টা ১৩ মিনিটের দিকে বিটিভি ভবনে প্রবেশ করেন এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াত চক্রের গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবারের তাণ্ডবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সব বিভাগ পরিদর্শন করেন।
বিটিভি ভবনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ প্রত্যক্ষ করে প্রধানমন্ত্রীকে হতাশ ও অসন্তুষ্ট দেখা গেছে। ধ্বংসযজ্ঞ দেখে বিটিভি কর্মকর্তারা তাঁদের চোখের পানি ধরে রাখার চেষ্টা করার সময় বাতাস ভারী হয়ে উঠলে তাঁকেও অশ্রুসিক্ত দেখা গেছে।
এ সময় বিটিভির মহাপরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিটিভি ভবনে উন্মত্ত তাণ্ডবের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন। অনুষ্ঠানে বিটিভি সদর দপ্তর ও বিটিভি ভবনে ভাঙচুরের একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে বিটিভির মহাব্যবস্থাপক মাহফুজা আক্তারকে অশ্রুসিক্ত নয়নে সান্ত্বনা দিতে দেখা গেছে।
পরিদর্শনকালে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খন্দকার এবং প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম. নজরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে বিটিভি ভবনের প্রধান ফটক ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। তারা প্রথমে সেখানে পার্ক করা কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেয় এবং পরে বিটিভি ভবনের ভেতরে গিয়ে বিভিন্ন ফ্লোরের বিভিন্ন অংশে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। একই দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিটিভির নিয়ন্ত্রণ নেয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিটিভির হিসাব অনুসারে, তাণ্ডবলীলায় বিটিভির বিভিন্ন অবকাঠামো, সম্প্রচার সরঞ্জাম, নকশা বিভাগ, অফিস ভবন ও কক্ষ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ভাঙচুরের ঘটনায় ১৯৬৪ সাল থেকে সংরক্ষিত অমূল্য প্রাচীন জিনিস দিয়ে সজ্জিত একটি টেলিভিশন জাদুঘর ও মুজিব কর্নার, মুক্তিযুদ্ধের স্মারক, অভ্যর্থনা ও ওয়েটিং রুমের আসবাবপত্র, কম্পিউটার, শীতাতপ নিয়ন্ত্রক (এসি) এবং অন্যান্য জিনিসপত্র মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ছাড়া, প্রায় ৪০টি কম্পিউটার, ১০০ টেলিভিশন এবং কম্পিউটার ল্যাবের আসবাবপত্র, প্রশিক্ষণ কক্ষ ও প্রিভিউ রুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
লিফট, নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম, সিসি ক্যামেরা, মনিটরিং সেটও ভাঙচুর করা হয়। যানবাহন ভবন ও শেড, ক্যানটিন ও নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ কক্ষ; একটি সম্প্রচার ওবি ভ্যানসহ ১৭টি গাড়ি, ২১টি মোটরসাইকেলে আগুন এবং ৯টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
এর বাইরে অডিটোরিয়াম, লাউঞ্জ, ডিজাইন, মেকআপ, ওয়ার্কশপ, গ্রাফিকস রুম, স্টোর/ওয়ার্ডরোব রুম এবং ২০টি গ্রাফিকস কম্পিউটারও ভাঙচুর করা হয়। নকশার শেড, স্টুডিওর ছাদ, দেয়াল, ভবন এবং নাগরিক অবকাঠামো; কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা এবং প্রায় ৭০টি এয়ারকন্ডিশনার (এসি) ; অফিশিয়াল আসবাবপত্র, পাঁচটি ফটোকপি মেশিন এবং প্রায় ৫০টি অফিশিয়াল কম্পিউটারও ভাঙচুর করা হয়।
১০টি কম্পিউটার ওয়ার্ক স্টেশন, বৈদ্যুতিক তার, সুইচ, স্পর্শকাতর যন্ত্রপাতি, রেকর্ডিং ক্যামেরা, আলোর উৎস এই সম্পর্কিত সরঞ্জামসহ ১০০ মনিটরিং সেট, গুরুত্বপূর্ণ দাপ্তরিক ফাইল নথি, শিল্পীর সম্মানী-সম্পর্কিত খাতা, ব্যাংক বই, ভাউচার, অডিট বিল ইত্যাদিও ভাঙচুর করা হয়।
দেশে গত ১৫ বছরে ৮২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু ক্যাপাসিটি চার্জই (কেন্দ্রভাড়া) নিয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া বিনা দরপত্রে কেন্দ্র দেওয়ায় বিদ্যুতের দামও পড়েছে বেশি। সেই বাড়তি দাম গিয়ে পড়েছে সাধারণ ভোক্তার কাঁধে।
৪ মিনিট আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৭ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০৭ জন রোগী।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অফ পার্টিস-২৯(কপ২৯)’ শীর্ষক বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে