নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজপথ থেকে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ছাউনিতে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। আজ দুপুরে রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (রাওয়া ক্লাব) হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া লিখিত বক্তব্য দেন। সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নুর উদ্দিন খানসহ ৪৮ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে তাঁরা সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।
লিখিত বক্তব্যে ইকবাল করিম ভূঁইয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী অতীতে কখনো দেশবাসী বা সাধারণ জনগণের মুখোমুখি দাঁড়ায়নি, তাদের বুকে বন্দুক তাক করেনি। বর্তমান সময়ে সশস্ত্র বাহিনীকে অবিলম্বে সেনা ছাউনিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেকোনো আপৎকালীন সংকট মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন। অনুরোধ করে বলছি, এ–সংকট আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করুন। দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীকে ছাত্র-জনতার মুখোমুখি দাঁড় করাবেন না।’
সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, ‘গত তিন সপ্তাহ যাবত বাংলাদেশব্যাপী হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন, গুম এবং গণগ্রেপ্তারের যে ঘটনা চলছে, আমরা তাতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, মর্মাহত এবং ব্যথিত। অজস্র কিশোর, তরুণ তাজা প্রাণের অকাল জীবন অবসান ঘটায় আজ অভিভাবক হিসেবে নিজেদের দায়মুক্ত ভাবতে পারছি না। তাই, বিবেকের তাড়নায় আমরা দেশবাসীর সামনে হাজির হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘বৈষম্য, ভেদাভেদ ও জুলুমের অবসান করা ছিল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার। তা না ঘটে উল্টো এটা আজ দেশের সর্ব পর্যায়ে ভয়াবহভাবে বিস্তার লাভ করেছে। সমাজের নিচের স্তরে পড়ে থাকা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সহ্যসীমার বাইরে চলে গেছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও এর ব্যবস্থাপনা। যার প্রতিকার ঘটাতে জনগণ আজ আত্মোৎসর্গেও পিছপা হচ্ছে না। এমন কষ্টকর পরিস্থিতির ভেতর দেশবাসীকে ঠেলে দেওয়ার জন্য যারা দায়ী, বিচারের মাধ্যমে তাদের সাজা নিশ্চিত করে পুরো ব্যবস্থার মধ্যে স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা না করা গেলে, সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও আস্থা ফিরিয়ে আনা যাবে না!’
সাবেক সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘দেশের নীতিনির্ধারকেরা যদি বিবেক, বুদ্ধি ও হৃদয়হীন হয়ে না পড়তেন, তাহলে গত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড়, করুণ ও মর্মান্তিক এই হত্যাকাণ্ডসমূহের ঘটনাগুলো ঘটতো না। এই সকল হামলা, আক্রমণ ও পাল্টা প্রতিরোধে অঙ্গহানি ঘটেছে অগণিত মানুষের। অন্ধ হয়েছেন বহু সংখ্যক কিশোর ও তরুণ। অসহায় নাগরিকেরা প্রয়োজনীয় এবং জরুরি চিকিৎসাও পাচ্ছেন না। তার ওপর চলছে ব্লক রেইড করে, সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে বাড়ি, ঘর, মেস চিনিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার মতো ভয়ংকর সব ঘটনা। মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন অথবা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন হাজার-হাজার নিরপরাধ কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, যুবক ও যুবতী।’
তিনি বলেন, ‘সুস্থ মস্তিষ্কের কোনো বিবেকবান মানুষের পক্ষে দেশে এমন একটা যুদ্ধ পরিস্থিতি মেনে নেওয়া সম্ভব না। আমরা নিজেরা নিজেদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হতে পারি না। দেশটাকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে দিতে পারি না। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। বিপরীতে দ্বিতীয় পক্ষ উপর্যুপরি উসকানি দিল, গুন্ডাপান্ডা দিয়ে সন্ত্রাস চালাল এবং পুলিশ, র্যাব, আনসার ও বিজিবি নামিয়ে, আকাশে হেলিকপ্টার উড়িয়ে, নির্বাচারে গুলি করে অগণিত শিশু, কিশোর ও তরুণের তাজা প্রাণ হরণ করল, তা দেশবাসী কি এত সহজে, এই অল্প সময়ের মধ্যেই ভুলে যাবে? কোনোভাবেই এমন পরিস্থিতির দায় দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীর নেওয়া উচিত নয়।’
ইকবাল করিম ভূঁইয়া বলেন, ‘অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিস্থিতি থেকে উদ্ভূত এই রাজনৈতিক সংকটকালে আমরা ক্ষমতাসীন সরকারের প্রতি রাজপথ থেকে সশস্ত্র বাহিনীকে তাদের ছাউনিতে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশের সীমান্ত এ মুহূর্তে অরক্ষিত। ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলন দমনের জন্য সীমান্ত থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিজিবি সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে অবিলম্বে সেনা ছাউনিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেকোনো আপৎকালীন সংকট মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন। অনুরোধ করে বলছি, এ সংকট আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করুন। দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীকে ছাত্র–জনতার মুখোমুখি দাঁড় করাবেন না।’
রাজপথ থেকে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ছাউনিতে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। আজ দুপুরে রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের (রাওয়া ক্লাব) হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া লিখিত বক্তব্য দেন। সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নুর উদ্দিন খানসহ ৪৮ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তবে তাঁরা সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।
লিখিত বক্তব্যে ইকবাল করিম ভূঁইয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী অতীতে কখনো দেশবাসী বা সাধারণ জনগণের মুখোমুখি দাঁড়ায়নি, তাদের বুকে বন্দুক তাক করেনি। বর্তমান সময়ে সশস্ত্র বাহিনীকে অবিলম্বে সেনা ছাউনিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেকোনো আপৎকালীন সংকট মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন। অনুরোধ করে বলছি, এ–সংকট আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করুন। দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীকে ছাত্র-জনতার মুখোমুখি দাঁড় করাবেন না।’
সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, ‘গত তিন সপ্তাহ যাবত বাংলাদেশব্যাপী হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন, গুম এবং গণগ্রেপ্তারের যে ঘটনা চলছে, আমরা তাতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, মর্মাহত এবং ব্যথিত। অজস্র কিশোর, তরুণ তাজা প্রাণের অকাল জীবন অবসান ঘটায় আজ অভিভাবক হিসেবে নিজেদের দায়মুক্ত ভাবতে পারছি না। তাই, বিবেকের তাড়নায় আমরা দেশবাসীর সামনে হাজির হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘বৈষম্য, ভেদাভেদ ও জুলুমের অবসান করা ছিল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার। তা না ঘটে উল্টো এটা আজ দেশের সর্ব পর্যায়ে ভয়াবহভাবে বিস্তার লাভ করেছে। সমাজের নিচের স্তরে পড়ে থাকা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সহ্যসীমার বাইরে চলে গেছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও এর ব্যবস্থাপনা। যার প্রতিকার ঘটাতে জনগণ আজ আত্মোৎসর্গেও পিছপা হচ্ছে না। এমন কষ্টকর পরিস্থিতির ভেতর দেশবাসীকে ঠেলে দেওয়ার জন্য যারা দায়ী, বিচারের মাধ্যমে তাদের সাজা নিশ্চিত করে পুরো ব্যবস্থার মধ্যে স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা না করা গেলে, সমাজে শান্তি, শৃঙ্খলা ও আস্থা ফিরিয়ে আনা যাবে না!’
সাবেক সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘দেশের নীতিনির্ধারকেরা যদি বিবেক, বুদ্ধি ও হৃদয়হীন হয়ে না পড়তেন, তাহলে গত কয়েক সপ্তাহে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড়, করুণ ও মর্মান্তিক এই হত্যাকাণ্ডসমূহের ঘটনাগুলো ঘটতো না। এই সকল হামলা, আক্রমণ ও পাল্টা প্রতিরোধে অঙ্গহানি ঘটেছে অগণিত মানুষের। অন্ধ হয়েছেন বহু সংখ্যক কিশোর ও তরুণ। অসহায় নাগরিকেরা প্রয়োজনীয় এবং জরুরি চিকিৎসাও পাচ্ছেন না। তার ওপর চলছে ব্লক রেইড করে, সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে বাড়ি, ঘর, মেস চিনিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার মতো ভয়ংকর সব ঘটনা। মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন অথবা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন হাজার-হাজার নিরপরাধ কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণী, যুবক ও যুবতী।’
তিনি বলেন, ‘সুস্থ মস্তিষ্কের কোনো বিবেকবান মানুষের পক্ষে দেশে এমন একটা যুদ্ধ পরিস্থিতি মেনে নেওয়া সম্ভব না। আমরা নিজেরা নিজেদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হতে পারি না। দেশটাকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে দিতে পারি না। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। বিপরীতে দ্বিতীয় পক্ষ উপর্যুপরি উসকানি দিল, গুন্ডাপান্ডা দিয়ে সন্ত্রাস চালাল এবং পুলিশ, র্যাব, আনসার ও বিজিবি নামিয়ে, আকাশে হেলিকপ্টার উড়িয়ে, নির্বাচারে গুলি করে অগণিত শিশু, কিশোর ও তরুণের তাজা প্রাণ হরণ করল, তা দেশবাসী কি এত সহজে, এই অল্প সময়ের মধ্যেই ভুলে যাবে? কোনোভাবেই এমন পরিস্থিতির দায় দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীর নেওয়া উচিত নয়।’
ইকবাল করিম ভূঁইয়া বলেন, ‘অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিস্থিতি থেকে উদ্ভূত এই রাজনৈতিক সংকটকালে আমরা ক্ষমতাসীন সরকারের প্রতি রাজপথ থেকে সশস্ত্র বাহিনীকে তাদের ছাউনিতে ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশের সীমান্ত এ মুহূর্তে অরক্ষিত। ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলন দমনের জন্য সীমান্ত থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিজিবি সদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ থেকে উত্তরণের জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে অবিলম্বে সেনা ছাউনিতে ফিরিয়ে নিয়ে যেকোনো আপৎকালীন সংকট মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত রাখা প্রয়োজন। অনুরোধ করে বলছি, এ সংকট আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করুন। দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীকে ছাত্র–জনতার মুখোমুখি দাঁড় করাবেন না।’
কিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৫ মিনিট আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
২১ মিনিট আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
১ ঘণ্টা আগেঅল এশিয়া ফুল কন্টাক্ট কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব-৬০ কেজি ওজন ক্যাটাগরিতে তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের ‘সেনপাই’ আরাফাত রহমান। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের রাংসিত ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় অল এশিয়া ফুল কন্টাক্ট খিউকুশিন কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপের ১৯-তম আসর।
১ ঘণ্টা আগে