উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা
নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই জনপ্রশাসনের দুই স্তরে পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ দফায় বিসিএস ১৮তম ব্যাচের যুগ্ম-সচিবেরা অতিরিক্ত সচিব হিসেবে এবং ৩০তম ব্যাচের সিনিয়র সহকারী সচিবেরা উপসচিব হিসেবে পদোন্নতি পেতে যাচ্ছেন। সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সচিব পদে নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে ১৮তম ব্যাচের ১১০ জন এবং উপসচিব পদে ৩০তম ব্যাচের ২৯১ জন কর্মকর্তাকে বিবেচনায় নিচ্ছে। এ ছাড়া দুই স্তরের আগের বঞ্চিত অন্তত ১৫০ কর্মকর্তার তথ্য-উপাত্তও যাচাই-বাছাই করবে এসএসবি। পদোন্নতির সুপারিশ করতে চলতি মাসেই এসএসবির বৈঠক শুরু হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, উপসচিব হিসেবে পদোন্নতি দিতে গত ১৮ জানুয়ারি প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্যান্য ক্যাডারের যোগ্য কর্মকর্তাদের তথ্য-উপাত্ত চেয়ে সব সচিবকে চিঠি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তথ্য-উপাত্ত দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতিপ্রত্যাশী বিসিএস ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের তথ্য-উপাত্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই যাচাই-বাছাই করে রেখেছে এসএসবি। আরও কয়েকটি বৈঠকের পর তালিকা চূড়ান্ত হবে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগে ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিষয়ে এসএসবি একাধিক বৈঠক করে কাজ এগিয়ে রেখেছে। ফেব্রুয়ারিতে আমরা বাকি বৈঠকগুলো শুরু করব। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে যথাযথ প্রক্রিয়ায় প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ ক্ষেত্রে সময় লাগবে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গত ১১ জানুয়ারি টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের পরই প্রশাসনে একধরনের স্বস্তি ফিরে আসে। যোগ্যতা অর্জনকারী কর্মকর্তারা পদোন্নতির জন্য ধরনা দিতে থাকেন সংশ্লিষ্ট বড় কর্তাদের দপ্তরে। সরকার গঠনের এক সপ্তাহের মাথায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় উপসচিব হিসেবে পদোন্নতি দিতে অন্যান্য ক্যাডার কর্মকর্তার তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়। পাশাপাশি অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির জন্যও তোড়জোড় শুরু হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।
জানা যায়, পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নম্বর, চাকরিজীবনের শৃঙ্খলা-দুর্নীতির বিষয়সহ ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে চাকরিজীবনের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত এবং পরিবারের সদস্যসহ নিকটাত্মীয়দের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কেও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। বিষয়গুলোর চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে এসএসবির বৈঠকে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিবের অনুমোদিত পদ ১৩৫টি। বর্তমানে কর্মরত ৩২১ জন। অর্থাৎ অনুমোদিত পদের দ্বিগুণের বেশি। কিন্তু বিসিএস ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তারা গত বছরের জুনেই পদোন্নতির সব যোগ্যতা অর্জন করেছেন। এই ব্যাচের ৯৬ জন কর্মকর্তার মধ্যে ৭৩ জন যুগ্মসচিব। এদের মধ্যে তিন-চারজনের যুগ্মসচিব পদে তিন বছর পূরণ হয়নি। ফলে পদোন্নতিযোগ্য আছেন অন্তত ৭০ জন। আর বিলুপ্ত ইকোনমিক ক্যাডারের আছেন ৪০ জনের মতো। এই ১১০ জনের সঙ্গে আগের বঞ্চিত অর্ধশত যুগ্মসচিবের বিষয়টিও বিবেচনা করবে এসএসবি। এ ক্ষেত্রে শতাধিক কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব হতে পারেন।
সূত্রমতে, প্রশাসনে ৪৩০টি সুপারনিউমারারি পদসহ উপসচিবের অনুমোদিত পদের সংখ্যা ১ হাজার ৪২৮। এই পদে কর্মরত আছেন ১ হাজার ৭০৯ জন। অর্থাৎ, পদের চেয়ে ২৮১ জন বেশি আছেন। এ পদে পদোন্নতিযোগ্য বিসিএস ৩০তম ব্যাচের ২৭৭ জন কর্মকর্তার মধ্যে ২৭১ জন পদোন্নতিযোগ্য আছেন। এ ছাড়া বিলুপ্ত ইকোনমিক ক্যাডারের ২০ জন অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন এই ব্যাচে। ফলে এই পদে পদোন্নতিযোগ্য মোট ২৯১ জন। পদোন্নতি বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব হিসেবে পদোন্নতির ক্ষেত্রে অন্যান্য ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাকে বিবেচনায় নিতে হবে। প্রশাসন ক্যাডারের বাইরেও আগের বঞ্চিতসহ অন্তত ১৫০ কর্মকর্তাকে বিবেচনায় নিতে হবে এসএসবিকে। এ ক্ষেত্রে আড়াই শর বেশি কর্মকর্তা উপসচিব হতে পারেন।
নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই জনপ্রশাসনের দুই স্তরে পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ দফায় বিসিএস ১৮তম ব্যাচের যুগ্ম-সচিবেরা অতিরিক্ত সচিব হিসেবে এবং ৩০তম ব্যাচের সিনিয়র সহকারী সচিবেরা উপসচিব হিসেবে পদোন্নতি পেতে যাচ্ছেন। সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি) এ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সচিব পদে নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে ১৮তম ব্যাচের ১১০ জন এবং উপসচিব পদে ৩০তম ব্যাচের ২৯১ জন কর্মকর্তাকে বিবেচনায় নিচ্ছে। এ ছাড়া দুই স্তরের আগের বঞ্চিত অন্তত ১৫০ কর্মকর্তার তথ্য-উপাত্তও যাচাই-বাছাই করবে এসএসবি। পদোন্নতির সুপারিশ করতে চলতি মাসেই এসএসবির বৈঠক শুরু হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, উপসচিব হিসেবে পদোন্নতি দিতে গত ১৮ জানুয়ারি প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্যান্য ক্যাডারের যোগ্য কর্মকর্তাদের তথ্য-উপাত্ত চেয়ে সব সচিবকে চিঠি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তথ্য-উপাত্ত দিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পদোন্নতিপ্রত্যাশী বিসিএস ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের তথ্য-উপাত্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই যাচাই-বাছাই করে রেখেছে এসএসবি। আরও কয়েকটি বৈঠকের পর তালিকা চূড়ান্ত হবে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এগুলো প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগে ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের বিষয়ে এসএসবি একাধিক বৈঠক করে কাজ এগিয়ে রেখেছে। ফেব্রুয়ারিতে আমরা বাকি বৈঠকগুলো শুরু করব। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে যথাযথ প্রক্রিয়ায় প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এ ক্ষেত্রে সময় লাগবে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর গত ১১ জানুয়ারি টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের পরই প্রশাসনে একধরনের স্বস্তি ফিরে আসে। যোগ্যতা অর্জনকারী কর্মকর্তারা পদোন্নতির জন্য ধরনা দিতে থাকেন সংশ্লিষ্ট বড় কর্তাদের দপ্তরে। সরকার গঠনের এক সপ্তাহের মাথায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় উপসচিব হিসেবে পদোন্নতি দিতে অন্যান্য ক্যাডার কর্মকর্তার তথ্য চেয়ে চিঠি দেয়। পাশাপাশি অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতির জন্যও তোড়জোড় শুরু হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে।
জানা যায়, পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নম্বর, চাকরিজীবনের শৃঙ্খলা-দুর্নীতির বিষয়সহ ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে চাকরিজীবনের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত এবং পরিবারের সদস্যসহ নিকটাত্মীয়দের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কেও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। বিষয়গুলোর চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে এসএসবির বৈঠকে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিবের অনুমোদিত পদ ১৩৫টি। বর্তমানে কর্মরত ৩২১ জন। অর্থাৎ অনুমোদিত পদের দ্বিগুণের বেশি। কিন্তু বিসিএস ১৮তম ব্যাচের কর্মকর্তারা গত বছরের জুনেই পদোন্নতির সব যোগ্যতা অর্জন করেছেন। এই ব্যাচের ৯৬ জন কর্মকর্তার মধ্যে ৭৩ জন যুগ্মসচিব। এদের মধ্যে তিন-চারজনের যুগ্মসচিব পদে তিন বছর পূরণ হয়নি। ফলে পদোন্নতিযোগ্য আছেন অন্তত ৭০ জন। আর বিলুপ্ত ইকোনমিক ক্যাডারের আছেন ৪০ জনের মতো। এই ১১০ জনের সঙ্গে আগের বঞ্চিত অর্ধশত যুগ্মসচিবের বিষয়টিও বিবেচনা করবে এসএসবি। এ ক্ষেত্রে শতাধিক কর্মকর্তা অতিরিক্ত সচিব হতে পারেন।
সূত্রমতে, প্রশাসনে ৪৩০টি সুপারনিউমারারি পদসহ উপসচিবের অনুমোদিত পদের সংখ্যা ১ হাজার ৪২৮। এই পদে কর্মরত আছেন ১ হাজার ৭০৯ জন। অর্থাৎ, পদের চেয়ে ২৮১ জন বেশি আছেন। এ পদে পদোন্নতিযোগ্য বিসিএস ৩০তম ব্যাচের ২৭৭ জন কর্মকর্তার মধ্যে ২৭১ জন পদোন্নতিযোগ্য আছেন। এ ছাড়া বিলুপ্ত ইকোনমিক ক্যাডারের ২০ জন অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন এই ব্যাচে। ফলে এই পদে পদোন্নতিযোগ্য মোট ২৯১ জন। পদোন্নতি বিধিমালা অনুযায়ী, উপসচিব হিসেবে পদোন্নতির ক্ষেত্রে অন্যান্য ক্যাডার থেকে ২৫ শতাংশ কর্মকর্তাকে বিবেচনায় নিতে হবে। প্রশাসন ক্যাডারের বাইরেও আগের বঞ্চিতসহ অন্তত ১৫০ কর্মকর্তাকে বিবেচনায় নিতে হবে এসএসবিকে। এ ক্ষেত্রে আড়াই শর বেশি কর্মকর্তা উপসচিব হতে পারেন।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৬ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৮ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৮ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৯ ঘণ্টা আগে