নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সদ্য বিদায়ী ২০২২ সালে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক মাত্রায় বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা, হত্যাকাণ্ডে শিশুর মৃত্যুর সংখ্যাও। বেড়েছে ছেলেশিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি ২০২২: সংবাদপত্রের পাতা থেকে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। দেশের আটটি বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর থেকে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালে পানিতে ডুবে ৪০৫টি শিশু মারা গেছে। এক বছর পরে ২০২২ সালে এমন মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫২-তে। গত বছর পানিতে ডুবে প্রাণ হারানো শিশুদের মধ্যে ৫২০টি মেয়েশিশু ও ৬৩২টি ছেলেশিশু।
এদিকে শিশু যৌন নির্যাতনের সংখ্যা ২০২১ সালের তুলনায় কমলেও গত বছর ছেলেশিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে বেশি। গত বছর মোট ৯৬টি শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। এর মধ্যে ছেলেশিশুর সংখ্যা ২০, যা ২০২১ সালে ছিল ৬।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ধর্ষণের ঘটনা কমেছে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ। গত বছর সারা দেশে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ছিল ৫৬০টি। ৯৮টি শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা গেছে ১২টি মেয়েশিশু। ২০২১ সালে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ছিল ৮১৮টি।
এ বিষয়ে এমজেএফের পর্যবেক্ষণ হলো, অধিকাংশ শিশু ধর্ষণের ঘটনা পারিবারিক পরিবেশে পরিচিতদের দিয়েই ঘটে। এ ছাড়া গত বছর প্রতিবেশীদের হাতেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার অধিকাংশ শিশুর বয়স ২ বছর থেকে ১২ বছর। শিশুদের লোভ দেখিয়ে পরিচিতরা ধর্ষণ করেছে। কিশোরীরা ধর্ষণের শিকার হয়েছে বন্ধুদের কাছে, কর্মক্ষেত্রে, স্কুলে যাওয়ার পথে ও পরিবারের ভেতরে।
গত বছর ৪৪টি শিশু আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মেয়ে ২৭ ও ১৩টি ছেলে। মূলত পরীক্ষার ফল বিপর্যয়, পরিবারের ওপর অভিমান, প্রেমে ব্যর্থ, উত্ত্যক্ত হওয়ার পরে, ধর্ষণের শিকার হওয়ায় বা ধর্ষণচেষ্টা করায় কিংবা ধর্ষণের বিচার না পাওয়ায় এবং সাইবার হেনস্তা বা ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়েও আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে।
এ ছাড়া গত বছর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে শিশুমৃত্যুর হার বেড়েছে। ৩১১টি শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে এবং হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৪২টি শিশুকে।
ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিয়ে আলাদাভাবে একই সময়ে মোট ১১টি এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর সংখ্যা ১৫ এবং সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ঢাকায়। ১৫ জন গৃহকর্মী ধর্ষণসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন নিহত, ৭ জন আহত ও ৩ জন আত্মহত্যা করেছে। নিহত গৃহকর্মীদের মধ্যে ৩ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার। দুজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনায়ও বেড়েছে শিশুমৃত্যুর হার। গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ১৯৬টি শিশু। গত বছর মোট নিখোঁজ শিশুর সংখ্যা ২০। এর মধ্যে মেয়েশিশু ৬ ও ছেলেশিশু ১৪। শিশু অপরাধে মেয়ে শিশুদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। ৩০টি শিশু অপহরণ হয়েছে বলেও জানানো হয়।
এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামসহ অন্য অতিথিরা বলেন, এমজেএফের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, শিশুরা নিজের বাসায় নিরাপদ নয়। শিশু ধর্ষণ ও শিশুকে যৌন হয়রানি বন্ধ করার জন্য সবাইকে এখনই জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, তা না হলে এই হার বাড়তেই থাকবে। শিশু সুরক্ষায় নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠানের সবাইকে আরও বেশি হৃদয়বান হওয়ার পাশাপাশি শিশু অধিকার রক্ষায় সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তাঁরা।
২০২১ সালের তুলনায় গত বছর বাল্যবিবাহের ঘটনা ৯৪ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। তারা বলছে, ২০২১ সালে দেশের ২৩টি জেলায় ৪১ হাজার ৯৫টি বাল্যবিবাহের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এসব পত্রিকায়। ২০২২ সালে এসে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ২ হাজার ৩০১টি। এর কারণ হিসেবে তারা বলছে, করোনার সময় অর্থাৎ ২০২০ ও ২১ সালে স্কুল বন্ধ থাকায় ও অভাব-অনটনের কারণে বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ২০২২-এ এসে পরিস্থিতি বদলানোয় তা অনেক কমে গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে শিশু ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সদ্য বিদায়ী ২০২২ সালে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার আশঙ্কাজনক মাত্রায় বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনা, হত্যাকাণ্ডে শিশুর মৃত্যুর সংখ্যাও। বেড়েছে ছেলেশিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি ২০২২: সংবাদপত্রের পাতা থেকে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। দেশের আটটি বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবর থেকে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালে পানিতে ডুবে ৪০৫টি শিশু মারা গেছে। এক বছর পরে ২০২২ সালে এমন মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় তিন গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৫২-তে। গত বছর পানিতে ডুবে প্রাণ হারানো শিশুদের মধ্যে ৫২০টি মেয়েশিশু ও ৬৩২টি ছেলেশিশু।
এদিকে শিশু যৌন নির্যাতনের সংখ্যা ২০২১ সালের তুলনায় কমলেও গত বছর ছেলেশিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে বেশি। গত বছর মোট ৯৬টি শিশু যৌন নির্যাতনের ঘটনা উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে। এর মধ্যে ছেলেশিশুর সংখ্যা ২০, যা ২০২১ সালে ছিল ৬।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে ধর্ষণের ঘটনা কমেছে ৩১ দশমিক ৫ শতাংশ। গত বছর সারা দেশে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ছিল ৫৬০টি। ৯৮টি শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা গেছে ১২টি মেয়েশিশু। ২০২১ সালে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ছিল ৮১৮টি।
এ বিষয়ে এমজেএফের পর্যবেক্ষণ হলো, অধিকাংশ শিশু ধর্ষণের ঘটনা পারিবারিক পরিবেশে পরিচিতদের দিয়েই ঘটে। এ ছাড়া গত বছর প্রতিবেশীদের হাতেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার অধিকাংশ শিশুর বয়স ২ বছর থেকে ১২ বছর। শিশুদের লোভ দেখিয়ে পরিচিতরা ধর্ষণ করেছে। কিশোরীরা ধর্ষণের শিকার হয়েছে বন্ধুদের কাছে, কর্মক্ষেত্রে, স্কুলে যাওয়ার পথে ও পরিবারের ভেতরে।
গত বছর ৪৪টি শিশু আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মেয়ে ২৭ ও ১৩টি ছেলে। মূলত পরীক্ষার ফল বিপর্যয়, পরিবারের ওপর অভিমান, প্রেমে ব্যর্থ, উত্ত্যক্ত হওয়ার পরে, ধর্ষণের শিকার হওয়ায় বা ধর্ষণচেষ্টা করায় কিংবা ধর্ষণের বিচার না পাওয়ায় এবং সাইবার হেনস্তা বা ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়েও আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটেছে।
এ ছাড়া গত বছর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে শিশুমৃত্যুর হার বেড়েছে। ৩১১টি শিশু হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে এবং হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৪২টি শিশুকে।
ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিয়ে আলাদাভাবে একই সময়ে মোট ১১টি এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর সংখ্যা ১৫ এবং সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে ঢাকায়। ১৫ জন গৃহকর্মী ধর্ষণসহ নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জন নিহত, ৭ জন আহত ও ৩ জন আত্মহত্যা করেছে। নিহত গৃহকর্মীদের মধ্যে ৩ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার। দুজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনায়ও বেড়েছে শিশুমৃত্যুর হার। গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে ১৯৬টি শিশু। গত বছর মোট নিখোঁজ শিশুর সংখ্যা ২০। এর মধ্যে মেয়েশিশু ৬ ও ছেলেশিশু ১৪। শিশু অপরাধে মেয়ে শিশুদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। ৩০টি শিশু অপহরণ হয়েছে বলেও জানানো হয়।
এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামসহ অন্য অতিথিরা বলেন, এমজেএফের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, শিশুরা নিজের বাসায় নিরাপদ নয়। শিশু ধর্ষণ ও শিশুকে যৌন হয়রানি বন্ধ করার জন্য সবাইকে এখনই জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে, তা না হলে এই হার বাড়তেই থাকবে। শিশু সুরক্ষায় নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠানের সবাইকে আরও বেশি হৃদয়বান হওয়ার পাশাপাশি শিশু অধিকার রক্ষায় সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তাঁরা।
২০২১ সালের তুলনায় গত বছর বাল্যবিবাহের ঘটনা ৯৪ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। তারা বলছে, ২০২১ সালে দেশের ২৩টি জেলায় ৪১ হাজার ৯৫টি বাল্যবিবাহের সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এসব পত্রিকায়। ২০২২ সালে এসে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ২ হাজার ৩০১টি। এর কারণ হিসেবে তারা বলছে, করোনার সময় অর্থাৎ ২০২০ ও ২১ সালে স্কুল বন্ধ থাকায় ও অভাব-অনটনের কারণে বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পেয়েছিল। ২০২২-এ এসে পরিস্থিতি বদলানোয় তা অনেক কমে গেছে।
সংবাদ সম্মেলনে শিশু ও মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৬ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৭ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৮ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৮ ঘণ্টা আগে