শ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা) প্রতিনিধি
ঈদের আগের দিনেও ঘরমুখো মানুষের তেমন চাপ পড়েনি সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। সারা দিন যাত্রী তেমন না থাকলেও বিকেলের পর থেকে অনেকটা মানুষের চাপ বাড়ে টার্মিনালে। লঞ্চগুলো সারা দিন ফাঁকা থাকলেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তা পূর্ণ হতে শুরু করে। ব্যস্ত হয়ে ওঠেন লঞ্চের স্টাফেরা। এই ঈদে অনেকটা নিরাপদে যেতে পেরে খুশি যাত্রীরা। তবে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার অভিযোগও করলেন অনেকে। রয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও।
সদরঘাট আন্তজেলা লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, আমতলী, ঝালকাঠি, হুলারহাট, শরিয়তপুর, মাদারীপুর চাঁদপুরসহ কয়েকটি জেলা ও এলাকায় লঞ্চ চলাচল করে। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষই এই নৌপথে চলাচল করেন। বৃহত্তর বরিশাল রুটে চলাচলরত বড় লঞ্চগুলো ধারণ ক্ষমতা আকারভেদে ৭৫০ থেকে ৯ শতাধিক যাত্রীর।
এবার, ঈদে যেন যাত্রীরা যেন নিরাপদে গন্তব্যে যেতে পারেন সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, লঞ্চ মালিক ও বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রতিবারের মতো এবারও নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।
পরিবারসহ ভোলা যাবেন বেসরকারি চাকরিজীবী রুবেল। তিনি জানান, ‘ভাবছিলাম আজকে হয়তো ভিড় একটু বেশি থাকবে। তাই ঈদের কেনাকাটা শেষ করে আসলাম। কিন্তু দেখি মানুষের তেমন চাপ নাই। আশা করি, বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে অনেকটা আরামেই যেতে পারব।’
গার্মেন্টসকর্মী রোজিনা জানান, সারা বছর বরিশালের লঞ্চে ডেকের ভাড়া নেওয়া হয় ৩৫০ টাকা, সেটা আজ নেওয়া হচ্ছে ৪ শ টাকা। এদিকে, বরিশাল রুটের সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ১৪ শ ও ডাবল কেবিনের ভাড়া ২ হাজার ৪ শ টাকা। কিন্তু কেবিন সংকটের কথা বলে সেটা ৪ থেকে ৫শ টাকা বেশি চাওয়ার অভিযোগ করলেন ব্যাংকার রবিন ও শামীম। এ ব্যাপারে সুন্দরবন লঞ্চের টিকেটম্যান সালাম বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নেওয়া হচ্ছে।’ ঝালকাঠিগামী মাকসুদার অভিযোগ, ‘২ ঘণ্টা যাবৎ পুরো পরিবারের সদস্যরা বসে আছি। কিন্তু লঞ্চের খবর নাই। এই গরমে খুব ভোগান্তিতে আছি।’
বরিশালগামী লঞ্চ পারাবত-১০ এর কেরানি হৃদয় জানালেন, গতকাল সকালের পর থেকেই যাত্রীদের চাপ কম। বেশির ভাগ কেবিনই খালি। ডেকেও যাত্রী নেই। এবার ঈদ বোনাসের কি হবে জানি না।
সদরঘাট টার্মিনালের যাত্রী প্রবেশ ফির কাউন্টার কর্মী নুরুন্নবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল (রোববার) সকালে চাপ থাকলেও এর পর থেকে কোনো চাপ নেই। অলস সময় কাটাচ্ছি। এখানে আমার চাকরির বয়সে এমন অবস্থা দেখিনি। যাত্রী না থাকায় টিকিটও তেমন বিক্রি করতে পারছি না। তবে বিকেল থেকে কিছুটা বাড়তে পারে।’
ঢাকা নদী বন্দর (সদরঘাট টার্মিনাল) কর্তৃপক্ষ জানায়, আজ (সোমবার) বেলা সাড়ে পাঁচটার মধ্যে বিভিন্ন এলাকার ৫১টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। রাত পর্যন্ত হয়তো আরও ৩০ / ৪০টি লঞ্চ ছেড়ে যেতে পারে। সাধারণ দিনগুলোতে প্রতিদিন এখান থেকে বিভিন্ন এলাকায় লঞ্চ ছেড়ে যায় ৭০ / ৭৫টি। বৃহস্পতিবার যায় ৮০ / ৮৫টি। গতকাল (রোববার) বিভিন্ন এলাকায় ছেড়ে গিয়েছিল ১৫১টি লঞ্চ।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পাবেল মিয়া জানান, এবার ঈদের ছুটিতে যাত্রীদের চাপ তেমন না থাকায় কোথাও তেমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমাদেরও তেমন বেগ পেতে হয়নি।’
সার্বিক বিষয়ে ঢাকা নদী বন্দরের (সদরঘাট টার্মিনাল) যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও ট্রাফিক) আলমগীর কবীর আজকের পত্রিকাকে জানান, এবারের ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় ঘরমুখো মানুষেরা অনেকটা রিলাক্স মুডে, নিরাপদে বাড়ি গিয়েছেন।’
ঈদের আগের দিনেও ঘরমুখো মানুষের তেমন চাপ পড়েনি সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। সারা দিন যাত্রী তেমন না থাকলেও বিকেলের পর থেকে অনেকটা মানুষের চাপ বাড়ে টার্মিনালে। লঞ্চগুলো সারা দিন ফাঁকা থাকলেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে তা পূর্ণ হতে শুরু করে। ব্যস্ত হয়ে ওঠেন লঞ্চের স্টাফেরা। এই ঈদে অনেকটা নিরাপদে যেতে পেরে খুশি যাত্রীরা। তবে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার অভিযোগও করলেন অনেকে। রয়েছে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও।
সদরঘাট আন্তজেলা লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, আমতলী, ঝালকাঠি, হুলারহাট, শরিয়তপুর, মাদারীপুর চাঁদপুরসহ কয়েকটি জেলা ও এলাকায় লঞ্চ চলাচল করে। বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষই এই নৌপথে চলাচল করেন। বৃহত্তর বরিশাল রুটে চলাচলরত বড় লঞ্চগুলো ধারণ ক্ষমতা আকারভেদে ৭৫০ থেকে ৯ শতাধিক যাত্রীর।
এবার, ঈদে যেন যাত্রীরা যেন নিরাপদে গন্তব্যে যেতে পারেন সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, লঞ্চ মালিক ও বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রতিবারের মতো এবারও নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।
পরিবারসহ ভোলা যাবেন বেসরকারি চাকরিজীবী রুবেল। তিনি জানান, ‘ভাবছিলাম আজকে হয়তো ভিড় একটু বেশি থাকবে। তাই ঈদের কেনাকাটা শেষ করে আসলাম। কিন্তু দেখি মানুষের তেমন চাপ নাই। আশা করি, বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে অনেকটা আরামেই যেতে পারব।’
গার্মেন্টসকর্মী রোজিনা জানান, সারা বছর বরিশালের লঞ্চে ডেকের ভাড়া নেওয়া হয় ৩৫০ টাকা, সেটা আজ নেওয়া হচ্ছে ৪ শ টাকা। এদিকে, বরিশাল রুটের সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ১৪ শ ও ডাবল কেবিনের ভাড়া ২ হাজার ৪ শ টাকা। কিন্তু কেবিন সংকটের কথা বলে সেটা ৪ থেকে ৫শ টাকা বেশি চাওয়ার অভিযোগ করলেন ব্যাংকার রবিন ও শামীম। এ ব্যাপারে সুন্দরবন লঞ্চের টিকেটম্যান সালাম বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নেওয়া হচ্ছে।’ ঝালকাঠিগামী মাকসুদার অভিযোগ, ‘২ ঘণ্টা যাবৎ পুরো পরিবারের সদস্যরা বসে আছি। কিন্তু লঞ্চের খবর নাই। এই গরমে খুব ভোগান্তিতে আছি।’
বরিশালগামী লঞ্চ পারাবত-১০ এর কেরানি হৃদয় জানালেন, গতকাল সকালের পর থেকেই যাত্রীদের চাপ কম। বেশির ভাগ কেবিনই খালি। ডেকেও যাত্রী নেই। এবার ঈদ বোনাসের কি হবে জানি না।
সদরঘাট টার্মিনালের যাত্রী প্রবেশ ফির কাউন্টার কর্মী নুরুন্নবী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল (রোববার) সকালে চাপ থাকলেও এর পর থেকে কোনো চাপ নেই। অলস সময় কাটাচ্ছি। এখানে আমার চাকরির বয়সে এমন অবস্থা দেখিনি। যাত্রী না থাকায় টিকিটও তেমন বিক্রি করতে পারছি না। তবে বিকেল থেকে কিছুটা বাড়তে পারে।’
ঢাকা নদী বন্দর (সদরঘাট টার্মিনাল) কর্তৃপক্ষ জানায়, আজ (সোমবার) বেলা সাড়ে পাঁচটার মধ্যে বিভিন্ন এলাকার ৫১টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। রাত পর্যন্ত হয়তো আরও ৩০ / ৪০টি লঞ্চ ছেড়ে যেতে পারে। সাধারণ দিনগুলোতে প্রতিদিন এখান থেকে বিভিন্ন এলাকায় লঞ্চ ছেড়ে যায় ৭০ / ৭৫টি। বৃহস্পতিবার যায় ৮০ / ৮৫টি। গতকাল (রোববার) বিভিন্ন এলাকায় ছেড়ে গিয়েছিল ১৫১টি লঞ্চ।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পাবেল মিয়া জানান, এবার ঈদের ছুটিতে যাত্রীদের চাপ তেমন না থাকায় কোথাও তেমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমাদেরও তেমন বেগ পেতে হয়নি।’
সার্বিক বিষয়ে ঢাকা নদী বন্দরের (সদরঘাট টার্মিনাল) যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও ট্রাফিক) আলমগীর কবীর আজকের পত্রিকাকে জানান, এবারের ঈদের ছুটি দীর্ঘ হওয়ায় ঘরমুখো মানুষেরা অনেকটা রিলাক্স মুডে, নিরাপদে বাড়ি গিয়েছেন।’
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৪ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৬ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৬ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৭ ঘণ্টা আগে