পুলিশের বাধ্যতামূলক অবসরের আলোচনার মধ্যেই সদর দপ্তর থেকে বদলি করা হলো দুই কর্মকর্তাকে। প্রশাসন শাখার অতিরিক্ত উপপুলিশ মহাপরিদর্শক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. মাসুদুর রহমানকে রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির অতিরিক্ত ডিআইজি হিসেবে এবং সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক (এআইজি) মোহাম্মদ আয়ুবকে ৬ এপিবিএন, মহালছড়িতে (খাগড়াছড়ি সংযুক্ত) বদলি করা হয়েছে। তিনি পুলিশ ইন্টারনাল ওভারসাইট (পিআইও) শাখায় ছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ শাখার উপসচিব হারুন অর রশীদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে অবিলম্বে এ আদেশ কার্যকর হবে বলে জানানো হয়।

মাসুদুর রহমান দীর্ঘদিন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ দায়িত্ব পাওয়ার পর ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সদর দপ্তরে বদলি করা হয় তাঁকে।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আরও কিছু কর্মকর্তাকে বদলি করা হবে অচিরেই। সাধারণত নতুন আইজিপি দায়িত্ব নিলে এমন কিছু পরিবর্তন আসে। পুলিশ প্রধান যেসব কর্মকর্তার সঙ্গে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তাঁদেরই সদর দপ্তরে পদায়ন করা হয়।

গত ১৮ অক্টোবর তিনজন পুলিশ সুপারকে (এসপি) ‘বাধ্যতামূলক’ অবসরে পাঠায় সরকার। তাঁরা কাজ করতেন না, সরকারবিরোধী বিভিন্ন তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে আদান–প্রদান করতেন—এমন অভিযোগ রয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।

তাঁরা হলেন—পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী ও মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা এবং পুলিশ সদর দপ্তরের মুহম্মদ শহীদুল্লাহ চৌধুরী। তাঁদের মধ্যে দেলোয়ার ও শহীদুল্লাহ ১২ তম ব্যাচের এবং আবদুল্লাহেল বাকী ১৫ তম ব্যাচের কর্মকর্তা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আলাদা প্রজ্ঞাপনে এই তিন পুলিশ কর্মকর্তাকে চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই অবসরে পাঠানোর কথা জানানো হয়।

মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত পৃথক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন ২০১৮–এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হলো।

গত রোববার (১৬ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মকবুল হোসেনকে ‘বাধ্যতামূলক’ অবসরে পাঠানো হয়। প্রশাসনের শীর্ষ পদে এভাবে অবসরে পাঠানো নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। কারও মতে, নির্বাচন সামনে রেখে সরকার পুলিশ ও প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।