জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, ঢাকা
বড় বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচন অবৈধ হবে না, গ্রহণযোগ্যতা খর্ব হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক ও বিদায়ী কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, ‘আমরা কিন্তু সব সময় বলেছি নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হোক। আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শেষ ভাষণেও বলেছিলাম বিএনপির জন্য সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। আমরা মুখে বলেছি, টেলিফোনে বলেছি, ডিও লেটার দিয়ে আহ্বান জানিয়েছি। তারা আহ্বানে সাড়া দেয়নি। আমরা খুবই খুশি হতাম, এটা নির্দ্বিধায় বলছি, যদি নির্বাচন তারা আসত আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক হতো। তাহলে ভোটার উপস্থিতি নিঃসন্দেহে আরও বেশি হতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘বড় বড় রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচন অশুদ্ধ হবে না, অবৈধ হবে না। কিন্তু নির্বাচনের সর্বজনীনতা, গ্রহণযোগ্যতা, ন্যায্যতা খর্ব হতে পারে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘একটা বড় নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচনটা ভালো হয়েছে কি মন্দ হয়েছে সেটি আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়, আমরা চেষ্টা করেছি। সামনে আরও অনেকগুলো নির্বাচন আছে, উপজেলা নির্বাচন রয়েছে, এগুলোকেও কিন্তু খাটো করে দেখার বিষয় নয়।
উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘শুনেছি এবার উপজেলা পরিষদে দলীয় প্রতীক থাকবে না। গণমাধ্যমে তাই দেখলাম, এটা ভালো। কারণ এটা তো রাষ্ট্রীয় নির্বাচন নয়, এলাকাভিত্তিক। এতে এলাকার জন্য নির্বাচন করবেন, পুরো জাতির জন্য নয়। কাজেই স্থানীয় সরকারের সীমিত ক্ষমতা থাকে, পরিপূর্ণ ক্ষমতা হয়তো থাকে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি খুব একটা বলতে চাই না। হয়তো পাকিস্তানের দৃষ্টান্ত এসে যেতে পারে। সেখানেও একটা নির্বাচন...এটা বেশ সাড়া জাগানো নির্বাচন হয়েছে। আমি ওর বিশ্লেষণে যাচ্ছি না। সেটাও একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে।’
সিইসি বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে সত্যিকার অর্থে জনপ্রিয়, জনগণকে যাঁরা ভালোবাসেন, জনগণের সঙ্গে পরিচিতি আছে, তাঁরা জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচন করবেন। তিনি যে দলেরই হোক। তাঁরা অংশগ্রহণ করুন এবং নির্বাচিত হয়ে জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি যাতে পূর্ণ করতে পারেন সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করি।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নিঃসন্দেহে আমার যেটা অভিজ্ঞতা-স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি অনেক বেশি হয়। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ, ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির যে সম্পর্ক, সেটি অনেক বেশি গম্ভীর এবং গভীর। যার কারণে ভোটারেরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার জন্য অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে থাকেন। এ জন্য এসব নির্বাচনে উপস্থিতিটা বেশি হয়।’
গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘অনেক সময় রাষ্ট্রের অন্য স্তম্ভগুলো যখন কাজ করে না, তখন কিন্তু সবগুলো কাজ গণমাধ্যম একসঙ্গে করে। সব দায়িত্ব নিয়ে ফেলে। সমাজকে অনেকটা বাঁচিয়ে রাখে। বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে পালন করা না হলে, সেখানে গণমাধ্যম এগিয়ে এলে, জবাবদিহির একটি জায়গা আছে। সেটি আরও পরিস্ফুটিত হতে পারে এবং এটি প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘শুধু প্রশংসা নয়, যেখানে সমালোচনা প্রয়োজন, সেখানে সমালোচনা করতে হবে। এতে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। গণমাধ্যমে সেটা ছাড় দেবে না। এটাই গণমাধ্যমের দায়িত্ব। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে আমি যথেষ্ট আস্থাশীল।’
আরএফইডির নবনির্বাচিত সভাপতি একরামুল হক সায়েমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ ও বিদায়ী কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.), বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম প্রমুখ।
বড় বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নিলে নির্বাচন অবৈধ হবে না, গ্রহণযোগ্যতা খর্ব হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক ও বিদায়ী কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, ‘আমরা কিন্তু সব সময় বলেছি নির্বাচনটা অংশগ্রহণমূলক হোক। আমি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শেষ ভাষণেও বলেছিলাম বিএনপির জন্য সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। আমরা মুখে বলেছি, টেলিফোনে বলেছি, ডিও লেটার দিয়ে আহ্বান জানিয়েছি। তারা আহ্বানে সাড়া দেয়নি। আমরা খুবই খুশি হতাম, এটা নির্দ্বিধায় বলছি, যদি নির্বাচন তারা আসত আরও বেশি অংশগ্রহণমূলক হতো। তাহলে ভোটার উপস্থিতি নিঃসন্দেহে আরও বেশি হতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘বড় বড় রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নির্বাচন অশুদ্ধ হবে না, অবৈধ হবে না। কিন্তু নির্বাচনের সর্বজনীনতা, গ্রহণযোগ্যতা, ন্যায্যতা খর্ব হতে পারে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘একটা বড় নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচনটা ভালো হয়েছে কি মন্দ হয়েছে সেটি আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়, আমরা চেষ্টা করেছি। সামনে আরও অনেকগুলো নির্বাচন আছে, উপজেলা নির্বাচন রয়েছে, এগুলোকেও কিন্তু খাটো করে দেখার বিষয় নয়।
উপজেলায় দলীয় প্রতীক না দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘শুনেছি এবার উপজেলা পরিষদে দলীয় প্রতীক থাকবে না। গণমাধ্যমে তাই দেখলাম, এটা ভালো। কারণ এটা তো রাষ্ট্রীয় নির্বাচন নয়, এলাকাভিত্তিক। এতে এলাকার জন্য নির্বাচন করবেন, পুরো জাতির জন্য নয়। কাজেই স্থানীয় সরকারের সীমিত ক্ষমতা থাকে, পরিপূর্ণ ক্ষমতা হয়তো থাকে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি খুব একটা বলতে চাই না। হয়তো পাকিস্তানের দৃষ্টান্ত এসে যেতে পারে। সেখানেও একটা নির্বাচন...এটা বেশ সাড়া জাগানো নির্বাচন হয়েছে। আমি ওর বিশ্লেষণে যাচ্ছি না। সেটাও একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে।’
সিইসি বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে সত্যিকার অর্থে জনপ্রিয়, জনগণকে যাঁরা ভালোবাসেন, জনগণের সঙ্গে পরিচিতি আছে, তাঁরা জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচন করবেন। তিনি যে দলেরই হোক। তাঁরা অংশগ্রহণ করুন এবং নির্বাচিত হয়ে জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি যাতে পূর্ণ করতে পারেন সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করি।’
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নিঃসন্দেহে আমার যেটা অভিজ্ঞতা-স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি অনেক বেশি হয়। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ, ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির যে সম্পর্ক, সেটি অনেক বেশি গম্ভীর এবং গভীর। যার কারণে ভোটারেরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার জন্য অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে থাকেন। এ জন্য এসব নির্বাচনে উপস্থিতিটা বেশি হয়।’
গণমাধ্যমের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘অনেক সময় রাষ্ট্রের অন্য স্তম্ভগুলো যখন কাজ করে না, তখন কিন্তু সবগুলো কাজ গণমাধ্যম একসঙ্গে করে। সব দায়িত্ব নিয়ে ফেলে। সমাজকে অনেকটা বাঁচিয়ে রাখে। বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্বগুলো সঠিকভাবে পালন করা না হলে, সেখানে গণমাধ্যম এগিয়ে এলে, জবাবদিহির একটি জায়গা আছে। সেটি আরও পরিস্ফুটিত হতে পারে এবং এটি প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ‘শুধু প্রশংসা নয়, যেখানে সমালোচনা প্রয়োজন, সেখানে সমালোচনা করতে হবে। এতে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। গণমাধ্যমে সেটা ছাড় দেবে না। এটাই গণমাধ্যমের দায়িত্ব। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে আমি যথেষ্ট আস্থাশীল।’
আরএফইডির নবনির্বাচিত সভাপতি একরামুল হক সায়েমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ূন কবীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত নতুন কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ ও বিদায়ী কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.), বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, মো. আনিছুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম প্রমুখ।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৩ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৫ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৫ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৬ ঘণ্টা আগে