নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এবং তাঁর দল আওয়ামী লীগ ও এর সব সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মো. বুলবুল কবিরের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে আবেদনটি করেছেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক (প্রশাসন) আতাউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত কাজ শুরু করে দিয়েছি। তদন্ত শেষ হলে বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে পাঠানো হবে।’
তিনি আরও জানান, তদন্ত সংস্থার ১০ জনের মধ্যে সমন্বয়ক সানাউল হক, সহকারী সমন্বয়ক আব্দুর রহিম এবং তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও ওবায়দুল্লাহর চুক্তির মেয়াদ ৬ আগস্ট শেষ হয়েছে। এখন ছয়জন রয়েছেন।
যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
আবেদনে আসামি হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা; সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের; সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল; সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক; সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং তৎকালীন সরকারের কিছু মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য; পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন; ঢাকা মহানগর ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ; ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান ও কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য; র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক মো. হারুন অর রশিদ ও কিছু অসাধু র্যাব কর্মকর্তা, সদস্যসহ অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারী আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মী এবং সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সবার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩–এর ৩(২) ও ৪ (১), ৪ (২) ধারা অনুযায়ী গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তের আবেদনে ঘটনার স্থান হিসেবে ‘সমগ্র বাংলাদেশ’ উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও এমপি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় পুলিশ–র্যাব আন্দোলনকারী ছাত্র–জনতাকে নির্মূল করার উদ্দেশ্যে দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে কমপক্ষে ৪৩৯ জনকে হত্যা করা হয়। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ হাজার।
এ ছাড়া এক হাজার আন্দোলনরত ছাত্র–জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে চিরতরে অন্ধ ও পুঙ্গত্ব বরণ করেছেন। নির্মম গণহত্যার শিকার হয় ৩২ শিশু। আন্দোলনরত জনতাকে নির্মূল করতে র্যাব সদস্যরা হেলিকপ্টার থেকে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করেন।
আবেদনে অপরাধের ধরনের বিষয়ে বলা হয়েছে, ১ থেকে ৯ নম্বর আসামির নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্য আসামিরা দেশি ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে নির্বিচার গুলি করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাঁদের সমূল বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের মতো অপরাধ করেছেন।
ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এবং তাঁর দল আওয়ামী লীগ ও এর সব সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আরিফ আহমেদ সিয়ামের বাবা মো. বুলবুল কবিরের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে আবেদনটি করেছেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক (প্রশাসন) আতাউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্ত কাজ শুরু করে দিয়েছি। তদন্ত শেষ হলে বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে পাঠানো হবে।’
তিনি আরও জানান, তদন্ত সংস্থার ১০ জনের মধ্যে সমন্বয়ক সানাউল হক, সহকারী সমন্বয়ক আব্দুর রহিম এবং তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও ওবায়দুল্লাহর চুক্তির মেয়াদ ৬ আগস্ট শেষ হয়েছে। এখন ছয়জন রয়েছেন।
যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
আবেদনে আসামি হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা; সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের; সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল; সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক; সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং তৎকালীন সরকারের কিছু মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য; পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন; ঢাকা মহানগর ডিবির সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ; ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান ও কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য; র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক মো. হারুন অর রশিদ ও কিছু অসাধু র্যাব কর্মকর্তা, সদস্যসহ অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারী আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মী এবং সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
সবার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩–এর ৩(২) ও ৪ (১), ৪ (২) ধারা অনুযায়ী গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। তদন্তের আবেদনে ঘটনার স্থান হিসেবে ‘সমগ্র বাংলাদেশ’ উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারা দেশে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও এমপি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় পুলিশ–র্যাব আন্দোলনকারী ছাত্র–জনতাকে নির্মূল করার উদ্দেশ্যে দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে কমপক্ষে ৪৩৯ জনকে হত্যা করা হয়। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ হাজার।
এ ছাড়া এক হাজার আন্দোলনরত ছাত্র–জনতা গুলিবিদ্ধ হয়ে চিরতরে অন্ধ ও পুঙ্গত্ব বরণ করেছেন। নির্মম গণহত্যার শিকার হয় ৩২ শিশু। আন্দোলনরত জনতাকে নির্মূল করতে র্যাব সদস্যরা হেলিকপ্টার থেকে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করেন।
আবেদনে অপরাধের ধরনের বিষয়ে বলা হয়েছে, ১ থেকে ৯ নম্বর আসামির নির্দেশে ও পরিকল্পনায় অন্য আসামিরা দেশি ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে নির্বিচার গুলি করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাঁদের সমূল বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের মতো অপরাধ করেছেন।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৫ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০৭ জন রোগী।
১১ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অফ পার্টিস-২৯(কপ২৯)’ শীর্ষক বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।
১১ ঘণ্টা আগেবিচারপতি এম এ মতিন বলেছেন, ‘জনগণের প্রতিনিধিদের নিয়ে দেশ পরিচালিত হবে—এটাই স্বাভাবিক, এর কোনো ব্যত্যয় হওয়া উচিত নয়। কিন্তু দেশের ন্যূনতম কোনো সংস্কার না করে রাজনীতিবিদদের হাতে ছেড়ে দেওয়া অনেকে নিরাপদ বোধ করছে না। ভালো নির্বাচন হলেও স্বৈরতন্ত্র আসবে না, তার গ্যারান্টি নেই
১৩ ঘণ্টা আগে