শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে মানুষ হত্যার অভিযোগে করা মামলাগুলোয় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। প্রথমে এসব মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য (এমপি) ও প্রভাবশালী নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হলেও এখন তৃণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদেরও ধরা হচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেওয়া।
এক বার্তার পর মামলার এজাহারভুক্ত আসামিসহ অজ্ঞাতনামাদের ধরতে এ তৎপরতা শুরু হয়েছে। গত পাঁচ দিনে ৪ হাজার ৯০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বার্তা যাওয়ার পর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) থানাগুলোকে একধরনের ‘গ্রেপ্তার কোটা’ বেঁধে দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কোটা অনুযায়ী, প্রতিদিন মামলার ডজনখানেক আসামিকে ধরতে বলা হয়েছে।
তবে আসামি গ্রেপ্তারে এমন কোটা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্তে পুলিশের মাঠপর্যায়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মাঠের পুলিশ সদস্যরা বলছেন, পুলিশকে এবারও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হলে সরকার বদলের পর তাঁদের আবার ঝুঁকিতে পড়তে হবে।
রাজশাহী রেঞ্জের একটি থানায় কর্মরত এক উপপরিদর্শক (এসআই) আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলা থেকে তাঁদের থানায় গ্রেপ্তারে কোটা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন ১০-১৫ জন করে স্থানীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার দেখাতে বলা হয়েছে। প্রতিদিনই গ্রেপ্তারের সেই হালনাগাদ তথ্য জেলায় পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে।
ওই থানারই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, পুলিশ হিসেবে আসামি গ্রেপ্তার করতে কোনো সমস্যা নেই। তবে যে কেউ খেয়ালখুশিমতো মামলা করলে, সেই মামলায় যাকে-তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। তা ছাড়া পুলিশের অধস্তন সদস্যরা এমন আদেশের বিপরীতে প্রতিবাদ করেন। তাঁরা বলেন, এমন ঝুঁকি তাঁরা আর নিতে পারবেন না, যে কারণে পরবর্তী সময়ে তাঁদের জীবন চলে যায়।
জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন) মো. রেজাউল করিম গত শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এসপিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মামলার তথ্য যাচাই-বাছাই করে ঘটনার সঙ্গে যাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাঁদের গ্রেপ্তার করতে হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠপর্যায়ের থানা-পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, ১ থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ দিনে সারা দেশে ৪ হাজার ৯০০ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এর মধ্যে র্যাব আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে ২৯৭ জনকে, বাকিদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
সদর দপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, আট মহানগর, নয় রেঞ্জ আর র্যাবের অভিযানে ১ অক্টোবর সারা দেশে গ্রেপ্তার হয় ৫৮৮ জন। এরপর ২ অক্টোবর ৭০৮, ৩ অক্টোবর ১ হাজার ২৫৯, ৪ অক্টোবর ১ হাজার ২১৮ এবং ৫ অক্টোবর ১ হাজার ১২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই পাঁচ দিনে সবচেয়ে বেশি গ্রেপ্তার করা হয় চট্টগ্রাম রেঞ্জে ৮৯৯ জনকে। এ ছাড়া ঢাকা রেঞ্জে ৬৬৮, রাজশাহী রেঞ্জে ৬২৪ এবং ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) ৫৪৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
সারা দেশের গ্রেপ্তারের তালিকায় গত পাঁচ দিনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে ঢাকা রেঞ্জ। কিন্তু এ বিষয়ে ঢাকা রেঞ্জের পদস্থ কেউ মন্তব্য করতে না চাইলেও গ্রেপ্তারের গতির কথা স্বীকার করেছেন এই রেঞ্জের অধীন নারায়ণগঞ্জ জেলার এসপি প্রত্যুষ কুমার মজুমদার। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার অভিযান গতিশীল হয়েছে। ১ তারিখ বলে কথা নয়, পুলিশ যেহেতু আগের চেয়ে সক্রিয় হয়েছে, তাই গ্রেপ্তারও বেড়েছে।
এদিকে গ্রেপ্তার নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের বার্তা অবশ্য আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরে পৌঁছে গেছে। গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকা ছাড়তে শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা। দলের পক্ষ থেকেও বার্তা দিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আগামী দুই-এক মাস এই অভিযান চলবে বলেও ওই বার্তায় বলা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, জেলায় জেলায় দলের নেতা-কর্মী এমনকি সমর্থকেরাও বাড়িতে থাকতে পারছেন না। খোঁজ পেলেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করছে। কখনো নতুন মামলা, আবার কখনো পুরোনো মামলা দেওয়া হচ্ছে।
গ্রেপ্তার-প্রক্রিয়া সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ২ অক্টোবর রাতে টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদউল্লাহ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী মাসুম মোল্লাকে বাসা থেকে ডেকে নেয় টেকনাফ মডেল থানা-পুলিশ। সারা রাত আটকে রেখে পরদিন সকালে পুরোনো এক মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে আদালত পাঠানো হয় তাঁদের। এই গ্রেপ্তারের পর থেকে টেকনাফ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন।
আওয়ামী লীগের এক সাংগঠনিক সম্পাদক আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের বিদ্যমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির উন্নতি না করে বর্তমান সরকার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের গণগ্রেপ্তার করছে। আমাদের মনে হচ্ছে, তাঁরা নিজেদের অস্তিত্ব-আতঙ্কে ভুগছেন, কারণ মানুষের সাময়িক আবেগকে পুঁজি করে তাঁরা ক্ষমতায় এসেছেন। এগুলো করে দেশে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার করে দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিচ্ছে বলে মনে করেন এই নেতা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। ওই দিনই শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন, আর আত্মগোপনে চলে যান তাঁর দলের নেতারা। সরকার পতনের পর শেখ হাসিনাসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নামে কয়েক শ মামলা করা হয়, যেগুলোর বেশির ভাগই হত্যা মামলা। মামলাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রতিটি মামলায় এজাহারে থাকা ২০০-৩০০ নামের আসামির পাশাপাশি আরও ৭০০-৮০০ অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দুই ডজনেরও বেশি মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উপদেষ্টা ও শীর্ষপর্যায়ের নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, প্রথমে মন্ত্রী, এমপি, আমলা গ্রেপ্তার হলেও ধীরে ধীরে তা গণগ্রেপ্তারে রূপ নিয়েছে। থানা, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের যে কাউকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে আদালতে পাঠানো হচ্ছে।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক মুহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলায় নাম থাকলে গ্রেপ্তার করতে তো পুলিশের কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়। তবে মামলাটা কোন প্রক্রিয়ায় হচ্ছে, আসামি কারা হচ্ছে, সবকিছু লক্ষ রাখার বিষয়। আর পুলিশ সদস্যের অসন্তোষের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশকে আসলে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের সুযোগ নেই। পুলিশ চলবে পুলিশের আইনে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে মানুষ হত্যার অভিযোগে করা মামলাগুলোয় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। প্রথমে এসব মামলায় আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য (এমপি) ও প্রভাবশালী নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হলেও এখন তৃণমূল পর্যায়ে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদেরও ধরা হচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে দেওয়া।
এক বার্তার পর মামলার এজাহারভুক্ত আসামিসহ অজ্ঞাতনামাদের ধরতে এ তৎপরতা শুরু হয়েছে। গত পাঁচ দিনে ৪ হাজার ৯০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে বার্তা যাওয়ার পর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) থানাগুলোকে একধরনের ‘গ্রেপ্তার কোটা’ বেঁধে দিয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। কোটা অনুযায়ী, প্রতিদিন মামলার ডজনখানেক আসামিকে ধরতে বলা হয়েছে।
তবে আসামি গ্রেপ্তারে এমন কোটা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্তে পুলিশের মাঠপর্যায়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। মাঠের পুলিশ সদস্যরা বলছেন, পুলিশকে এবারও রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হলে সরকার বদলের পর তাঁদের আবার ঝুঁকিতে পড়তে হবে।
রাজশাহী রেঞ্জের একটি থানায় কর্মরত এক উপপরিদর্শক (এসআই) আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলা থেকে তাঁদের থানায় গ্রেপ্তারে কোটা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন ১০-১৫ জন করে স্থানীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার দেখাতে বলা হয়েছে। প্রতিদিনই গ্রেপ্তারের সেই হালনাগাদ তথ্য জেলায় পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে।
ওই থানারই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, পুলিশ হিসেবে আসামি গ্রেপ্তার করতে কোনো সমস্যা নেই। তবে যে কেউ খেয়ালখুশিমতো মামলা করলে, সেই মামলায় যাকে-তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। তা ছাড়া পুলিশের অধস্তন সদস্যরা এমন আদেশের বিপরীতে প্রতিবাদ করেন। তাঁরা বলেন, এমন ঝুঁকি তাঁরা আর নিতে পারবেন না, যে কারণে পরবর্তী সময়ে তাঁদের জীবন চলে যায়।
জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন) মো. রেজাউল করিম গত শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এসপিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মামলার তথ্য যাচাই-বাছাই করে ঘটনার সঙ্গে যাঁদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাঁদের গ্রেপ্তার করতে হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠপর্যায়ের থানা-পুলিশ কাজ শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, ১ থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত পাঁচ দিনে সারা দেশে ৪ হাজার ৯০০ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এর মধ্যে র্যাব আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে ২৯৭ জনকে, বাকিদের পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
সদর দপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, আট মহানগর, নয় রেঞ্জ আর র্যাবের অভিযানে ১ অক্টোবর সারা দেশে গ্রেপ্তার হয় ৫৮৮ জন। এরপর ২ অক্টোবর ৭০৮, ৩ অক্টোবর ১ হাজার ২৫৯, ৪ অক্টোবর ১ হাজার ২১৮ এবং ৫ অক্টোবর ১ হাজার ১২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই পাঁচ দিনে সবচেয়ে বেশি গ্রেপ্তার করা হয় চট্টগ্রাম রেঞ্জে ৮৯৯ জনকে। এ ছাড়া ঢাকা রেঞ্জে ৬৬৮, রাজশাহী রেঞ্জে ৬২৪ এবং ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) ৫৪৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
সারা দেশের গ্রেপ্তারের তালিকায় গত পাঁচ দিনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে ঢাকা রেঞ্জ। কিন্তু এ বিষয়ে ঢাকা রেঞ্জের পদস্থ কেউ মন্তব্য করতে না চাইলেও গ্রেপ্তারের গতির কথা স্বীকার করেছেন এই রেঞ্জের অধীন নারায়ণগঞ্জ জেলার এসপি প্রত্যুষ কুমার মজুমদার। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, গ্রেপ্তার অভিযান গতিশীল হয়েছে। ১ তারিখ বলে কথা নয়, পুলিশ যেহেতু আগের চেয়ে সক্রিয় হয়েছে, তাই গ্রেপ্তারও বেড়েছে।
এদিকে গ্রেপ্তার নিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের বার্তা অবশ্য আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরে পৌঁছে গেছে। গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকা ছাড়তে শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা। দলের পক্ষ থেকেও বার্তা দিয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। আগামী দুই-এক মাস এই অভিযান চলবে বলেও ওই বার্তায় বলা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, জেলায় জেলায় দলের নেতা-কর্মী এমনকি সমর্থকেরাও বাড়িতে থাকতে পারছেন না। খোঁজ পেলেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করছে। কখনো নতুন মামলা, আবার কখনো পুরোনো মামলা দেওয়া হচ্ছে।
গ্রেপ্তার-প্রক্রিয়া সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ২ অক্টোবর রাতে টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ওবায়েদউল্লাহ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী মাসুম মোল্লাকে বাসা থেকে ডেকে নেয় টেকনাফ মডেল থানা-পুলিশ। সারা রাত আটকে রেখে পরদিন সকালে পুরোনো এক মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি দেখিয়ে আদালত পাঠানো হয় তাঁদের। এই গ্রেপ্তারের পর থেকে টেকনাফ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন।
আওয়ামী লীগের এক সাংগঠনিক সম্পাদক আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের বিদ্যমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির উন্নতি না করে বর্তমান সরকার আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের গণগ্রেপ্তার করছে। আমাদের মনে হচ্ছে, তাঁরা নিজেদের অস্তিত্ব-আতঙ্কে ভুগছেন, কারণ মানুষের সাময়িক আবেগকে পুঁজি করে তাঁরা ক্ষমতায় এসেছেন। এগুলো করে দেশে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার করে দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিচ্ছে বলে মনে করেন এই নেতা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। ওই দিনই শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন, আর আত্মগোপনে চলে যান তাঁর দলের নেতারা। সরকার পতনের পর শেখ হাসিনাসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নামে কয়েক শ মামলা করা হয়, যেগুলোর বেশির ভাগই হত্যা মামলা। মামলাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রতিটি মামলায় এজাহারে থাকা ২০০-৩০০ নামের আসামির পাশাপাশি আরও ৭০০-৮০০ অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দুই ডজনেরও বেশি মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উপদেষ্টা ও শীর্ষপর্যায়ের নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, প্রথমে মন্ত্রী, এমপি, আমলা গ্রেপ্তার হলেও ধীরে ধীরে তা গণগ্রেপ্তারে রূপ নিয়েছে। থানা, এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে আওয়ামী লীগের যে কাউকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে আদালতে পাঠানো হচ্ছে।
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক মুহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলায় নাম থাকলে গ্রেপ্তার করতে তো পুলিশের কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়। তবে মামলাটা কোন প্রক্রিয়ায় হচ্ছে, আসামি কারা হচ্ছে, সবকিছু লক্ষ রাখার বিষয়। আর পুলিশ সদস্যের অসন্তোষের বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশকে আসলে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের সুযোগ নেই। পুলিশ চলবে পুলিশের আইনে।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৫ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৭ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৭ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৮ ঘণ্টা আগে