নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেছেন, ‘ভয়ভীতিহীন নির্বাচন ও ভোটের নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সর্বোচ্চ তৎপর। আপনারা সবাই ভোটে আসেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক।’
আজ বুধবার জাতীয় ভোটার দিবস-২০২৩ উপলক্ষে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) আহসান হাবিব খান। তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়াদে প্রথম বছরে এ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে তাতে যেখানে বাধা, অনিয়মের অভিযোগ এসেছে সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
আহসান হাবিব খান বলেন, এ পর্যন্ত বর্তমান ইসির অধীনে পাঁচ শতাধিক নির্বাচন হয়েছে; এর সিহংভাগই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। এসব ভোটে নির্ভরযোগ্য কোনো অভিযোগ তো আসেনি এবং সংক্ষুব্ধ কেউ আদালতেও দ্বারস্থ হয়নি। ইভিএমের নির্বাচনে ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়া প্রসারিত করেছে।
নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে অবাঞ্ছিত লোকের উপস্থিতি ও কেন্দ্রে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
ওই কমিশনার বলেন, ভোটার, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, নির্বাচনী এজেন্ট, গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের ‘সেফটির বিষয়ে কমিশন বদ্ধপরিকর। সারাবছরই ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছি। হালনাগাদে নির্ধারিত কর্মসূচির বাইরেও সারাবছরই যোগ্যরা ভোটার হতে পারছেন। ভোটার হওয়ার পাশাপাশি তাদের এনআইডি সেবাও সহজীকরণে সব ধরনের পদক্ষেপ রয়েছে। প্রত্যেক ভোটারের নাগরিক অধিকার তার ভোটাধিকার। এ অধিকার রক্ষায় আমাদের দিক থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি এবং তা অব্যাহত থাকবে।
আহসান হাবিব খান আরও বলেন, ‘ইসির মত হচ্ছে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে সবাইকে। যেকোনো উপায়েই জিততে হবে এমন প্রবণতা থেকে যেমন বেরিয়ে আসতে হবে, তেমনি পরাজয় মেনে নেওয়া প্রবণতা থাকতে হবে। আমরা নির্বাচন কমিশন শুধু ভালো নির্বাচন করবো; কিন্তু যিনি বা যারা পরাজিত হবেন তিনি বা তারা সমালোচনায় মুখর হবেন তা সমীচীন নয়। নির্বাচনের গুণগত সংস্কৃতির বিকাশে ভোটার, দল, অংশীজনসহ সবার সহযোগিতা দরকার।’
সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা আশ্বস্ত করেন, ‘ভোটে আসেন সবাই, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক। গোলযোগ, সহিংসতা পরিহার করতে হবে; নির্বাচন কমিশনও অনিয়ম ঠেকাতে কঠোর অবস্থান রয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হলে ভোটের মাঠেও ভারসাম্য থাকবে। ভোটে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে।’
ভোটকেন্দ্রে আসতে ভোটারদের বাধা, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, নির্বাচনী এজেন্টদের বাধা-বিপত্তিতে শাস্তি বাড়ানোর সুপারিশও করেছে এ কমিশন।
এদিকে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ‘সব রাজনৈতিক দলের আমাদেরকে আস্থায় নেওয়া উচিত। কারণ আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর এ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন করেছি, কেউ বলতে পারবে না কোনো পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছি।’
যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না তাদেরকে আনার জন্য শেষ পর্যন্ত ইসির কোনো ভূমিকা থাকবে কিনা, এমন প্রশ্নে আলমগীর বলেন, ‘এখনো আছে, শেষ পর্যন্ত থাকবে। বুঝতে হবে আমাদের ভূমিকাটা কী। আমরা আশাও করি যে, সবদল নির্বাচনে আসবে। কারণ আমাদের কাজ হলো নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করা। আমরা যদি নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করি, তাহলে সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে। যারা আসছেন না তারা বলছেন যে, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে এটা তারা মনে করেন না। কিন্তু এই মনে করার পেছনে অন্তত আমাদের কোনো ভূমিকা নেই। সংবিধান এবং আইন আমাদের যে দায়িত্ব ও ক্ষমতা দিয়েছে, আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে তার পুরোটা প্রয়োগ করে সুষ্ঠু নির্বাচন করব। সেই প্রতিশ্রুতি আমরা ভোটারদের এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে দিতে চাই।
ভোটার দিবসেই শুধু নয়, আমরা সব সময় আশ্বস্ত করতে চাই-আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে পালন করবো। পাশাপাশি সবার সহযোগিতাও কামনা করি। ভালো নির্বাচনও উপহার দিতে সক্ষম হবে বলেও জানান তারা।
নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেছেন, ‘ভয়ভীতিহীন নির্বাচন ও ভোটের নির্বিঘ্ন পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সর্বোচ্চ তৎপর। আপনারা সবাই ভোটে আসেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক।’
আজ বুধবার জাতীয় ভোটার দিবস-২০২৩ উপলক্ষে লিখিত বক্তব্যে এ কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) আহসান হাবিব খান। তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়াদে প্রথম বছরে এ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে তাতে যেখানে বাধা, অনিয়মের অভিযোগ এসেছে সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
আহসান হাবিব খান বলেন, এ পর্যন্ত বর্তমান ইসির অধীনে পাঁচ শতাধিক নির্বাচন হয়েছে; এর সিহংভাগই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। এসব ভোটে নির্ভরযোগ্য কোনো অভিযোগ তো আসেনি এবং সংক্ষুব্ধ কেউ আদালতেও দ্বারস্থ হয়নি। ইভিএমের নির্বাচনে ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট দেওয়া প্রসারিত করেছে।
নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে অবাঞ্ছিত লোকের উপস্থিতি ও কেন্দ্রে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিকভাবে কয়েকজনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
ওই কমিশনার বলেন, ভোটার, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, নির্বাচনী এজেন্ট, গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের ‘সেফটির বিষয়ে কমিশন বদ্ধপরিকর। সারাবছরই ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে কাজ করে যাচ্ছি। হালনাগাদে নির্ধারিত কর্মসূচির বাইরেও সারাবছরই যোগ্যরা ভোটার হতে পারছেন। ভোটার হওয়ার পাশাপাশি তাদের এনআইডি সেবাও সহজীকরণে সব ধরনের পদক্ষেপ রয়েছে। প্রত্যেক ভোটারের নাগরিক অধিকার তার ভোটাধিকার। এ অধিকার রক্ষায় আমাদের দিক থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিয়েছি এবং তা অব্যাহত থাকবে।
আহসান হাবিব খান আরও বলেন, ‘ইসির মত হচ্ছে নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে সবাইকে। যেকোনো উপায়েই জিততে হবে এমন প্রবণতা থেকে যেমন বেরিয়ে আসতে হবে, তেমনি পরাজয় মেনে নেওয়া প্রবণতা থাকতে হবে। আমরা নির্বাচন কমিশন শুধু ভালো নির্বাচন করবো; কিন্তু যিনি বা যারা পরাজিত হবেন তিনি বা তারা সমালোচনায় মুখর হবেন তা সমীচীন নয়। নির্বাচনের গুণগত সংস্কৃতির বিকাশে ভোটার, দল, অংশীজনসহ সবার সহযোগিতা দরকার।’
সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা আশ্বস্ত করেন, ‘ভোটে আসেন সবাই, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক। গোলযোগ, সহিংসতা পরিহার করতে হবে; নির্বাচন কমিশনও অনিয়ম ঠেকাতে কঠোর অবস্থান রয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হলে ভোটের মাঠেও ভারসাম্য থাকবে। ভোটে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে।’
ভোটকেন্দ্রে আসতে ভোটারদের বাধা, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, নির্বাচনী এজেন্টদের বাধা-বিপত্তিতে শাস্তি বাড়ানোর সুপারিশও করেছে এ কমিশন।
এদিকে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ‘সব রাজনৈতিক দলের আমাদেরকে আস্থায় নেওয়া উচিত। কারণ আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর এ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন করেছি, কেউ বলতে পারবে না কোনো পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছি।’
যারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না তাদেরকে আনার জন্য শেষ পর্যন্ত ইসির কোনো ভূমিকা থাকবে কিনা, এমন প্রশ্নে আলমগীর বলেন, ‘এখনো আছে, শেষ পর্যন্ত থাকবে। বুঝতে হবে আমাদের ভূমিকাটা কী। আমরা আশাও করি যে, সবদল নির্বাচনে আসবে। কারণ আমাদের কাজ হলো নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করা। আমরা যদি নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করি, তাহলে সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে। যারা আসছেন না তারা বলছেন যে, নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে এটা তারা মনে করেন না। কিন্তু এই মনে করার পেছনে অন্তত আমাদের কোনো ভূমিকা নেই। সংবিধান এবং আইন আমাদের যে দায়িত্ব ও ক্ষমতা দিয়েছে, আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে তার পুরোটা প্রয়োগ করে সুষ্ঠু নির্বাচন করব। সেই প্রতিশ্রুতি আমরা ভোটারদের এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে দিতে চাই।
ভোটার দিবসেই শুধু নয়, আমরা সব সময় আশ্বস্ত করতে চাই-আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে পালন করবো। পাশাপাশি সবার সহযোগিতাও কামনা করি। ভালো নির্বাচনও উপহার দিতে সক্ষম হবে বলেও জানান তারা।
শীতে ঘনকুয়াশার কারণে ঢাকায় উড়োজাহাজ অবতরণে সমস্যা হলে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে
১৯ মিনিট আগেকক্সবাজারের টেকনাফে ট্রাক্টরচাপায় আবদুর রহমান (৩৭) নামে এক সরকারি কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া নয় জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেগত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক কারণে কয়েকটি’ সহিংসতা ঘটেছে। কিন্তু দেশকে অস্থিতিশীল করতে সেগুলো নিয়ে সম্পূর্ণ অতিরঞ্জিত প্রচার-প্রচ
২ ঘণ্টা আগেদ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে সরকার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘বন্যার ফলে অনেক জায়গায় ফসলহানি হয়েছে, ব্যাহত হয়েছে পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খল।
৪ ঘণ্টা আগে