কূটনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষদের ফেরত নিতে ছয় বছর আগে একটি চুক্তি সই করেছিল মিয়ানমার। ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর সই করা ওই চুক্তি অনুযায়ী দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়া শুরু করার কথা ছিল। চুক্তিটি সইয়ের ষষ্ঠবার্ষিকী পার হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। কিন্তু চুক্তির আওতায় এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও নিজ দেশে ফিরতে পারেনি। উল্টো রাখাইনে অস্থিরতা বিরাজ করায় সীমান্ত দিয়ে নতুন করে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গত বুধবার রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নতুন করে মিয়ানমারের নাগরিকদের অনুপ্রবেশের আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে রাখাইনে নিরাপত্তা সমস্যা দেখা দিয়েছে। গোলাগুলি হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুধু রোহিঙ্গা নয়, অন্য সম্প্রদায়ের মানুষও গোলাগুলিতে বিপদ দেখছে। তাদের দিক থেকে বিচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা হয়েছে। নতুন করে যাতে লোক ঢোকা শুরু না হয়, সে জন্য বিজিবি খুবই সতর্ক অবস্থায় আছে।
মিয়ানমারের টালবাহানার মধ্যেও চীনের মধ্যস্থতায় আগামী নির্বাচনের আগেই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো অন্তত শুরু করতে একটি পাইলট প্রকল্প নিয়েছিল সরকার। লক্ষ্য ছিল আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তিন হাজার মানুষকে মিয়ানমারে পাঠানো। পরে লক্ষ্যমাত্রা হাজারে নামিয়ে আনা হয়। এখন কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী মাসের মধ্যে পাঠানো শুরু করাই প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য গত বুধবার রোহিঙ্গাবিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি ছাড়াও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা বৈঠকে ছিলেন।
পাইলট প্রকল্পের আওতায় ডিসেম্বরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো শুরু করা যাবে কি না—এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রসচিব জানান, ‘এ মুহূর্তে রাখাইনে অস্থিরতা আছে...আমরা নজর রাখছি।’ রাখাইনে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হলে দ্রুত যাতে ফেরত পাঠানো শুরু করা যায়, সে বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি এগিয়ে রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
রোহিঙ্গা সমস্যা বেশ পুরোনো। তবে মিয়ানমারের সেনা ও তাদের দোসরদের নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে শেষবারের মতো ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে শুরু করে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা। একপর্যায়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এই বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার জন্য ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে তহবিল জোগানোর ক্ষেত্রেও পিছিয়ে আছে দাতা দেশ ও সংস্থাগুলো।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, দুই বছর ধরেই দাতা দেশ ও সংস্থাগুলোর প্রতিশ্রুতির বিপরীতে প্রকৃত বরাদ্দ যা মিলছে, তাতে চলছে না। চলতি ২০২৩ সালের জন্য করা প্রতিশ্রুতির মাত্র ৪৫ ভাগ পূরণ করেছে তারা।
তহবিলের প্রায় ৫৫ ভাগ ঘাটতি থেকে যাওয়ায় বিশ্ব খাদ্য সংস্থা রোহিঙ্গাদের জন্য মাথাপিছু প্রতি মাসের বরাদ্দ কমাতে কমাতে ৮ ডলারে নামিয়ে এনেছে, এমন তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে মাথাপিছু দৈনিক বরাদ্দ মিলছে মাত্র ৯ টাকা।
৯ টাকায় তেমন কিছুই হয় না উল্লেখ করে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, পরিস্থিতি বেশ খারাপই বলা যায়। ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজা সমস্যার মতো নতুন নতুন সংকটের কারণে রোহিঙ্গাদের সমস্যাটি বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজরের আড়ালে চলে যেতে পারে, এমনটাও মনে হয়েছে। গত অক্টোবরে ব্যাংককে আন্তর্জাতিক এক সভায় বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। আগামী ডিসেম্বরে জেনেভায় শরণার্থী সম্মেলনেও এটি আলোচনায় আসবে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মানুষদের ফেরত নিতে ছয় বছর আগে একটি চুক্তি সই করেছিল মিয়ানমার। ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর সই করা ওই চুক্তি অনুযায়ী দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়া শুরু করার কথা ছিল। চুক্তিটি সইয়ের ষষ্ঠবার্ষিকী পার হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। কিন্তু চুক্তির আওতায় এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও নিজ দেশে ফিরতে পারেনি। উল্টো রাখাইনে অস্থিরতা বিরাজ করায় সীমান্ত দিয়ে নতুন করে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গত বুধবার রাতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নতুন করে মিয়ানমারের নাগরিকদের অনুপ্রবেশের আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে রাখাইনে নিরাপত্তা সমস্যা দেখা দিয়েছে। গোলাগুলি হচ্ছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে শুধু রোহিঙ্গা নয়, অন্য সম্প্রদায়ের মানুষও গোলাগুলিতে বিপদ দেখছে। তাদের দিক থেকে বিচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা হয়েছে। নতুন করে যাতে লোক ঢোকা শুরু না হয়, সে জন্য বিজিবি খুবই সতর্ক অবস্থায় আছে।
মিয়ানমারের টালবাহানার মধ্যেও চীনের মধ্যস্থতায় আগামী নির্বাচনের আগেই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো অন্তত শুরু করতে একটি পাইলট প্রকল্প নিয়েছিল সরকার। লক্ষ্য ছিল আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে তিন হাজার মানুষকে মিয়ানমারে পাঠানো। পরে লক্ষ্যমাত্রা হাজারে নামিয়ে আনা হয়। এখন কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী মাসের মধ্যে পাঠানো শুরু করাই প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য গত বুধবার রোহিঙ্গাবিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি ছাড়াও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা বৈঠকে ছিলেন।
পাইলট প্রকল্পের আওতায় ডিসেম্বরের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো শুরু করা যাবে কি না—এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রসচিব জানান, ‘এ মুহূর্তে রাখাইনে অস্থিরতা আছে...আমরা নজর রাখছি।’ রাখাইনে নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হলে দ্রুত যাতে ফেরত পাঠানো শুরু করা যায়, সে বিষয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি এগিয়ে রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
রোহিঙ্গা সমস্যা বেশ পুরোনো। তবে মিয়ানমারের সেনা ও তাদের দোসরদের নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়ে শেষবারের মতো ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে শুরু করে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা। একপর্যায়ে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এই বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার জন্য ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে তহবিল জোগানোর ক্ষেত্রেও পিছিয়ে আছে দাতা দেশ ও সংস্থাগুলো।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, দুই বছর ধরেই দাতা দেশ ও সংস্থাগুলোর প্রতিশ্রুতির বিপরীতে প্রকৃত বরাদ্দ যা মিলছে, তাতে চলছে না। চলতি ২০২৩ সালের জন্য করা প্রতিশ্রুতির মাত্র ৪৫ ভাগ পূরণ করেছে তারা।
তহবিলের প্রায় ৫৫ ভাগ ঘাটতি থেকে যাওয়ায় বিশ্ব খাদ্য সংস্থা রোহিঙ্গাদের জন্য মাথাপিছু প্রতি মাসের বরাদ্দ কমাতে কমাতে ৮ ডলারে নামিয়ে এনেছে, এমন তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে মাথাপিছু দৈনিক বরাদ্দ মিলছে মাত্র ৯ টাকা।
৯ টাকায় তেমন কিছুই হয় না উল্লেখ করে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, পরিস্থিতি বেশ খারাপই বলা যায়। ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজা সমস্যার মতো নতুন নতুন সংকটের কারণে রোহিঙ্গাদের সমস্যাটি বিশ্ব সম্প্রদায়ের নজরের আড়ালে চলে যেতে পারে, এমনটাও মনে হয়েছে। গত অক্টোবরে ব্যাংককে আন্তর্জাতিক এক সভায় বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। আগামী ডিসেম্বরে জেনেভায় শরণার্থী সম্মেলনেও এটি আলোচনায় আসবে।
দেশে গত ১৫ বছরে ৮২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু ক্যাপাসিটি চার্জই (কেন্দ্রভাড়া) নিয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া বিনা দরপত্রে কেন্দ্র দেওয়ায় বিদ্যুতের দামও পড়েছে বেশি। সেই বাড়তি দাম গিয়ে পড়েছে সাধারণ ভোক্তার কাঁধে।
১ ঘণ্টা আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৮ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০৭ জন রোগী।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অফ পার্টিস-২৯(কপ২৯)’ শীর্ষক বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।
১৪ ঘণ্টা আগে