তানিম আহমেদ, মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি থেকে
জনতার স্রোত আসতে শুরু করেছে মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ফেরিঘাট এলাকায়। আজ শনিবার বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ স্থাপনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে এখানে জনসভার আয়োজন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
শনিবার বদুপুর ১২টায় এখানে জনসভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ভোর থেকেই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা বাস ও লঞ্চযোগে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। জনতার উপস্থিতিতে মুখর হয়ে উঠেছে সমাবেশস্থল।
সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মা সেতুর আদলেই তৈরি করা হয়েছে জনসভার মঞ্চ। মঞ্চের ঠিক সামনে পানিতে ভাসছে বিশাল আকৃতির একটি নৌকা। তার পাশে পদ্মা সেতুর আদলে ১১টি পিলারের ওপর ১০টি স্প্যান বসিয়ে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। দেখে মনে হবে, সেতুর পাশ দিয়ে বড় একটি নৌকা চলছে।
শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাটের আশপাশ ঘুরে দেখা যায়, নেতা-কর্মীরা মিছিল-স্লোগানে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করছেন। তাঁদের হাতে ছিল নানা রঙের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড। অনেকের পরনে আছে পদ্মা সেতুখচিত টি-শার্ট।
বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘বারবার দরকার শেখ হাসিনার সরকার’, ‘যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা, শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা।
মাওয়া প্রান্তের উদ্বোধন শেষে সাড়ে ১১টার দিকে টোল দিয়ে সেতু পাড়ি দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি জাজিরা প্রান্তে নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন। দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থলে উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ সময় তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন।
জনসমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে কয়েক দিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। এ জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ছাড়াও দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা তদারক করছেন। তাঁদের আশা, সমাবেশে ১০ লাখেরও বেশি জনসমাগম হবে।
সভাস্থলে ৫০০ অস্থায়ী শৌচাগার, ভিআইপিদের জন্য আরও ২২টি শৌচাগার, সুপেয় পানির লাইন, ৪০ শয্যার তিনটি অস্থায়ী হাসপাতাল, নারীদের বসার আলাদা ব্যবস্থা এবং প্রায় দুই বর্গকিলোমিটার আয়তনের সভাস্থলে দূরের শ্রোতাদের জন্য ২৬টি এলইডি মনিটর ও ৫০০ মাইকের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া নদীপথে আসা মানুষের জন্য ২০টি পন্টুন তৈরি করা হচ্ছে।
সমাবেশ প্রাঙ্গণের প্রতিটি প্রবেশপথে নিরাপত্তা তল্লাশির জন্য আর্চওয়ে বসানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তল্লাশি করে সবাইকে সমাবেশস্থলে প্রবেশের সুযোগ দিচ্ছেন।
এদিকে দূর-দূরান্ত থেকে বাস, খোলা ট্রাক, পিকআপে করে আসা নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তাজনিত কারণে সমাবেশস্থলের অনেক আগেই আটকে দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে তারা মিছিলসহকারে পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলের দিকে যাচ্ছে। এদিকে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে শতাধিক লঞ্চে করে মানুষ জনসভায় যোগ দিতে আসছে।
চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা এক ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, ‘জনসভায় আসতে রাত ৩টায় রওনা দিয়েছি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে এসেছি। প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনতে এসেছি। দীর্ঘদিন পরে অনুষ্ঠিত জনসভায় যোগ দিতে আসতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত।’
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
জনসভার নিরাপত্তার বিষয়ে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূল মঞ্চের সামনে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ অন্তত ছয় স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমরা করেছি। এখন ভালোভাবে অনুষ্ঠানটা শেষ হলেই আমাদের শান্তি। পুলিশের অন্তত ১৫ হাজার কর্মী সভায় নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। এ ছাড়া র্যাবের ২ হাজারসহ সব মিলিয়ে অন্তত ৪০ হাজার প্রশাসনের কর্মী মাঠে রয়েছেন।’
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
জনতার স্রোত আসতে শুরু করেছে মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ফেরিঘাট এলাকায়। আজ শনিবার বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ স্থাপনা পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে এখানে জনসভার আয়োজন করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
শনিবার বদুপুর ১২টায় এখানে জনসভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ভোর থেকেই দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে নেতা-কর্মীরা বাস ও লঞ্চযোগে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। জনতার উপস্থিতিতে মুখর হয়ে উঠেছে সমাবেশস্থল।
সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মা সেতুর আদলেই তৈরি করা হয়েছে জনসভার মঞ্চ। মঞ্চের ঠিক সামনে পানিতে ভাসছে বিশাল আকৃতির একটি নৌকা। তার পাশে পদ্মা সেতুর আদলে ১১টি পিলারের ওপর ১০টি স্প্যান বসিয়ে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ। দেখে মনে হবে, সেতুর পাশ দিয়ে বড় একটি নৌকা চলছে।
শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাটের আশপাশ ঘুরে দেখা যায়, নেতা-কর্মীরা মিছিল-স্লোগানে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করছেন। তাঁদের হাতে ছিল নানা রঙের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড। অনেকের পরনে আছে পদ্মা সেতুখচিত টি-শার্ট।
বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘বারবার দরকার শেখ হাসিনার সরকার’, ‘যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা, শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা।
মাওয়া প্রান্তের উদ্বোধন শেষে সাড়ে ১১টার দিকে টোল দিয়ে সেতু পাড়ি দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর তিনি জাজিরা প্রান্তে নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন। দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থলে উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ সময় তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন।
জনসমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে কয়েক দিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। এ জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ছাড়াও দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা তদারক করছেন। তাঁদের আশা, সমাবেশে ১০ লাখেরও বেশি জনসমাগম হবে।
সভাস্থলে ৫০০ অস্থায়ী শৌচাগার, ভিআইপিদের জন্য আরও ২২টি শৌচাগার, সুপেয় পানির লাইন, ৪০ শয্যার তিনটি অস্থায়ী হাসপাতাল, নারীদের বসার আলাদা ব্যবস্থা এবং প্রায় দুই বর্গকিলোমিটার আয়তনের সভাস্থলে দূরের শ্রোতাদের জন্য ২৬টি এলইডি মনিটর ও ৫০০ মাইকের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া নদীপথে আসা মানুষের জন্য ২০টি পন্টুন তৈরি করা হচ্ছে।
সমাবেশ প্রাঙ্গণের প্রতিটি প্রবেশপথে নিরাপত্তা তল্লাশির জন্য আর্চওয়ে বসানো হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তল্লাশি করে সবাইকে সমাবেশস্থলে প্রবেশের সুযোগ দিচ্ছেন।
এদিকে দূর-দূরান্ত থেকে বাস, খোলা ট্রাক, পিকআপে করে আসা নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তাজনিত কারণে সমাবেশস্থলের অনেক আগেই আটকে দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে তারা মিছিলসহকারে পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলের দিকে যাচ্ছে। এদিকে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে শতাধিক লঞ্চে করে মানুষ জনসভায় যোগ দিতে আসছে।
চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা এক ছাত্রলীগ কর্মী বলেন, ‘জনসভায় আসতে রাত ৩টায় রওনা দিয়েছি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে এসেছি। প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনতে এসেছি। দীর্ঘদিন পরে অনুষ্ঠিত জনসভায় যোগ দিতে আসতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত।’
স্বপ্নের পদ্মা সেতু সম্পর্কে সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
জনসভার নিরাপত্তার বিষয়ে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মূল মঞ্চের সামনে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ অন্তত ছয় স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমরা করেছি। এখন ভালোভাবে অনুষ্ঠানটা শেষ হলেই আমাদের শান্তি। পুলিশের অন্তত ১৫ হাজার কর্মী সভায় নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। এ ছাড়া র্যাবের ২ হাজারসহ সব মিলিয়ে অন্তত ৪০ হাজার প্রশাসনের কর্মী মাঠে রয়েছেন।’
পদ্মা সেতু সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন অংশীজনের পক্ষ থেকে সংস্কারের ক্ষেত্রে সরকারকে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়ার প্রশ্নে ধৈর্যের ঘাটতি লক্ষণীয়। গণমাধ্যমের ওপর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ ও হুমকি-হামলাসহ কোনো কোনো গণমাধ্যম
১৭ মিনিট আগেছাত্র–জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার থাকা ৯ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৩ আসামিকে আজ সোমবার হাজির করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। সকাল পৌনে ১০ টার দিকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তাদের হাজির করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে যে আকাঙ্ক্ষা জেগে উঠেছে, তার প্রতিফলন সংস্কারকৃত সংবিধানে ফুটে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অংশীজনেরা
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন নতুন সংবিধানে সরকারের মেয়াদ চার বছর হতে পারে। তাই তাঁদের সরকারের মেয়াদ অবশ্যই চার বছরের কম হবে। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলো যদি চায় সংস্কার বাদ দিয়ে নির্বাচন দেওয়া হোক তাহলে সেটাও করা হবে।
২ ঘণ্টা আগে