আশরাফ-উল-আলম, ঢাকা
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দিন আরও ২২ জনকে হত্যা করা হয়। গত ৪৮ বছরেও এসব হত্যার বিচার হয়নি। কবে হবে তাও অনিশ্চিত। ওই দিন যাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন পানি, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত। তখন তাঁর পরিবারের ৮ জনকেও হত্যা করা হয়। ঘাতকদের কামানের গোলায় ওই দিন মোহাম্মদপুরের ১৪ জন সাধারণ মানুষও প্রাণ হারান।
সেরনিয়াবাতসহ আটজনকে হত্যার মামলা স্থগিত রয়েছে উচ্চ আদালতের নির্দেশে। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। আর মোহাম্মদপুরের ১৪ জনকে হত্যা মামলার বিচার চললেও রাষ্ট্রপক্ষের অবহেলায় বিচার শেষ হচ্ছে না বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
আদালত সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সেরনিয়াবাতসহ আটজনকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ১৯৯৯ সালে কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর হাইকোর্টের আদেশে কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যাওয়ায় মামলাটি আর আলোর মুখ দেখেনি। মামলার বিচার সম্পন্ন করতে গত কয়েক বছরে সরকারও কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি বাদীপক্ষও ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাইকোর্টে মামলা শুনানির কোনো চেষ্টা করেনি।
১৫ আগস্ট মোহাম্মদপুরের শের শাহ শূরি রোডের ৮ ও ৯ নম্বর বাসায় ১৪ জন নারী-পুরুষকে হত্যার অভিযোগে করা মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয় ২০০১ সালে। বিচারকাজও শুরু হয়। তবে এখন পর্যন্ত মাত্র কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। মামলা চলছে ধীরগতিতে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৫ আগস্ট ভোরে কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল সেনা সদস্য অস্ত্রের মুখে মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ২৭ নম্বর মিন্টো রোডের সরকারি বাড়িতে ঢোকেন। মেজর শাহরিয়ার রশিদ, আজিজ পাশা ও ক্যাপ্টেন নুরুল হুদার নেতৃত্বে উর্দি পরা সেনা সদস্যরা ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে বাসার সদস্যদের বসার ঘরে জড়ো করেন।
একপর্যায়ে সবাইকে লাইন ধরিয়ে গুলি করেন তাঁরা। মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, ছেলে আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি চার বছরের শিশু বাবু সেরনিয়াবাত, চাচাতো ভাই অ্যাডভোকেট শহীদ সেরনিয়াবাত, গৃহপরিচারিকা লক্ষ্মীর মা, কাজের ছেলে পোটকা, আবদুর রহিম খান ওরফে রিন্টু নিহত হন। বাবু আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছেলে।
এ ঘটনায় আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর মা আমেনা বেগম, স্ত্রী সাহান আরা বেগম ও ভাই আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, বোন বিউটি সেরনিয়াবাত, রীনা সেরনিয়াবাতসহ রফিকুল ইসলাম, সলিল দাস ও গোলাম মাহমুদ মারাত্মক আহত হন। ঘটনার পর রমনা থানার তৎকালীন ওসি ঘটনাস্থলে যান। তিনি আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করালেও তখন কোনো মামলা করেননি।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৬ সালের ২১ অক্টোবর আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর স্ত্রী সাহান আরা বেগম বাদী হয়ে মেজর শাহরিয়ার, মেজর আজিজ পাশা, ক্যাপ্টেন মাজেদ, ক্যাপ্টেন নুরুল হুদা হিরুকে আসামি করে রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন। রাজনৈতিক চাপের মুখে এবং জীবনের নিরাপত্তা ও হুমকির কারণে আগে মামলা দায়ের করা হয়নি বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৩০ জুলাই সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তাঁরা হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, ক্যাপ্টেন (অব.) নুরুল হুদা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান, মেজর (অব.) বজলুল হুদা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহিউদ্দিন আহমেদ, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আবদুল আজিজ পাশা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খন্দকার আবদুর রশিদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শরিফুল হক ডালিম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ, ক্যাপ্টেন (অব.) মো. কিসমত হাশেম, ক্যাপ্টেন (অব.) নাজমুল হোসেন ও মেজর (অব.) আহম্মদ শরফুল হোসেন ওরফে শরফুল ইসলাম।
অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলাটি ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারের জন্য পাঠানো হয়। আদালতের তৎকালীন বিচারক এ কে রায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৯৯ সালের ৪ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। ১০ অক্টোবর একজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন। কিন্তু আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন সাক্ষ্য গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়।
পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে আসামি তাহের উদ্দিন ঠাকুরের বিরুদ্ধে মামলাটি চলতে পারে না বলে একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সরকারের প্রতি রুল জারি করে মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। স্থগিত আদেশের মেয়াদ কয়েকবার বাড়ানোর পর ২০০৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সরকারের প্রতি দেওয়া রুলের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহাদত হোসেন জানান, মামলাটি এখনো স্থগিত রয়েছে।
এই মামলায় নিয়োজিত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাহাবুদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলাটির কার্যক্রম হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত রয়েছে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর চাচাতো ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত বলেন, ১৫ আগস্ট আব্দুর রব সেরনিয়াবাতসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা শাহাদfত বরণ করলেও আজ পর্যন্ত এই মামলার কোনো অগ্রগতি নেই। আজও তাঁর পরিবার এই হত্যাকাণ্ডের বিচার পায়নি।
কামানের গোলায় ১৪ নিহতের মামলা
মোহাম্মদপুরে কামানের গোলা নামে পরিচিত মামলায় বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আক্রমণের সময় খুনিদের কামানের গোলা মোহাম্মদপুর থানার শের শাহ শূরি রোডের ৮ ও ৯ নম্বর বাড়িতে গিয়ে পড়ে। সেখানে গৃহিণী রোজিয়া বেগম, তাঁর মেয়ে নাসিমা, হাবিবুর রহমান, আনোয়ারা বেগম-১, আনোয়ারা বেগম-২, ময়ফুল বিবি, সাবেরা বেগম, আবদুল্লাহ, রফিকুল, সাবিয়া, সাহাবুদ্দিন, আমিনুদ্দিন, কাশেদা ও দুই বছরের শিশু আনোয়ারা নিহত হন। আহত হন আরও ১৭ জন।
এ ঘটনায় ১৯৯৬ সালের ২৯ নভেম্বর রোজিয়ার স্বামী মোহাম্মদ আলী মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। সিআইডি তদন্ত শেষে ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল কর্নেল ফারুক, তাহের উদ্দিন ঠাকুরসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। মহানগর চতুর্থ অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে মামলার বিচার চলছিল। সম্প্রতি ১৩তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলার ৫৮ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ২২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তবে এ আদালতের অতিরিক্ত পিপি সাইফুল ইসলাম হেলাল বলেন, মামলার বিচার দ্রুত চলছিল। ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আর মাত্র কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়ার পর বিচারকাজ শেষ করা যাবে। তবে মামলাটি অন্য একটি আদালতে বদলি হয়েছে সম্প্রতি। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার বিচার নিয়ে আগের থেকে এখন আন্তরিক।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার দিন আরও ২২ জনকে হত্যা করা হয়। গত ৪৮ বছরেও এসব হত্যার বিচার হয়নি। কবে হবে তাও অনিশ্চিত। ওই দিন যাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন পানি, সেচ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণমন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত। তখন তাঁর পরিবারের ৮ জনকেও হত্যা করা হয়। ঘাতকদের কামানের গোলায় ওই দিন মোহাম্মদপুরের ১৪ জন সাধারণ মানুষও প্রাণ হারান।
সেরনিয়াবাতসহ আটজনকে হত্যার মামলা স্থগিত রয়েছে উচ্চ আদালতের নির্দেশে। উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। আর মোহাম্মদপুরের ১৪ জনকে হত্যা মামলার বিচার চললেও রাষ্ট্রপক্ষের অবহেলায় বিচার শেষ হচ্ছে না বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
আদালত সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সেরনিয়াবাতসহ আটজনকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ১৯৯৯ সালে কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর হাইকোর্টের আদেশে কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যাওয়ায় মামলাটি আর আলোর মুখ দেখেনি। মামলার বিচার সম্পন্ন করতে গত কয়েক বছরে সরকারও কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এমনকি বাদীপক্ষও ব্যক্তিগত উদ্যোগে হাইকোর্টে মামলা শুনানির কোনো চেষ্টা করেনি।
১৫ আগস্ট মোহাম্মদপুরের শের শাহ শূরি রোডের ৮ ও ৯ নম্বর বাসায় ১৪ জন নারী-পুরুষকে হত্যার অভিযোগে করা মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হয় ২০০১ সালে। বিচারকাজও শুরু হয়। তবে এখন পর্যন্ত মাত্র কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। মামলা চলছে ধীরগতিতে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৫ আগস্ট ভোরে কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল সেনা সদস্য অস্ত্রের মুখে মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ২৭ নম্বর মিন্টো রোডের সরকারি বাড়িতে ঢোকেন। মেজর শাহরিয়ার রশিদ, আজিজ পাশা ও ক্যাপ্টেন নুরুল হুদার নেতৃত্বে উর্দি পরা সেনা সদস্যরা ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের মুখে বাসার সদস্যদের বসার ঘরে জড়ো করেন।
একপর্যায়ে সবাইকে লাইন ধরিয়ে গুলি করেন তাঁরা। মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত, মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, ছেলে আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি চার বছরের শিশু বাবু সেরনিয়াবাত, চাচাতো ভাই অ্যাডভোকেট শহীদ সেরনিয়াবাত, গৃহপরিচারিকা লক্ষ্মীর মা, কাজের ছেলে পোটকা, আবদুর রহিম খান ওরফে রিন্টু নিহত হন। বাবু আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছেলে।
এ ঘটনায় আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর মা আমেনা বেগম, স্ত্রী সাহান আরা বেগম ও ভাই আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, বোন বিউটি সেরনিয়াবাত, রীনা সেরনিয়াবাতসহ রফিকুল ইসলাম, সলিল দাস ও গোলাম মাহমুদ মারাত্মক আহত হন। ঘটনার পর রমনা থানার তৎকালীন ওসি ঘটনাস্থলে যান। তিনি আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করালেও তখন কোনো মামলা করেননি।
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৬ সালের ২১ অক্টোবর আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর স্ত্রী সাহান আরা বেগম বাদী হয়ে মেজর শাহরিয়ার, মেজর আজিজ পাশা, ক্যাপ্টেন মাজেদ, ক্যাপ্টেন নুরুল হুদা হিরুকে আসামি করে রমনা থানায় হত্যা মামলা করেন। রাজনৈতিক চাপের মুখে এবং জীবনের নিরাপত্তা ও হুমকির কারণে আগে মামলা দায়ের করা হয়নি বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ৩০ জুলাই সাবেক সেনা কর্মকর্তাসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তাঁরা হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, ক্যাপ্টেন (অব.) নুরুল হুদা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান, মেজর (অব.) বজলুল হুদা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহিউদ্দিন আহমেদ, তাহের উদ্দিন ঠাকুর, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) আবদুল আজিজ পাশা, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) খন্দকার আবদুর রশিদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) শরিফুল হক ডালিম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এ কে এম মহিউদ্দিন আহমেদ, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) এ এম রাশেদ চৌধুরী, ক্যাপ্টেন (অব.) আবদুল মাজেদ, ক্যাপ্টেন (অব.) মো. কিসমত হাশেম, ক্যাপ্টেন (অব.) নাজমুল হোসেন ও মেজর (অব.) আহম্মদ শরফুল হোসেন ওরফে শরফুল ইসলাম।
অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলাটি ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারের জন্য পাঠানো হয়। আদালতের তৎকালীন বিচারক এ কে রায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৯৯ সালের ৪ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। ১০ অক্টোবর একজন সাক্ষী সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হন। কিন্তু আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই দিন সাক্ষ্য গ্রহণ স্থগিত রাখা হয়।
পরের বছর ফেব্রুয়ারিতে আসামি তাহের উদ্দিন ঠাকুরের বিরুদ্ধে মামলাটি চলতে পারে না বলে একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সরকারের প্রতি রুল জারি করে মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। স্থগিত আদেশের মেয়াদ কয়েকবার বাড়ানোর পর ২০০৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সরকারের প্রতি দেওয়া রুলের শুনানি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাহাদত হোসেন জানান, মামলাটি এখনো স্থগিত রয়েছে।
এই মামলায় নিয়োজিত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাহাবুদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলাটির কার্যক্রম হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত রয়েছে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর চাচাতো ভাই উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত বলেন, ১৫ আগস্ট আব্দুর রব সেরনিয়াবাতসহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা শাহাদfত বরণ করলেও আজ পর্যন্ত এই মামলার কোনো অগ্রগতি নেই। আজও তাঁর পরিবার এই হত্যাকাণ্ডের বিচার পায়নি।
কামানের গোলায় ১৪ নিহতের মামলা
মোহাম্মদপুরে কামানের গোলা নামে পরিচিত মামলায় বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আক্রমণের সময় খুনিদের কামানের গোলা মোহাম্মদপুর থানার শের শাহ শূরি রোডের ৮ ও ৯ নম্বর বাড়িতে গিয়ে পড়ে। সেখানে গৃহিণী রোজিয়া বেগম, তাঁর মেয়ে নাসিমা, হাবিবুর রহমান, আনোয়ারা বেগম-১, আনোয়ারা বেগম-২, ময়ফুল বিবি, সাবেরা বেগম, আবদুল্লাহ, রফিকুল, সাবিয়া, সাহাবুদ্দিন, আমিনুদ্দিন, কাশেদা ও দুই বছরের শিশু আনোয়ারা নিহত হন। আহত হন আরও ১৭ জন।
এ ঘটনায় ১৯৯৬ সালের ২৯ নভেম্বর রোজিয়ার স্বামী মোহাম্মদ আলী মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। সিআইডি তদন্ত শেষে ২০০১ সালের ৩০ এপ্রিল কর্নেল ফারুক, তাহের উদ্দিন ঠাকুরসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। মহানগর চতুর্থ অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে মামলার বিচার চলছিল। সম্প্রতি ১৩তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলি হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলার ৫৮ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ২২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তবে এ আদালতের অতিরিক্ত পিপি সাইফুল ইসলাম হেলাল বলেন, মামলার বিচার দ্রুত চলছিল। ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আর মাত্র কয়েকজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়ার পর বিচারকাজ শেষ করা যাবে। তবে মামলাটি অন্য একটি আদালতে বদলি হয়েছে সম্প্রতি। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ এ মামলার বিচার নিয়ে আগের থেকে এখন আন্তরিক।
কিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
১ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
২ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
২ ঘণ্টা আগেঅল এশিয়া ফুল কন্টাক্ট কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপে অনূর্ধ্ব-৬০ কেজি ওজন ক্যাটাগরিতে তৃতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের ‘সেনপাই’ আরাফাত রহমান। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের রাংসিত ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় অল এশিয়া ফুল কন্টাক্ট খিউকুশিন কারাতে চ্যাম্পিয়নশিপের ১৯-তম আসর।
২ ঘণ্টা আগে