নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর সরকার এখন উদ্ভাবনী বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এখন আমরা “উদ্ভাবনী বাংলাদেশ”-এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ২০৪১ সালের মধ্যে যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছি, সেটাই হবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ।’
আজ শনিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আন্তর্জাতিক সম্মেলন-২০২১’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে “ডিজিটাল বাংলাদেশ” সৃষ্টি করেছি। এ ক্ষেত্রে আমি আমার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে কৃতিত্ব দিতে চাই। আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই শিল্পোন্নয়নে কাজ করছি। আমরা “এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড” পেয়েছি। আমরা লক্ষ্য স্থির করে দেশ পরিচালনা করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ভিত্তি হিসেবে তিনটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্ব পাচ্ছে। সেটি হলো, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে শিল্পের বিকাশ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী বাহিনী সৃষ্টি এবং পরিবেশ সংরক্ষণ।’ তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, নিত্য নতুন পণ্যের বাজার সৃষ্টি এবং কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অর্থনীতির গতিকে ত্বরান্বিত করাই ছিল শিল্পায়নের উদ্দেশ্য। প্রায় ১০০ বছর পর পর শিল্পায়নের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী বিবর্তনের বিষয়টি লক্ষণীয়। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায় অতিক্রম করে আমরা আজ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিজ্ঞানীগণ ধারণা করছেন অদূরভবিষ্যতে মানুষকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্রের সঙ্গে সহাবস্থান করতে হবে। কিছু নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। যেমন-মেশিন মানুষের কর্মক্ষেত্রকে সংকুচিত করবে। সস্তা শ্রমের চাহিদা কমে যাবে। অসমতা বৃদ্ধি পাবে এবং অভিবাসনকে উৎসাহিত করবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বৈদেশিক বিনিয়োগ কমবে এবং প্রযুক্তিজ্ঞান ক্ষেত্রে বৈষম্য বাড়বে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো যার যার গতিতে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে, যদি প্রযুক্তি সহজলভ্য এবং সহজে হস্তান্তরযোগ্য না হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯১-৯৫ বিএনপির আমলে বাংলাদেশকে বিনা মূল্যে ফাইবার অপটিক কেব্ল সংযোগ দিতে চাইলে তারা প্রত্যাখ্যান করে। দেশ আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি মহাসড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। আমরা সরকারে এসে এই খাতের উন্নয়নে নতুন নীতিমালা গ্রহণ করি। সফটওয়্যার, ডেটা এন্ট্রি, ডেটা-প্রসেসিং শিল্পের বিকাশ ও রপ্তানি উন্নয়নের লক্ষ্যে আইটি-ভিলেজ এবং হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিই। শুল্কমুক্তভাবে কম্পিউটার, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ এবং সফটওয়্যার আমদানির অনুমোদন দিই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মোবাইল ফোন এবং ভি-স্যাট স্থাপনায় একচেটিয়া ভেঙে দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশের ক্ষেত্র প্রস্তুত করি। ১৯৯৬ সালে মোবাইল ফোনের সংখ্যা ছিল মাত্র ২ হাজার আর প্রতিটির দাম ছিল ১ লাখ টাকার বেশি। ২০০১ সালে মোবাইল টেলিফোনের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৭ লাখ এবং দাম গড়ে ৭ হাজার টাকা। ভি-স্যাটের সাহায্যে ডেটা আদান-প্রদান সহজ হওয়ায় কম্পিউটার ডেটা এন্ট্রি ও সফটওয়্যার রপ্তানির দ্বার উন্মুক্ত হয়। কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ তৈরি ও অ্যাসেমব্লিতে, সফটওয়্যার তৈরিতে এবং ডেটা প্রসেসিং কাজে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়।’
২০০৮ সালে সরকার গঠনের পরের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ কোটি অতিক্রম করেছে। শিগগিরই আমরা ৫-জি নেটওয়ার্ক সেবা চালু করছি। এটি ব্যবসার মডেল, শিক্ষাপদ্ধতি, জীবনযাত্রার মান এবং প্রচলিত ডিজিটাল এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দেবে। আইসিটি ও সফটওয়্যার রপ্তানিতে নেতৃত্ব দেবে।’
ডাকঘরকে ডিজিটাল সেন্টারে রূপান্তর করেছে সরকার জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে ফাইবার অপটিক্যাল তারে যুক্ত করেছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করেছি, হাজার হাজার ইন্টারেকটিভ কনটেন্ট এবং ই-বুক ডিজাইন করেছি। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প পণ্যগুলোকে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করেছি। আমরা অটোমেশন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান উন্নতি করছি। আমি বিশ্বাস করি, অদূরভবিষ্যতে আইসিটি ও সফটওয়্যার শিল্প আমাদের রপ্তানি খাতকে নেতৃত্ব দেবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশে গবেষণা উন্নয়ন এবং উৎপাদনকেন্দ্র স্থাপনে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছি। নকিয়া, স্যামসাং, হুয়াওয়েসহ অনেক কোম্পানি হাই-টেক পার্কগুলোতে কাজ করছে। উৎপাদন খাতে আমরা বৃত্তীয় অর্থনৈতিক মডেল গ্রহণ করছি, যার মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদ, পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ও দীর্ঘস্থায়ী পণ্য উৎপাদন শুরু করেছি। ইতিমধ্যেই আমরা চাহিদার চেয়ে অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছি। রপ্তানি ক্ষেত্রে ১১টি সম্ভাবনাময় খাত চিহ্নিত করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী আমাদের ১৪৪টি কারখানা এলইইডি সনদ পেয়েছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। বিশ্বের ১০০টি সেরা কারখানার মধ্যে ৩৯টি বাংলাদেশের। আমরা হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে শুল্ক সুবিধা দিচ্ছি এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি চালুর কাজ শুরু করেছি।’
কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, ‘অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত অর্থনীতিবিদ যোসেফ সুম্পিটারের “ক্রিয়েটিভ ডেস্ট্রাকশন” তত্ত্ব অনুযায়ী নিত্য নতুন উদ্ভাবনের ফলে প্রচলিত কর্মক্ষেত্র সংকুচিত হবে ঠিকই, কিন্তু নতুন ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হবে। আমাদের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তিতে রূপান্তর করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এ. আই), রোবোটিকস, ইন্টারনেট অব থিংস সফলভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হব।’
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহিদুল্লাহর সভাপতিত্বে এই সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর সরকার এখন উদ্ভাবনী বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পর এখন আমরা “উদ্ভাবনী বাংলাদেশ”-এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ২০৪১ সালের মধ্যে যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছি, সেটাই হবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ।’
আজ শনিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আন্তর্জাতিক সম্মেলন-২০২১’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে “ডিজিটাল বাংলাদেশ” সৃষ্টি করেছি। এ ক্ষেত্রে আমি আমার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে কৃতিত্ব দিতে চাই। আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই শিল্পোন্নয়নে কাজ করছি। আমরা “এসডিজি প্রোগ্রেস অ্যাওয়ার্ড” পেয়েছি। আমরা লক্ষ্য স্থির করে দেশ পরিচালনা করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ভিত্তি হিসেবে তিনটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্ব পাচ্ছে। সেটি হলো, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে শিল্পের বিকাশ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী বাহিনী সৃষ্টি এবং পরিবেশ সংরক্ষণ।’ তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, নিত্য নতুন পণ্যের বাজার সৃষ্টি এবং কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অর্থনীতির গতিকে ত্বরান্বিত করাই ছিল শিল্পায়নের উদ্দেশ্য। প্রায় ১০০ বছর পর পর শিল্পায়নের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী বিবর্তনের বিষয়টি লক্ষণীয়। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায় অতিক্রম করে আমরা আজ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বিজ্ঞানীগণ ধারণা করছেন অদূরভবিষ্যতে মানুষকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন যন্ত্রের সঙ্গে সহাবস্থান করতে হবে। কিছু নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। যেমন-মেশিন মানুষের কর্মক্ষেত্রকে সংকুচিত করবে। সস্তা শ্রমের চাহিদা কমে যাবে। অসমতা বৃদ্ধি পাবে এবং অভিবাসনকে উৎসাহিত করবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বৈদেশিক বিনিয়োগ কমবে এবং প্রযুক্তিজ্ঞান ক্ষেত্রে বৈষম্য বাড়বে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলো যার যার গতিতে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলবে, যদি প্রযুক্তি সহজলভ্য এবং সহজে হস্তান্তরযোগ্য না হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৯১-৯৫ বিএনপির আমলে বাংলাদেশকে বিনা মূল্যে ফাইবার অপটিক কেব্ল সংযোগ দিতে চাইলে তারা প্রত্যাখ্যান করে। দেশ আন্তর্জাতিক তথ্যপ্রযুক্তি মহাসড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়। আমরা সরকারে এসে এই খাতের উন্নয়নে নতুন নীতিমালা গ্রহণ করি। সফটওয়্যার, ডেটা এন্ট্রি, ডেটা-প্রসেসিং শিল্পের বিকাশ ও রপ্তানি উন্নয়নের লক্ষ্যে আইটি-ভিলেজ এবং হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নিই। শুল্কমুক্তভাবে কম্পিউটার, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ এবং সফটওয়্যার আমদানির অনুমোদন দিই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মোবাইল ফোন এবং ভি-স্যাট স্থাপনায় একচেটিয়া ভেঙে দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশের ক্ষেত্র প্রস্তুত করি। ১৯৯৬ সালে মোবাইল ফোনের সংখ্যা ছিল মাত্র ২ হাজার আর প্রতিটির দাম ছিল ১ লাখ টাকার বেশি। ২০০১ সালে মোবাইল টেলিফোনের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৭ লাখ এবং দাম গড়ে ৭ হাজার টাকা। ভি-স্যাটের সাহায্যে ডেটা আদান-প্রদান সহজ হওয়ায় কম্পিউটার ডেটা এন্ট্রি ও সফটওয়্যার রপ্তানির দ্বার উন্মুক্ত হয়। কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ তৈরি ও অ্যাসেমব্লিতে, সফটওয়্যার তৈরিতে এবং ডেটা প্রসেসিং কাজে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়।’
২০০৮ সালে সরকার গঠনের পরের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ কোটি অতিক্রম করেছে। শিগগিরই আমরা ৫-জি নেটওয়ার্ক সেবা চালু করছি। এটি ব্যবসার মডেল, শিক্ষাপদ্ধতি, জীবনযাত্রার মান এবং প্রচলিত ডিজিটাল এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দেবে। আইসিটি ও সফটওয়্যার রপ্তানিতে নেতৃত্ব দেবে।’
ডাকঘরকে ডিজিটাল সেন্টারে রূপান্তর করেছে সরকার জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে ফাইবার অপটিক্যাল তারে যুক্ত করেছি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করেছি, হাজার হাজার ইন্টারেকটিভ কনটেন্ট এবং ই-বুক ডিজাইন করেছি। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প পণ্যগুলোকে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করেছি। আমরা অটোমেশন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান উন্নতি করছি। আমি বিশ্বাস করি, অদূরভবিষ্যতে আইসিটি ও সফটওয়্যার শিল্প আমাদের রপ্তানি খাতকে নেতৃত্ব দেবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে বাংলাদেশে গবেষণা উন্নয়ন এবং উৎপাদনকেন্দ্র স্থাপনে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছি। নকিয়া, স্যামসাং, হুয়াওয়েসহ অনেক কোম্পানি হাই-টেক পার্কগুলোতে কাজ করছে। উৎপাদন খাতে আমরা বৃত্তীয় অর্থনৈতিক মডেল গ্রহণ করছি, যার মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদ, পুনঃ ব্যবহারযোগ্য ও দীর্ঘস্থায়ী পণ্য উৎপাদন শুরু করেছি। ইতিমধ্যেই আমরা চাহিদার চেয়ে অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছি। রপ্তানি ক্ষেত্রে ১১টি সম্ভাবনাময় খাত চিহ্নিত করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী আমাদের ১৪৪টি কারখানা এলইইডি সনদ পেয়েছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ। বিশ্বের ১০০টি সেরা কারখানার মধ্যে ৩৯টি বাংলাদেশের। আমরা হাইব্রিড গাড়ি আমদানিতে শুল্ক সুবিধা দিচ্ছি এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি চালুর কাজ শুরু করেছি।’
কারিগরি শিক্ষার উন্নয়নে সরকারের পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, ‘অস্ট্রীয় বংশোদ্ভূত অর্থনীতিবিদ যোসেফ সুম্পিটারের “ক্রিয়েটিভ ডেস্ট্রাকশন” তত্ত্ব অনুযায়ী নিত্য নতুন উদ্ভাবনের ফলে প্রচলিত কর্মক্ষেত্র সংকুচিত হবে ঠিকই, কিন্তু নতুন ধরনের কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হবে। আমাদের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তিতে রূপান্তর করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এ. আই), রোবোটিকস, ইন্টারনেট অব থিংস সফলভাবে ব্যবহার করতে সক্ষম হব।’
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহিদুল্লাহর সভাপতিত্বে এই সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৫ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৬ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৭ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৭ ঘণ্টা আগে