নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণার সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করেন।
সংক্ষিপ্ত রায়ে বলা হয়, সরকার প্রয়োজনে কোটার অনুপাত পরিবর্তন, হ্রাস বা বৃদ্ধি করতে পারবে। আর এই রায় সরকারের ওপর কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না। কোনো পাবলিক পরীক্ষায় কোটা পূরণ না হলে সরকার সাধারণ মেধা তালিকা থেকে শূন্য পদ পূরণ করতে পারবে।
রায়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি–নাতনিদের জন্য কোটা পুনর্বহাল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে জেলা, নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, উপজাতি–ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য কোটা বজায় রাখতে বলা হয়। রায় পাওয়ার ৩ মাসের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।
আংশিক রায় প্রকাশের বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান বলেন, হাইকোর্টের রায়ের মূল অংশটুকু প্রকাশিত হয়েছে। তবে আপিল বিভাগ কোটার বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেওয়ায় আপাতত হাইকোর্টের রায় কার্যকর হবে না। শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ১৩ তম গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এছাড়া রায় স্থগিত চেয়ে পৃথক আবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া এবং উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান।
১০ জুলাই দুটি আবেদন একসঙ্গে শুনানি করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আদেশে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটার বিষয়ে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করা হয়। একই সঙ্গে এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।
আপিল বিভাগ আন্দোলনকারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আইনজীবীর মাধ্যমে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারবেন। আদালত মূল আবেদন নিষ্পত্তির সময় তাঁদের সে বক্তব্য বিবেচনায় নেবেন।
আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আপিল বিভাগ সাবজেক্ট মেটারে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলেছেন। হাইকোর্টের রায়ের আগে যে অবস্থা ছিল সেটাই হলো। দুই শিক্ষার্থীর আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, আপিল বিভাগের আদেশের ফলে ২০১৮ সাল থেকে যেভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলে আসছিল, সেভাবে চলবে।
২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্রে বলা হয়, ৯ম (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩ তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। ৯ম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩ তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো। পরে ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন অহিদুল ইসলামসহ ৭ শিক্ষার্থী। হাইকোর্ট ওই পরিপত্র বাতিল করে রায় দেন।
আরও খবর পড়ুন:
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণার সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ সংক্ষিপ্ত রায় প্রকাশ করেন।
সংক্ষিপ্ত রায়ে বলা হয়, সরকার প্রয়োজনে কোটার অনুপাত পরিবর্তন, হ্রাস বা বৃদ্ধি করতে পারবে। আর এই রায় সরকারের ওপর কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না। কোনো পাবলিক পরীক্ষায় কোটা পূরণ না হলে সরকার সাধারণ মেধা তালিকা থেকে শূন্য পদ পূরণ করতে পারবে।
রায়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি–নাতনিদের জন্য কোটা পুনর্বহাল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে জেলা, নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, উপজাতি–ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য কোটা বজায় রাখতে বলা হয়। রায় পাওয়ার ৩ মাসের মধ্যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বলা হয়েছে।
আংশিক রায় প্রকাশের বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান বলেন, হাইকোর্টের রায়ের মূল অংশটুকু প্রকাশিত হয়েছে। তবে আপিল বিভাগ কোটার বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেওয়ায় আপাতত হাইকোর্টের রায় কার্যকর হবে না। শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ১৩ তম গ্রেডে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে গত ৫ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এছাড়া রায় স্থগিত চেয়ে পৃথক আবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া এবং উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান।
১০ জুলাই দুটি আবেদন একসঙ্গে শুনানি করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আদেশে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটার বিষয়ে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করা হয়। একই সঙ্গে এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।
আপিল বিভাগ আন্দোলনকারীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আইনজীবীর মাধ্যমে তাঁদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারবেন। আদালত মূল আবেদন নিষ্পত্তির সময় তাঁদের সে বক্তব্য বিবেচনায় নেবেন।
আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, আপিল বিভাগ সাবজেক্ট মেটারে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলেছেন। হাইকোর্টের রায়ের আগে যে অবস্থা ছিল সেটাই হলো। দুই শিক্ষার্থীর আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, আপিল বিভাগের আদেশের ফলে ২০১৮ সাল থেকে যেভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলে আসছিল, সেভাবে চলবে।
২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জারি করা পরিপত্রে বলা হয়, ৯ম (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩ তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে। ৯ম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ম থেকে ১৩ তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো। পরে ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন অহিদুল ইসলামসহ ৭ শিক্ষার্থী। হাইকোর্ট ওই পরিপত্র বাতিল করে রায় দেন।
আরও খবর পড়ুন:
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
২ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৩ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৪ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৪ ঘণ্টা আগে