নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
তফসিল বানান নিয়ে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিতর্ক হয়েছে। সঠিক বানান তফসিল নাকি তপসিল হবে তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আইন মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়। এ নিয়ে কথা বলেছেন কমিটির সদস্যরা। বানানটি সংবিধান ও বাংলা একাডেমির বানান রীতির দ্বৈততা পরিহারে আইনমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়কে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার অনুশাসন দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ১ মার্চ সংসদীয় কমিটির ২৭তম বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়, যা মঙ্গলবারের বৈঠকে অনুমোদন করা হয়। বৈঠকের সুপারিশে বলা হয় বানানগত দ্বৈততা পরিহারের জন্য আইনমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আলোচনা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং সংবিধানে বিধৃত বানান ও বর্তমানে বাবাকো (সরকারি ভাষা বাস্তবায়ন কোষ) কর্তৃক প্রমিত বানান দ্বৈততা পরিহারের ওপর একটি কার্যপত্র কমিটির আগামী বৈঠকে মন্ত্রণালয় উপস্থাপন করবে।
এদিকে মঙ্গলবারের বৈঠকে মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবেদন দেওয়া হলেও আইনমন্ত্রী না থাকায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। আইনমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আলোচনার জন্য এজেন্ডাটি পরবর্তী বৈঠকে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
২৭তম বৈঠকের কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির তফসিল বানানের প্রসঙ্গটি তোলেন। তিনি ২৫তম বৈঠকের কার্যবিবরণীর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, কার্যবিবরণীর সিদ্ধান্ত/সুপারিশের ২ (খ)-এ ‘তফসিলে’ শব্দের পরিবর্তে ‘তপসিলের’ শব্দটি গ্রহণ করা হয়েছে। তফসিল শব্দটি আরবি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় গৃহীত বিধায় ‘তফসিল’-ই হবে।
তিনি বলেন, সংবিধানের তফসিল বানানটি ‘ফ’ দিয়ে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং ইন্টারপ্রিটেশনে সংবিধান সবার ওপরে। সে জন্য লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে প্রত্যেকটি বিলে ‘তফসিল’ বানান দিয়েই লিপিবদ্ধ করা হয়। পরবর্তীতে এটাকে সংসদ সচিবালয় থেকে সংশোধন করা হয়। বিল প্রণয়নের সময় আইনের ভাষাকে সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
যুক্তি খণ্ডন করে সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র লেজিসলেটিভ ড্রাফটস-ম্যান এম এম ফজলুর রহমান বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষ (বাবাকো) ’ থেকে সরকারি কাজে ব্যবহৃত বাংলা শব্দের একটি নির্দেশনা দেওয়া আছে। সেখানে ‘তফসিল’-এর পরিবর্তে ‘তপসিল’ শব্দ ব্যবহারের নির্দেশনা রয়েছে। সে অনুযায়ী ‘তপসিল’ বানানটি ব্যবহার করা হচ্ছে। আইনটি সংসদে পাস হওয়ায় এই আইনের ক্ষেত্রে ‘তপসিল’ শব্দটি রাখতে হবে।
কমিটির সদস্য ও সাবেক গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বলেন, সংবিধানে শব্দের বানান একরকম। আবার সরকারি নির্দেশনায় অন্য বানান। সে ক্ষেত্রে সংবিধানই সবার ওপরে হবে। বিষয়টি নিয়ে আইনমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার প্রস্তাব করেন তিনি।
কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, একদিকে সংবিধান ও অন্যদিকে সরকারের নির্দেশনা থাকায় বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উক্ত বানানটির ‘প’ এবং ‘ফ’ নিয়ে সংসদেও আলোচনা হয়েছে। তাই এ বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এ ছাড়া যদি অন্য কোনো শব্দের বানান নিয়ে কোনো সমস্যা থাকে তা নিয়েও আলোচনা করা হবে এবং শব্দ ব্যবহারে বানানের দ্বৈততা পরিহারের চেষ্টা করা হবে। লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগকে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করার জন্য বলেন।
মঙ্গলবার সংসদীয় কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, সংবিধানে রয়েছে ‘তফসিল’ আর অন্যান্য আইনে রয়েছে ‘তপশিল’। এই দ্বৈত বানান থাকতে পারে না। কার্যত আমাদের সংবিধানকে প্রাধান্য দিতে হবে।
সংবিধান, দেশের আইন বা বিধি এবং প্রমিত বানান রীতিতে যেসব শব্দের বানানে দ্বৈততা তা নিয়ে সংসদীয় কমিটি আলোচনা করবে বলে জানান শহীদুজ্জামান সরকার। সংবিধান বা আইন সংশোধনের প্রয়োজন পড়লে সেই সুপারিশ কমিটি করবে বলে জানান তিনি।
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে বিচারকার্য ত্বরান্বিত করার জন্য বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি করার বিষয়ে আলোচনায় পরবর্তীতে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সুপারিশ আকারে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল মজিদ খান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এবং খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন।
তফসিল বানান নিয়ে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিতর্ক হয়েছে। সঠিক বানান তফসিল নাকি তপসিল হবে তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আইন মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়। এ নিয়ে কথা বলেছেন কমিটির সদস্যরা। বানানটি সংবিধান ও বাংলা একাডেমির বানান রীতির দ্বৈততা পরিহারে আইনমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে আইন মন্ত্রণালয়কে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার অনুশাসন দেওয়া হয়।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির কার্যবিবরণী থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ১ মার্চ সংসদীয় কমিটির ২৭তম বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়, যা মঙ্গলবারের বৈঠকে অনুমোদন করা হয়। বৈঠকের সুপারিশে বলা হয় বানানগত দ্বৈততা পরিহারের জন্য আইনমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আলোচনা করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং সংবিধানে বিধৃত বানান ও বর্তমানে বাবাকো (সরকারি ভাষা বাস্তবায়ন কোষ) কর্তৃক প্রমিত বানান দ্বৈততা পরিহারের ওপর একটি কার্যপত্র কমিটির আগামী বৈঠকে মন্ত্রণালয় উপস্থাপন করবে।
এদিকে মঙ্গলবারের বৈঠকে মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবেদন দেওয়া হলেও আইনমন্ত্রী না থাকায় তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি। আইনমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আলোচনার জন্য এজেন্ডাটি পরবর্তী বৈঠকে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
২৭তম বৈঠকের কার্যবিবরণী সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির তফসিল বানানের প্রসঙ্গটি তোলেন। তিনি ২৫তম বৈঠকের কার্যবিবরণীর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, কার্যবিবরণীর সিদ্ধান্ত/সুপারিশের ২ (খ)-এ ‘তফসিলে’ শব্দের পরিবর্তে ‘তপসিলের’ শব্দটি গ্রহণ করা হয়েছে। তফসিল শব্দটি আরবি ভাষা থেকে বাংলা ভাষায় গৃহীত বিধায় ‘তফসিল’-ই হবে।
তিনি বলেন, সংবিধানের তফসিল বানানটি ‘ফ’ দিয়ে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং ইন্টারপ্রিটেশনে সংবিধান সবার ওপরে। সে জন্য লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে প্রত্যেকটি বিলে ‘তফসিল’ বানান দিয়েই লিপিবদ্ধ করা হয়। পরবর্তীতে এটাকে সংসদ সচিবালয় থেকে সংশোধন করা হয়। বিল প্রণয়নের সময় আইনের ভাষাকে সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
যুক্তি খণ্ডন করে সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র লেজিসলেটিভ ড্রাফটস-ম্যান এম এম ফজলুর রহমান বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষ (বাবাকো) ’ থেকে সরকারি কাজে ব্যবহৃত বাংলা শব্দের একটি নির্দেশনা দেওয়া আছে। সেখানে ‘তফসিল’-এর পরিবর্তে ‘তপসিল’ শব্দ ব্যবহারের নির্দেশনা রয়েছে। সে অনুযায়ী ‘তপসিল’ বানানটি ব্যবহার করা হচ্ছে। আইনটি সংসদে পাস হওয়ায় এই আইনের ক্ষেত্রে ‘তপসিল’ শব্দটি রাখতে হবে।
কমিটির সদস্য ও সাবেক গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বলেন, সংবিধানে শব্দের বানান একরকম। আবার সরকারি নির্দেশনায় অন্য বানান। সে ক্ষেত্রে সংবিধানই সবার ওপরে হবে। বিষয়টি নিয়ে আইনমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার প্রস্তাব করেন তিনি।
কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, একদিকে সংবিধান ও অন্যদিকে সরকারের নির্দেশনা থাকায় বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উক্ত বানানটির ‘প’ এবং ‘ফ’ নিয়ে সংসদেও আলোচনা হয়েছে। তাই এ বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে মন্ত্রীর উপস্থিতিতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এ ছাড়া যদি অন্য কোনো শব্দের বানান নিয়ে কোনো সমস্যা থাকে তা নিয়েও আলোচনা করা হবে এবং শব্দ ব্যবহারে বানানের দ্বৈততা পরিহারের চেষ্টা করা হবে। লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগকে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করার জন্য বলেন।
মঙ্গলবার সংসদীয় কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, সংবিধানে রয়েছে ‘তফসিল’ আর অন্যান্য আইনে রয়েছে ‘তপশিল’। এই দ্বৈত বানান থাকতে পারে না। কার্যত আমাদের সংবিধানকে প্রাধান্য দিতে হবে।
সংবিধান, দেশের আইন বা বিধি এবং প্রমিত বানান রীতিতে যেসব শব্দের বানানে দ্বৈততা তা নিয়ে সংসদীয় কমিটি আলোচনা করবে বলে জানান শহীদুজ্জামান সরকার। সংবিধান বা আইন সংশোধনের প্রয়োজন পড়লে সেই সুপারিশ কমিটি করবে বলে জানান তিনি।
সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে বিচারকার্য ত্বরান্বিত করার জন্য বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি করার বিষয়ে আলোচনায় পরবর্তীতে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সুপারিশ আকারে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরও অংশগ্রহণ করেন কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল মজিদ খান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার এবং খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৫ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৭ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৭ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৮ ঘণ্টা আগে