নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কিছু বিষয়ে এখনো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এই মতপার্থক্য থাকার কারণে নির্বাচনী পরিবেশটা এখনো অনুকূলে (কনজেনিয়াল) নয় বলে মনে করেন তিনি। অচিরেই এই মতপার্থক্যটা দূর হয়ে যাবে বলে আশা তাঁর। এ ছাড়া ভোটে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেননি বলে জানান তিনি।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এমন মন্তব্য করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে ১১ জন প্রতিনিধি ছিলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের যে রোডম্যাপ আছে, সে রোডম্যাপ অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে এবং আমরা যথাসময়ে নির্বাচন করব। আমরা এটাও উনাদের পরিষ্কার করে বলেছি। কিছু কিছু বিষয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনো মতপার্থক্য রয়েছে। এই মতপার্থক্য থাকার কারণে নির্বাচনী পরিবেশটা এখনো অনুকূলে (কনজেনিয়াল) নয়।’
অচিরেই মতপার্থক্যটা দূর হয়ে যাবে আশা প্রকাশ করে সিইসি বলেন, ‘শেষমেশ সব দল নির্বাচনে আসবে, সে বিষয়ে আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছি। তবে সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত করে...। আমরা বলেছি যদি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয় তাহলে চমৎকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের পুরো প্রস্তুতি রয়েছে।’
পলিটিক্যাল ডায়ালগের বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে একাধিকবার বলেছি যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন। এবং ব্যাপক অর্থে তাদের মধ্যে সমঝোতা প্রয়োজন, যাতে নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্ন হয়। প্রথম থেকেই আমরা এই আবেদন করে আসছি, এখনো করে যাচ্ছি। মতপার্থক্যগুলো রাজনৈতিক ইস্যু, আমাদের জন্য ইস্যু নয়। কাজেই রাজনৈতিক ইস্যুগুলো, যেগুলো নির্বাচনের জন্য অন্তরায় হতে পারে, সেগুলোর সুরাহা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো সেটা অনুধাবন করতে হবে এবং বুঝতে হবে। তাদেরই সেই অসুখ নিরাময় করতে হবে। তাহলেই নির্বাচনটা প্রত্যাশিত মাত্রায় অংশগ্রহণমূলক হবে। সুন্দর, সুষ্ঠু হবে এবং গণতান্ত্রিক চেতনায় যে নির্বাচন প্রত্যাশিত, সে নির্বাচনটা ওভাবেই অনুষ্ঠিত হবে।’
ইইউ প্রতিনিধিদল ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘যে ইভিএম নিয়ে অবিশ্বাস আছে কি না। বলেছি ইভিএম নিয়ে যে অবিশ্বাস ছিল তা অনেকটা কেটে গিয়েছিল। তবে এটাও জানিয়েছি যে ইভিএম নিয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছি না, কারণ আদৌ ইভিএম এভেবেলব হবে কি না। আমরা কী পরিমাণ নির্বাচন ইভিএমে করতে পারব, সে বিষয়ে কোনো নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আমরা উপনীত হয়নি। উনাদেরে সঙ্গে আমাদের এতটুকুই আলোচনা ছিল। আমার মনে হয় যেহেতু উনারা আসছেন, উনারাই ভালো করে বলতে পারবেন।’
ইইউর হেড অব ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আজ ইইউ মিশন থেকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। নির্বাচন নিয়ে কমিশনের সঙ্গে আমাদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ে শেষ বৈঠকের পর থেকে এটির আরও অগ্রগতি হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিদেশি মিশনের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমাদের স্বাগত জানিয়েছেন—এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
ইইউ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় জানিয়ে হোয়াইটলি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে ইতিবাচক। আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনের কাজ ও অগ্রগতিতে প্রযুক্তিগত এবং পরিচালনা-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা করার সুযোগ রয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে হোয়াইটলি বলেন, ‘নির্বাচনের ইসির প্রস্তুতির বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আমাদের আলোচনা বেশি হয়েছে। সবাই চায় একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। তাই আমরা ইসির কাছে কোনো সুপারিশ করিনি। তারা তাদের কাজ করবে।’
বৈঠকে অংশ নেওয়া অন্য প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকায় ইইউর ডেপুটি হেড অব মিশন ব্রেন্ড স্পাইনার, ডেনমার্কের দূত ইউনি স্ট্র্যাপ পিটারসন, সুইডেনের দূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন, জার্মানির দূত আচিম টোস্টার, নেদারল্যান্ডসের দূত এন্যি গিরার্ড ভ্যান লুইন, ফ্রান্সের ডেপুটি হেড অব মিশন গিলিয়াম এড্রেন ডে কের্ডেল, ইতালির ডেপুটি হেড অব মিশন মাতিয়া ভেনচুরা, স্পেনের হেড অব মিশন ইগনাসিয়ো সাইলস ফার্নান্দেজ, সুইজারল্যান্ডের দূত নাথালি চুয়ার্ড ও নরওয়ের দূত এস্পেন রিক্টার সেভেন্ডসেন।
কিছু বিষয়ে এখনো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এই মতপার্থক্য থাকার কারণে নির্বাচনী পরিবেশটা এখনো অনুকূলে (কনজেনিয়াল) নয় বলে মনে করেন তিনি। অচিরেই এই মতপার্থক্যটা দূর হয়ে যাবে বলে আশা তাঁর। এ ছাড়া ভোটে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেননি বলে জানান তিনি।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এমন মন্তব্য করেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে ১১ জন প্রতিনিধি ছিলেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের যে রোডম্যাপ আছে, সে রোডম্যাপ অনুযায়ী আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে এবং আমরা যথাসময়ে নির্বাচন করব। আমরা এটাও উনাদের পরিষ্কার করে বলেছি। কিছু কিছু বিষয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনো মতপার্থক্য রয়েছে। এই মতপার্থক্য থাকার কারণে নির্বাচনী পরিবেশটা এখনো অনুকূলে (কনজেনিয়াল) নয়।’
অচিরেই মতপার্থক্যটা দূর হয়ে যাবে আশা প্রকাশ করে সিইসি বলেন, ‘শেষমেশ সব দল নির্বাচনে আসবে, সে বিষয়ে আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছি। তবে সে বিষয়ে আমরা নিশ্চিত করে...। আমরা বলেছি যদি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয় তাহলে চমৎকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের পুরো প্রস্তুতি রয়েছে।’
পলিটিক্যাল ডায়ালগের বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে একাধিকবার বলেছি যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন। এবং ব্যাপক অর্থে তাদের মধ্যে সমঝোতা প্রয়োজন, যাতে নির্বাচন সুষ্ঠু পরিবেশে সম্পন্ন হয়। প্রথম থেকেই আমরা এই আবেদন করে আসছি, এখনো করে যাচ্ছি। মতপার্থক্যগুলো রাজনৈতিক ইস্যু, আমাদের জন্য ইস্যু নয়। কাজেই রাজনৈতিক ইস্যুগুলো, যেগুলো নির্বাচনের জন্য অন্তরায় হতে পারে, সেগুলোর সুরাহা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো সেটা অনুধাবন করতে হবে এবং বুঝতে হবে। তাদেরই সেই অসুখ নিরাময় করতে হবে। তাহলেই নির্বাচনটা প্রত্যাশিত মাত্রায় অংশগ্রহণমূলক হবে। সুন্দর, সুষ্ঠু হবে এবং গণতান্ত্রিক চেতনায় যে নির্বাচন প্রত্যাশিত, সে নির্বাচনটা ওভাবেই অনুষ্ঠিত হবে।’
ইইউ প্রতিনিধিদল ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন উল্লেখ করে সিইসি বলেন, ‘যে ইভিএম নিয়ে অবিশ্বাস আছে কি না। বলেছি ইভিএম নিয়ে যে অবিশ্বাস ছিল তা অনেকটা কেটে গিয়েছিল। তবে এটাও জানিয়েছি যে ইভিএম নিয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছি না, কারণ আদৌ ইভিএম এভেবেলব হবে কি না। আমরা কী পরিমাণ নির্বাচন ইভিএমে করতে পারব, সে বিষয়ে কোনো নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আমরা উপনীত হয়নি। উনাদেরে সঙ্গে আমাদের এতটুকুই আলোচনা ছিল। আমার মনে হয় যেহেতু উনারা আসছেন, উনারাই ভালো করে বলতে পারবেন।’
ইইউর হেড অব ডেলিগেশন চার্লস হোয়াইটলি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আজ ইইউ মিশন থেকে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। নির্বাচন নিয়ে কমিশনের সঙ্গে আমাদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ে শেষ বৈঠকের পর থেকে এটির আরও অগ্রগতি হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিদেশি মিশনের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমাদের স্বাগত জানিয়েছেন—এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
ইইউ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাতে চায় জানিয়ে হোয়াইটলি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে ইতিবাচক। আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনের কাজ ও অগ্রগতিতে প্রযুক্তিগত এবং পরিচালনা-সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা করার সুযোগ রয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে হোয়াইটলি বলেন, ‘নির্বাচনের ইসির প্রস্তুতির বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আমাদের আলোচনা বেশি হয়েছে। সবাই চায় একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। তাই আমরা ইসির কাছে কোনো সুপারিশ করিনি। তারা তাদের কাজ করবে।’
বৈঠকে অংশ নেওয়া অন্য প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকায় ইইউর ডেপুটি হেড অব মিশন ব্রেন্ড স্পাইনার, ডেনমার্কের দূত ইউনি স্ট্র্যাপ পিটারসন, সুইডেনের দূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন, জার্মানির দূত আচিম টোস্টার, নেদারল্যান্ডসের দূত এন্যি গিরার্ড ভ্যান লুইন, ফ্রান্সের ডেপুটি হেড অব মিশন গিলিয়াম এড্রেন ডে কের্ডেল, ইতালির ডেপুটি হেড অব মিশন মাতিয়া ভেনচুরা, স্পেনের হেড অব মিশন ইগনাসিয়ো সাইলস ফার্নান্দেজ, সুইজারল্যান্ডের দূত নাথালি চুয়ার্ড ও নরওয়ের দূত এস্পেন রিক্টার সেভেন্ডসেন।
রাষ্ট্র পরিচালনায় স্থায়ী সমাধানের জন্য নতুন সংবিধান দরকার বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রচিন্তাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। তিনি বলেন, ‘বর্তমান যে সংবিধান চলছে, তা কোনোমতে চালানোর জন্য সংস্কার চাইছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এটা দিয়ে কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে চলতে পারবে, কিন্তু একটি স্থায়ী সমাধানের জন্য
৭ ঘণ্টা আগেরাজধানীর শাহ আলী মাজারের কাছে একটি কাঠের দোকান ছিল ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেনের। ২০১৯ সালের ১৯ জুন দুপুরে সেই দোকান থেকে তিনি বাসার দিকে যাচ্ছিলেন দুপুরের খাবার খেতে। পথে নিখোঁজ হন। তাঁর স্ত্রী নাসরিন জাহান জানিয়েছেন, নিখোঁজ হওয়ার আগে মিরপুরে র্যাব-৪ অফিসের কাছে তাঁর সর্বশেষ অবস্থান ছিল। ৫ বছর পেরিয়ে গে
৯ ঘণ্টা আগেফ্যাসিবাদের দোসরেরা এখনো বিভিন্ন জায়গায় বহাল তবিয়তে রয়েছে। তাদের পরিহারের ঘোষণা দিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী (নাসির আব্দুল্লাহ) বলেছেন, ‘খুনি ও খুনের হুকুমদাতারা যদি তাদের স্কিলের কারণে থেকে যায়, তাহলে আমরা আরেকটি যুদ্ধ করতে বাধ্য হব।
১২ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
১৯ ঘণ্টা আগে