নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কুষ্টিয়ায় লালন অনুসারীর ঘরে হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশি শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী, চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী ও সাহিত্যিকেরা। সেই সঙ্গে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা, আইনি সুরক্ষা, সাংস্কৃতিক সম্মানসহ কয়েকটি দাবি করেছেন তাঁরা।
আজ সোমবার এক সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আজকের এই যুগে বাউল ও লালন অনুসারীদের ওপর যে আগ্রাসন হচ্ছে, তা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা মনে করি, এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত এবং তাদের সুরক্ষার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা আবশ্যক।’
রাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বাংলাদেশের শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী, চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী ও সাহিত্যিকেরা উক্ত বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা অবগত আছি যে, স্থানীয় প্রশাসন লালন অনুসারী চায়না বেগমের ঘটনাটি আমলে নিয়েছে, কিন্তু এ ধরনের ঘটনা যেন আর কোথাও, আর কখনো না ঘটে, সে জন্য আমরা রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ প্রত্যাশা করি। আমরা মনে করি, এই আগ্রাসন শুধু সাংস্কৃতিক আগ্রাসনই নয়, বরং এটি আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও জনগণের প্রতি সম্মানকেও খর্ব করে। তাই আমাদের আহ্বান এই যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার যেন অবিলম্বে বাউল-ফকির নির্যাতনের ঘটনা রোধে কঠোর নির্দেশনা দেয় এবং তাঁদের সুরক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কিছু দাবি তুলে ধরা হয়েছে—
নিরাপত্তার নিশ্চয়তা: বাউল, ফকির, বয়াতি ও লালন অনুসারীদের নিরাপত্তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ।
আইনি সুরক্ষা: তাদের ওপর যেকোনো আক্রমণ বা নির্যাতনের দ্রুত বিচার ও শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করা।
সাংস্কৃতিক সম্মান: তাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা না দিয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান।
সচেতনতা বৃদ্ধি: সাধারণ জনগণের মধ্যে বাউল, ফকির, বয়াতি ও লালন অনুসারীদের সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন—মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী (চলচ্চিত্র নির্মাতা), কিশোর দাশ (সংগীতশিল্পী), কুমার বিশ্বজিৎ (সংগীতশিল্পী), কে পি রাজিব (সংগীতশিল্পী), কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় (চলচ্চিত্র নির্মাতা), গৌতম কে শুভ (সংগীত গবেষক), প্রিন্স মাহমুদ (সংগীতজ্ঞ), ফারিয়া উলফাত সৈয়দ (সংগীতশিল্পী, তুলকালাম), বাপ্পা মজুমদার (সংগীতশিল্পী, দলছুট), মনোজ প্রামাণিক (অভিনেতা ও শিক্ষক), জর্জ লিংকন ডি কস্টা (সংগীতশিল্পী, আর্টসেল) প্রমুখ।
গত ২৬ জুন সকালে দুর্বৃত্তরা লালন অনুসারী চায়না বেগমের বাড়িঘর ভাঙচুর করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে। এমনকি রাতের আঁধারে সেখানে তাঁকে পেলে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। বিভিন্ন সময়ে দেখা যায় বাউল, ফকির, সাধকদের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া, তাঁদের ঘরবাড়ি ও বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর করা, তাঁদের বিতাড়িত করা, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করাসহ নানান রকমের আগ্রাসন ঘটে।
বিবৃতিতে বলা হয়—‘বাউল, ফকির, বয়াতি, লালন অনুসারী এবং স্বভাবকবিদের ওপর আগ্রাসন ও নির্যাতন মধ্যযুগে, ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি শাসনামলে ছিল। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে মানবতাবাদী এসব মানুষের ওপর নির্যাতনের বা আগ্রাসনের ঘটনা মোটেও কাম্য নয়। মধ্যযুগে মুসলিম ও হিন্দু উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বাউল ও ফকিরদের ব্যাপক প্রভাব ছিল। তাঁরা সাধারণত সমাজের প্রান্তিক মানুষদের মধ্য থেকে উঠে আসতেন এবং তাঁদের জীবনযাত্রা ও দর্শনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি, মানবতা ও প্রেমের বার্তা প্রচার করতেন। ব্রিটিশ সরকার তাঁদের কার্যক্রমকে বিপ্লবী ও বিদ্রোহী হিসেবে দেখত এবং তাদের দমন করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করত। স্বাধীনতার পরেও বাউল ও ফকিরদের ওপর নির্যাতনের বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন সময়ে তাঁরা জালিম, দখলদার স্বার্থান্বেষী মহল ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের শিকার হয়েছেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে—‘বাউল, ফকির, বয়াতি, লালন অনুসারী এবং গ্রামীণ স্বভাবকবিরা আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। তাদের নির্যাতন ও অবমাননা শুধু তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে আঘাত হানে না, বরং এটি আমাদের জাতীয় গৌরব ও সংস্কৃতিতে আঘাত হানে। তাই আমরা অবিলম্বে তাঁদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করার জন্য রাষ্ট্রের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের এবং তাঁদের সুরক্ষার ব্যাপারে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে বিভিন্ন স্তরের প্রশাসনকে নির্দেশনা প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি এবং তাঁদের সম্মান নিশ্চিত করার জন্য জোর দাবি করছি।’
কুষ্টিয়ায় লালন অনুসারীর ঘরে হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশি শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী, চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী ও সাহিত্যিকেরা। সেই সঙ্গে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা, আইনি সুরক্ষা, সাংস্কৃতিক সম্মানসহ কয়েকটি দাবি করেছেন তাঁরা।
আজ সোমবার এক সংবাদ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আজকের এই যুগে বাউল ও লালন অনুসারীদের ওপর যে আগ্রাসন হচ্ছে, তা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা মনে করি, এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত এবং তাদের সুরক্ষার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা আবশ্যক।’
রাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বাংলাদেশের শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী, চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী ও সাহিত্যিকেরা উক্ত বিষয়ে রাষ্ট্রের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা অবগত আছি যে, স্থানীয় প্রশাসন লালন অনুসারী চায়না বেগমের ঘটনাটি আমলে নিয়েছে, কিন্তু এ ধরনের ঘটনা যেন আর কোথাও, আর কখনো না ঘটে, সে জন্য আমরা রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ প্রত্যাশা করি। আমরা মনে করি, এই আগ্রাসন শুধু সাংস্কৃতিক আগ্রাসনই নয়, বরং এটি আমাদের দেশের স্বাধীনতা ও জনগণের প্রতি সম্মানকেও খর্ব করে। তাই আমাদের আহ্বান এই যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার যেন অবিলম্বে বাউল-ফকির নির্যাতনের ঘটনা রোধে কঠোর নির্দেশনা দেয় এবং তাঁদের সুরক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কিছু দাবি তুলে ধরা হয়েছে—
নিরাপত্তার নিশ্চয়তা: বাউল, ফকির, বয়াতি ও লালন অনুসারীদের নিরাপত্তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ।
আইনি সুরক্ষা: তাদের ওপর যেকোনো আক্রমণ বা নির্যাতনের দ্রুত বিচার ও শাস্তি প্রদান নিশ্চিত করা।
সাংস্কৃতিক সম্মান: তাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বাধা না দিয়ে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান।
সচেতনতা বৃদ্ধি: সাধারণ জনগণের মধ্যে বাউল, ফকির, বয়াতি ও লালন অনুসারীদের সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন—মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী (চলচ্চিত্র নির্মাতা), কিশোর দাশ (সংগীতশিল্পী), কুমার বিশ্বজিৎ (সংগীতশিল্পী), কে পি রাজিব (সংগীতশিল্পী), কৃষ্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় (চলচ্চিত্র নির্মাতা), গৌতম কে শুভ (সংগীত গবেষক), প্রিন্স মাহমুদ (সংগীতজ্ঞ), ফারিয়া উলফাত সৈয়দ (সংগীতশিল্পী, তুলকালাম), বাপ্পা মজুমদার (সংগীতশিল্পী, দলছুট), মনোজ প্রামাণিক (অভিনেতা ও শিক্ষক), জর্জ লিংকন ডি কস্টা (সংগীতশিল্পী, আর্টসেল) প্রমুখ।
গত ২৬ জুন সকালে দুর্বৃত্তরা লালন অনুসারী চায়না বেগমের বাড়িঘর ভাঙচুর করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে। এমনকি রাতের আঁধারে সেখানে তাঁকে পেলে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। বিভিন্ন সময়ে দেখা যায় বাউল, ফকির, সাধকদের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া, তাঁদের ঘরবাড়ি ও বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর করা, তাঁদের বিতাড়িত করা, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করাসহ নানান রকমের আগ্রাসন ঘটে।
বিবৃতিতে বলা হয়—‘বাউল, ফকির, বয়াতি, লালন অনুসারী এবং স্বভাবকবিদের ওপর আগ্রাসন ও নির্যাতন মধ্যযুগে, ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি শাসনামলে ছিল। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে মানবতাবাদী এসব মানুষের ওপর নির্যাতনের বা আগ্রাসনের ঘটনা মোটেও কাম্য নয়। মধ্যযুগে মুসলিম ও হিন্দু উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বাউল ও ফকিরদের ব্যাপক প্রভাব ছিল। তাঁরা সাধারণত সমাজের প্রান্তিক মানুষদের মধ্য থেকে উঠে আসতেন এবং তাঁদের জীবনযাত্রা ও দর্শনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি, মানবতা ও প্রেমের বার্তা প্রচার করতেন। ব্রিটিশ সরকার তাঁদের কার্যক্রমকে বিপ্লবী ও বিদ্রোহী হিসেবে দেখত এবং তাদের দমন করতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করত। স্বাধীনতার পরেও বাউল ও ফকিরদের ওপর নির্যাতনের বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন সময়ে তাঁরা জালিম, দখলদার স্বার্থান্বেষী মহল ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের শিকার হয়েছেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে—‘বাউল, ফকির, বয়াতি, লালন অনুসারী এবং গ্রামীণ স্বভাবকবিরা আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ। তাদের নির্যাতন ও অবমাননা শুধু তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে আঘাত হানে না, বরং এটি আমাদের জাতীয় গৌরব ও সংস্কৃতিতে আঘাত হানে। তাই আমরা অবিলম্বে তাঁদের ওপর নির্যাতন বন্ধ করার জন্য রাষ্ট্রের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের এবং তাঁদের সুরক্ষার ব্যাপারে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে বিভিন্ন স্তরের প্রশাসনকে নির্দেশনা প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি এবং তাঁদের সম্মান নিশ্চিত করার জন্য জোর দাবি করছি।’
দেশে গত ১৫ বছরে ৮২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র শুধু ক্যাপাসিটি চার্জই (কেন্দ্রভাড়া) নিয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া বিনা দরপত্রে কেন্দ্র দেওয়ায় বিদ্যুতের দামও পড়েছে বেশি। সেই বাড়তি দাম গিয়ে পড়েছে সাধারণ ভোক্তার কাঁধে।
৩ মিনিট আগেরাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে না বসলেও অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, নারীনেত্রী, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা, ইউটিউবারসহ বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নিতে সভা করবে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। প্র
৭ ঘণ্টা আগেডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ১০৭ জন রোগী।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ‘কনফারেন্স অফ পার্টিস-২৯(কপ২৯)’ শীর্ষক বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন।
১৩ ঘণ্টা আগে