সাইফুল মাসুম, ঢাকা
'অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন তিনি। একজন পরোপকারী মানুষ ছিলেন। পাইলট হিসেবে ছিলেন খুবই দক্ষ। আমি সর্বশেষ ওনার সঙ্গে ফ্লাইট করেছি ঢাকা টু দোহার। একজন ক্যাপ্টেন তৈরি করতে ১৫ বছর সময় লাগে। দক্ষ হয়ে উঠতে আরও সময় লাগে। নওশাদের মৃত্যু জাতির জন্য অনেক ক্ষতি হয়েছে।' বলছিলেন প্রয়াত ক্যাপ্টেন নওশাদের সহকর্মী ক্যাপ্টেন আনিস।
ক্যাপ্টেন আনিস বলেন, ক্যাপ্টেন নওশাদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার খুবই ভালো। ওনার ১৯-২০ বছরের ক্যারিয়ারে সফলতার সঙ্গে পার করেছেন। এভাবে হঠাৎ মৃত্যু আমাদের জন্য সত্যি কষ্টের।
ক্যাপ্টেন নওশাদের বাল্যবন্ধু ব্যবসায়ী খন্দকার মোহাম্মদ জিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'মানুষের নিজের ভাইয়ের সঙ্গে যে সম্পর্ক থাকে তার চেয়ে বেশি সম্পর্ক ছিল। আমরা একই স্কুল কলেজে পড়েছি। ৪০ বছরের সম্পর্ক। অনেক স্মৃতি। দুষ্টামি করেছি। টিফিন চুরি করে খেয়েছি। আমাদের তো এখনো মৃত্যুর বয়স হয়নি। আমি মানসিক ভাবে অত্যন্ত ভারাক্রান্ত।'
ক্যাপ্টেন নওশাদের আরেক বন্ধু প্রখ্যাত পরিচালক অমিতাভ রেজা বলেন, 'সে আমার খুব কাছের বন্ধু। নওশাদ ছোটবেলা থেকে অনেক ডানপিটে ও সাহসী ছিল। হঠাৎ এভাবে তার চলে যাওয়া কোনো ভাবেই মানতে পারছি না।'
বিমানের বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-০২৬ ফ্লাইটে তাঁর মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছে। এ সময় ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বিমানের এমডি ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালসহ বিমান ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কাতারের রাজধানী দোহা থেকে যাত্রী নিয়ে দেশে ফেরার পথে বিমানের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের এয়ারক্রাফট ভারতের নাগপুরে থামে। ওই ফ্লাইটে করে ক্যাপ্টেনের মরদেহ বাংলাদেশে আনা হয়েছে।
গত ৩০ আগস্ট দুপুরে মারা যান ক্যাপ্টেন নওশাদ। পরে তাঁর মরদেহ নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। বিমান সূত্র জানিয়েছে, পাইলট নওশাদের মরদেহ এখন উত্তরা পরিবারের কাছে নেওয়া হয়েছে। জোহরের পর বিমানবন্দর এলাকায় বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনসের বলাকা ভবনে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পারিবারিক সিদ্ধান্তে বিকেলে তার কবর দেওয়ার কথা রয়েছে বনানী কবরস্থানে।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, এই পাইলট এর আগেও বিভিন্ন দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে তাঁর সক্ষমতা দেখিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে অবতরণ করিয়েছেন। উনি আজ আমাদের মধ্যে নেই, আমরা অত্যন্ত শোকাবহ।
গত শুক্রবার মধ্য আকাশে বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন বিজি-২২ ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম। হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়ার পরও ফ্লাইটটিকে তিনি দক্ষতার সঙ্গে নিরাপদে জরুরি অবতরণ করাতে সক্ষম হন। বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী ফ্লাইটটি জরুরি ভারতের নাগপুরে ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। সেখান থেকে দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা চলাকালে গত সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়। ফ্লাইটে ১২৪ জন যাত্রী ছিল। ক্যাপ্টেন নওশাদের বুদ্ধিমত্তায় সবার জীবন রক্ষা পায়।
এর আগেও ক্যাপ্টেন নওশাদ তাঁর বুদ্ধি ও কৌশল প্রয়োগ করে ১৪৯ জন যাত্রী, দুই পাইলট আর সাত ক্রূর জীবন বাঁচিয়েছিলেন। বিমান সূত্রে জানা গেছে, নওশাদ ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১২২ ফ্লাইটে ক্যাপ্টেনের দায়িত্বে ছিলেন। তখন সেই ফ্লাইট মাসকাট বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা করেছিল। টেক-অফ করার পর মাসকাট বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে ক্যাপ্টেন নওশাদকে জানানো হয়, রানওয়েতে টায়ারের কিছু অংশ পাওয়া গেছে, যা সম্ভবত বিমান এয়ারক্রাফটের।
ক্যাপ্টেন নওশাদকে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ক্যাপ্টেন রন অ্যাবেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রশংসাপত্র পাঠান।
'অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন তিনি। একজন পরোপকারী মানুষ ছিলেন। পাইলট হিসেবে ছিলেন খুবই দক্ষ। আমি সর্বশেষ ওনার সঙ্গে ফ্লাইট করেছি ঢাকা টু দোহার। একজন ক্যাপ্টেন তৈরি করতে ১৫ বছর সময় লাগে। দক্ষ হয়ে উঠতে আরও সময় লাগে। নওশাদের মৃত্যু জাতির জন্য অনেক ক্ষতি হয়েছে।' বলছিলেন প্রয়াত ক্যাপ্টেন নওশাদের সহকর্মী ক্যাপ্টেন আনিস।
ক্যাপ্টেন আনিস বলেন, ক্যাপ্টেন নওশাদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আমার খুবই ভালো। ওনার ১৯-২০ বছরের ক্যারিয়ারে সফলতার সঙ্গে পার করেছেন। এভাবে হঠাৎ মৃত্যু আমাদের জন্য সত্যি কষ্টের।
ক্যাপ্টেন নওশাদের বাল্যবন্ধু ব্যবসায়ী খন্দকার মোহাম্মদ জিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, 'মানুষের নিজের ভাইয়ের সঙ্গে যে সম্পর্ক থাকে তার চেয়ে বেশি সম্পর্ক ছিল। আমরা একই স্কুল কলেজে পড়েছি। ৪০ বছরের সম্পর্ক। অনেক স্মৃতি। দুষ্টামি করেছি। টিফিন চুরি করে খেয়েছি। আমাদের তো এখনো মৃত্যুর বয়স হয়নি। আমি মানসিক ভাবে অত্যন্ত ভারাক্রান্ত।'
ক্যাপ্টেন নওশাদের আরেক বন্ধু প্রখ্যাত পরিচালক অমিতাভ রেজা বলেন, 'সে আমার খুব কাছের বন্ধু। নওশাদ ছোটবেলা থেকে অনেক ডানপিটে ও সাহসী ছিল। হঠাৎ এভাবে তার চলে যাওয়া কোনো ভাবেই মানতে পারছি না।'
বিমানের বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-০২৬ ফ্লাইটে তাঁর মরদেহ ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছে। এ সময় ক্যাপ্টেন নওশাদের মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বিমানের এমডি ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালসহ বিমান ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কাতারের রাজধানী দোহা থেকে যাত্রী নিয়ে দেশে ফেরার পথে বিমানের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের এয়ারক্রাফট ভারতের নাগপুরে থামে। ওই ফ্লাইটে করে ক্যাপ্টেনের মরদেহ বাংলাদেশে আনা হয়েছে।
গত ৩০ আগস্ট দুপুরে মারা যান ক্যাপ্টেন নওশাদ। পরে তাঁর মরদেহ নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। বিমান সূত্র জানিয়েছে, পাইলট নওশাদের মরদেহ এখন উত্তরা পরিবারের কাছে নেওয়া হয়েছে। জোহরের পর বিমানবন্দর এলাকায় বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনসের বলাকা ভবনে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পারিবারিক সিদ্ধান্তে বিকেলে তার কবর দেওয়ার কথা রয়েছে বনানী কবরস্থানে।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, এই পাইলট এর আগেও বিভিন্ন দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে তাঁর সক্ষমতা দেখিয়ে যাত্রীদের নিরাপদে অবতরণ করিয়েছেন। উনি আজ আমাদের মধ্যে নেই, আমরা অত্যন্ত শোকাবহ।
গত শুক্রবার মধ্য আকাশে বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন বিজি-২২ ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম। হার্ট অ্যাটাকের শিকার হওয়ার পরও ফ্লাইটটিকে তিনি দক্ষতার সঙ্গে নিরাপদে জরুরি অবতরণ করাতে সক্ষম হন। বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের যাত্রীবাহী ফ্লাইটটি জরুরি ভারতের নাগপুরে ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। সেখান থেকে দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা চলাকালে গত সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়। ফ্লাইটে ১২৪ জন যাত্রী ছিল। ক্যাপ্টেন নওশাদের বুদ্ধিমত্তায় সবার জীবন রক্ষা পায়।
এর আগেও ক্যাপ্টেন নওশাদ তাঁর বুদ্ধি ও কৌশল প্রয়োগ করে ১৪৯ জন যাত্রী, দুই পাইলট আর সাত ক্রূর জীবন বাঁচিয়েছিলেন। বিমান সূত্রে জানা গেছে, নওশাদ ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১২২ ফ্লাইটে ক্যাপ্টেনের দায়িত্বে ছিলেন। তখন সেই ফ্লাইট মাসকাট বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা করেছিল। টেক-অফ করার পর মাসকাট বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে ক্যাপ্টেন নওশাদকে জানানো হয়, রানওয়েতে টায়ারের কিছু অংশ পাওয়া গেছে, যা সম্ভবত বিমান এয়ারক্রাফটের।
ক্যাপ্টেন নওশাদকে ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ক্যাপ্টেন রন অ্যাবেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রশংসাপত্র পাঠান।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৪ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৫ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৬ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৭ ঘণ্টা আগে