নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জাতির স্বার্থে আঘাত লাগলে ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ প্রদর্শনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান।
আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আকবর আলি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রসঙ্গে আকবর আলি খান বলেন, চিরন্তন কৃতজ্ঞতা বলতে কিছু নেই। জাতির স্বার্থে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিলে কৃতজ্ঞতাবোধ প্রদর্শনের কোনো প্রয়োজন নেই।
এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘৫০ বছরে বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সূচক নিয়ে গর্বের জায়গা থাকলেও দারিদ্র্যের আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশের ৩০-৪০ শতাংশ মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরও সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।’
দেশের উন্নয়ন হলেও সবদিকে সমানভাবে উন্নয়ন হয়নি উল্লেখ করে সাবেক এ সচিব বলেন, ‘যেকোনো সময় যেকোনো দিকে আমরা পিছিয়ে পড়তে পারি।’
বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদ চূড়ান্তভাবে অর্জিত হয়েছে বলে মনে করেন আকবর আলি খান। তবে এখন গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, গণতন্ত্র না থাকলে দেশে টেকসই ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে চললেও দুর্নীতির কারণে সমাজের সর্বস্তরে সাম্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হচ্ছে না। দুর্নীতির লাগাম টেনে না ধরলে সমাজে অসংগতি বেড়েই চলবে।
সিজিএসের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীর বিক্রম, মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক। অনুষ্ঠানে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। আলোচনা সভা শেষে সিজিএস আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘স্বাধীনতার এই ৫০ বছরে এসে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি মর্মাহত। ব্যক্তি হিসেবে নয়, রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমাদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে।’ তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন তাঁর স্মৃতি এবং বর্তমান প্রজন্মের তুলনা জুড়ে দিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাটাই এখন যুদ্ধ। এই যুদ্ধটা বর্তমান তরুণ প্রজন্ম করে চলেছে।
ভারতের অবদানের কথা উল্লেখ করে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান অস্বীকার করার মতো নয়। ভারতের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তবে কৃতজ্ঞতার একটা সীমা থাকা দরকার।’
এ সময় হেলাল মোর্শেদ খান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তর্কের কোনো বিষয় নেই। যুদ্ধ যখন করেছি তখন আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করানো। সেটা আমরা করতে পেরেছি। তবে গণতন্ত্রের একটি আদর্শ মাত্রা আছে, আমাদের সেই গণতন্ত্রের মাত্রায় পৌঁছাতে হবে।’
জাফর ইমাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পরিপূর্ণভাবে ধারণ করার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘উন্নয়ন দিয়ে চেতনাকে ধরে রাখতে পারবেন না, বরং চেতনা দিয়ে উন্নয়নকে ধরে রাখতে হবে।’
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে গবেষণাধর্মী কোনো লেখা এবং ইতিহাস লেখার জন্য জাতীয় পর্যায়ের কোনো সমন্বয়কারী কমিটি না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করে জাফর ইমাম বলেন, তথাকথিত লেখক, গবেষকেরা সঠিক তথ্য না দিয়েই তাঁদের লেখা প্রকাশ করেন। যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তাঁরা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন বোধ করেন না।
জাতির স্বার্থে আঘাত লাগলে ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ প্রদর্শনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান।
আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আকবর আলি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার জন্য ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রসঙ্গে আকবর আলি খান বলেন, চিরন্তন কৃতজ্ঞতা বলতে কিছু নেই। জাতির স্বার্থে সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিলে কৃতজ্ঞতাবোধ প্রদর্শনের কোনো প্রয়োজন নেই।
এ অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘৫০ বছরে বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সূচক নিয়ে গর্বের জায়গা থাকলেও দারিদ্র্যের আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশের ৩০-৪০ শতাংশ মানুষ এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের আরও সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।’
দেশের উন্নয়ন হলেও সবদিকে সমানভাবে উন্নয়ন হয়নি উল্লেখ করে সাবেক এ সচিব বলেন, ‘যেকোনো সময় যেকোনো দিকে আমরা পিছিয়ে পড়তে পারি।’
বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদ চূড়ান্তভাবে অর্জিত হয়েছে বলে মনে করেন আকবর আলি খান। তবে এখন গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, গণতন্ত্র না থাকলে দেশে টেকসই ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে চললেও দুর্নীতির কারণে সমাজের সর্বস্তরে সাম্য প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হচ্ছে না। দুর্নীতির লাগাম টেনে না ধরলে সমাজে অসংগতি বেড়েই চলবে।
সিজিএসের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম বীর বিক্রম, মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক। অনুষ্ঠানে তাঁরা মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। আলোচনা সভা শেষে সিজিএস আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘স্বাধীনতার এই ৫০ বছরে এসে একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমি মর্মাহত। ব্যক্তি হিসেবে নয়, রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমাদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে।’ তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন তাঁর স্মৃতি এবং বর্তমান প্রজন্মের তুলনা জুড়ে দিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাটাই এখন যুদ্ধ। এই যুদ্ধটা বর্তমান তরুণ প্রজন্ম করে চলেছে।
ভারতের অবদানের কথা উল্লেখ করে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান অস্বীকার করার মতো নয়। ভারতের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তবে কৃতজ্ঞতার একটা সীমা থাকা দরকার।’
এ সময় হেলাল মোর্শেদ খান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তর্কের কোনো বিষয় নেই। যুদ্ধ যখন করেছি তখন আমাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড় করানো। সেটা আমরা করতে পেরেছি। তবে গণতন্ত্রের একটি আদর্শ মাত্রা আছে, আমাদের সেই গণতন্ত্রের মাত্রায় পৌঁছাতে হবে।’
জাফর ইমাম বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পরিপূর্ণভাবে ধারণ করার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘উন্নয়ন দিয়ে চেতনাকে ধরে রাখতে পারবেন না, বরং চেতনা দিয়ে উন্নয়নকে ধরে রাখতে হবে।’
মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে গবেষণাধর্মী কোনো লেখা এবং ইতিহাস লেখার জন্য জাতীয় পর্যায়ের কোনো সমন্বয়কারী কমিটি না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করে জাফর ইমাম বলেন, তথাকথিত লেখক, গবেষকেরা সঠিক তথ্য না দিয়েই তাঁদের লেখা প্রকাশ করেন। যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তাঁরা মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন বোধ করেন না।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
২ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৩ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৩ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৪ ঘণ্টা আগে