বেলাল হোসেন, জাবি
গরু, ছাগল না মুরগি? বড়জোর এই তালিকায় আসতে পারে মহিষ, হাঁস বা ভেড়া। এরপর প্রাণিজ আমিষের জন্য খুব কম প্রাণীই খুঁজে পাওয়া যাবে!
মাংসের দাম তরতর করে বেড়ে গিয়েছিল কয়েক বছর আগে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। যার ফলে গরু আর খাসির মাংসের দাম চলে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। দেশি মোরগ-মুরগির দিকে অনেকেই তন্ময় হয়ে তাকিয়ে থাকে, যেন ল্যুভ মিউজিয়ামে গিয়ে মোনালিসা দেখছে। দেশি মোরগ-মুরগি কিনে খাওয়ার সামর্থ্য আছে কার?
গরিবের আমিষের চাহিদা মেটানোর জন্য অবশ্য রয়েছে ব্রয়লার মুরগি আর লেয়ার। একটু ভালো খাবার-দাবার দিলে সাধারণ মানুষ এই খাবারের মাধ্যমে আমিষের স্বাদ পেতে পারে।
এই যখন অবস্থা, তখন দেখা গেল উটপাখি চরে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএলআরআই)। আফ্রিকা থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭টি উটপাখি কিনে আনা হয়েছে। তারা দিব্যি হেঁটে বেড়াচ্ছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে। এর মধ্যে ২টি মর্দা, ৫টি মাদি। গবেষণার জন্য এরপর আরও ১৫টি অপ্রাপ্তবয়স্ক উটপাখিও আনা হয়েছে। চলছে গবেষণা। গবেষণার ফল পাওয়া যাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে।
কী এই গবেষণা?
মাংসের কথা যখন হচ্ছে, তখন মাংসের সঙ্গেই এর যোগ। যে ২২টি উটপাখি এখন চরে বেড়াচ্ছে বিএলআরআই-এর খামারের তৃণভূমিতে, তাদের কাছ থেকে আসবে মাংসের জোগান। স্বাদ অনেকটা মুরগির মাংসের মতো।
মোরগ-মুরগি অভ্যস্ত দানাদার খাবারে, আর উটপাখির প্রিয় খাদ্য ঘাস, লতাপাতা। আমাদের এ অঞ্চলে ঘাস-লতাপাতা সহজলভ্য। তাই উটপাখির মাংস উৎপাদনে ব্যয় হবে কম। প্রান্তিক মানুষের আমিষের চাহিদা মিটবে।
গবেষণাটির প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ সাজেদুল করিম জানান, বাংলাদেশের আবহাওয়ায় আফ্রিকা থেকে আনা এসব প্রাণী সহজেই পালন করা যাবে।
উটপাখির ওজন মাঝারি আকারের গরুর মতো। ১০০-১৫০ কেজি। মাত্র আড়াই বছর বয়স হলেই উটপাখি ডিম দিতে শুরু করে। বছরে দেয় ২০-২৫টি ডিম।
প্রকল্প পরিচালক বললেন, ‘আমরা পাখির দৈহিক বৃদ্ধির হার ও খাদ্যাভ্যাস পর্যবেক্ষণ করছি। পাখিগুলোর তিন মাস, পাঁচ মাস, নয় মাস ও বারো মাস বয়সের মাংস কেমন হয়, তার গুণাগুণ দেখা হচ্ছে।’
উটপাখি উড়তে পারে না। এদের ডিমও অনেক বড়। প্রজাতিটি Struthionidae গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Struthio গণের অন্তর্গত। আফ্রিকার সাহারা মরুভূমির দক্ষিণের বিশাল তৃণভূমিতে এরা থাকে।
বিএলআরআই-এর সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যক্তিগত উদ্যোগেও কেউ কেউ উটপাখির চাষ করছেন। উন্নত বিশ্বে ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উটপাখির লালন-পালন হয়, তাহলে আমাদের দেশে হবে না কেন? শুধু তো মাংস নয়, উটপাখির চামড়া আর পালকও রপ্তানি করা যায়।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জলিল বলেন, ‘২০২৫ সালের পর থেকে বাণিজ্যিকভাবে মাংস বাজারজাত করা যাবে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সাদিয়া আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা পরিবর্তন করলেই শুধু উটপাখির মাংস প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে আমিষ সরবরাহে সক্ষম হবে।’
গরু, ছাগল না মুরগি? বড়জোর এই তালিকায় আসতে পারে মহিষ, হাঁস বা ভেড়া। এরপর প্রাণিজ আমিষের জন্য খুব কম প্রাণীই খুঁজে পাওয়া যাবে!
মাংসের দাম তরতর করে বেড়ে গিয়েছিল কয়েক বছর আগে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল। যার ফলে গরু আর খাসির মাংসের দাম চলে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। দেশি মোরগ-মুরগির দিকে অনেকেই তন্ময় হয়ে তাকিয়ে থাকে, যেন ল্যুভ মিউজিয়ামে গিয়ে মোনালিসা দেখছে। দেশি মোরগ-মুরগি কিনে খাওয়ার সামর্থ্য আছে কার?
গরিবের আমিষের চাহিদা মেটানোর জন্য অবশ্য রয়েছে ব্রয়লার মুরগি আর লেয়ার। একটু ভালো খাবার-দাবার দিলে সাধারণ মানুষ এই খাবারের মাধ্যমে আমিষের স্বাদ পেতে পারে।
এই যখন অবস্থা, তখন দেখা গেল উটপাখি চরে বেড়াচ্ছে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএলআরআই)। আফ্রিকা থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭টি উটপাখি কিনে আনা হয়েছে। তারা দিব্যি হেঁটে বেড়াচ্ছে, ঘুরে বেড়াচ্ছে। এর মধ্যে ২টি মর্দা, ৫টি মাদি। গবেষণার জন্য এরপর আরও ১৫টি অপ্রাপ্তবয়স্ক উটপাখিও আনা হয়েছে। চলছে গবেষণা। গবেষণার ফল পাওয়া যাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরে।
কী এই গবেষণা?
মাংসের কথা যখন হচ্ছে, তখন মাংসের সঙ্গেই এর যোগ। যে ২২টি উটপাখি এখন চরে বেড়াচ্ছে বিএলআরআই-এর খামারের তৃণভূমিতে, তাদের কাছ থেকে আসবে মাংসের জোগান। স্বাদ অনেকটা মুরগির মাংসের মতো।
মোরগ-মুরগি অভ্যস্ত দানাদার খাবারে, আর উটপাখির প্রিয় খাদ্য ঘাস, লতাপাতা। আমাদের এ অঞ্চলে ঘাস-লতাপাতা সহজলভ্য। তাই উটপাখির মাংস উৎপাদনে ব্যয় হবে কম। প্রান্তিক মানুষের আমিষের চাহিদা মিটবে।
গবেষণাটির প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ সাজেদুল করিম জানান, বাংলাদেশের আবহাওয়ায় আফ্রিকা থেকে আনা এসব প্রাণী সহজেই পালন করা যাবে।
উটপাখির ওজন মাঝারি আকারের গরুর মতো। ১০০-১৫০ কেজি। মাত্র আড়াই বছর বয়স হলেই উটপাখি ডিম দিতে শুরু করে। বছরে দেয় ২০-২৫টি ডিম।
প্রকল্প পরিচালক বললেন, ‘আমরা পাখির দৈহিক বৃদ্ধির হার ও খাদ্যাভ্যাস পর্যবেক্ষণ করছি। পাখিগুলোর তিন মাস, পাঁচ মাস, নয় মাস ও বারো মাস বয়সের মাংস কেমন হয়, তার গুণাগুণ দেখা হচ্ছে।’
উটপাখি উড়তে পারে না। এদের ডিমও অনেক বড়। প্রজাতিটি Struthionidae গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Struthio গণের অন্তর্গত। আফ্রিকার সাহারা মরুভূমির দক্ষিণের বিশাল তৃণভূমিতে এরা থাকে।
বিএলআরআই-এর সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যক্তিগত উদ্যোগেও কেউ কেউ উটপাখির চাষ করছেন। উন্নত বিশ্বে ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে উটপাখির লালন-পালন হয়, তাহলে আমাদের দেশে হবে না কেন? শুধু তো মাংস নয়, উটপাখির চামড়া আর পালকও রপ্তানি করা যায়।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল জলিল বলেন, ‘২০২৫ সালের পর থেকে বাণিজ্যিকভাবে মাংস বাজারজাত করা যাবে।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সাদিয়া আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা পরিবর্তন করলেই শুধু উটপাখির মাংস প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে আমিষ সরবরাহে সক্ষম হবে।’
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
২ মিনিট আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
২ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৩ ঘণ্টা আগে