নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আজ সেই ১৭ আগস্ট। ২০০৫ সালের এই দিনে দেশব্যাপী একযোগে ৫০০ বোমা ফাটিয়ে মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করেছিল জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। সে সময় তারা প্রচারপত্রে বলেছিল, তারা এ দেশে ‘আল্লাহর আইন’ বাস্তবায়ন করতে চায়। এরপর নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে ১৬ বছর পর নিষিদ্ধ এই সংগঠনটি কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। তবুও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, কেউ কেউ সংগঠনটি টিকিয়ে রেখেছেন। আর জঙ্গিবাদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে সামনে আসা এই জঙ্গি সংগঠন হয়তো এত সহজে পথ ছাড়বে না।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জেএমবির বিভিন্ন পর্যায়ে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিদের জবানবন্দি থেকে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে গঠিত শায়খ আবদুর রহমানের গড়া এই জঙ্গি সংগঠনটিতে বর্তমানে কিছু সদস্য রয়েছেন। এই সদস্যরা ১২টি জেলায় অবস্থান করছেন। তাঁদের সম্পৃক্ত জেলাগুলো হলো ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নীলফামারী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও খুলনা।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, পুরোনো জেএমবির তেমন কোনো কার্যক্রমই এখন নেই। তবে মাঝে বিভিন্নভাবে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের একটি অংশ ‘নব্য জেএমবি’ হিসেবে আইএসের অনুসারী হয়ে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে। একের পর এক অভিযানে তাদের সেই জাল ভেঙে গেছে।
অবশ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুর রশিদ বলেছেন, জঙ্গি সংগঠনগুলোকে নিয়ে এমন আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। জেএমবির মতো রাজনৈতিক উদ্দেশে সংগঠিত হওয়া এই সংগঠনের ক্ষেত্রে তো নয়ই। তিনি বলেন, এ ধরনের সংগঠনগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল না হওয়া পর্যন্ত লেগে থাকে। তাদের ছেড়ে দেওয়া ঠিক না। তারা যেকোনো সময় আতঙ্কে পরিণত হয়ে উঠতে পারে। তবে এটা ঠিক, আগের চেয়ে শক্তি ক্ষমতায় দুর্বল হয়েছে এই নিষিদ্ধ সংগঠনটি।
সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দারা বলছেন, গত এপ্রিলে জেএমবি ভারপ্রাপ্ত আমির রেজাউল হক ওরফে রেজা ওরফে তানভীর মাহমুদ ওরফে শিহাব আহনাফ গ্রেপ্তারের পর সংগঠনটি আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে। কেননা এই ভারপ্রাপ্ত আমিরই একাধারে দাওয়া বিভাগের প্রধান, বাইতুল মালের প্রধান, টাকা হিসাব রাখার দায়িত্বের প্রধান ছিলেন। তবে নিষিদ্ধ এই সংগঠনটি এখন কে চালাচ্ছেন সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কারও কাছেই তথ্য নেই। কর্মকর্তারা বলছেন, তবে রেজাউলের আগে জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার খুরশিদ আলম, যিনি ২০১৮ সালের দিকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যান।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের কর্মকর্তারা বলছেন, জেএমবির অর্থ আসছে ১২ জেলা থেকেই। প্রতি মাসে গড়ে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা সংগঠনের ফান্ডে জমা হচ্ছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে আসছে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। যে অর্থ সংগ্রহ ও পাঠানোর দায়িত্বে রয়েছেন ছয়জন জঙ্গি। ময়মনসিংহ থেকে আসছে ৩ লাখ টাকা। দায়িত্বে রয়েছেন পাঁচজন। গাজীপুর ও খুলনা থেকে মাসে গড়ে ২০ হাজার টাকার মতো আসে। সিটিটিসি বলছে, আব্দুল্লাহ নামের নারায়ণগঞ্জের এক ব্যক্তি দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকতেন, যিনি এই জেএমবিকে প্রতি মাসে ভালো অর্থ দান করতেন। সম্প্রতি তিনি সেখানেই মারা যাওয়ায় ওই টাকা আর আসছে না।
র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০০৫ সালের বোমা হামলার ঘটনায় ৬৭ জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৫০০ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে। এখন নতুন করে যাঁরা মাথাচাড়া দিতে চান, তাঁরাও র্যাবের নজরদারিতে রয়েছেন।
৫৫ মামলার বিচার শেষ হয়নি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় সারা দেশে ১৫৯টি মামলা হয়েছে। সব কটির অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০৪টি মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। এসব রায়ে ৩৪০ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জনকে দেওয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। খালাস দেওয়া হয়েছে ৩৫৮ জনকে, জামিনে রয়েছে ১৩৩ আসামি। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া আসামিদের মধ্যে ছিলেন বাংলা ভাই ও শায়খ আব্দুর রহমান।
আজ সেই ১৭ আগস্ট। ২০০৫ সালের এই দিনে দেশব্যাপী একযোগে ৫০০ বোমা ফাটিয়ে মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করেছিল জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। সে সময় তারা প্রচারপত্রে বলেছিল, তারা এ দেশে ‘আল্লাহর আইন’ বাস্তবায়ন করতে চায়। এরপর নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে ১৬ বছর পর নিষিদ্ধ এই সংগঠনটি কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। তবুও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, কেউ কেউ সংগঠনটি টিকিয়ে রেখেছেন। আর জঙ্গিবাদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে সামনে আসা এই জঙ্গি সংগঠন হয়তো এত সহজে পথ ছাড়বে না।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও জেএমবির বিভিন্ন পর্যায়ে গ্রেপ্তার হওয়া জঙ্গিদের জবানবন্দি থেকে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে গঠিত শায়খ আবদুর রহমানের গড়া এই জঙ্গি সংগঠনটিতে বর্তমানে কিছু সদস্য রয়েছেন। এই সদস্যরা ১২টি জেলায় অবস্থান করছেন। তাঁদের সম্পৃক্ত জেলাগুলো হলো ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর, কুড়িগ্রাম, রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নীলফামারী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও খুলনা।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, পুরোনো জেএমবির তেমন কোনো কার্যক্রমই এখন নেই। তবে মাঝে বিভিন্নভাবে মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের একটি অংশ ‘নব্য জেএমবি’ হিসেবে আইএসের অনুসারী হয়ে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করে। একের পর এক অভিযানে তাদের সেই জাল ভেঙে গেছে।
অবশ্য নিরাপত্তা বিশ্লেষক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দুর রশিদ বলেছেন, জঙ্গি সংগঠনগুলোকে নিয়ে এমন আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। জেএমবির মতো রাজনৈতিক উদ্দেশে সংগঠিত হওয়া এই সংগঠনের ক্ষেত্রে তো নয়ই। তিনি বলেন, এ ধরনের সংগঠনগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল না হওয়া পর্যন্ত লেগে থাকে। তাদের ছেড়ে দেওয়া ঠিক না। তারা যেকোনো সময় আতঙ্কে পরিণত হয়ে উঠতে পারে। তবে এটা ঠিক, আগের চেয়ে শক্তি ক্ষমতায় দুর্বল হয়েছে এই নিষিদ্ধ সংগঠনটি।
সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দারা বলছেন, গত এপ্রিলে জেএমবি ভারপ্রাপ্ত আমির রেজাউল হক ওরফে রেজা ওরফে তানভীর মাহমুদ ওরফে শিহাব আহনাফ গ্রেপ্তারের পর সংগঠনটি আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে। কেননা এই ভারপ্রাপ্ত আমিরই একাধারে দাওয়া বিভাগের প্রধান, বাইতুল মালের প্রধান, টাকা হিসাব রাখার দায়িত্বের প্রধান ছিলেন। তবে নিষিদ্ধ এই সংগঠনটি এখন কে চালাচ্ছেন সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কারও কাছেই তথ্য নেই। কর্মকর্তারা বলছেন, তবে রেজাউলের আগে জেএমবির ভারপ্রাপ্ত আমির ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার খুরশিদ আলম, যিনি ২০১৮ সালের দিকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যান।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের কর্মকর্তারা বলছেন, জেএমবির অর্থ আসছে ১২ জেলা থেকেই। প্রতি মাসে গড়ে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা সংগঠনের ফান্ডে জমা হচ্ছে। এর মধ্যে উত্তরবঙ্গ থেকে আসছে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। যে অর্থ সংগ্রহ ও পাঠানোর দায়িত্বে রয়েছেন ছয়জন জঙ্গি। ময়মনসিংহ থেকে আসছে ৩ লাখ টাকা। দায়িত্বে রয়েছেন পাঁচজন। গাজীপুর ও খুলনা থেকে মাসে গড়ে ২০ হাজার টাকার মতো আসে। সিটিটিসি বলছে, আব্দুল্লাহ নামের নারায়ণগঞ্জের এক ব্যক্তি দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকতেন, যিনি এই জেএমবিকে প্রতি মাসে ভালো অর্থ দান করতেন। সম্প্রতি তিনি সেখানেই মারা যাওয়ায় ওই টাকা আর আসছে না।
র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০০৫ সালের বোমা হামলার ঘটনায় ৬৭ জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৫০০ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে। এখন নতুন করে যাঁরা মাথাচাড়া দিতে চান, তাঁরাও র্যাবের নজরদারিতে রয়েছেন।
৫৫ মামলার বিচার শেষ হয়নি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় সারা দেশে ১৫৯টি মামলা হয়েছে। সব কটির অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০৪টি মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে। এসব রায়ে ৩৪০ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জনকে দেওয়া হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। খালাস দেওয়া হয়েছে ৩৫৮ জনকে, জামিনে রয়েছে ১৩৩ আসামি। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া আসামিদের মধ্যে ছিলেন বাংলা ভাই ও শায়খ আব্দুর রহমান।
সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলন শুরু হচ্ছে আগামীকাল থেকে। এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশের ৮০০ জন অতিথি। প্রথম দিন অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে থাকবেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের
৬ ঘণ্টা আগেকিছু অসাধু ব্যক্তি ও স্বার্থান্বেষী মহল ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের নাম ব্যবহার করে গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার স্বত্ব প্রদান এবং অন্যান্য প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
৭ ঘণ্টা আগেছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এর তিন দিন পর দায়িত্ব গ্রহণ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সরকারের ১০০ দিন পার হওয়া নিয়ে একটি মূল্যায়ন প্রকাশ করেছে বেলজিয়ামভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। মূল্যায়নে তারা বলেছে, অন্তর্বর্তী স
৮ ঘণ্টা আগেবিসিএসে উত্তীর্ণ হওয়ার পর চাকরি নিশ্চিত করতে যাচাই-বাছাইয়ের সময় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য অনেকে নিজেই পুলিশকে দিয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় সেসব তথ্যই এখন তাঁদের জন্য ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গ
৯ ঘণ্টা আগে